নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গ বাংলা বাঙালি

বাংলার ভূমিপুত্র

দেশের সাধারন মানুষ

বাংলার ভূমিপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ৫ম পর্ব

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৩২

সূচিপত্র

১. বাংলার ভূ-গঠন ১১

২. বাংলার ভূ-প্রকৃতি ২০

৩. ভূ-পরিচয়, জলবায়ু ও তার প্রভাব ৩১

৪. বাংলাদেশের নদ-নদী ৪৩

৫. উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণী ৫৬

৬. বাংলাদেশে মানব বসতি ৮১

৭. বাংলার আদিবাসী ১১৯

৮. বাংলা নামের উৎপত্তি ও জনপদের পরিচিতি ১৬৯

৯. ইতিহাসের ধারা ও ইতিহাসের উপাদান ১৭৯

১০. রাজা মহারাজা রাজাধিরাজ ১৯৭

১১. ধমর্ ২৮৭

১২. বর্ণ ও শ্রেণী বিভাজন ৩০৮

১৩. প্রশাসন ৩২২

১৪. সামরিক ব্যবস্থা ৩৩৬

১৫. বাংলাদেশে চাষী ও চাষবাস ৩৬২

১৬. শিল্প, বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সামগ্রী ৩৭৭

১৭. বাণিজ্যপথ ৩৯০

১৮. বাংলাদেশের প্রাচীন মুদ্রা ৩৯৭

১৯. আদি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ৪০৬

২০. ভাষা ও সাহিত্য ৪৬২

২১. শিল্পকলা ৪৭৭

২২. বাংলাদেশে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ৫০৪

২৩. শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫৪০

২৪. চিকিৎসা ৫৫০

২৫. পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক ৫৫৯

২৬. নারীসমাজ ৫৭০

২৭. বিনোদন, মেলা ও পূজাপার্বণে আনন্দ উৎসব ৫৮৫

২৮. সমাজ ও সংস্কৃতি ৫৯৫

২৯. দাস প্রথা ৬১১

৩০. ব্যক্তি ও জাতীয় স্বভাব-চরিত্র ৬১৯

৩১. দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ৬৩২

নির্ঘণ্ট ৬৪৪

গ্রন্থপঞ্জী ৬৬৭



* বাংলার ভূ-গঠন

বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন

বহু বৈচিত্র্যে পূর্ণ একটি ভূখন্ড যার নাম বাংলাদেশ। এই বৈচিত্র্য যেমনি দেশের প্রকৃতিতে তেমনি মানুষের স্বভাবে, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে। বাংলাদেশের ভূমিগঠন ছিল প্রকৃতির অকস্মাৎ একটি কর্মকাণ্ডের ফল। আবার এর মাঝেও রয়েছে অপার মহিমাময় বৈচিত্র্যের সন্ধান। একদিকে এই দেশের ভূমির প্রাচীন শিলাস্তর উঠে এসেছে ভূমির সমান (level) উচ্চতায়, অন্যদিকে এই শিলাস্তর ঢাকা পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মিটার পলির নিচে। আবার এই পলিস্তরও তিনটি সোপানে এবং বৈশিষ্ট্যে বিভক্ত। অতি সংক্ষেপে বাংলাদেশের ভূ-গঠন প্রক্রিয়া বলা হলো।



ভূ-গঠনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পৃথিবীর উপরের স্তর যাকে ক্রিটাসিয়াস (Cretaceous) বলা হয়, সেই আদি ক্রিটাসিয়াস যুগে, পৃথিবীর ভূ-গঠনের দ্বিতীয় পর্যায়ের শেষ যুগে এদেশের শিলাস্তর যা গন্ডোয়ানাল্যান্ড (Gondwanaland), ভারতের সঙ্গে যুক্ত বৃহত্তর স্থলভাগ নামে পরিচিত, প্রায় সাড়ে ১২ কোটি বছর পূর্বে, তা প্রচণ্ড চাপে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। গন্ডোয়ানাল্যান্ড বিভাজন হওয়ার পরে ভারতীয় প্লেটের শিলা অঞ্চল চলমান অবস্থায় থাকার জন্য বার্মা ও ইউরেশিও প্লেটের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এর ফলে ভূমিস্তর নতুন করে বিন্যস্ত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যায়।২

