নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারের মাঝে একটু আলো.. আলোর অনুসরণ ।\n\nhttps://www.facebook.com/profile.php?id=100004783727702 ।

তর্কে জড়াতে পারবোনা, জ্ঞান সীমিত ।

কলমের কালি শেষ

লেখক পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমিই লেখক...

কলমের কালি শেষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতঃপর সমাজ : সিলেবাসহীন নির্মমতা ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

করিম মিঁয়া গ্রামের একজন কর্তব্যনিষ্ঠ দিনমজুর । সে কখনো কাউকে কাজে ঠকায় না । যা টাকা পায় সেইটুকুই কাজ করে দেয় পারলে একটু বেশীই করে । তাই গ্রামে তার যথেষ্ট সুনাম আছে। সবাই তাকে কাজে নেওয়ার জন্য টানাটানি করে । অনেকে তাকে টাকা দিয়ে আগামও ঠিক করে রাখতে চায় ।এই জন্য অবশ্য তার ভিতরে কোন দাম্ভিকতা নেই । একদমই সরলসিদা মানুষ । তবে সে মোড়ল তরফদার সাহেবের নিয়মিত মজুর । এখান থেকে ছুটি মিললে সে অন্যের কাজ করে দেয় ।



করিমের মা বাবা নেই তবে বউ আর একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার। সে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে ভালো ভাবেই সংসার চলে যায় । সামনে তার মেয়ের জন্মদিন আসছে । মেয়ে ৫ বছরে পাঁ দিবে । আদর করে মেয়ের নাম রেখেছেন সুখী যেন মেয়ে সবসময় সুখে থাকে । প্রতিবারের মত করিম মিঁয়া এইবারও মোড়ল সাহেবের কাছ থেকে আগাম ছুটি নিয়ে রেখেছে ।অন্য কোথাও ও কোন কাজ রাখেনি । মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এইদিনকে করিম ঈদের মতো করে পালন করে । ভোরে বেড়াতে বের হয় বৌ আর মেয়েকে নিয়ে । সারাদিন বাহিরেই কাটায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরে রাতের জন্য বিরিয়ানীর প্যাকেট নিয়ে । নিম্ন আয়ের মানুষ যে এতো সুখী থাকতে পারে করিম মিঁয়া তার বড় উদাহরন । গ্রামের অনেকে এই নিয়ে হিংসে ও করে ।



করিম মিঁয়া প্রতিদিনের মতো আজও মোড়ল সাহেবের বাড়িতে ধান ভানার কাজ করছে । এই সময় হঠাৎ করে সাহেবের লাঠিয়াল বাহিনী তার কলার চেপে ধরে টেনে হিঁড়ছে সাহেবের কাছে নিয়ে আসে । আসলে কাউকে অপরাধের দায়ে ধরে আনার অনুমতি পেলে যা হয় । মোড়ল সাহেব তাদের ধমক দিয়ে করিমের কাছ দূরে সরে যেতে বললেন । তরফদার সাহেবের মন মেজাজ চরম খারাপ হয়ে আছে । তিনি মাছের খামার দেওয়ার কাজ শুরু করবেন তাই ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা ঘরে এনে রেখেছিলেন । টাকাটা চুরি হয়ে গেছে । এই জন্যই করিমকে ধরে আনা । করিমকেই যে তাঁর একমাত্র সন্দেহ । বাহিরের লোক বলতে করিমই শুধু তাঁর ঘরে প্রবেশ করে । মোড়ল সাহেব করিমকে অনেক বিশ্বাস করে তাই তাকে বিভিন্ন টুকিটাকি কাজে ঘরে পাঠান । তরফদার সাহেব তাকে জিজ্ঞেস করছেন,

-টাকা কোথায় রেখেছিস ? ভালোয় ভালোয় দিয়ে দেয় বেঁচে যাবি ।

করিম কিছুই বুঝতে পারে না । সে বলে,

-কিসের টাকা ? আমি কোথায় টাকা পাব ?

-তুই আমার ঘর থেকে টাকা চুরি করছ নাই ?

-আমি তো আজ আপনার ঘরেই যায় নাই । ঘরে গেলেও কি আমি আপনার টাকা ধরতাম ? আমি এইকাজ কি কখনো করেছি ?

