নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নগরবাউল জেমস ও বাংলা রকসংগীত ।

ওয়ালিদ আজিজ

আমি বাংলা ব্যান্ড সংগীতের বিশেষ অনুরাগী, বিশেষ করে নগরবাউল জেমসের গান আমার অনেক বেশি ভাল লাগে । তাই গান নিয়েই ব্লগে, ফেসবুকে লেখালেখি করি ।

ওয়ালিদ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষ্টেশন রোড থেকে কালযমুনার তীরে "জেমস" !

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১২

জন্ম ১৯৬৪ সালে, নওগাঁতে- বাবা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা। বাবার উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে থাকার সুবাদে শিশুকালে তার কিছু দিন কেটেছে দেশের বাইরে, ইংল্যান্ডে ! সে কারনেই হয়তো রক গান তার রক্তে মিশেছিল !! তিনি আমাদের প্রিয় গুরু, আজকের নগর বাউল জেমস। বাংলায় গত তিরিশ বছর ধরে তরুন প্রজন্মের অন্তরে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছেন যিনি, বাংলা গানে সাইকিডেলিক রক ধারা তিনিই প্রথম সফল ভাবে যুক্ত করেছেন ! শুধু বাংলাদেশের নয়, জয় করেছেন বলিউডবাসির হৃদয়ও !!! তার দরাজ কণ্ঠে- গীটারের জাদুতে গত তিরিশ ধরে মুগ্ধ হয়ে আছি আমরা ।




ছয় তারের সাথে তার সখ্যতা হয়েছিল ক্লাস সেভেনে থাকতেই। এরপর বাবার চাকরির সুবাদে তিনি আসেন চট্টগ্রামে, ১৯৮১ সালে তিনি যোগদান করেন ফিলিংস ব্যান্ডে। পরিবার চট্টগ্রাম থেকে চলে গেলেও আমাদের #গুরু গানের টানে থেকে যান চট্টগ্রামেই। শুরু হয় গানের জন্য কঠিন জীবন, আজিজ বোর্ডিঙে থেকে গানের সাথেই তার বসবাস! রাতে আগ্রাবাদ হোটেলে বাজাতেন, আর নতুন নতুন গানে সুর তোলা! এভাবে করে ১৯৮৭ সালে বের হয় ফিলিংস ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ষ্টেশন রোড। চমৎকার মেলোডিয়াস কিছু গান নিয়ে করা এই অ্যালবাম তখন তেমন সারা ফেলতে পারেনি, পরে ১৯৯৯ সালে এই অ্যালবাম নতুন করে প্রোডাকশন হয়, তখন কিন্তু ঠিকই সারা বাংলায় গানগুলো ছরিয়ে যায়। জেমসের নিজের লেখা বিষয় ভিত্তিক গান ষ্টেশন রোড, আর নয় যুদ্ধ সহ চমৎকার কিছু মেলডিয়াস প্রেমের গানও ছিল এই অ্যালবামে । জেমসের ১৯৯৩ সালের পরের ভয়েজের সাথে প্রথম অ্যালবামের ভয়েজ একেবারেই মেলানো যায়না, আজও মুগ্ধ হয়ে শুনি ষ্টেশন রোড অ্যালবাম ।



এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন, নিজের একক ক্যারিয়ার এবং ফিলিংস ব্যান্ড নিয়ে সমানভাবে শুরু হয় নতুন পথচলা। প্রথমেই বের করেন নিজের একক অ্যালবাম "অনন্যা", টাইটেল গান সহ এই অ্যালবামে বেশ কিছু গান শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তার মাঝে রাতের ট্রেইন, ফেরারি অনন্ত, দূর পাহারে উল্লেখযোগ্য। এরপরে আসে ফিলিংস ব্যান্ডের সারা জাগানো "জেল থেকে বলছি" এ্যালবামটি। লতিফুল ইসলাম শিবলির লেখা টাইটেল গান সহ অনেকগুলো গান দিয়ে ঝড় ওঠে অডিও মার্কেটে! এই অ্যালবামের সফলতার কারনে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি জেমস কে, তার ব্যান্ড ফিলিংসকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালে তিনি নিয়ে আসেন তার ২য় একক অ্যালবাম "পালাবে কোথায়", এই অ্যালবামে #গুরুর নতুন গায়কী( জিম মরিসনের মত কণ্ঠ) নতুনভাবে শ্রোতারা লুফে নেয়। প্রিয় আকাশী, ভালোবাসার যৌথ খামার গান দুটি হয় কালজয়ী। অনন্যা, জেল থেকে বলছি, পালাবে কোথায় অ্যালবাম তিনটি প্রকাশিত হয়েছিল মিউজিক কোম্পানি সারগাম থেকে, এই তিনটি অ্যালবামের গানের কথা ছিল অসাধারন । অনন্যা ও জেল থেকে বলছি অ্যালবামের গায়কী থেকে পালাবে কোথায় অ্যালবামের গায়কীতে আসে বিশাল পরিবর্তন , বিখ্যাত ডোরস এর জিম মরিসনের ভয়েজের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় পালাবে কোথায় অ্যালবাম থেকেই । পরবর্তীতে জেমসের গায়কীতে আরও পরিবর্তন আসে, বিশ্বের কারো সাথেই যার তুলনা চলেনা । আমাদের জেমস অনন্য, সকলের চেয়ে ভিন্ন ।