এসময় সৃষ্টি হয় বিশাল পর্বত হিমালয় ও ভারতীয় অন্যান্য পর্বতশ্রেণী, সৃষ্টি হয় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য ভারতীয় নদ-নদীর প্রারম্ভিক অবস্থা। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীবাহিত পলি দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বদ্বীপ যা বাংলা ‘বেসিন’ নামে পরিচিত। এই ‘বেসিনে’র অন্তর্গত বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার অধিকাংশ এলাকা। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র এবং তাদের অসংখ্য শাখা নদীর দ্বারা বাহিত কোয়াটারনারি (Quaternary), চার স্তরবিশিষ্ট যেমন, Eocene, oligocene, miocene and Pliocene পলিস্তর দ্বারা টারশিয়ারি (Tertiary) যুগে, চারটি স্তরের তৃতীয় স্তরে, বাংলা ‘বেসিন-এর প্রায় সকল পুরাতন শিলাস্তর ঢাকা পড়ে আছে। ভূতত্ত্ববিদগণের ধারণা, বাংলা ‘বেসিন’ হচ্ছে একটা মায়োজিওসিনকলাইন (Myo-geosyncline) যা থেকে বুঝা যায় যে, উপরের শিলাস্তর ঠাণ্ডা ও সংকুচিত হয়ে নিন্মদিকে ধাবমান অবস্থায় ভাজ ক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল বসে যাওয়া ‘বেসিন, সেখানে পুরো সেনোযয়িক আমলে (৬৬ মিলিয়ন বছর পূর্বকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত) কোনো অগ্নূৎপাত ছাড়া পলায়ন চলেছিল। ফলে গভীর বেসিনটিতে বড় ধরনের পুরুত্বের পলি জমা হয়। বাংলা বেসিন গঠনের সময়কাল ও স্তর অনুসারে বাংলাদেশ-অংশকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়:৩

(১) বাংলাদেশে প্রাথমিক অবস্থায় গঠিত টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, যথা: পুরাতন চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং বর্তমান সিলেট জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়সমূহ-এর অন্তর্গত। এই পাহাড়সমূহ শিলাস্তরের চূণর্- বিচূর্ণ করা ল্যাটেরিটিক মাটি দ্বারা গঠিত এবং এই ভূস্তরের রং লাল।

(২) টারশিয়ারি বা চার স্তরবিশিষ্ট ভূ-গঠন যুগের শেষ যুগে অর্থাৎ প্লাইওস্টোসিন যুগের ল্যাটেরিটিক অর্থাৎ লাল রং-এর মাটি দ্বারা গঠিত সোপানসমূহ বরেন্দ্র ট্রাক্ট (বরেন্দ্রভূমি ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল), মধুপুর ট্র্যাক্ট (মধুপুর টাঙ্গাইল, নরসিংদী, গাজীপুর ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল), কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় অঞ্চল এবং সিলেট জেলার কিছু উঁচু জমি এ ধরনের ভূমিরূপের অন্তর্গত;

(৩) প্লাবন সমভূমি প্রধানত পদ্মা নদীর উত্তর ও পূর্ব দিকের অঞ্চলসমূহ- সিলেট বেসিন, ফরিদপুর ট্রাক্ট এবং উত্তরবঙ্গের পাদদেশীয় পলল সমভূমি যার মাটি অল্প বিচূর্ণিত ধূসর সিল্ট ও কর্দমকণা দ্বারা গঠিত ভূভাগ;

(৪) ব-দ্বীপ সমভূমি যা দক্ষিণের সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত পদ্মা ও বঙ্গোপসাগরের মাঝের অঞ্চল, খুলনা এবং পটুয়াখালী জেলার নিন্ম জোয়ার-ভাটা অঞ্চল এ ব-দ্বীপ সমভূমির অন্তর্গত; এবং

(৫) দক্ষিণের নিন্ম উপকূলীয় সমভূমি যা নোয়াখালী থেকে কক্সবাজারের দক্ষিণপ্রান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারিত। উল্লিখিত ভূ-ভাগসমূহের মধ্যে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে রিপোর্টকৃত প্রাগৈতিহাসিক প্রতড়বস্থলের অবস্থান প্লাইওস্টোসিন যুগের লাল রং-এর মৃত্তিকা অঞ্চলের কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় অঞ্চল এবং মধুপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার উঁচু ভূমির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এদেশে আদিমানবের বাস হয়তো এইসব অঞ্চলেই প্রাথমিক যুগে সীমাবদ্ধ ছিল এবং সম্ভবত ভূবিন্যাসের কারণেই।



