![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমিই লেখক...
হেলে পড়া সূর্যের সাথে কলিমউদ্দিনও হেলে বসে আছে জমিনের ধারে । ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছে ধানের শিষ গুলোর দিকে ।এবারও ফলন ভাল হয়নি । চেয়ারম্যানের কাছে শেষ সম্বল ভিটেমাটিটুকুই এবার বিকিয়ে দিতে হবে । গত মৌসুমে আশানুরূপ ফলন হয়নি বলে কলিমুদ্দিনকে তার ষাঁড়টা দিয়ে দিতে হয়েছিল । কলিমুদ্দিন বাৎসরিক টাকার বিনিময়ে চাষের জমিটুকু চেয়ারম্যান থেকে নিয়েছিল । কিন্তু ফলন এতই খারাপ হলো যে ধানকাটা বদলার টাকাও নিজের পকেট থেকে দিতে হয়েছিল । আর টাকা না দিতে পারায় চেয়ারম্যান কেড়ে নিলেন ষাঁড় । এখন যে ভিটেমাটিটুকু আছে তা বন্ধক রেখেই এনজিও থেকে টাকা নিয়েছিল কলিমুদ্দিন । এই টাকা দিয়ে সে বাচ্চা ষাঁডটা কিনেছিল । তারাও সেই কবে নোটিস দিয়ে দিয়েছে সামনের তারিখে লোন শোধ না করতে পারলে ভিটেমাটি নিলামে উঠিয়ে দেবে । তাই এখন কলিমুদ্দিনের এক ভিটেমাটির হকদার দুইপক্ষ, চেয়ারম্যান এবং এনজিও ।
কলিমুদ্দিন অবশ্য এসব নিয়ে একদমই ভাবছে না ।এসব তো পরের ব্যাপার তার চিন্তা আজকের দিনকে নিয়ে । সেই সকালে বৌ রাহেলাকে কথা দিয়ে বের হয়েছে দুপুরের আগেই বাজার-সদাই নিয়ে ঘরে ফিরবে অথচ এখন দুপুর গড়িয়ে গেছে ।কলিমুদ্দিনের জমিতে ফলন ভাল না হলেও তার বৌয়ের ফলন বেশ ভাল । তাই ছয় বছরে কলিমুদ্দিন তিন বাচ্চার বাবা হয়ে গিয়েছে ।অল্প দিনেই কলিমুদ্দিন বড় সংসারের মালিক হয়ে গেল ।রাহেলা এতক্ষণে নিশ্চয় পাশের বাড়ির আক্কাচের বৌ থেকে সকালের বেঁচে যাওয়া পান্তা এনে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে বাচ্চাদের খাইয়ে দিয়েছে ।আক্কাচ আর কলিমুদ্দিন একসাথে প্রাইমারী স্কুলে পড়তো ।দুইজন গলায় ঝুলে থাকা বন্ধু ছিল ।এমন কোন কাজ ছিল না তারা একে অপরকে ছাড়া করতো !একসাথে বসে বাগিচায় পয়কর্মও সারতো ! আক্কাচের আব্বা যখন আক্কাচকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয় তখন কলিমুদ্দিন খুব একা হয়ে যায় ।কিন্তু আক্কাচ যখন বিদেশ থেকে ফিরে আসে তখন আর কুলিমুদ্দিনের সাথে আগের মত সখ্যতা রাখে না । এরপর থেকে সে যত টাকা পয়সা কামাচ্ছে তত কলিমুদ্দিনও তার থেকে দূরে সরে যেতে লাগলো । এখন কলিমুদ্দিনের জন্য আক্কাচ যা করে তা হচ্ছে দরিদ্রের প্রতি সহানুভূতি ।কলিমুদ্দিনের এই নিয়ে অনেক দুঃখ । তবে কলিমুদ্দিন একটা ব্যপার খুব গর্বের সাথে ধারণ করে সেটা হলো আক্কাচের প্রেম কলিমুদ্দিনের কাছে হার মেনেছিল । যৌবনকালে আক্কাচ আর কলিমুদ্দিন দুইজনই রাহেলার জন্য প্রেমের ফাঁদ পেতেছিল ।আর রাহেলা কলিমুদ্দিনের ফাঁদেই পড়েছিল। দারিদ্র্যের কশাঘাতে যখন মন অতিষ্ঠ থাকে তখন এইসব ঠুনকো বিষয় গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কলিমুদ্দিনেরও তাই হয়েছে । সে এইসব ভেবে খরায় পড়ে চৌচির হওয়া মনে কিছু পানির সঞ্চার করছে ।
- ওই কলিম ভাই, অইহানে বইয়া কি করো ? আবুলের পোলারে নাকি সাপে কামড়াইছে । মরণ দশা । দক্ষিণ পাড়ার সহিদুল এ কথা বলে ঘটনা দেখার জন্য দ্রুত হেঁটে চলে যায় ।
