![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন সসীম দায়বদ্ধ কোম্পানি(পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি) যারা স্টক একচেঞ্জে নিবন্ধিত তাদের শেয়ার বেচা কেনা করা হয়। একে পুঁজি বাজার ও বলা হয়।
“এক কথায় বলতে গেলে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতোগুলো ছোট অংশে ভাগ করে জনগণের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়, এই প্রত্যেকটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে।
কিভাবে শুরু করা যায়
প্রাপ্ত বয়স্ক মানে ১৮+ যে কেউ শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে তার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্যাংকে সঞ্চয়ী (savings) হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে CDBL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে।
প্রাইমারী ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার কিনতে হলে আপনার একটি B.O. Account থাকতে হবে। যেটি আপনাকে খুলতে হবে কোন একটি Broker House থেকে। সেজন্য আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। একটি ব্যাংক একাউন্ট এর বিপরীতে আপনি একটি প্রাইমারী শেয়ার এর জন্যই অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। যতদূর জানি নেটের মাধ্যমে প্রাইমারী শেয়ার কেনা যায় না। যখন আপনি B.O. Account খুলবেন, তারপর আপনাকে ঐ কোম্পানীর প্রাইমারী শেয়ারের আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐখানে যেসব ব্যাংক এর লিস্ট থাকবে তার যে কোন একটি ব্যাংক এ তা জমা দিতে হবে। ফরেন কারেন্সী একাউন্ট হলো যে B.O. Account টি দিয়ে Share কেনাবেচা করবেন, সেটি ফরেন কোন কারেন্সী দিয়ে করবেন। আর যেটাই করেন না কেন, সবকিছুই করতে হবে আপনার একটি Broker House এর মাধ্যমে।
বিও একাউন্ট খুলতে যা লাগবে
১।ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ২।ব্যাংক সার্টিফিকেট/ভোটার আইডি/পাসপোর্ট। ৩।একজন আইডিটেন্টি ফাইয়ার। ৪।পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ৫।একজন নমিনি।
একজন বিনিয়োগকারী দুটির বেশি বিও একাউন্ট খুলতে পারেন না। সেজন্য তাকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা দিতে হবে। মানে ব্রোকার হাউজ বিশেষ এই দর কম বেশি হয়। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার এর পার্থক্য প্রত্যেক বছর বেশ কিছু কোম্পানি IPO (ইনিশিয়াল পাবলিক অফার ) দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো বাজারে প্রবেশ করে বা শেয়ার বাজারে ছাড়ে তাকে প্রাইমারি শেয়ার বলে। যখন আপনি B.O. Account খুলবেন, তারপর আপনাকে ঐ কোম্পানীর প্রাইমারী শেয়ারের আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐখানে যেসব ব্যাংক এর লিস্ট থাকবে তার যে কোন একটি ব্যাংক এ তা জমা দিতে হবে। আর যেটাই করেন না কেন, সবকিছুই করতে হবে আপনার একটি Broker House এর মাধ্যমে। প্রাইমারি শেয়ার একবার বাজারে বিক্রি হয়ে গেলেই তা সেকেন্ডারি হয়ে যায়। তখন সেটা সেকেন্ডারি মার্কেট চলে আসে আর সেই শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য করা হয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি ইচ্ছা মতো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। পুঁজি ও ঝুঁকি কেমন শেয়ার বাজারে বর্তমানে দুটা ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে। প্রাইমারি(আইপিও) এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি শেয়ারের জন্য আবেদন করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক শেয়ারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই কম। সেকেন্ডারি মার্কেটে লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি ঝুঁকিও বেশি আছে। না বুঝে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা ঠিক নয়। তাই কোনো রকম গুজবে কান না দিয়ে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করাই ভাল। পেশাদার সেকেন্ডারি ব্যবসায়ী বেশি টাকা নিয়া শুরু করতে হবে।
সাধারণত শেয়ার বাজারে শতকরা ১০০ জন এর মাঝে দেখা যায়
• ৪০ শতাংশ বাজারের কিছুই জানেন না।