-তোর এইসব মধু মাখানো কথা বন্ধ কর । তুই আমার সাথে ব্যাংকে গিয়েছিলি আর বাহিরের মানুষ বলতে আমার ঘরে শুধু তুই যাস । । তুই ছাড়া আর কেউ এই টাকার খবর জানার কথা না। দেখ করিম আমি তোকে অনেক পছন্দ করি । তুই অনেক ভালো মানুষ । তোর টাকার দরকার হলে তুই আমাকে বলতি । শোন করিম তুই হয়ত ভুল করে করে ফেলেছিস । তোর কিচ্ছু হবে না । টাকা গুলো দিয়ে দে ভাই ।

- বিশ্বাস করেন চাচা আমি আপনার টাকা ধরিনি ।

পাশ থেকে লাঠিয়াল, হুজুর ওর কথা বিশ্বাস কইরেন না । চোর কি চুরির কথা স্বীকার করে ? ওরে মাইর দেওন লাগবো ।

মোড়ল সাহেব করিমের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে হাত কচলিয়ে চেয়ার থেকে উঠে চলে গেলেন । তিনি আজ টাকার নেশায় পাগল প্রায় । লাঠিয়ালরা দরজা বন্ধ করে দেয় । লাঠিয়ালরা তাকে এলোপাতাড়ী পেটাচ্ছে । পেটানোর সুযোগ পাওয়ার স্বাদ যে অন্যরকম । মাথায় বাড়ির আঘাতে করিম নিস্তেজ হয়ে যায় ।



এরপর তাকে আর পাওয়া যায় নি ।তার বউ পাগলের মত খোঁজেছে গ্রামবাসীও খোঁজেছে । কিছুদিন পর লাশ পাওয়া গেল জঙ্গলে ।কে বা কারা তাকে মেরে মাটিতে পুতে রেখেছে । গ্রামবাসী সবাই জানে মোড়ল সাহেবই খুন করেছেন রহিমকে । কিন্তু কিছু করার নাই তিনি গ্রামের মোড়ল আর কোন প্রমান তো নেই । কেউই সাহস করছেনা । সবারই নিরব সন্দেহ । মোড়ল সাহেবের লাঠিয়াল রাতের অন্ধকারে অনায়াসে করিমকে ফুঁতে ফেলেন জঙ্গলে ।পরে তিনি জানতে পারের টাকা চুরি করেছে তাঁর স্বয়ং মদখোর পুত্র । তখন করিমের জন্য তাঁর একটু আফসোস হচ্ছে । গরিবের জন্য এইটুকুই তো অনেক । তাই তিনি করিম এর বউকে মাসে মাসে কিছু টাকা দিয়ে দেন । একটু সহানুভূতি এই আর কি । তাও পরে দেওয়া বন্ধ করে দেন ।



জমিলাকে করিম বিয়ে করে এনেছে ভীন গাঁ থেকে । জমিলার এই গ্রামে আপনজন বলতে করিমই ছিল । করিম বেঁচে থাকতে আপনজন অনেক ছিল । তাদেরকে এখন পর দেখাচ্ছে । তারা যে ছিল স্বার্থের আপনজন । তাই জমিলা এখন এই গ্রামের কাছে ভীনগাঁয়েরই লোক । জমিলা মোড়ল সাহেবকে বলে কয়ে স্বামীর যে ভিটে মাটি ছিল তা বিক্রির ব্যবস্থা করেন । মোড়ল সাহেব কাজটি আরও হাত বাড়িয়ে করেন । তিনি নিজেই কিনে নেন । তিনি তো এইটুকু সাহায্য যে করতেই পারেন । তারও যে মহা উপকার হয় ।