সাধারণত এইসব ব্যাপারে গ্রামের মানুষদের যে আগ্রহ দেখা যায় কলিমুদ্দিনের সে রকম কিছুই দেখা গেল না । সে এখনো এক ধ্যানেই বসে আছে । দারিদ্র্য নামক বিষধর সাপ যে তাকে নিয়মিত কামড় দিচ্ছে তার খবর কে রাখে ? এই সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয় না ঠিকই কিন্তু এ বেঁচে থাকা থেকে মৃত্যুই ভালো। আজও অনেকের কাছে ধার ধরনা দিয়েছিল কিন্তু সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে ।এখন কেউই কিছু দিতে চায় না কারণ সবারই জানা হয়ে গেছে এই ঋণ শোধানোর ক্ষমতা কলিমুদ্দিনের কখনোই হবে না ।
বৌয়ের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে কলিমুদ্দিনের । বেচারি প্রতিদিন কতো টালবাহানা করে বাচ্চাগুলোকে পালছে । আজও কলিমুদ্দিন রাত করে বাড়ি ফিরবে । ততক্ষণে হয়তো রাহেলা সেই আক্কাচের বৌ থেকে দুপুরের ভাতের মাড়টুকু এনে গ্লাস পুরে বাচ্চাদের খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবে । আর কলিমুদ্দিন তখন বাড়িতে ফিরে নানান ছুতোয় রাহেলার সাথে ঝগড়া করে শুয়ে পড়বে । কলিমুদ্দিনের এই ভবিষ্যদ্বাণীটুকু খুব মেলে ।
- কিরে কলিম্মা এহানে বইয়া কি করছ ? তর বৌ’রে দেখলাম রাঘবের লগে কতা কইতে ।
কলিমুদ্দিন ফিরে দেখে চদর । তার আরেকটা নাম আছে লুইচ্চা চদর ! এরে দেখলে কলিমুদ্দিনের গায়ে আগুন ধরে যায় । গ্রামে তার কেলেঙ্কারির অভাব নেই ।বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত কোন নারীই তার লালসার চোখ থেকে বাঁচতে পারে না । অনেক সালিস বসেছে জরিমানা হয়েছে, শাস্তি হয়েছে ।কিন্তু চরিত্র একটুও পরিবর্তন হয়নি । গতবার সালিসে তো বিয়েই পড়িয়ে দিয়েছিল । কিন্তু চদর সেই লুইচ্চা চদরই রয়ে গেল । কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না ধরণের চরিত্র তার । অবশ্য কলিমুদ্দিনকে সে খুব ভয় পায় । একবার তার বউয়ের পেঁছনে ঘুরঘুর করেছিল । সেইবার কলিমুদ্দিন লাঠি নিয়ে তারে পুরো গ্রাম তাড়িয়েছিল ।বাড়ি দিয়ে এক পা ভেঙ্গেও দিয়েছিল ।এই জন্য কলিমুদ্দিনকে জরিমানাও গুণতে হয় । সেই থেকে চদর কুলিমুদ্দিন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে । তবে চদর আজকে সুযোগ পেয়ে কুলিমুদ্দিনকে তার বৌয়ের সাথে রাঘবের ফুসুর-ফাসুরের কথাটা বলে খুব মজা পেয়েছে । কুলিমুদ্দিনও কম যায় না । তার তো আর খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই লুইচ্চা চদরের কথায় কান দিবে ? যদি তার বৌয়ের লগে কেউ কথা বলেই থাকে তবে এই চদরই কইছে । কলিমুদ্দিন গরম চোখে চদরের দিকে তাকাতেই চদর সেখান থেকে প্রস্থান করে ।
চদর চলে যাওয়ার পরই কলিমুদ্দিনের মনটা খারাপ হয়ে গেল । শফিউলও ওইদিন একই কথা বলেছিল । কিন্তু কলিমুদ্দিন কখনো দেখেনি । আর বৌয়ের প্রতিও তার অগাধ বিশ্বাস আছে ।সেই ছোটকাল থেকে প্রেম করেছে সে রাহেলার সাথে । কলিমুদ্দিন জমিনে বাবার সাথে কাজ করতো আর রাহেলা কোলে ছাগল ছানা নিয়ে জমিনের আইল ধরে হেঁটে যেত । কলিমুদ্দিন একদৃষ্টিতে রাহেলাকে দেখতো । আর রাহেলাও আড়চোখে কলিমুদ্দিনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতো । সেই থেকে দুইজনের প্রেম তারপর বিয়ে । তাই কলিমুদ্দিনের মতে রাহেলা এমন কাজ করতেই পারে না ।আর রাঘবেরও যে বয়স সেও এইসব করতে যাবে না । কিন্তু সন্দেহ একবার ঢুকে গেলে তাকে বের করা খুব মুশকিল । কলিমুদ্দিনের মনও উসখুস করছে । সে খুব ভয় পাচ্ছে যদি রাঘবের সাথে সত্যিই তার বৌয়ের কিছু থাকে তাহলে সে কি করবে ?
