![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ১৯
খ. পলিমাটিতে গঠিত মোটামুটি প্রাচীন ভূমিঃ
বৃহত্তর রাজশাহী জেলার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, বৃহত্তর ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের অধিকাংশ অঞ্চল, বৃহত্তর রংপুর জেলার উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চল, বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর পূবতীরবর্তী কিছু অঞ্চল, বৃহত্তর পাবনা জেলার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণ বঙ্গের বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও বৃহত্তর যশোর জেলাদ্বয়, বৃহত্তর খুলনা জেলার উত্তরাঞ্চল, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাদ্বয়ের বেশ কিছু অঞ্চল, বৃহত্তর ঢাকা জেলার কিছু কিছু অঞ্চল, টাঙ্গাইল জেলার কিছু অঞ্চল, জামালপুর জেলার অধিকাংশ অঞ্চল, ময়মনসিংহ জেলার অধিকাংশ অঞ্চল, বৃহত্তর শ্রীহট্ট জেলার বেশ কিছু অঞ্চল, কুমিল্লা জেলার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী জেলার উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাদ্বয়ের বিভিনড়ব পাহাড় শ্রেণীর মধ্যবর্তী অঞ্চল প্রাচীন পলিমাটির অন্তর্ভুক্ত। লালমাটিতে গঠিত প্রাচীন ভূমির তুলনায় অপেক্ষাকৃত নবীন হলেও এসব অঞ্চল সাধারণত পানিতে ডুবে যায় না। বর্ষাকালে ভূমির চারদিকে আল বেঁধে এসব অঞ্চলের জমিতে চাষাবাদ করতে হয়।
গ. পলিমাটিতে গঠিত নিন্ম প্লাবনভূমিঃ
সাবেক রাজশাহী জেলার কিছু অংশ, বৃহত্তর রংপুর জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, বগুড়া জেলার পূর্বাঞ্চলের সামান্য কিছু অংশ, পাবনা জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, বৃহত্তর খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চল, পটুয়াখালী ও বৃহত্তর বাখরগঞ্জ জেলার নিুাঞ্চল, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ছাড়া প্রায় সমগ্র জেলা, বৃহত্তর ঢাকা জেলা পশ্চিম-দক্ষিণ, দক্ষিণ ও
পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চল ছাড়া প্রায় সমগ্র জেলা, টাঙ্গাইল জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল, জামালপুর জেলার উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাঞ্চল, বৃহত্তর শ্রীহট্ট জেলার পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম
জেলার সমুদ্র তীরবর্তী সমান্য অংশ নিয়ে বাংলাদেশের নিমড়বভূমি গঠিত। বর্ষাকালে কয়েক মাস এই নিুভূমি পানির নিচে থাকে। কোনো কোনো স্থানে দশ থেকে পনের ফুট এমনকি তার চেয়েও বেশি গভীর পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এই নিুভূমিতেই সুবিধামত স্থানে মাটি ফেলে জমি উঁচু করে বসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে যখন মাঠ-ঘাট সব পানিতে ডুবে যায় অসংখ্য বৃক্ষরাজি পরিবৃত কোনো কোনো অঞ্চলের গ্রামগুলিকে দ্বীপের মতো দেখায়। প্রতি বছর পলিমাটি পড়ে এই জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর ফসল জন্মে এই নিুভূমিতে। এসব কারণেই শত অসুবিধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি ঘনবসতি অঞ্চল। চার/পাঁচ হাজার বছর পূর্বের বাংলাদেশের স্থলভূমির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তখন বর্ষাকালে প্লাবিত হতো না এমন উচ্চ স্থলভাগের পরিমাণ বাংলাদেশে ২৫/২৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের অধিক ছিল না। নিন্ম জলমগ্ন বদ্ধ জলাভূমির পরিমাণ অনুরূপ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার ছিল বলেই মনে করা যেতে পারে। দেশের বর্তমান স্থলভাগের প্রায় ১৫/২০ হাজার বর্গকিলোমিটার তখনো অগভীর সমুদ্রবক্ষেই নিমজ্জিত ছিল। এছাড়া অবশিষ্ট ৮০/৮২ হাজার বর্গকিলোমিটার স্থলভাগ বর্ষার জলে প্রবাহিত হতো এবং প্রায় ছয় মাস জলমগ্ন থাকত। প্লাবনভূমি পরিচিতি ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তা এত দীর্ঘদিন জলমগ্ন থাকে না। তেমনি জলমগ্ন নিন্মভূমির জলাবদ্ধতা আর আগের মতো নেই।
নিন্মজলাভূমিঃ
গত কয়েক হাজার বছরের পানিবাহিত পলি দ্বারা অনেক উঁচু হয়েছে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় জলাবদ্ধতা দূর হয়ে গেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একমাত্র সুন্দরবনের এলাকার এমন বিশেষ লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়নি। পানিবাহিত পলি এখানে অনেক কম পতিত হয়। তাছাড়া এলাকার অবনমন এখনও বন্ধ হয়নি। জেলার উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার সমুদ্র তীরবর্তী সমান্য অংশ নিয়ে বাংলাদেশের নিন্মভূমি গঠিত। বর্ষাকালে কয়েক মাস এই নিন্মভূমি পানির নিচে থাকে। কোনো কোনো স্থানে দশ থেকে পনের ফুট এমনকি তার চেয়েও বেশি গভীর পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এই নিুভূমিতেই সুবিধামত স্থানে মাটি ফেলে জমি উঁচু করে বসবাসের জন্য বাড়িঘর তৈরি করা হয়। বর্ষাকালে যখন মাঠ-ঘাট সব পানিতে ডুবে যায় অসংখ্য বৃক্ষরাজি পরিবৃত কোনো কোনো অঞ্চলের গ্রামগুলিকে দ্বীপের মতো দেখায়। প্রতি বছর পলিমাটি পড়ে এই জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর ফসল জন্মে এই নিন্মভূমিতে। এসব কারণেই শত অসুবিধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি ঘনবসতি অঞ্চল। চার/পাঁচ হাজার বছর পূর্বের বাংলাদেশের স্থলভূমির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তখন বর্ষাকালে প্লাবিত হতো না এমন উচ্চ স্থলভাগের পরিমাণ বাংলাদেশে ২৫/২৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের অধিক ছিল না। নিন্ম জলমগ্ন বদ্ধ জলাভূমির পরিমাণ অনুরূপ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার ছিল বলেই মনে করা যেতে পারে। দেশের বর্তমান স্থলভাগের প্রায় ১৫/২০ হাজার বর্গকিলোমিটার তখনো অগভীর সমুদ্রবক্ষেই নিমজ্জিত ছিল। এছাড়া অবশিষ্ট ৮০/৮২ হাজার বর্গকিলোমিটার স্থলভাগ বর্ষার জলে প্লাবিত হতো এবং প্রায় ছয় মাস জলমগ্ন থাকত। প্লাবনভূমি পরিচিতি ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তা এত দীর্ঘদিন জলমগ্ন থাকে না। তেমনি জলমগ্ন নিন্মভূমির জলাবদ্ধতা আর আগের মতো নেই।
আগামী পর্বেঃ- ভূ-পরিচয়, জলবায়ু ও তার প্রভাব
আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ১৮
©somewhere in net ltd.