![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন: কাঠুরিয়া রোজ কী করত?
উত্তর: ঈশপ রচিত জলপরী ও কাঠুরের গল্পটিতে একজন কাঠুরিয়ার কথা বলা হয়েছে। সে ছিল খুব গরিব। কাঠুরিয়া রোজ এক বনে কাঠ কাটতে যেত। দৈনিক কাঠ কেটে বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে তার দিন চলত।
প্রশ্ন: কাঠুরিয়ার দিন কীভাবে চলত?
উত্তর: গল্পের রাজা ঈশপ রচিত জলপরী ও কাঠুরের গল্পটিতে একজন কাঠুরিয়ার জীবনকাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। কাঠুরিয়া এক বনে রোজ কাঠ কাটতে যেত। দৈনিক কাঠ বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে-পরে তার দিন চলত।
প্রশ্ন: কাঠুরিয়া কেন কাঁদতে লাগল?
উত্তর: কোনো এক বনে কাঠুরিয়া রোজ কাঠ কাটতে যেত। সে ছিল গরিব। দৈনিক কাঠ কেটে বিক্রি করে যা রোজগার করত তাই দিয়ে কোনো রকমে তার দিন চলত। একদিন এক নদীর ধারে সে কাঠ কাটতে গেল। সেখানে গিয়ে একটা গাছে যেই কুড়াল দিয়ে ঘা মেরেছে, অমনি তার হাত ফসকে কুড়ালটা গভীর পানির মধ্যে পড়ে গেল। নদী ছিল খরস্রোতা। তা ছাড়া নদীতে কুমিরের ভয়ও ছিল ভয়ানক। রোজগারের সম্বল একমাত্র কুড়ালটি হারিয়ে যাওয়ায় সে মুষড়ে পড়ে। তাই নিরুপায় হয়ে কাঠুরিয়া গাছের গোড়ায় বসে কাঁদতে লাগল।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৬
ওয়াজীহ উদ্দীন বলেছেন: প্রশ্ন: কীভাবে কাঠুরিয়ার অবস্থার পরিবর্তন হলো?
উত্তর: গল্পকার ঈশপ রচিত জলপরী ও কাঠুরের গল্প। এর কাহিনি গড়ে উঠেছে এক কাঠুরিয়াকে নিয়ে। গল্পে বর্ণিত কাঠুরিয়া ছিল খুবই গরিব। দৈনিক কাঠ বিক্রি করে যা রোজগার হতো তাই দিয়ে কোনো রকমে তার দিন চলত। একদিন নদীর ধারে কাঠ কাটতে গেলে হাত ফসকে তার কুড়ালটি কুমিরে ভরা খরস্রোতা নদীর গভীর পানিতে পড়ে যায়। নিরুপায় কাঠুরিয়া গাছের গোড়ায় বসে কাঁদতে থাকে। এমন সময় এক জলপরী নদীর মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কাঠুরিয়ার কান্নার কারণ জানতে চাইল। কাঠুরিয়া জলপরীর কাছে তার কুড়াল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলে জলপরী কুড়াল খুঁজে এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে কাঁদতে বারণ করল। তারপর নদীতে ডুব দিয়ে প্রথমে একটি সোনার কুড়াল ও পরে একটি রুপার কুড়াল কাঠুরিয়াকে দেখাল। কাঠুরিয়া গরিব হলেও সৎ ছিল। সে অকপটে জানিয়ে দিল এগুলো তার নয়। তারপর জলপরী আবার ডুব দিয়ে একটি লোহার কুড়াল এনে কাঠুরিয়াকে দেখালে সে বলল, এটিই তার কুড়াল। জলপরী কাঠুরিয়ার সততায় মুুগ্ধ হয়ে তাকে তার নিজের কুড়ালটি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সোনার ও রুপার কুড়াল দুটিও উপহার দিল। এতখানি সোনা ও রুপা পেয়ে কাঠুরিয়ার অবস্থা বেশ ভালো হয়ে গেল। কেননা সেই কুড়াল দুটি বাজারে বিক্রি করে সে অনেক টাকা পেল। এভাবে কাঠুরিয়ার অবস্থার পরিবর্তন হলো এবং সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে তার দিন কাটতে লাগল।
প্রশ্ন: লোভী কাঠুরিয়া কেন হায় হায় করতে লাগল?