রাঘব ভাড়াটে খুনি । আট দশ গ্রাম তার নাম শুনলে ডরে কাঁপে ।তার নামে রূপকথার মতো অনেক ভয়ানক গল্প মানুষের মুখে মুখে । সে নাকি এক রাতে দশ জায়গায় দশটা খুন করেছিল এবং লাশগুলোর কোন হদিস পাওয়া যায়নি । সে পাড়ার চায়ের দোকানে আসলে পুরো চায়ের দোকান মুহূর্তের মধ্যে ঠান্ডা হয়ে যায় । কারো মুখে কোন কথা থাকে না । রাঘব বিস্কিট দিয়ে চা পান করে চলে যায় ।দোকানদার ভয়ে বিল না চাইলেও রাঘব টেবিলের উপর টাকা ছোড়ে যায় ।একদিন নাকি পেঁছনে গুঁজে রাখা বন্দুক বের করে টেবিলের উপর রেখেছিল ।সেটা দেখে দোকানে বসা লোকজনের কাঁপাকাপি শুরু হয়ে গিয়েছিল । কেউ কেউ চোরের মত বের হয়ে যায় । সেদিকে রাঘবের খেয়াল নেই । সে তার মতো চা বিস্কিট খেয়ে বন্দুকটা আবার গুঁজে চলে যায়। এখন অনেকে নিজ চোক্ষে বন্দুক দেখার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় বাহাদুরী দেখায় । তাদের বুক তিনহাত ফুলে যায় ।আবার কেউ কেউ গল্প শুনেই তা নিজের নামে চালিয়ে দেয় অন্য জায়গায় । কিন্তু কলিমুদ্দিন সেই সময়ের সাক্ষী হতে পারেনি এবং কারো গল্প শুনেও সে নিজের নামে চালাতে পারে না । তাহলে সেও গর্বের সাথে আটদশ গেরামে বলতে পারতো সচক্ষে বন্দুক দেখার কথা ।ঘরে গিয়ে বৌয়ের সাথেও হেডম দেখাতে পারতো ! কিন্তু সেই সৌভাগ্য কলিমুদ্দিনের আর হলো কই !
রাঘব গ্রামের মানুষের কাছে খুব কম দেখা দেয় । ঘর থেকেও তাকে তেমন ঢুকতে কিংবা বের হতে কেউ দেখে না । মাঝে মাঝে সে কোথা থেকে হঠাৎ উদয় হয় ।তার সাথে কারো তেমন সখ্যতাও নেই । বিষয়টা এমন যে, সে যেন এমনি এমনি পয়দা হয়েছে শুধু মানুষ খুনের জন্য ।তার পরিবারের একমাত্র সে জীবিত আছে ।একবার তাদের বাড়িতে আগুন লাগলে রাঘব ছাড়া সবাই পুড়ে মারা যায় । তবে অনেকে বলে সে নিজেই তার পরিবারের সবাইকে খুন করেছে ।আগুন লাগার রাতেই রাঘবের সাথে পরিবারের তুমুল ঝগড়া হয় ।তার স্বভাব চরিত্র তখনো খুব খারাপ ছিল । তাই গ্রামের অনেকে মনে করে রাঘবই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ।
কলিমুদ্দিনের মাথা কাজ করছে না ।রাঘবের সাথে তার বৌয়ের ঘটনা সত্যি হলে তার কিছুই করার থাকবে না উল্টো মরণের ভয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেছে সেই কবে সে এখনো জমিনের ধারে মুরগীর মত ঝিম মেরে আছে ।
- হ্যালো ভাই ? কলিমুদ্দিন জমিন ঘেঁষা রাস্তার দিকে তাকায় । কোট টাই পরা এক আগুন্তুক তাকে ইশারায় ডাকছে । কলিমুদ্দিন অবশ্য বুঝে গেছে লোকটা কার খোঁজে এসেছে । সাধারণত গ্রামের লোকেরা স্যুট টাই পরা লোক দেখে রাঘবের বদৌলতে । এই টাইপের লোকগুলো রাঘবের কাছেই আসে তাকে ভাড়া করার জন্য । কলিমুদ্দিন এগিয়ে যায় আগুন্তুকের দিকে ।
- কি কইবেন কন ? কুলিমুদ্দিন বিরক্তি নিয়ে বলে ।
- আচ্ছা রাঘব সাহেবের বাড়ি কোনটা বলতে পারেন ? কলিমুদ্দিন যা ভেবেছে তাই । রাঘবের খোঁজেই এসেছে ।কলিমুদ্দিন এদিক ওদিক তাকিয়ে লোকটাকে নিয়ে একটু আড়ালে যায় ।
