নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক একমাত্র ব্লগ

ওয়াজীহ উদ্দীন

ওয়াজীহ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা কী ও কেন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

ভাষা কী ও কেন : সমাজ ও সভ্যতার অনন্য অবদান ভাষা। ভাষা ভাবের বাহন। পরস্পরের মধ্যে ভাববিনিময়ের তাগিদে ভাষার উদ্ভব হয়েছে। মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর পার্থক্য এই যে, মানুষ হচ্ছে তীব্র অনুভূতিসম্পন্ন জীব। মানুষের প্রবৃত্তি সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করা। অনুভব-উপলব্ধির সমষ্টি নিয়েই আমাদের জীবন। আর এই অনুভবের বাহন ভাষা।

অন্য কথায়, মানুষের নিজস্ব প্রয়োজন বোঝানোই হলো ভাষা বা নিজের ভাব প্রকাশের নামই ভাষা। আর এ ভাষা প্রকাশের মাধ্যম হলো ধ্বনি। এই ধ্বনিকে ধরে রাখার চেষ্টায় মানুষ সার্থক হয় মূলত বর্ণ বা ধ্বনির প্রতীক আবিষ্কারের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে বর্ণ বা ধ্বনির প্রতীক আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ভাষার অগ্রযাত্রা শুরু হয়। তবে এ ধ্বনিগুলোর একমাত্র শর্ত হচ্ছে সেগুলো অর্থবোধক হওয়া চাই। এ অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে একেক সমাজের মানুষ তাদের সামাজিক জীবন চালু রাখে। একেক সমাজের এসব অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টিই ভাষা। তাই আমরা বলতে পারি, ভাব প্রকাশের পদ্ধতির নামই ভাষা। ভাষা মানুষের জীবনের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

ভাষার সংজ্ঞা : বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে সৃষ্ট ও উচ্চারিত যেসব অর্থবোধক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি দ্বারা মানুষ তার নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে ব্যক্ত করে এবং যা একটি নির্দিষ্ট ভাষাভাষী এলাকায় মানুষের মনোভাব প্রকাশে সহায়তা করে, তাকে ভাষা বলে। ভাষা অবশ্যই অর্থ ও ভাবব্যঞ্জক ধ্বনিসংকেত। তবে ভাষা শুধু ধ্বনিসংকেত নয়; সমাজ সংগঠনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মতোই অপরিহার্য উপাদান, যা শাশ্বত। ভাষা সংবেদনশীল সংকেত ও সংগীতময়। বিভিন্ন পণ্ডিত ভাষা সম্পর্কে তাঁদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেছেন। যেমন:

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, ‘মনুষ্য জাতি যেসব ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টির সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে ভাষা বলা হয়ে থাকে।’

ড. সুকুমার সেনের মতে, ‘মানুষের উচ্চারিত, অর্থবহ বহুজনবোধ্য ধ্বনিসমষ্টিই ভাষা।’ ড. মুহম্মদ আব্দুল হাইয়ের মতে, ‘একেক সমাজের সব মানুষের উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টিই ভাষা।’

ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন, কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহূত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে।’

সবশেষে বলা যায়, বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে অর্থাৎ নাক, কণ্ঠ, তালু, দাঁত, জিহ্বা ইত্যাদির উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টিই ভাষা।

ভাষার বৈশিষ্ট্য: পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের বহুকাল পরে ভাষার উদ্ভব। আদিম মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করত নানা রকম অঙ্গভঙ্গি বা ইঙ্গিত করে। তবে এসব ইঙ্গিত বা অঙ্গভঙ্গি ভাষা নয়। মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষার কতকগুলো বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো।

১. ভাষা কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনির সাহায্যে গঠিত।

২. তবে যেকোনো ধ্বনিই ভাষা নয়, যে ধ্বনি মানুষের বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত হয়, শুধু তা-ই ভাষা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.