জমিলা ভিটে মাটি বিক্রি করে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ী চলে যায় ।সেখানে মেয়েকে নিয়ে জমিলার ভালই কাটছে । কিন্তু ভালো আর বেশীদিন কাটেনি ।ভিটে মাটি বিক্রির টাকা যতদিন হাতে ছিল ততদিন সবার আদুরে ছিলেন । এখন বাপের বাড়িতে জমিলা বোঝা হয়ে গেছেন । বিবাহিতা নারী বাপের বাড়ীতে থাকলে তো বোঝাই হয় । ভইয়েরা অবজ্ঞার চোখে দেখে । তাকে আরেকটা বিয়ে করে চলে যেতে বলে । কিন্তু সে সন্তানের দিকে তাকিয়ে এগুতে চায় না । বিভিন্ন বাড়িতে এখন সে কাজ করে । অল্প যা টাকা পায় তাতেও ভাইয়েরা ভাগ বসায় । বাহানা দেখায় । তুই এখানে থাকতেচছ খাইতেচছ টাকা দিবি না ? তাই কোনমতে চলতে গিয়েও চলে না । মেয়ে এখন বড় হচ্ছে তা জন্য ভালো খাবার দরকার । এইসব চিন্তা করে কেঁদে উঠে জমিলা, আর বলে করিম তুমি আমাকে এইরকম বিপদে ফেলে চলে গেলা ?



পাশের বাড়ীর ছকিনা বিবির দুঃসম্পর্কের এক খালা ঢাকায় গার্মেন্টস এ চাকরি করে । তার কাছ থেকে ঢাকার লালনীল গল্প শুনে জমিলারও যেতে ইচ্ছে হয় । আবার এইখানেও যে চলছে না । তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা যাবে । ভালো টাকাপয়সা রুজি করবে মেয়েকে ভালো খাওয়াতে পারবে । তাই জমিলা তার ভাইদের ঢাকা যাওয়ার কথা বলল । সবাই অনায়াসে রাজি হয়ে গেলো যদিও জমিলা সেটা ভাবেনি । জমিলা ছকিনা বিবির খালার সাথে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় । শুভ দিনক্ষন ঠিক করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ।ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নেয় । ভাইয়েরা বলে ঢাকা থেকে আমাদের জন্য টাকা পাঠাস ।



জমিলার মনে আজ অনেক স্বপ্ন খেলে যাচ্ছে । সবকিছু কেমন রঙ্গিন হয়ে উঠছে । করিমের কথা ভেবে আবার মন খারাপ হয়ে যায় । যে চলে গেছে তাকে নিয়ে বসে থাকলে তো জীবন চলবে না ।জীবনে এখনো অনেক সংগ্রাম বাকী । এ ভেবে জমিলা নিজেকে একটু শক্ত করে । বাস চলছে জমিলার স্বপ্নগুলো যেন চলা শুরু করেছে । ঢাকার কাছাকাছি আসতেই রঙ্গিন ঢাকা চোখে পড়লো জমিলার তার স্বপ্নগুলো আরো রঙ্গিন থেকে রঙ্গিনতর হয়ে উঠলো ।যেন তার স্বপ্নগুলো ঢাকার রঙ্গের সাথে মিশে গিয়েছে ।তার মনে একটু নিষ্ঠুরতাও দেখা দিল । করিম বেঁচে থাকলে হয়ত এই রং কখনো দেখা হত না ।যাহ কি সব আলতু ফালতু কথা ভাবছি এ বলে নিজেকে সামলে নিলো জমিলা ।



এতক্ষনে বাস স্টেশনে এসে থামলো । ছকিনা বিবির খালা তাকে বললো টেকাপয়সা যা আছে দেও । জমিলা বলল কেন ? খালা বলল, ওমা থাওন খাওনের ব্যবস্থা করতো অইবে না নে ! জমিলা কিছু না বুঝেই টাকাপয়সা যা আছে দিয়ে দিল । সে ভাবছে ছকিনা ভুর খালাই তো সমস্যা কি । খালা বলল, তুমি এইহানে খারাও আমি আইতাছে । জমিলা বলে, আপনে কই যান । খালা বলে আরে খারাও না আমি চইলা আমু নে তুমি এইহানেই থাইকো । এইকথা বলে খালা চলে গেল । জমিলা চারপাশে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে । কত রং বেরংগের গাড়ী কত উচুঁ উচুঁ দালান ঘর । কত হাজার রকমের মানুষ । সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত । জমিলার কাছে ভালোই লাগছে ।



অনেকক্ষন হয়ে গেছে খালা এখনো আসছেনা । ক্ষিধায় মেয়েটা কাঁদছে তারও অনেক ক্ষিধা লেগেছে । কাপড়ের কোনায় বাঁধা সামান্য কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে জমিলা আর তার মেয়ে রুটি আর পানি খেয়ে কোনমতে পেট পুরালো ।