- জি আমিই রাঘব । কলিমুদ্দিন বলে ! আগুন্তুক কলিমুদ্দিনের আগাগোড়া দেখতে থাকে। সে রাঘবকে আগে দেখেনি তবে কলিমুদ্দিনকে তার সন্দেহ হচ্ছে । কিন্তু আগুন্তুক আবার ভাবে এই লাইনের লোকেরা সাদামাটা থাকতেই অভ্যস্ত । কাজের সুবিধার্তে তারা নিজেদেরকে সাদামাটার আড়ালেই লুকিয়ে রাখতে চায় । আগুন্তুক তার প্রস্তাবের কথা বলে-
- হাতুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যান । এই কথা বলে কলিমুদ্দিনের দিকে আগুন্তুক একটু খুনি চোখে তাকায় ।কলিমুদ্দিন মনে মনে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে লোকটার সাথে সায় দেয় ।
- কতো ? আগুন্তুক জিজ্ঞেস করে । কলিমুদ্দিন একটু চিন্তায় পড়ে যায় । সে তো জানে না এইসব কাজে কেমন টাকা পয়সার লেনদেন হয় । তবে লোক মুখে রাঘবের কিছু কাজের দামের কথা শুনেছে ।
- ত্রিশ । কলিমুদ্দিন আগুন্তুকের দিকে তাকিয়ে বলে । আগুন্তুক আরেক দফা আশ্চর্য হয় । হাতুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যানকে মারা এতো সহজ না । তাহলে রাঘব এতো কম চায় ক্যান ! যাইহোক হয়তো রাঘবের কাছে কাজটা সহজ ।আগুন্তুক কলিমুদ্দিনের হাতে পনেরো হাজার গুঁজে দেয় ।
- এই নেন অগ্রিম আর বাকিটা কাজ শেষে । কলিমুদ্দিন টাকাটা তার লুঙ্গির গোছায় গুঁজে নেয় । আগুন্তুক এইবারও একটু অবাক হয় । খুনিরা সাধারণত টাকা এইভাবে গুঁজে নেয় না । যাইহোক লোকটা তার অবাক সামলে বিদায় হয় ।
কলিমুদ্দিনের মাথায় কাজটার ঠিক বেঠিক কাজ করছে না । সে যা করেছে তা দারিদ্র্যকে হার মানাতে করেছে । একদিন না হয় সে দারিদ্র্যের সাথে জিতে গেল ! প্রয়োজনে একটা খুনই করলো । সে যদিও কখনো খুন করেনি । খুন করার সময় না হয় ভেবে নিবে সে দারিদ্র্য নামক বিষধর সাপকেই খুন করছে ! তখন সে অবশ্যই পারবে । কলিমুদ্দিন বাড়ির দিকে দ্রুত হাঁটতে থাকে । আজ রাতেই খুনটা করতে হবে ।
রাহেলা তার ছেঁড়া ফাড়া জিনিসপত্রগুলো পুঁটলিতে বাঁধছে যদিও রাঘব না করেছে এসব নিতে । রাঘব তাকে সবকিছু নতুন কিনে দিবে বলেছে । রাহেলা সব পরিকল্পনা করে ফেলেছে আজ বিকেলে । রাঘবের সাথে নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু করবে । রাঘব লোকটা খুনি হলেও মনটা অনেক ভাল রাহেলার মতে ! আর টাকা পয়সাও আছে । রাহেলার এসবের মৌহে পাওয়া অপরাধের কিছু নয় । সে ক্রমাগত দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে তার সকল প্রেম ভালোবাসা বহু আগেই খুন হয়ে গেছে ।কলিমুদ্দিনের সাথে আছে শুধু সংসার নামক একটা অভিনয়ের বেড়াজালে এর থেকে বেশি কিছু নয় । তাছাড়া তাদের ভেতর এখন প্রেম ভালোবাসার তেমন কিছুই ঘটে না ।শুধুই দারিদ্র্যের উল্টো চালে সংসার টেনে নেওয়া । এই টেনে নেওয়ার সময়ও শেষ হয়ে এসেছে । রাহেলা এই চালে আর থাকতে চায় না । তাছাড়া রাহেলা চলে গেলে কলিমুদ্দিনেরও একজন সদস্য কমবে । সে বাচ্চা তিনটা নিয়ে আরেকটু ভাল থাকতে পারবে । রাহেলা তাই মনে করে ।