এভাবে এগিয়ে যেতে থাকেন আমাদের #গুরু, কনসার্টে ফিলিংস ব্যান্ড এর উন্মাদনা তখন চরমে। সেই অবস্থায় ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের অডিও মার্কেটে ঝড় তোলে ফিলিংস ব্যান্ডের ৩য় অ্যালবাম "নগর বাউল"। মন্নান মিয়ার তিতাস মলম, তারায় তারায়, তবে বন্ধু, টাইটেল গান, যাত্রা, নাগ নাগিনীর খেলা সহ অ্যালবামের প্রায় সকল গান সারা বাংলায় হিট হয়। মাহফুজ আনাম জেমস থেকে তিনি হয়ে যান ভক্তদের কাছে "গুরু" পরিচয়ে পরিচিত! তখন(৯৬/৯৭ সালে) এলআরবির ব্যান্ডের সাথে পর পর দুটি ডুয়েট অ্যালবাম( ক্যাপসুল ৫০০ মিলি গ্রাম ও স্ক্রু-ড্রাইভার) নিয়ে আসেন তিনি, এই অ্যালবাম দুটি বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সফল অ্যালবাম হিসেবে এখনো বিবেচিত হয়। বাংলার লাঠিয়াল, যে পথে পথিক নেই, কত কষ্টে আছি, যতটা পথ গানগুলো এই দুই অ্যালবামে ছিল, আজও মুগ্ধ হয়ে শুনি। ১৯৯৭ সালে আসে আমাদের #গুরুর পক্ষ থেকে সেরা উপহার! বের হয় "দুখিনি দুঃখ করোনা" অ্যালবাম। এই অ্যালবাম দিয়ে বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাসে #গুরু পাকাপোক্ত অবস্থান করে নেন। যারা নগরবাউল অ্যালবামের জেমসকে শুনেও অন্তরে ঠাই দেয়নি, দুঃখিনী দুঃখ করোনা অ্যালবাম প্রকাশের পরে জেমস তাদের অন্তরেও স্থায়ী জায়গা করে নেন । দুঃখিনী দুঃখ করোনা অ্যালবামের প্রতিটা গান আজও সমান জনপ্রিয়, অসাধারন লিরিক, টিউন, মিউজিক অন্তরে গেথে আছে । বিবাগী থকে ঘুমাও তুমি, প্রতিটা গান এক একটা সিগনেচার যেন, আসলে জেমসের ছোঁয়া পেতে বারবার দুঃখিনী দুঃখ করোনা অ্যালবাম শুনতে হয় ।