কিন্তু এখনো খালার দেখা নেই । দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসছে । জমিলা অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে খালা কোন বিপদে পড়লো কিনা সে চিন্তায় । কিন্তু খালার মতলবতো জমিলা আর বুঝতে পারে নি । জমিলা খালাকে খোঁজার জন্য স্টেশন থেকে বের হয়ে রাস্তার এসে এদিক ওদিক খোঁজতে লাগলো কিন্তু খালাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না ।



- মা, তুমি কি খুঁজছ ? হঠাৎ বুড়ো গোঁফওয়ালা লোকটিকে দেখে জমিলা চমকে উঠলো । জমিলা বলল,

- না চাচা কিছু না ।

-আরে বলো মা । আমাকে আপন ভাবতে পারো ।

জমিলা একটু সাহস ফেলো । তাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বললো । চাচা বললো

আমার সাথে চলো মা । তোমার কোন চিন্তা নেই । জমিলা বলল,

- না আমি খালা না আওন পর্যন্ত কোনহানে জামু না ।

- আরে মা, তোমার খালা আর আসবেনা । উনি তোমার টাকা নিয়ে চলে গেছে । এইরকম ঘটনা আরো কত দেখেছি ।আমার সাথে চলো । যত রাত হবে তুমি আরও বিপদে পড়বে ।

জমিলা কিছুক্ষন চিন্তা করছে । সে ভাবলো তার কাছে কোন টাকা নেই কোথাও যেতেও পারবো না । বুড়ো লোকটাকে দেখে ভালোই মনে হচ্ছে ।



সে লোকটার সাথে হাঁটছে । লোকটা বিড়বিড় করেই যাচ্ছে । কিছুক্ষন পর একটা পুরনো বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো । বাড়িটি গায়ে শেওলা ধরে আছে । দেখে মনে হবে অনেকদিন এই বাড়িতে কেউ থাকে না । চাচা বলল,

- এই আমার বাড়ি ।

- এই বাড়িতে আপনে থায়েন ? দেইয়া তো মনে অয় অনেকদিন কেউ থায়ে না ।

- আরে মা, টাকা পয়সা নাই তাই মেরামত করতে পারি না ।তুমি দাড়াও আমি দরজার তালাটা খুলি ।

- আপনে এইহানে একা থায়েন ।

- হয় রে মা । তালাটাতো দেহি খুলছেনা । আবার কি সমস্যা হলো । মাঝে মাঝে তালাটা আমার সাথে মজা করে । তুমি একটু দেখতো মা ।

- দেন চাচা

- এই দাও তোমার মেয়েটারে আমার কাছে দাও । তোমার মেয়ে তো অনেক লক্ষী । এই যে তোমার নাম কি ?

- থুকি, মেয়ের তোতলানু উত্তর ।

- মা, ওর বাবা কোথায় ?

জমিলা স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলো । তা দেখে চাচা বুঝে নিয়েছে ।

- মা, তুমি তালা খুলে ভিতরে লাইট জ্বালাও আর ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকো। আমি তোমার মেয়েটারে একটা চিপছ কিনে দেই, এই বলে চাচা দোকানের দিকে চলে যেত লাগলো ।

জমিলা কিছু বলতে গিয়েও আর বলল না । সে তালা খোলার চেষ্টা করছে । চারদিকে গুড়গুড়ে অন্ধকার । আশেপাশে তেমন বাড়িঘর নেই । তালা খুলে গেল । জমিলা ভেতরে ডুকলো টাইট জ্বালাতে । হঠাৎ আপনা আপনি লাইট জ্বলে উঠলো । দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ হয়ে গেল ।

.

.

.

.

.

.

.