রাঘব তার জীবনের সাথে আর একা থাকতে চায় না ।সে তার সাথে কেউ একজনকে চায় । সে এখন বড্ড ক্লান্ত । জীবনের অনেকটুকু সময় লুকানোর বেড়াজালে কাটিয়ে দিয়েছে । রাহেলাকে সে খুব ভাল পায় । মেয়েটা অনেক লক্ষী । রাহেলার সাথে তার কাছাকাছি হয় এক রাতে । সে রাতে রাঘব গুলি খেয়েছিল । লুকানোর জন্য রাহেলাদের ঘরের কোণে এসে কোঁকড়াতে থাকে । সেই আওয়াজে রাহেলার ঘুম ভেঙ্গে যায় । রাহেলা উঠে দেখে সবাই ঘুমাচ্ছে । সে উঠে দেখতে যায় কি হয়েছে । রাঘবকে দেখে সে ভয় পেয়ে যায় । রাঘব তাকে চুপ থাকতে বলে । সে রাহেলার কাছে আকুতি করে তাকে একটু লুকানোর জায়গা দিতে । তার পেঁছনে শত্রু আসছে । তাকে পেলে মেরে ফেলবে । রাহেলা কি করবে বুঝতে পারে না । অবশেষে তাকে রান্নাঘরে নিয়ে খড়কুটো চাপিয়ে লুকাতে বলে । রাহেলা ঘরে এসে শুয়ে পড়ে। সে খুব ভয় পাচ্ছে যদি কলিমুদ্দিন জেনে যায় । কিন্তু রাহেলা সকালে উঠে রাঘবের কোন আলামতই দেখেনি । সে হাফ ছেড়ে বাঁচে। এর পর থেকে রাঘব রাহেলার কাছে আসা শুরু করে । আস্তে আস্তে তারা এতো দূর চলে এসেছে । রাঘব ভাবছে তার বাকি জীবনটা রাহেলাকে নিয়ে দূরে কোথাও কাটিয়ে দেবে। সে জায়গাটা হবে এই গ্রাম থেকে অনেক অনেক দূরে । রাঘব তার খুনি জীবনে টাকা পয়সা অনেক কামিয়েছে । সে টাকা দিয়ে বাকি জীবন খুব ভালোভাবেই কাটিয়ে দিতে পারবে ।
রাঘব আর রাহেলা ঠিক করেছে কলিমুদ্দিন বাড়ি ফেরার আগেই বেরিয়ে পড়বে । ততক্ষণে বাচ্চারাও ঘুমিয়ে পড়বে। বাচ্চাদের ছেড়ে যাওয়াটা রাহেলার জন্য অনেক কষ্টের কিন্তু তাকে যেতেই হবে । কলিমুদ্দিন বাচ্চাগুলোকে অনেক মায়া করে । তারা কলিমুদ্দিনের কাছে ভালই থাকবে । দরজায় টোকার আওয়াজে রাহেলা চমকে ওঠে । এই সময় আবার কে আসলো । সে জিজ্ঞেস করে-
- কিডা ?
- আরে দরজা খুলো । রাহেলা তাড়াতাড়ি তার পোঁটলাটা আড়াল লুকিয়ে রাখে । সে ভাবছে কলিমুদ্দিন তো এতো আগে আসার কথা না । সে দরজা খুলে দেয় ।
- কি অইছে দরজা খুলতে এতো দেরী অয় ক্যান ? কলিমুদ্দিন বিরক্তি নিয়ে বলে ।রাহেলা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে । কলিমুদ্দিন আবার বলে –
- এই নেও এইহানে তেরো হাজার টেহা আচে ।এইগুলা ভালো কইরা রাহো ।
- এতো টেহা পাইলা কই ? রাহেলা জিজ্ঞেস করে ।
- একটা বড় কাম পাইছি সেটার অগ্রিম দিসে । আর কাম শেষে বাকিটা দিব । কামটা আইজ রাতেই করন লাগবো । আমি কাম শেষে সকাল হনের আগেই ফিরা আসমু । আমারে এখনি বের অইতে অইব । তুমি টেহাগুলান যত্ন কইরা রাখ । এই বলে কলিমুদ্দিন আবার বেরিয়ে যায় ।
রাহেলা এতক্ষণ সব বোবার মত শুনে যায় । তার মাথায় কিছুই ধরছে না । কলিমুদ্দিনকে দেখে কেমন যেন লেগেছে তার ।তার চোখগুলো কেমন অসহায় অসহায় লাগছিল । কলিমুদ্দিনকে ছেড়ে সে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যাবে তারপরও কলিমুদ্দিনের জন্য তার কেন যেন খুব ভয় করছে । অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পড়ছে । এখন কেনো কলিমুদ্দিনের জন্য তার এতো মায়া হচ্ছে ? সে তার মনের সাথে বোঝাপড়া করে উঠতে পারছে না ।অনেকক্ষণ দম ধরে বসে আছে রাহেলা । হঠাৎ দরজায় আবার টোকা পড়ে । রাহেলার ঘোর কাটে ।
- কিডা ?
