নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গ বাংলা বাঙালি

বাংলার ভূমিপুত্র

দেশের সাধারন মানুষ

বাংলার ভূমিপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ)৮ম পর্ব

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২

আদি বাংলার ইতিহাস

(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ৮ম পর্ব





প্লেট টেকটনিক মতবাদ ও বাংলাদেশঃ



বেঙ্গল বেসিন তথা বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক অভ্যুদয় শুরু হয়েছিল সম্ভবত ২৩০ থেকে ২০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে পারমো-কার্বনেসিয়াস (Permo Carbonaceous) সময়ে এবং এর ক্রিয়া পতিক্রিয়া বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। ৮ প্লেট আন্দোলন তত্ত্ব (Plate Tectonic Theory) এবং বেঙ্গল বেসিন (Bengal basin)-এর অভ্যুদয় আধুনিক ভূতত্ত্ববিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পৃথিবীর সব পাহাড়শ্রেণীর উৎপত্তিকে প্লেট আন্দোলন তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়। বেঙ্গল বেসিনের উৎপত্তি এবং উত্তরাংশে ও পূর্বাংশে যে বিশেষ পাহাড়শ্রেণী আছে তার উৎপত্তি হয়েছে এই অঞ্চলে অবস্থিত ভারতীয় প্লেটে (Indian plate) ইউরেশিয়ান (Eurasian plate), তিব্বত প্লেটে (Tibbetian plate) ও বার্মা প্লেটে (Burmese plate) গুলোর বিভিন্ন মুখী সংঘর্ষের ফলে। ভিবিন্ন প্লেটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে

যে ভূতাত্ত্বিক গঠনের পরিবর্তন হয়েছে তা এক সময়ে সংঘটিত হয়নি। এগুলি হয়েছে সুদীর্ঘ সময় ধরে। এই সুদীর্ঘ সময়ের ভূ-গঠন প্রক্রিয়াকে ভূতাত্ত্বিকগণ কর্তৃক চার স্তরে ভাগ করা হয়েছে: ক) পারমো কার্বনিফেরাস (Permo-Carboneferous) সময়ের বিবর্তন, খ) প্রারম্ভিক ক্রিটেসিয়াস (Early Cretaceous) সময়ের বিবর্তন,

গ) পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস ইয়োসিন (Late Cretaceous-Eocene) সময়ের বিবর্তন এবং (ঘ) অলিগোসিন থেকে বর্তমান (Oligocene-recent) পর্যন্ত বিবর্তন।



পারামা-কার্বনিফেরাস সময়ে (২৩০-২৮০ মিলিয়ন বছরে) ভূ-আন্দোলন প্রবলতর ছিল। বাংলাদেশে প্রাপ্ত কয়লাই প্রমাণ

করে যে এ সময়ে প্রচণ্ড ভূ-আন্দোলনে ভূমি নতুন করে বিন্যস্ত হচ্ছিল। বাংলাদেশের ভূভাগ তখনো গন্ডেয়ানাল্যান্ডের

অংশ ছিল। পরবর্তী প্রারম্ভিক ক্রিটেসিয়াস (১০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে) সময়ের বিবর্তনে গন্ডোয়ানা মহাদেশ ভাঙতে আরম্ভ

করে। ভারতীয় প্লেট উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরে আসতে থাকে। এতে ভূ-পৃষ্ঠে বিরাট ফাটল সৃষ্টি হয় এবং এই ফাটল দিয়ে প্রচুর লাভার উৎক্ষেপণ হয়। ভারতের কোনো কোনো স্থানে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকলেও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এই লাভা ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থিত। এ সময়েই পৃথিবীর বৃহত্তর ভূভাগগুলি বিচ্ছিনন হয়ে দূরে যেতে থাকে। বিলম্বিত ক্রিটেসিয়াস ইয়োসিন (৫৩-১০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে) সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীর ভূভাগের প্রচুর পরিবর্তন হয়ে বর্তমান আকার-আয়তন ও অবস্থানের উত্থান হয়। বেঙ্গল বেসিনের পূর্বাংশে যেখানে বর্তমান পাহাড়গুলি রয়েছে সেই

এলাকায় সরাসরি মহাসাগরীয় ভূত্বকের উপর পলি জমা হতে থাকে।



মধ্য ইয়োসিন সময়ের শুরুতেই বেঙ্গল বেসিন বিস্তৃত আকারে সামুদ্রিক অগ্রগমন হতে থাকে যার ফলে সিলেট চুনাপাথর জমা হয় এবং পূর্বাংশে সামুদ্রিক কাদা পর্যায়ের পলি জমতে থাকে। ইয়োসিন সময়ের শেষ সময়ে সামুদ্রিকপশ্চাদগমন আরো ব্যাপকভাবে হয়েছে যার ফলে কোপিলি শেল স্তরের (Kopili shale formation) উৎপত্তিহয়েছে। কোপিলি শেষ স্তরের পুরুত্ব ১৫০ মিঃ পর্যন্ত পাওয়া গেছে বাংলাদেশের পশ্চিমাংশে এবং ভারতের

পশ্চিমবঙ্গে। ইয়োসিনের শেষ পর্যায় থেকেই পলল জমায় পরিবেশ সমুদ্র হতে জোয়ার-ভাটার অধীন ও সমুদ্রের ইষৎ লবণাক্ত হতে থাকে।



আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) ৭ম পর্ব

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.