এরপর একে একে ফিলিংসের ব্যানারে শেষ ব্যান্ড অ্যালবাম লেইস ফিতা লেইস(১৯৯৮), একক অ্যালবাম ঠিক আছে বন্ধু(১৯৯৯), নগবাউল ব্যান্ডের ব্যানারে এই পর্যন্ত একমাত্র অ্যালবাম দুষ্টু ছেলের দল অ্যালবাম(২০০১) বের হয় ২০০১ পর্যন্ত । এই তিনটি অ্যালবাম সমান ভাবে সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়, এক কথায় সুপার ডুপার হিট তিনটি অ্যালবাম । তিনটি অ্যালবামে থাকা ৩২টি গানের লিরিক, টিউন, মিউজিক সত্যিই অসাধারন ছিল । এর মাঝে লেইস ফিতা লেইস অ্যালবামের পথ, লেইস ফিতা লেইস, সারথি, হাউজি, সিনায় সিনায়, লাগ ভেলকি লাগ, দে দৌড় বিশেষ ভালোলাগার গান । আর ঠিক আছে বন্ধু অ্যালবামের এপিটাফ(যেদিন বন্ধু চলে যাব), পত্র দিও, সুধাংশু, কথা, এমনও নিশিরাতে গানগুলো বেশি ভাল লেগেছিল । লেইস ফিতা লেইস ও ঠিক আছে বন্ধু অ্যালবামে জেমস ছাড়াও আনন্দ, আসিরুদ্দিন মণ্ডল, মারজুক রাসেল ও লোকনাথ এর লেখা গান ছিল । অন্যদিকে দুষ্টু ছেলের দল অ্যালবামে অনেক বেশি নিরীক্ষা করেছেন জেমস, এই অ্যালবাম থেকেই শুরু হয় বাইরের গীতিকারদের বাদ দিয়ে শুধু জেমস ও বিশু শিকদারেরে গান ব্যান্ড ও একক অ্যালবামে রাখা । এই অ্যালবামের মিউজিক ও ভয়েজে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন জেমস, যা আগের যেকোন অ্যালবাম থেকেই একেবারে ভিন্ন । ভয়েজের পরিবর্তন ২০০১ সালে অনেকে না মেনে নিতে পারলেও আজ ২০১৬ সালে এসে এই অ্যালবামটি অনেক অনেক বেশি প্রিয়, অ্যালবামের একা, চিরটাকাল, বিজলী, দুষ্টু ছেলের দল, মা ও মাটি, কিছুই পেলাম না, জয় তরুনের জয় গানগুলো বিশেষ ভালোলাগার । আর একটা ব্যাপার বিশেষ লক্ষণীয় লেইস ফিতা লেইস অ্যালবামের মিউজিকের সাথে ঠিক আছে বন্ধু অ্যালবাম কিংবা ঠিক আছে বন্ধু অ্যালবামের মিউজিক- গায়কীর সাথে দুষ্টু ছেলের দল অ্যালবামের মিউজিক- গায়কীর কোনই মিল খুজে পাওয়া যায়না । আসলের জেমসের এটাও একটা বৈশিষ্ট্য, তার প্রতিটা ব্যান্ড ও একক অ্যালবামের সুর ও সংগীত তার নিজের করা, তবে প্রত্যেকটা(জোর দিয়ে বলছি) অ্যালবামের মিউজিক, গায়কী সম্পূর্ণ ভিন্নতর । দুষ্টু ছেলের দল অ্যালবামের কয়েকটি গানে ভয়েজ নিয়ে তিনি যে কাজটা করেছেন, পরবর্তীতে এই সময়ের মেটাল ব্যান্ডগুলোকে সেই ধরনের ভাঙচুর ভয়েজে গান করতে দেখা যায় । এছাড়া ১৯৯৭ থেকে ২০০২, এই সময়টাতে জুয়েল বাবু, প্রিন্স মাহমুদের সুরে বিভিন্ন কালজয়ী মিক্সড অ্যালবামে কাজ করে #গুরু আমাদের উপহার দিয়েছেন অনেকগুলো কালজয়ী গান। মিক্সড অ্যালবামের গান গুলায় আবার নতুন এক জেমসকে আবিস্কার করি আমরা, অসাধারন দরাজ কণ্ঠের সঙে চমৎকার মেলোডি আমরা তার গানেই খুজে পাই । শেষ দেখা, মা, ভুল, দেয়াল, বাবা, ফুল নেবে না অশ্রু, বাংলাদেশ, কান্নায় লাভ নেই, বাবা, বৃষ্টির জলে ভিজেছে, বর্ষা, কবিতা, সাদাকালো, কিছুটা আশা, দাড়ারে, বন্ধু সহ প্রতিটি মিক্সড অ্যালবামের গানগুলো আজও- আজও অন্তরে গেথে আছে । মিক্সড অ্যালবাম গুলোর মাঝে কয়েকটি অ্যালবামের নাম না উল্লেখ করলেই নয়, শক্তি, শেষ দেখা, এখনো দুচোখে বন্যা, দাগ থেকে যায়, স্রোত, মেয়ে, ও আমার প্রেম, বিতৃষ্ণা জীবন আমার, দাড়ারে, সীমানা, তুমি, হারজিৎ, নিরবতা, সুন্দরী, একা উদাসী মনে, দুঃখিনী মা, সন্ধি, সাদাকালো, দেয়াল দুই হৃদয়ের মাঝে, মেহেদী রাঙা হাত, বার মাস সহ আরও বেশকিছু অসাধারন মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ পায় সেই সময়ে । আর তিনটি কালজয়ী ডুয়েট অ্যালবামের কথা বলতেই হবে, প্রিন্স মাহমুদের সুরে জেমস ও আইয়ুব বাচ্চুর পিয়ানো, প্রকাশ পায় ২০০০ সালের শেষ দিকে- আজও সারা বাংলা সমান জনপ্রিয় এই অ্যালবাম । ২০০১ এর শুরুতে জেমস ও আর্ক ব্যান্ডের ডুয়েট অ্যালবাম বৃহস্পতি আর ২০০২ এর শেষ দিকে জুয়েল- বাবু জুটির সুরে জেমস ও হাসানের ডুয়েট অ্যালবাম সাত রঙের কষ্ট, এই দুইটি অ্যালবামও আজও সমান ভাবেই জনপ্রিয় । এই তিনটি ডুয়েট অ্যালবামের প্রতিটা গানই ছিল অন্তরে গেথে থাকার মত । ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আরও অনেক ডুয়েট অ্যালবামের কাজ করেছেন জেমস, সেই অ্যালবামগুলো অনেক বেশি বাণিজ্যিক সাফল্যও পেয়েছি, কিন্তু পিয়ানো- বৃহস্পতি ও সাত রঙের কষ্ট অ্যালবাম তিনটি অনেক অনেক ভালোলাগার জায়গা দখল করে আছে । এই তিনটি ডুয়েট অ্যালবামের কভার পোস্টের শেষে যুক্ত করা হল ।