পশ্চিম বাংলার ভূতাত্ত্বিক গঠন

পশ্চিম বাংলার উত্তরের এবং পশ্চিমের ফ্রিঞ্জগুলির চারিদিকে রয়েছে উন্মুক্ত প্রি-ক্যামব্রিয়ান, প্যালিওযোয়িক, ম্যাসোযোয়িক এবং টারশিয়ারি যুগের শিলা, যার বয়স যথাক্রমে ৫০০, ৪০০, ১৩, ৬ এবং ৫ মিলিয়ন বৎসর। এগুলি মহাযুগের শিলাস্তর। এই যুগের ভগড়বাংশ সময়ের সর্বোপরি শিলাস্তর, যা কোয়াটারনারি স্তর হিসেবে পরিচিত, ১.৬ মিলিয়ন বৎসর বলে ধারণা করা হয়। পশ্চিমাংশ প্রি-ক্যামব্রিয়ান সিল্ডের পূর্ব উত্তরের সীমানা হচ্ছে সক্রিয় টেকটনিজমের অরেজিনিক সেল্টের অংশ যা বহিঃস্থ হিমালয় এবং নিন্ম হিমালয় হিসেবে পরিচিত। পশ্চিম বাংলার কোয়াটারনারি ভূভাগকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়:

(১) ভাগীরথী-হুগলির পশ্চিমে অবস্থিত সেল্ফ অঞ্চল

(২) গঙ্গা-পদ্মার উত্তরে অবস্থিত হিমালয় ফোরডিপ অঞ্চল, এবং

(৩) ভাগীরথী-হুগলির পূর্বে অবস্থিত মধ্য-বেসিন অঞ্চল।৪ ভাগীরথী-হুগলির পশ্চিমে অবস্থিত সেল্ফ অঞ্চলে সম্ভাব্য নিওজি- কোয়াটারনারি সীমানার অবস্থান হচ্ছে মায়ো-প্লায়োসিন সময়ের ভৈরব-বাঁকি অঞ্চলের ভূ-তাত্ত্বিক গঠন এবং প্লাইওস্টোসিন সময়ের লালগড় অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠনের মধ্যবর্তী সময়ে। লালগড় ভূ-গঠনকে উচ্চ ও নিন্ম দুই এককে ভাগ করা যায়। উচ্চতর এককে অবস্থিত লালগড় ভূ-গঠন হয়েছে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন বৎসর পূর্বে যা প্লাইওস্টোসিন যুগের বলে পরিচিত। এগুলি গোলাকৃতি প্রি-ক্যামব্রিয়ান শিলার নুড়ি ও বিরাটাকার বোল্ডার, টারশিয়ারি সময়ের লেটেরাইট, মায়ো-প্লায়োসিন (বর্তমান হতে ২৪ মিলিয়ন বছর থেকে বর্তমান হতে ২ মিলিয়ন বছর পূর্ব পর্যন্ত) সময়ের জীবাশ্ম কাঠএবং ভৈরব-বাঁকি ভূ-গঠনের সাদা শেলের প্লেট দ্বারা গঠিত। উচ্চ লালগড় ভূ-গঠনের মধ্য থেকে উচ্চ প্লাইওস্টোসিন (বর্তমান হতে ২ মিলিয়ন থেকে বর্তমান হতে ০.১ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত) সময়ের মেরুদণ্ডী প্রাণীর জীবাশ্ম ও নিন্ম লালগড় ভূ-গঠনের পুনঃজমাকৃত পলল বিদ্যমান। লালগড় ভূ-গঠনের উপরে পলীয় সোপান অবস্থিত। এই পলল সিজুয়া ভূ-গঠন নামে পরিচিত এবং মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। যদিও এদের নিন্মাংশের অবক্ষেপণ শুরু হয়েছিল শেষ প্লাইওস্টোসিন যুগে তবুও এরা আদি হলোসিন যুগের। মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলায় আরও একধরনের মধ্য হলোসিন যুগীয় অ্যালুভিয় সোগান পলল দেখা যায়। গঙ্গা-পদ্মা সমতলভূমির উত্তরে হিমালয়ান ফোরডিপ অঞ্চল স্বতস্ত্র ধরনের অনেকগুলি শাখা পলল দ্বারা গঠিত। এগুলি হচ্ছে দার্জিলিং জেলায় ৬০০মি থেকে ২৮০মি উচ্চতায় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সামসিং-থালঝোড়া ভূ-গঠন (সেল্ফ অঞ্চলের সিজুয়া ভূ-গঠনের সমসাময়িক), ও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার এবং পশ্চিম দিনাজপুর ভূ-গঠন জেলায় ১৮০ মি থেকে ৩০মি উচ্চতায় অবস্থিত বৈকন্ঠপুর ভূ-গঠন (সেল্ফ অঞ্চলের দৈন্তিকিরি/পাঁচকুড়া ভূ-গঠনের সমসাময়িক)। ভাগীরথী-হুগলির পূর্বে অবস্থিত মধ্য-বেসিনীয় অঞ্চলে তিন ধরনের ব-দ্বীপীয় ও মোহনা পলল সমন্বিত দমদম ভূ-গঠন (সেল্ফ অঞ্চলের দৈন্তিকিরি/পাঁচকুড়া ভূ-গঠনের সমসাময়িক), শেষ হলোসিন যুগীয় নদীয়া, বর্ধমান জেলার মধ্য পরিণত ব-দ্বীপীয় ও মোহনা পলল সমন্বিত ক্যালকাটা ভূ-গঠন (দমদম ভূ-গঠনের চেয়ে নতুন) ও অপরিণত ব-দ্বীপীয় পলল গঠিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাম্প্রতিক সুন্দরবন ভূ-গঠন। উল্লিখিত প্লাইওস্টোসিন ও আদি হলোসিন যুগীয় ভূ-গঠিত স্থানে পশ্চিম বাংলার প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ারসমূহ খুঁজে পাওয়া যায়। লেটেরাইট বা লালমাটি অঞ্চলই বাংলায় আদি মানুষের বসবাস বলে মনে করা যায়