দৃশ্য একঃ

নেচার আলী । পেশায় একজন বিচারপতি । টাকাপয়সা ভালই কামিয়েছেন ।তিনি তার ডোপ্লেক্স বাড়ির বারান্দায় বসে পেপার পড়ছেন । পেপারের পাতা উল্টাতেই একটা খবর চোখে পড়লো ''পরিত্যক্ত বাড়ী থেকে অজ্ঞাত মেয়ের লাশ উদ্ধার '' । বিস্তারিত পড়ে জানা গেল মেয়েটিকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে । নেচার সাহেব খবরটি পড়ে চুমু দেওয়ার মত ঠুটে আওয়াজ করে আফসোস করে নিজে নিজে বলতে লাগলেন এইসব যে কবে বন্ধ হবে ! এরপর পাতা উল্টে অন্য পাতায় চলে গেলেন ।



দৃশ্য দুইঃ

সাব ইনসপেক্টর জলিল সাহেব ফাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন ।নাহ, এই কেইসে কোন লাভ নাই হুদাই সময় নষ্ট আর পকেটেও তো কিছু আসবে না । তারপর ফাইলটাকে স্টোর রুমে অজ্ঞাত সেলফে রেখে আসলেন । এইটা যে অজ্ঞাত কেইস ।



দৃশ্য তিনঃ

নিশাত একজন উদীয়মান সাংবাদিক । সে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করে । তিনি পথশিশুদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টারী তৈরি করে চারদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছেন । সামাজিক সমস্যা তুলে ধরার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সন্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন ।



দৃশ্য চারঃ

(পথশিশুর কথপোকথন)

- এই দেখ দেখ আমি একডা বড় বোতল পাইছি ।

- এই সুখী, এইডা আমার বোতল এদিকে দে ।চুরনি আমার বোতল চুরি করছছ । দে এদিক দে ।



দৃশ্য পাঁচঃ

- মা, তুমি কি খুঁজছ ? ....

(সেই বুড়ো গোঁফওয়ালা লোকটি)



বিঃদ্রঃ : এই গল্পটি আমার প্রথম দিকে লেখা একটি গল্প । অতঃপর সমাজ নামে একটা সিরিজের প্রথম গল্প এটি ছিলো ।এই সিরিজ মোট দুইটা গল্প লিখেছিলাম । তারপর আর লেখা হয় নি । সিরিজটির উদ্দেশ্য ছিল সমাজের ব্যতিক্রমী অপরাধগুলোকে কাল্পনিক দৃশ্যপটে তুলে ধরা । জানি না সিরিজের ১ম গল্পটি কেমন হয়েছে । আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে বুঝতে পারবো কেমন হয়েছে ।তার উপর নির্ভর করবে পরের গল্পটা দেব কিনা ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

নিলু বলেছেন: লিখে যান

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ িনলু ।

ভালো থাকুন ।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: উদীয়মান সাংবাদিক নিশাত এর মতো করে আপনার লেখার জন্য অনেক অনেক পুরষ্কার পেতে পারেন কিন্তু এ সমাজটাক ভাল করতে পারবেন না।




পরে লেখার অপেক্ষায় ....

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :( :( একদিন অবশ্যই ভাল হবে হয়তোবা আমি আপনি আর থাকবোনা ।

মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ১৩ ভাই ।

শুভ কামনা রইলো ।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হাজার জমিলার কঠিন বাস্তব গল্প +++++++++


ভালো থাকবেন ভ্রাতা ।।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ভাললাগা রায়হান ভাই ।

ভাল থাকবেন ।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লেগেছে আমার কাছে ভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই ।

ভালো থাকুন ।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন --আমাদের সমাজের বাস্তবচিত্র।
জমিলাদের ভাগ্য আর আমাদের সমাজপতিদের কর্মকাণ্ড --এভাবে আর কতকাল কে জানে!!!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এভাবে আর কতকাল কে জানে!!!!.. :( :(

মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ বোন নাসরিন চৌধুরী ।

শুভ কামনা রইল ।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

আধখানা চাঁদ বলেছেন: সিরিজ আকারে শুরু করেছেন দেখে ভাল লাগল। সিরিজটা থামাবেন না, সমাজের চিত্র উঠে আসে এ সিরিজে। দ্বিতীয় ভাললাগা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুপ্রেরনায় অনেক ভাললাগা আধখানা চাঁদ ।

ভালো থাকুন । :)

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

জাহিদ জুয়েল বলেছেন: মনে হচ্ছিল সব কিছু মনের চোখ দিয়ে দেখতেছি, ভাল হইছে।

চলতে থাকুক...............

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: পাঠে এবং সুন্দর মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ জাহিদ জুয়েল ভাই ।

শুভ কামনা রইল । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.