২০০২ সালে জেমসের ব্যাক্তিগত জিবনে কিছু পরিবর্তন আসে, শুরু হয় নতুন এক জীবন। অগোছালো একটা মানুষ থেকে জেমস গোছালো এক নতুন জীবন শুরু করেন। নিজের বাসায় "কলের গান" নামে স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন, শুরু হয় গান নিয়েও নতুন সংসার। কলের গান থেকে ২০০৩, ২০০৫ সালে বের হয় আমি তোমাদেরই লোক ও জনতা এক্সপ্রেস নামে দুটি একক অ্যালবাম। এই দুইটি অ্যালবামের বেশিরভাগ গানও জেমস ও বিশু শিকদারের লেখা, আমি তোমাদেরই লোক অ্যালবামের সবগুলো গান । আমি তোমাদেরই লোক অ্যালবামের গানগুলোতে জেমসের জীবনের গল্প অনেক বেশি ফুটে ওঠে, ভক্তদের উৎসর্গ করে গাওয়া লহ লহ সালাম কিংবা মাই তোমাদেরই লোক- তোমাদেরই ভাই ছাড়াও সাক্ষী আকাশ, আজিজ বোর্ডিং গানে আসলে জেমস তার নিজের জীবনের কথাই বলেছেন । সবগুলা গান তমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই অ্যালবামের, তার মাঝে পোশাক শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে গাওয়া দিদিমনি গানটি ওপার বাংলায়ও ব্যাপক জনপ্রিয় । আর জনতা এক্সপ্রেস অ্যালবামে শুরু হবে, জনতা এক্সপ্রেস, লিডার আসছে, কই কাউশ গানগুলো যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পায় । ২০০৩ থেকে ২০০৫, এই সময়টাতে গুরু কিছু মিক্সড ও ডুয়েট অ্যালবামে বাণিজ্যিক ধারার গান করেছিলেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয় ও হয়েছিল। কিন্তু কষ্ট পেয়েছিল #গুরুর খাটি ভক্তরা, তবে একটি ব্যাপারে আমরা গড়ব করতেই পারি নিজের কোন একক কিংবা ব্যান্ড অ্যালবামে একটি বাণিজ্যিক গানও করেন নাই জেমস, যা নিজের ভাল লেগেছে- তাই করেছেন । তো যখন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সময়ে মিক্সড ও ডুয়েট অ্যালবামে কিছু বাণিজ্যিক গান করছেন জেমস, তখনই মুম্বাই থেকে মহেশ ভাটের কল আসে বলিউডের সিনেমাতে গাওয়ার জন্য। সেখানে ভিগি ভিগি(২০০৬), আলভিদা(২০০৭), বেবাসি(২০১৩) সহ আরও কিছু গানে #গুরু কাজ করেন, ভক্তদের সকল হতাশা কেটে যায়। এশিয়া মহাদেশে ছরিয়ে পরে #গুরুর জনপ্রিয়তা। ২০০৬ সালে #গুরু আর মিক্সড অ্যালবামে কাজ না করার ঘোষণা দেন। ২০০৭ এর এবং ২০০৮ এর শেষে আসে তার শেষ দুটি একক অ্যালবাম তুফান ও কাল যমুনা। এই দুইটি অ্যালবামেও জেমস তার নিজের মনের মত গানই করেছেন, তুফানের বুকটা চিড়ে, নাগর আলী, উঠেছে তুফান, এক্মুখি এই রাস্তা সহ প্রায় সব কয়টি গানই ভাল লাগে । আর কালযমুনায় পুলকিত বিলাস, প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে মেয়ে গো, উঠছি, বন্ধু আমার গান গুলো বেশি ভাল লাগে । কালযমুনা অ্যালবামের ব্যাপারে আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, ক্যারিয়ারে এই প্রথম নিজের একক অ্যালবামে বাইরের সুরকার(প্রিন্স মাহমুদ, নিপু) এর কয়েকটি গান রেখেছিলেন জেমস ।

