নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গ বাংলা বাঙালি

বাংলার ভূমিপুত্র

দেশের সাধারন মানুষ

বাংলার ভূমিপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) মোঃ শহীদুর রহমান।



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম



আমার কথা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতাআলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম তাঁর প্রেরিত পুরুষ নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। আরো শোকর গুজার করছি এজন্য যে, এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি যা শুধু পৃথিবীবাসীর কাছে নয়, এদেশবাসীর কাছেও স্পষ্ট এবং পরিষ্কার নয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে প্রাচীন যুগের শেষ অবধি সময়ের বাংলাদেশের ইতিহাস। দেশের ইতিহাসের কথা না হয় পরেই আলোচনা করব, দেশ সম্পর্কেও ধারণা স্পষ্ট নয়। যুগে যুগে বাংলাদেশের পরিধি ও পরিমাণ বর্ধিত বা সংকুচিত হয়েছে। এক সময় উপমহাদেশের যে অংশটুকু বাংলাদেশ নামে পরিচিতি ছিল প্রাচীনকালেই তার রদবদল হয়েছে, রদবদল হয়েছে মধ্যযুগে এবং বর্তমানেও তার পুনরাবৃত্তি। এ কারণেই দেশের সঙ্গে সঙ্গে অধিবাসীর পরিচিতি ও যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এক সময় ছোটনাগপুর,বীরভূম, প্রভৃতি অঞ্চল বাংলার অংশ ছিল এবং অধিবাসীরাও ছিল বাঙালি। যা হোক, প্রাগৈতিহাসিক যুগের অবস্থা আরো কুয়াশাচ্ছন্ন এবং অস্পষ্ট। কাজেই, বাঙালির সঠিক পরিচয় তুলে ধরতে হলে এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।এ বিষয়ে আমার প্রচুর আগ্রহ থাকলেও জ্ঞান ও যোগ্যতা অত্যন্ত সীমিত। তবুও আল্লাহর রহমতে চেষ্টা করে যাচ্ছি শুধু একটি কাঠামো দাঁড় করাতে। বাংলা ভাষায় বাংলাদেশের ইতিহাস ইতিমধ্যে অনেক রচিত হয়েছে। দেশবরেণ্য ঐতিহাসিক, নৃতত্ত্ববিদ, পণ্ডিতব্যক্তি ও মনীষীরা বাংলাদেশের প্রাচীন তথ্য ও তত্ত্ব বের করার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তত্ত্ব ও তথ্যসমৃদ্ধ অনেক ইতিহাস রচিত হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউরোপ ও আমেরিকাবাসীদেরও প্রচুর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তারা বাংলার কোনো কোনো অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্বের উদ্ধার ও গবেষণায়ও অংশগ্রহণ করছেন। তার সুফল আমরা কিছুটা হলেও পাচ্ছি। জাতীয় বৈশিষ্ট্য উদ্ধারে এবং ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষাকল্পে এগুলি অত্যন্ত অর্থবহ কার্যক্রম। এই বিরাট দেশী-বিদেশী কার্যক্রমের সঙ্গে আমিও কিছুটা জড়িত থাকার মানসে এই সামান্য প্রচেষ্টা। যাঁরা ইতিহাসের এই বিরাট ভাণ্ডারকে তথ্যসমৃদ্ধ করেছেন তাঁদের কাছে ঋণ স্বীকার করেই এবং তাঁদের দেয়া মূল্যবান ঐতিহাসিক উপাদানের উপর ভিত্তি করেই তাঁদের ঐতিহাসিক ইমারতের পার্শ্বে হারিয়ে যাওয়া কুড়ে ঘরটিকে কিছুটা হলেও পুনঃগঠনের চেষ্টা করেছি। একটু উঁকি দিয়ে কুয়াশাঘেরা পিছনের দিক দেখতে গিয়ে যদি ভুল দেখে থাকি, তবে দৃষ্টি আমার নিজস্ব বলে দোষ-ত্রুটি আমার। আর যদি সামান্য কিছু সত্যও দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে, তবে তার কৃতিত্ব সেইসব গুণীজনদের যাঁরা ইতিহাসের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।



ইতিহাসের বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণার ফলে অনেক তত্ত্ব এবং তথ্য বেরিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন তথ্য হয়ত বের হয়ে আসবে এবং এভাবেই গবেষণা চলতে থাকবে, যা সব দেশেই সব সভ্যতার স্তরের উপর ক্রমাগত একটি চলমান ধারা হিসেবে চলে আসছে। এদেশে অনেক ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতব্যক্তি বাংলার আদিযুগের উপর কিছু কিছু প্রামাণিক বই লিখেছেন এবং তাঁদের মূল্যবান বক্তব্যে নতুন নতুন তথ্য সমৃদ্ধ দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে। এ কথা অকাতরে স্বীকার করতে পারি যে, এদেশের জ্ঞানী-গুণীদের লিখিত বাংলার ইতিহাস থেকে পূর্ণাঙ্গ না হলেও একটি কাঠামো দাঁড় করানো যায়, যাতে আরো কিছু মাল-মসলা যুক্ত হলে ইতিহাসের একটি চলমান ধারা বের হয়ে আসতে পারে এবং এ ধারাটি যুগে যুগে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে একদিন পূর্ণতায় পৌঁছার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। আমি এইসব গবেষক ও ঐতিহাসিকদের গবেষণা ও বক্তব্য থেকে লেখার উপাদান সংগ্রহ করেছি। শুধু সম্প্রতি কিছু নতুন তথ্য, যা অতি সামান্য, পাওয়া গেছে তাও যথাস্থানে ব্যবহার করতে কুণ্ঠাবোধ করিনি। আদি বাংলার ইতিহাস রচনা করতে তাঁরা যেসব উপাদান ব্যবহার করেছেন, আমিও তাই করেছি। তবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষনে প্রকৃত অবস্থা প্রকাশের জন্য, ইতিহাসের ধারাকে ব্যক্তিগত ছায়া থেকে সতর্কতার সঙ্গে দূরে রেখেছি।



নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিকদের অবদানও, যেখানে প্রয়োজন, উল্লেখ করতে কুণ্ঠাবোধ করিনি।মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাহর দরবারে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতব্যক্তি ইতিহাস রচনা করেছেন



তার বেশিরভাগই সমসাময়িক নির্ভরশীল ইতিবৃত্ত। সমকালীন রাজা-বাদশাহ, অমাত্য, সুবাদার, সেনাপতিদের ফরমায়েশে দরবারে নিযুক্ত পণ্ডিতব্যক্তিগণ তাঁদের প্রশাসন, জয়-পরাজয়, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ঘটনার ইতিহাস রচনা করেছেন। কথা প্রসঙ্গে কোনো কোনো জায়গায় জনসাধারণের কথা যতটুকু উঠে এসেছে তাও মূল্যহীন নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরাসরি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্নভাবে আদি বাংলার মানুষের কথাও বলা হয়েছে বা ইঙ্গিত আছে। ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে এগুলোর মূল্যও কম নয়। চলবে-----

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৬

বাংলার হাসান বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২| ০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

ছন্নছাড়া-এক্সপ্রেস বলেছেন: ++++++

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: পড়ার সময় নেই, শোকেসে রাখলাম। সময় করে পুরো সিরিজটি পড়ার ইচ্ছা রইল। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: পড়া শুরু করলাম আজ থেকে, এইরকম কিছু একটা অনেকদিন থেকে খুজছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.