নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাকরণের কাজ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ব্যাকরণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, গতকালের পর আজ বাংলা ২য় পত্র বিষয় থেকে ব্যাকরণ অংশের মৌলিক বিষয়গুলো আলোচনা করব।

ব্যাকরণের কাজ: ব্যাকরণের কাজ হলো ভাষার বিশ্লেষণ করা। প্রচলিত ভাষার মধ্যে যেসব নিয়ম-কানুন বিদ্যমান, ব্যাকরণ সে সম্পর্কে আলোচনা করে। এর ফলে ব্যাকরণ ভাষার শৃঙ্খলা সম্পর্কে অবহিত থাকে। ব্যাকরণ ভাষা সম্পর্কে যে জ্ঞান দান করে, তার মাধ্যমে ভাষাকে বিশুদ্ধ রাখার সুযোগ ঘটে।

ভাষার পূর্ণ রূপ প্রকাশ পায় এক একটি বাক্যে। বাক্য গঠিত হয় পদ বা শব্দ সহযোগে। শব্দ আসে ধ্বনির সংযোগে। ব্যাকরণ এভাবে বাক্য, শব্দ ও ধ্বনি নিয়ে কাজ করে।

তাহলে ব্যাকরণের কাজের ভিত্তি হলো ধ্বনি ও বর্ণ, শব্দ ও পদ এবং বাক্য। এগুলো নিয়েই ব্যাকরণের কাজ।

ব্যাকরণের ধ্বনি বা বর্ণের আলোচনাকে বলে ধ্বনিতত্ত্ব। তেমনি শব্দ বা পদের আলোচনাকে বলে শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব। আর বাক্যের আলোচনাকে বলে বাক্যতত্ত্ব। এসব নিয়েই ব্যাকরণের কাজের সীমারেখা নির্দেশ করা যায়। এভাবে ব্যাকরণের বিষয়কে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১. ধ্বনিতত্ত্ব: এতে থাকে ধ্বনির বিভিন্ন দিক—বর্ণপ্রকরণ, বর্ণের উচ্চারণ, বর্ণবিন্যাস, সন্ধি, ণত্ব ও ষত্ববিধান ইত্যাদি।

২. রূপতত্ত্ব: এতে আছে শব্দ ও পদের নানা দিক—শব্দ গঠন, প্রত্যয়, উপসর্গ, পদ পরিচয়, লিঙ্গ, পুরুষ, বচন, শব্দ ও ধাতুরূপ, সমাস, কারক ইত্যাদি। রূপতত্ত্বকে ব্যাকরণে পদপ্রকরণও বলা হয়।

৩. বাক্যতত্ত্ব: এতে থাকে বাক্যগঠন, বাক্যের বিশ্লেষণ, বাক্যের ব্যবহার ইত্যাদি।

ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা: ব্যাকরণ পাঠের মাধ্যমে কোনো ভাষার ভেতরের সব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ব্যাকরণে ভাষার নিয়ম-কানুন আলোচিত হয় বলে তা জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কীভাবে ভাষার বিকাশ ঘটেছে, যুগে যুগে তার কী পরিবর্তন ঘটেছে এবং বর্তমানে ভাষা কোন রূপ লাভ করেছে—এসব জানার জন্য ব্যাকরণের সাহায্য গ্রহণ করতে হয়।

ব্যাকরণের বিশেষ একটি প্রয়োজন হলো ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা। ব্যাকরণের সাহায্য নিয়ে ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করা হয়। ভাষার নিয়মরীতি জানা থাকলে ভাষার সঠিক রূপ রক্ষা করা সহজ হয়ে থাকে। সব সময় ভাষার কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়। নিয়ম না জানার জন্য ভাষার প্রয়োগে ভুল হয়। এসব ভুল থেকে ব্যাকরণ ভাষাকে রক্ষা করে। নিয়ম জানা থাকলে একদিকে যেমন ভাষা ব্যবহারে ভুল হয় না, তেমনি অন্যদিকে ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

নির্ভুলভাবে লেখা, পড়া বা বলার জন্য ব্যাকরণ পথ দেখায়। ব্যাকরণের জ্ঞান ভাষার নৈপুণ্য লাভের সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। ব্যাকরণ না জানলে ভাষার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে হয়। নির্ভুল ভাষাই উন্নতমানের সাহিত্যের বাহন হতে পারে। ব্যাকরণ তার সহায়তা করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.