- তাড়াতাড়ি করো । রাঘব গলা নামিয়ে বলে ।
রাহেলা তার পোঁটলাটা হাতে নিয়ে বাচ্চাগুলোর দিকে একবার তাকায় । তারা ঘুমাচ্ছে । এই ঘুম ভরা পেটের ঘুম নয় । এই ঘুম ক্লান্তির ঘুম । তাদেরকে হাত দিয়ে একটু ধরে দেখে রাহেলা । কলিমুদ্দিনের টাকাগুলো তার টাকা রাখার জায়গায় রেখে দেয় । রাহেলা তার পুরো ঘরের দিকে একটু তাকায় । ঝরাঝির্ন, ছেঁড়াফাড়া,নুয়ে পড়া ঘর । তবুও এই ঘর রাহেলার কাছে খুব আপন । এই ঘরে লুকিয়ে আছে তার হাজারো ছোঁয়া, মমতা, ক্লান্তি, অবসাদ । রাহেলার চোখের কয়েক ফোটা পানি মাটিতে পড়ে । সে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ে ।রাঘব নৌকা ঠিক করে রেখেছে । নদী পার হলেই বাজার সেখান থেকে বাসে উঠে অচিন্তপুর ।
কলিমুদ্দিন হাঁটছে । আকাশের চাঁদ আজ একটু বেশি আলো দিচ্ছে । এই চাঁদের আলোয় বাঁশবাগানে সে রাহেলার সাথে লুকিয়ে কতো প্রেম করেছে ! সেখানেই তাদের জীবন উপাক্ষানের সকল রূপরেখা অংকিত হয়েছিল । কলিমুদ্দিন হাজারো স্বপ্ন দেখাতো রাহেলাকে । অথচ তার তেমন কিছুই সে পূরণ করতে পারেনি ।আজ কলিমুদ্দিন ভাবছে এই কাজ যদি সে করতে পারে একসাথে অনেক টাকা হাতে আসবে । সকল ধার-দেনা শোধ করার পরও অনেক টাকা থাকবে । সেই টাকা দিয়ে অন্তত রাহেলার কিছু স্বপ্ন সে পূরণ করতে পারবে । এই ভেবে ভয়ের ভেতরও কলিমুদ্দিনের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে । তার মাথায় এখনও কাজ করছে না সে আসলে কি করতে যাচ্ছে । তার মাথায় ঘুরছে কিছু স্বপ্ন পূরণের অগ্রিম স্বপ্ন । সে জ্যোৎস্না আর কিছু সুখের হাসি সাথে নিয়ে হাঁটছে ।
আর রাহেলা হাঁটছে রাঘবের সাথে । তারা নদীর ধারে চলে এসেছে । রাহেলা নৌকায় উঠে বসেছে । সে এই নৌকায় করে নতুন জীবনের পানে কদম ফেলছে । রাঘব নৌকায় উঠে বসে । রাহেলার মনে পড়ে কলিমুদ্দিনের সাথে নৌকায় চড়ার কথা । তারা নৌকায় করে প্রেমের জোয়ারে কতো ভেসেছে এমন পূর্ণিমাতে !রাহেলা মাথায় ঘোমটা দিয়ে কলিমুদ্দিন মাঝির বৌ সেজেছিল । কলিমুদ্দিন ভরা পূর্ণিমায় বৌয়ের রূপ দেখে একবার নদীতেও পড়ে গিয়েছিল । রাহেলা সেদিন খুব হেসেছিল । সেদিন রাহেলা কথা দিয়েছিল সে কলিমুদ্দিন মাঝির সারাজীবনের সাথী হয়ে থাকবে ।কিন্তু রাহেলা পারলো না । সে আজ অন্য মাঝির নাওয়ে উঠেছে । জীবন কেন এমন হয়ে গেল রাহেলার ছোট্ট মাথায় কিছুতেই ধরা দেয় না ।
কলিমুদ্দিন এগিয়ে যাচ্ছে । রাহেলা নদী পার হচ্ছে । চাঁদ একাই দু’জনকে সঙ্গ দিচ্ছে । বাচ্চাগুলো ঘুমের ঘোরে হাত এদিক ওদিক করে কাউকে জড়িয়ে ধরতে চাচ্ছে ।হঠাৎ মৃদুভাবে গুলির শব্দ ভেসে আসে কোথা থেকে । ঘুমে থাকা বাচ্চাগুলোর শরীর কেঁপে ওঠে । রাহেলার কলিজায় অজানা একটা টান পড়ে ।সে পানির দিকে তাকিয়ে আছে । পানিতে দেখছে কিছু পাখি দক্ষিণ পূর্ব কোণ থেকে উড়ে যাচ্ছে । চাঁদটা মেঘের আঁড়ালে লুকিয়ে গেলো.......