উত্তর: সৎ কাঠুরিয়ার মুখ থেকে তার সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য-জীবনের গল্প শোনার পর আরেকজন কাঠুরিয়ার মনে বড় লোভ জন্মাল। লোভী কাঠুরিয়া একদিন চুপি চুপি সেই নদীর ধারে গাছ কাটতে গিয়ে ইচ্ছে করে তার কুড়ালটা পানির মধ্যে ফেলে দিয়ে সেখানে বসে অভিনয় করে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে আবার সেই জলপরী সেখানে আবির্ভূত হলো। আগের মতো এবারও জলপরী প্রথমে একটি সোনার কুড়াল তুলে লোভী কাঠুরিয়াকে জিজ্ঞেস করল এটি তার কি না। লোভী কাঠুরিয়া সঙ্গে সঙ্গে ওই সোনার কুড়ালটি তার বলে দাবি করল। এই রকম মিথ্যাবাদিতায় জলপরীর মন খারাপ হয়ে গেল। সে তৎক্ষণাৎ টুপ করে ডুব দিয়ে চলে গেল পানির গভীরে। আর উঠল না। লোভী কাঠুরিয়া এই অবস্থা দেখে নিজের কপালে নিজে চড় মারতে লাগল। মিথ্যে বলার কারণে তার এই শাস্তি হলো। সোনার ও রুপার কুড়াল পাওয়া তো দুরের কথা, নিজের কুড়ালটিও সে হারাল। তাই লোভী কাঠুরিয়া হায় হায় করতে লাগল।
প্রশ্ন: সততা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: সততা মানব জীবনের একটি মহৎ গুণ। নিচে সততা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখা হলো: ১. সততার মূল্য অতুলনীয়। ২. সততার পুরস্কার পাওয়া যায়। ৩. যার মধ্যে সততা আছে সমাজে তার স্থান সবার উপরে। ৪. সুন্দর জীবন গড়ার ক্ষেত্রে সততার বিকল্প নেই। ৫. সততাই মানব জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৪
ওয়াজীহ উদ্দীন বলেছেন: প্রশ্ন: জলপরী কাঠুরিয়াকে কী বলল?
উত্তর: একদিন কাঠুরিয়া নদীর ধারে কাঠ কাটতে গেল। সেখানে গিয়ে কুড়াল দিয়ে গাছে ঘা মারার সঙ্গে সঙ্গে হাত ফসকে তার কুড়ালটি কুমিরে ভরা খরস্রোতা নদীতে পড়ে গেল। নিরুপায় হয়ে কাঠুরিয়া সেই গাছের গোড়ায় বসে কাঁদতে লাগল। সে এতই গরিব ছিল যে তার আবার একটা কুড়াল কেনার মতো সংগতি ছিল না। তাই কী উপায় করবে, গাছের গোড়ায় বসে বসে সে ভাবতে লাগল। যত ভাবে ততই তার চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এমনি করে কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ এক জলপরী নদীর মধ্য থেকে দাঁড়িয়ে কাঠুরিয়ার কাছে তার কান্নার কারণ জানতে চাইল। কাঠুরিয়া জলপরীকে জানাল যে সে বড় গরিব, তার কুড়ালটা পানিতে পড়ে গেছে। তাই সে কাঁদছে। সব শুনে জলপরী কাঠুরিয়াকে বলল, ‘আচ্ছা, তোমার কুড়াল এনে দিচ্ছি, তুমি কেঁদো না।’
প্রশ্ন: কাঠুরিয়ার সততা দেখে জলপরী কী করল?
উত্তর: গল্পে বর্ণিত কাঠুরিয়া তার রোজগারের একমাত্র সম্বল কুড়ালটি নদীর গভীর পানিতে হারিয়ে গাছের গোড়ায় বসে কাঁদছিল। কাঠুরিয়ার কান্না দেখে জলপরী তাকে তার কুড়ালটি এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নদীতে ডুব দেয়। জলপরী একে একে একটি সোনার কুড়াল ও একটি রুপার কুড়াল পানির মধ্য থেকে এনে কাঠুরিয়াকে দেখাল। কাঠুরিয়া বিশেষভাবে পরীক্ষা করে জলপরীকে জানায় এই সোনার কুড়াল, রুপার কুড়াল কোনোটিই তার নয়। তারপর জলপরী আবার পানিতে ডুব দিয়ে একটা লোহার কুড়াল এনে তাকে দেখাল। কাঠুরিয়া এতক্ষণ পরে নিজের কুড়ালটি চিনতে পেরে সানন্দে স্বীকার করল এই লোহার কুড়ালটিই তার হারিয়ে যাওয়া কুড়াল। জলপরী কাঠুরিয়ার এই সততা দেখে মুগ্ধ হলো। সে কাঠুরিয়াকে তার নিজের কুড়ালটি তো ফিরিয়ে দিলই, উপরন্তু সোনা ও রুপার কুড়াল দুটিও উপহার দিল। তারপর জরপরী পানির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।
প্রশ্ন: লোভী কাঠুরিয়া কী করল?
উত্তর: সৎ কাঠুরিয়ার মুখ থেকে তার অবস্থার পরিবর্তনের গল্প শুনে একজন কাঠুরিয়ার মনে বড় লোভ জন্মাল। লোভী কাঠুরিয়া একদিন চুপি চুপি সেই নদীর ধারে কাঠ কাটতে গিয়ে ইচ্ছে করেই তার কুড়ালটা নদীর পানির মধ্যে ফেলে দিল। তারপর সেখানে বসে অভিনয় করে কাঁদতে লাগল।