বেঙ্গল বেসিনের সীমানা

বাংলাদেশ ও বেঙ্গল বেসিনের সীমানা এক নয়। বাংলাদেশের পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়, পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা ও মায়ানমারের কিয়দংশ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কিন্তু বেঙ্গল বেসিনের উত্তরে রয়েছে শিলং মালভূমি, পূর্বে ভারত-মিয়ানমার পর্বতশ্রেণীর সীমান্তে কালাদানচ্যুতি পর্যন্ত। এই কালাদানচ্যুতি বাংলাদেশের পূর্ব সীমানা বরাবর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মাঝ বরাবর অতিক্রম করে নাগডিংসাংচ্যুতির সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বেঙ্গল বেসিনের দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এই সাগরের মধ্যে গভীর সামুদ্রিক ফ্যান (deep sea fan) পর্যন্ত তা বিস্তৃত। এই বেসিনের পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্ড এলাকা। বেঙ্গল বেসিন পশ্চিম ভারতের শিল্ড থেকে পূর্বে সান-মালভূমি পর্যন্ত প্রায় ১০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। বাংলাদেশ ভূ-গঠন অনুসারে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ডেল্টা বেঙ্গল বেসিনের অন্তর্গত।৫ বাংলাদেশের ভূ-চিত্র অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং রঙিন। দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ হিমালয়ের পাদদেশে এবং উত্তর-পূর্বাংশ খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্বদিকে মায়ানমারের পাহাড় শ্রেণীর সংযুক্ত পাহাড়ি অঞ্চল, আবার দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর। সাগরের কোল ঘেঁষে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে পৃথিবীর সপ্তম প্রাকৃতিক আশ্চর্যের একটি দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত (longer sea beach) আর পশ্চিমাঞ্চলে সাগরের কোল ঘেঁষে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। জৈন্তিয়া-খাসিয়া পাহাড়ের কোল ঘেঁষে রয়েছে অনেক হাওড় ও বাওড়।

2 S.R.Curry + D.G. Moor: Sedimentary Tectonic Processes in the Deep Sea Fan.

3 M.I.Bakhtime: Major Tectonic Features of Pakistan.

৪ সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল হাসান- বাংলা পিডিয়া।

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ৪র্থ পর্ব

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৯

বোকা ডাকু বলেছেন: ভাই এইটা কি PDF আকারে পাওয়া যাবে? অনেক তথ্যবহুল পোস্ট ভাল লাগলো।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: খুব ভালো লিকেছেন । সময় নিয়ে পড়তে হবে এক তৃতিয়াংশ পড়লাম । বাকিটা কাল পড়বো । :)

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১১

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার লেখাগুলো শেয়ার করে অনেক অনেক তথ্য জানার সুযোগ করে দিবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.