নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বঙ্গ বাংলা বাঙালি

বাংলার ভূমিপুত্র

দেশের সাধারন মানুষ

বাংলার ভূমিপুত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ১৩

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৩১

আদি বাংলার ইতিহাস

(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ১৩



সমতল হতে কিছুটা উঁচু চত্বরভূমি পূর্বে লালমাই টিলা এলাকা, মধ্যে মধুপুর গড় এবং পশ্চিমে বরেন্দ্রভূমি সমন্বয়ে গঠিত। লালমাই টিলা এলাকা কুমিল্লা শহরের পশ্চিম পার্শ্বে উত্তর-দক্ষিণে লম্বায় ১৫ কি.মি. এবং চওড়ায় ১ থেকে ৩ কি.মি.। এ টিলা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, যা পশ্চিম পার্শ্বে কিছুটা খাড়া। মধুপুর গড় এলাকা বৃহত্তর ঢাকা,

ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার প্রায় ৪১৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ৮ হতে ১৫ মিটার উঁচু এবং সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩০ মিটার। এ চত্বরভূমি পূর্বদিকে কিছুটা ঢালু এবং পশ্চিম পার্শ্বে চ্যুতি নিয়ন্ত্রিত। বরেন্দ্রভূমি বৃহত্তর রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার প্রায় ৯৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এ চত্বরভূমি রাজশাহী এলাকায় ৩০ হতে ৪০ মিটার উঁচু এবং অন্যান্য এলাকায় ২০ হতে ৩৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এ চত্বরভূমি পশ্চিমপার্শ্বে চ্যুতি নিয়ন্ত্রিত। নিচু জলাভূমির মধ্যে সুনামগঞ্জের মাটিয়ান হাওড়, মৌলভীবাজারের হাউল হাওড়, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার চান্দা-বাঘিয়া

বিল, খুলনার কোলামৌজা ও তেরখাদা বিল এলাকা এবং বৃহত্তর পাবনা-রাজশাহী এলাকার চলন বিল উল্লেখযোগ্য। গরান জলাভূমির মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী ও বৃহত্তর খুলনা জেলার সুন্দরবন এলাকা এবং চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালি-চকোরিয়া গরান জলাভূমি।



প্লাবনভূমিঃ

এই ভূমি নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অপেক্ষাকৃত মসৃণভূমি, যা নদীর উপচে পড়া জলরাশি দ্বারা প্লাবিত হয়। ভূ-প্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে তিনটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিন্যস্ত করা যেতে পারে, যথা (ক)প্লাবনভূমি অঞ্চল, (খ) সোপানভূমি অঞ্চল, এবং (গ) পার্বত্য অঞ্চল। প্রতিটি অঞ্চলেরই নিজস্ব নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সোপানভূমি ও পার্বত্য

অঞ্চল সম্পর্কে ইতিপূর্বে কিছুটা আলোচনা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের প্লাবনভূমি সম্পর্কে পরিচিতি দেওয়া হলো। বাংলাদেশের একটি বিরাট অংশ জুড়ে বিস্তৃত বিভিন্ন নদনদীর সৃষ্ট প্লাবনভূমি এলাকা। বাংলাদেশের কৃষি এবং সংস্কৃতিতেও এই ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের বিরাট প্রভাব রয়েছে।



বাংলাদেশের প্লাবনভূমি অঞ্চলসমূহকে ভূতত্ত্ববিদ জাবেদ কলিম পনেরটি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত করেছেন-২০ ১) পুরাতন হিমালয় পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি, ২) তিস্তা প্লাবনভূমি, ৩) পুরাতন ব্রক্ষপুত্র প্লাবনভূমি, ৪) যমুনা (নবীন ব্রহ্মপুত্র) প্লাবনভূমি, ৫) হাওড় অববাহিকা, ৬) সুরমা কুশিয়ারা প্লাবনভূমি, ৭) মেঘনা প্লাবনভূমি, ক) মধ্য মেঘনা প্লাবনভূমি, খ) নিন্মতর মেঘনা প্লাবনভূমি, গ) পুরাতন মেঘনা মোহনাজ প্লাবনভূমি, ঘ) নবীন মেঘনা মোহনাজ প্লাবনভূমি, ৮) গাঙ্গেয় প্লাবন সমভূমি, ৯) গাঙ্গেয় জোয়ারভাটা প্লাবনভূমি, ১০) সুন্দরবন এলাকা, ১১) নিুতর আত্রাই অববাহিকা,

১২) আড়িয়াল বিল, ১৩) গোপালগঞ্জ-খুলনা পীট অববাহিকা, ১৪) চট্টগ্রাম উপকূলীয় সমভূমি, ১৫) উত্তর ও পশ্চিমাংশের পর্বত পাদদেশীয় সমভূমি।



২০ জাবেদ কলিম- বাংলা পিডিয়া

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ১২

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.