[এই কাঁচা হাতের গল্পটি প্রিয় হামা ভাই এবং সুমন কর ভাইকে উৎসর্গ করলাম । ]
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
ভাললাগার মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক মইনুল ভাই ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
২| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৪
অবনি মণি বলেছেন: "লেখক পাওয়া যাচ্ছে না তাই আমিই লেখক" কথাখানা কিন্তু ঠিকই কইছেন !
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
হুম ।
সুন্দর মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক অবনি মণি ।
শুভ কামনা রইলো ।
৩| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: গল্পেআমাদের সমাজের কলিম-রাহেলাদের বাস্তব জীবনচিত্র সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেছেন।
শুভকামনা।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক পার্থ তালুকদার ভাই ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
৪| ০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
আধখানা চাঁদ বলেছেন: গল্পে প্রথম ভাললাগা।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
ভাললাগার মন্তব্যে অনেক ভাল লাগলো আধখানা চাঁদ ভাই ।
ভাল থাকবেন সবসময় ।
৫| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৮:০৩
সুমন কর বলেছেন: উৎসর্গ দেখেই ২য় লাইক দিলাম।
প্রথম কেউ অামাকে উৎসর্গ করে কিছু লিখল। প্রিয়তে।
গল্প পড়ে মন্তব্য করছি।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
শুনে অনেক ভাল লাগলো আমিই প্রথম ।
প্রিয়তে নেওয়ায় অনেক ভাল লাগলো সুমন ভাই ।
৬| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৮:৩১
সুমন কর বলেছেন: দারিদ্র্য নামক বিষধর সাপ যে তাকে নিয়মিত কামড় দিচ্ছে তার খবর কে রাখে ? এই সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয় না ঠিকই কিন্তু এ বেঁচে থাকা থেকে মৃত্যুই ভালো। ..........
সে যদিও কখনো খুন করেনি । খুন করার সময় না হয় ভেবে নিবে সে দারিদ্র্য নামক বিষধর সাপকেই খুন করছে ! তখন সে অবশ্যই পারবে । ....
চমৎকার বর্ণনা। কলিমুদ্দিন-রাহেলা-রাঘবের কাহিনী বেশ সুন্দর হয়েছে। গল্পে বাস্তবতা অাছে। তাই বেশী ভালো লাগল। বেশ কিছু লাইন কিছু অসাধারণ।
এটা মোটেও কাঁচা হাতের লেখা নয়।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যে বেশ ভাল লেগেছে । গল্পটার অনুভূতি প্রকাশে মনে হচ্ছে গল্পটা উৎসর্গ করা স্বার্থক ।
শুভ কামনা রইলো অনেক ।
৭| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৯:৩০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভালো লাগা ভাই। অনেক।
কিন্তু কাঁচা হাতের গল্পটি মানে কি?
কাঁচা হাতের মালিক কে?
চিন্তায় ফেললেন!!!
