নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওয়াসি আহমেদ

ওয়াসি আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলা হবে???

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২২

আপনার কাছে সার্কাজম এর সংজ্ঞা কী?

বিশ্বকাপের মৌসুমে আমাদের দেশে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বিষয়ে তর্কাতর্কির ইতিহাস বহু পুরনো। অপমান, পাল্টা অপমান, কাদা ছোড়াছুঁড়ি - এসব করে হয়তো খেলার আমেজটা আরও বেড়ে যায়। তবে, ক্লাস ফোর/ফাইভে পড়া বাচ্চাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে যখন সস্তা ভাইরাল ভিডিও বানানো হয় এবং আমরা যথেষ্ট উত্তেজনা নিয়ে আক্রমনাত্মকভাবে সেগুলো শেয়ার করতে থাকি; সেটা কী আদৌ সারকাজম? নাকি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তির অবক্ষয়ের পরিচয়?

আর্জেন্টিনার জার্সি পরা একটা বাচ্চা, বড়জোর ক্লাস ফোর/ফাইভে পড়ে। ফেসবুক লাইভে এসে হাস্যকর কথাবার্তা বলে যাচ্ছে, অঙ্গভঙ্গি করছে- নিশ্চয়ই ব্যাপারগুলো সহজাতভাবে আসেনি। ক্যামেরার পেছন থেকে ফিসফিস করে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়। ভিডিও নির্মাণকারীকে বলছি, আপনি হয়তো মজার ছলেই কাজটা করলেন। কিন্তু ভিডিও ভাইরাল হবার পর ঘটনাটা কী হলো? বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে পাব্লিক কমেন্টগুলো কী আপনার চোখে পড়ে? দেশ তুলে অসম্মানের কথা বাদ দিলাম, সেসব আমাদের গায়ে অনেকদিন ধরেই লাগে না। কিন্তু এই বাচ্চাকেই যখন প্রতিবন্ধী/ডিপজল ইত্যাদি ইত্যাদি সহ বাবা-মা তুলে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়া হচ্ছে, সেটাই কি সার্কাজম?

পালটা জবাব দিতে ব্রাজিলের জার্সি পরা আরেকজনকে দেখা গেলো গতকাল, সমবয়সীই হবে বোধহয়। একে যিনি পেছন থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন, তিনি আবার এক কাঠি সরেস। রীতিমতো গালাগালি দিয়ে থ্রেট, এলাকায় ডেকে মারপিটের হুমকি। অত:পর শেয়ার হওয়া ভিডিওর কমেন্টবক্স দেখুন! বোধ-জ্ঞানহীন শিশুদেরকেও আমাদের দেশের 'সচেতন' 'ক্রিড়াপ্রেমী' নাগরিকেরা কী অকথ্য ভাষায় (বেশির ভাগই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সাথে সংশ্লিষ্ট) গালি দিতে পারে, তা সহজেই চোখে পড়বে।

ভিডিওগুলো বানাচ্ছে কারা? খোঁজ-খবর নিলে দেখা যাবে, মোবাইল ক্যামেরার পেছনে হয়তো দাঁড়িয়ে ছিল এদের বড় ভাই, অথবা ছোট চাচা কিংবা মামা! আত্মীয় বাদে অন্য কেউ তো হবে না, তাই না? তাদের কাছে ব্যাপারটা খুব উঁচু মানের রসিকতা। কিন্তু আমাদের সবার কাছেও কি তাই? ভেবে দেখা উচিত আরেকবার!

"তামাশার জিনিসকে তামাশা হিসেবেই নেয়া উচিত" - এই মহান উক্তিকে অনেকেই হয়তো মনেপ্রাণে ধারণ করেন। কিন্তু তামাশার ছলে কীভাবে "চাইল্ড অ্যাবিউজ" হয়, সেই সূক্ষ্ম বিচারবুদ্ধিটা তাদের মাথার মোটা চামড়া ভেদ করে ঢুকতে চায় না!!

বি:দ্র: সস্তা অথচ ক্ষতিকর রসিকতার মাধ্যমে অথবা কোন দেশের পতাকাকে জড়িয়ে কুরূচিপূর্ণ ট্রল বানিয়ে নিজেকে ডাইহার্ড ফ্যান প্রমাণ করার চেষ্টা মূর্খতার প্রকৃত মাপকাঠি।
শাস্ত্রে বলা আছে, 'ব্যবহারেই বংশের পরিচয়।'

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্টলোক দিয়ে দেশ ভরে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.