• ৫০ শতাংশ কিছু কিছু জানেন।
• আর ১০ শতাংশ আছেন যারা মোটামূটি পূরো বাজার নিয়ন্ত্রন করেন।
শেয়ার বাজারের অতিমূল্যায়িত আর অবমূল্যায়ন বা নিম্নমূল্যায়নঃ
অতিমূল্যায়িত (Overvalued): যে শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্য তার আর্থিক সামর্থকে অনুসরন করে না, সে শেয়ার গুলই অতিমূল্যায়িত শেয়ার বলে পরিচিত হয়। আর বাজার সংশোধনে এরাই সবার আগে মূল্য হাড়ায়। অর্থাৎ আয়ের তুলনায় কোন শেয়ারের উচ্চ বাজার মূল্যই অতিমূল্যায়নের লক্ষণ।
আর অবমূল্যায়ন বা নিম্নমূল্যায়ন (Undervalued) হল অতিমূল্যায়িত (Overvalued) এর বিপরীত অবস্থা। সুতরাং অতিমূল্যায়িত শেয়ার খুজে বেরকরতে পারলে অবমূল্যায়িত শেয়ার গুলও বের করা সম্ভব। মূলত ৬ ভাবে অতিমূল্যায়িত শেয়ার চিন্থিত করা যায়:
১। High p/e or low earnings yield: আয় ও বাজার মূল্যের অনুপাত বেশি হলেই তা অতিমূল্যায়িত। আমাদের বাজারে পিই ১৫-২০ গ্রহনযোগ্য কিন্তু তা ২৫ ছাড়ালেই শতর্ক হওয়া উচিত। আর earnings yield হল পিইর আরেক রূপ। earnings yield = ১/পিই = (১/২৫)*১০০ = ৪% এটা যত কম হবে ঝুকি তত বাড়বে।
২। Falling dividend yield: কম্পানির বোনাস পলিসির পরিবর্তন হলেই ডিভিডেন্ড দেয়ার হার কমে/বাড়ে। যে কম্পানি আগে ১০০ টাকা লাভ করলে ৭৫ টাকা বোনাস দিত সেই কম্পানি যদি হটাৎ করে ৬০ টাকা দেয়া শুরু করে কিন্তু বাজারে দামের কোন লক্ষনিয় হের-ফের হয় না তখন বুঝতে হবে এই শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পরছে।
৩।High price to earnings growth ratio: ধরুন কম্পানি ক এর ২০০৮ এর আয় (EPS) ১০ ও ২০০৯ এ ১১ টাকা। অর্থাৎ আয় বৃদ্ধির হার {(১১-১০)/১০}*১০০ = ১০% আবার ২০০৯ এ পিই হল ২৫। মানে ২০০৯ এ আয় বৃদ্ধির হার ও পিই'র অনুপাত (২৫/১০)= ২'৫ । এই অনুপাত ২ এর বেশি হলে তা অতিমূল্যায়নের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
৪।High price to book ratio: ধরুন কম্পানি ক এর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) ২০০ টাকা আর বাজার মূল্য ৬০০ টাকা। অর্থাৎ দুটর অনুপাত হল ৩ ! যেখানে ২ হলেই শীর্ষস্থানীয় শেয়ার বাজারে হাউ-কাউ শুরু হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থা ভিন্ন তাই এখেত্রে NAV কমলেও যদি বাজার মূল্য না করে তবে বুঝতে হবে এই শেয়ার অতিমূল্যায়নের দিকে যাচ্ছে।
৫।Low return on equity: কম্পানির নিট লাভ ও শেয়ার হোল্ডারদের হাতে থাকা শেয়ারের সব শেয়ারের দামের অনুপাত (বাৎসরিক গড় দাম * মোট শেয়ার সংখ্যা)। এই অনুপাত বিগত বছরগুলর সাথে মিলিয়ে যদি দেখা যায়, অনুপাতের পতন ঘটেছে তখন তা অতিমূল্যায়নের ইঙ্গিত দেয়।
৬।The boss is selling: সব চেয়ে সোজা উপায় আর কি ! কম্পানির মূল্য উদ্দোগতা বা স্পনসররা যখন তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেয় তখন বুজতে হবে ঐ কম্পানির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। ৩ কারনে এই বিক্রি হতে পারে -
ক। এক জন শেয়ার হোল্টার কোন কম্পানির বাজারে ছারা মোট শেয়ারের ৫% হোল্ড করতে পারেন। ফলে বোনাস আকারে এই শেয়ারের পরিমান বেড়ে গেলে অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয়।
খ। মূলধন অন্য কোন ব্যাবসায় স্থানান্তর করতে।
গ। উঠতি বাজারে বিক্রি করে তা আবার কম মূল্যে কেনার উদ্দশ্যে।
মূলত খ ও গ এর ক্ষেত্রে তা শেয়ারের অতিমূল্যায়ন ইনডিকেট করে।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১৭
সবুজ কামরুল বলেছেন: কনডম ও তার ইতিহাস................।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:০৮
নীল দরিয়ার মাঝি বলেছেন: অপ্রাসংগিক মন্তব্য:
এটাও দেখতে পারেন। আমি মূলত এই সাইট টা তৈরী করতেছি মাইক্রোওয়ারকার্স এর পোস্ট সাবমিট করার জন্য। এটা মূলত তাদের জন্য যাদের আমার মত কোন হাই পেজ রেংক এর সাইট নাই। আপনারা সবাই জদি এই সাইট টা মাইক্রোওয়ারকার্স এর পোস্ট সাবমিট করার জন্য ইউস করেন তাহলে আসতে আসতে এটার পেজ রেংক বারবে এবং সবাই মাইক্রোওয়ারকার্স এর মত সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবো। কারন পি.আর ৪ এর এটা সাইট এ পোস্ট সাবমিট করলে ১.৫০-৩.০০ ডলার পযন্ত পাওয়া যায়।