তবু শুভকামনা থাকছে আপনার জন্য।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
হা হা হা । প্রশ্নটা আমারও !! আসলে এখানে আপনাদের মত গুণীদের ভীড়ে আমি নিতান্তই কাঁচা হাতের ।
মন্তব্যে অনেক ভাল লেগেছে দীপংকর চন্দ ভাই ।
শুভ কামনা অনিঃশেষ ।
৮| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার গল্পে +++ এবং ভালোলাগা। দারুন হয়েছে ককাশে ভাই। আপনার গল্প লেখার হাত কিন্তু অনেক ভাল, আগেও বলেছি, আবার বললাম। লিখতে থাকুন, সময় করে আমরাও পড়তে থাকি।
ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
উচ্ছসিত চমৎকার প্লাস মন্তব্যে অনেক অনেক ভাললাগা বোমা ভাই ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
৯| ০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
এম এম করিম বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
ভাল লাগার মন্তব্যে অনেক ভাল লাগলো এম এম করিম ভাই ।
ভাল থাকবেন সবসময় ।
১০| ০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনজন মানুষের পারস্পরিক জটিলতা এবং সম্পর্কের নাটকীয় মোচড় গল্পটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে আপনার অন্যতম সেরা লেখা। উৎসর্গ করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
তবে প্রশ্নটা হলো, শেষের গুলির আওয়াজটা কোথা থেকে এলো? কে কাকে গুলি করেছে? কলিমুদ্দিনেরই হবার কথা হিসেবমতো। কিন্তু সে পিস্তল পেলো কোথায়? ১৫ হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে পিস্তল কিনেছিলো নাকি?
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
আসলে এইখানে আমি একটা টুইস্ট রেখে দিয়েছি । চেয়ারম্যানই এই আগুন্তককে ভাড়া করে এনেছিল রাঘবকে হত্যা করার জন্য । আর সেই ফাঁদে পড়ে গিয়েছে কলিমুদ্দিন । এই বিষয়টা ভেবেছিলাম উল্লেখ করবো । কিন্তু পরে ভাবলাম থাক না কিছু অগোচরে, পাঠক একটু ভাবুক নিজের মত করে । :#>
আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে খুব ভাললেগেছে হামা ভাই ।
শুভ কামনা রইলো ।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ৮:০০
িপএমকনক বলেছেন: ভালো
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তরে দুঃখিত ।
ভালো মন্তব্যে ভাল লাগলো িপএমকনক ভাই।
ভাল থাকুন সবসময় ।
১২| ০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গল্পটা অসাম হইছে। ++
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাম মন্তব্যে অসাম লেগেছে শতদ্রু একটি নদী... ভাই ।
ভাল থাকবেন সবসময় ।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
জেন রসি বলেছেন: চমৎকার গল্প লিখেছেন।
++
০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক জেন রসি ভাই ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
১৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,
বেশ জটিল ।
দারিদ্র্য নামক বিষধর সাপ যে তাকে নিয়মিত কামড় দিচ্ছে তার খবর কে রাখে ?
কলিমুদ্দিনদের খবর আসলেই রাখেনা কেউ ।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক আহমেদ জী এস ভাই ।
শুভ কামনা সবসময় ।
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৯:১৬
জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো গল্পটি ।
একদম কাঁচা হাতের লেখা নয় এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় ককাশে ।
+
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক ভাললাগার মন্তব্যে অনেক ভাললেগেছে জুন আপু ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১০:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা তো খুব ই ভালো হয়েছে , হা-মা ভাইয়ের প্রশ্নটা ও আমার মনে ।
লেখায় +++++++++
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আসলে এইখানে আমি একটা টুইস্ট রেখে দিয়েছি । চেয়ারম্যানই এই আগুন্তককে ভাড়া করে এনেছিল রাঘবকে হত্যা করার জন্য । আর সেই ফাঁদে পড়ে গিয়েছে কলিমুদ্দিন । এই বিষয়টা ভেবেছিলাম উল্লেখ করবো । কিন্তু পরে ভাবলাম থাক না কিছু অগোচরে, পাঠক একটু ভাবুক নিজের মত করে ।
সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভাললাগলো মনিরা সুলতানা আপু ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
১৭| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা। পড়ে আনন্দ পেয়েছি।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আনন্দ পেয়েছেন জেনে অনেক ভাললাগলো প্রোফেসর সাহেব ।
শুভ কামনা রইল ।
১৮| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৭
তুষার কাব্য বলেছেন: কাঁচা হাতেই কিন্তু দারুন কিছু বেড়িয়ে আসলো
শুভকামনা ভাই।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:১০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ভাল লাগলো তুষার কাব্য ভাই ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
১৯| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪২
মিনি বেগম বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো ।
০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাললাগার মন্তব্যে ভাল লাগলো অনেক মিনি বেগম ।
শুভ কামনা সবসময় ।
২০| ০৯ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩
সুফিয়া বলেছেন: খুব ভাল লাগল। সংসরের নিত্য দিনের অভাব কিভাবে মানুষের নৈতিক স্খলন ঘটায় তার একটা জ্বলজ্বলে চিত্র দেখতে পেলাম।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৯ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য সুফিয়া আপু ।
ভাল থাকুন সবসময় ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
গল্প ভালো লেগেছে।