মাঝের এই সময়টাতে অ্যালবাম না করলেও নাটকের দুইটি গান, ব্লাক হর্সের দুইটি জিঙ্গেল, বেবাসি নামে একটি হিন্দি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন #গুরু। গত দুও বছরে বেশ কিছু বাংলা সিনেমাতে ও তিনি কাজ করেছেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়ও হয়েছে, জিরো ডিগ্রী সিনেমার প্রেম ও ঘৃণা, দেশা দ্যা লিডারের আসছে দেশা, ওয়ার্নিং এর এত কষ্ট কষ্ট লাগে আর সুইটহার্ট সিনেমার বিধাতা গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে । আর আসছে দেশা গানের জন্যতো জেমস জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন, রক গান গেয়ে এই প্রথম কেউ এই পুরস্কার পেল । এই বছরেই আসছে বাপ্পা মজুমদারের সুরে সত্তা সিনেমায় গাওয়া অসাধারন একটি গান, যার কিছু অংশ প্রকাশিত হওয়ার পরে ব্যাপক প্রসংসা পেয়েছে । আর কনসার্ট ব্যাস্ততা তো আছেই, দেশে ও দেশের বাইরে কনসার্ট নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করতে হয় আমাদের নগরবাউলকে। ভক্তদের জন্য সুখবর হচ্ছে, কয়েক মাস আগেই তিনি পর পর নতুন দুইটি অ্যালবাম প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন, দেখা যাক কবে নাগাদ অ্যালবামগুলো পাই আমরা । বাংলাদেশ সহ সারা দুনিয়ার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই পাইরেসির কারনে টালমাটাল অবস্থায়- তাইতো এতদিন যাবত আমরা জেমসের নতুন অ্যালবাম থেকে বঞ্চিত । প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে অ্যালবামকেন্দ্রিক মিউজিক্যাল ক্যারিয়ারে আছেন জেমস, যার শুরু হয়েছিল ষ্টেশন রোড অ্যালবাম দিয়ে- শেষ কালযমুনায়(আপাতত), তাই জেমসের অ্যালবাম কেন্দ্রিক মিউজিক্যাল ক্যারিয়ারকে আমরা বলতেই পারি "ষ্টেশন রোড থেকে কালযমুনার তীরে জেমস" ।
এমনি ভাবেই সেই ১৯৮১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নগর বাউল জেমস বাংলা রক গান নিয়ে সারা বাংলা চষে বেরাচ্ছেন, হয়েছেন বাংলা রকের #গুরু, আমাদের প্রিয় নগর বাউল জেমস।


সকলে অনুসরন করুন গুরুকে নিয়ে আমাদের ফেসবুক পেইজঃ Click This Link এবং আমার ফেসবুক আইডিঃ https://www.facebook.com/Walid420 জয় হোক বাংলা ব্যান্ড সংগীতের ।

পিয়ানো, বৃহস্পতি ও সাত রঙের কষ্ট অ্যালবামের কভার যুক্ত করা হলঃ





কয়েকটি অ্যালবামের লিংকঃ

ঠিক আছে বন্ধু, দুঃখিনী দুঃখ করোনা ও কালযমুনা একই প্লে-লিস্টেঃ

আমি তোমাদেরই লোকঃ

দুষ্টু ছেলের দলঃ

কয়েকটি টেলিভিশন স্টুডিও লাইভ কনসার্টঃ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.