![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানে কথার শেষ,সেখান থেকে সঙ্গীতের শুরু..আমরা অবশ্য চাপাবাজি আর গান দুটোই ভালোবাসি।তবে বেঙ্গলের ক্লাসিক্যাল মিউজিক উৎসবকে ঘিরে আমাদের উচ্ছ্বাস বা আদিখ্যেতা আমদের জাতীয় গড় শিক্ষা,রুচি সাংস্ক্রিতিক মানের সাথে ঠিক যায়না।আমন্ত্রিত মহীরুহ শিল্পীরা এই সব সমঝধারের পাল দেখে প্রায়ই ঘাবড়ে যান..অনেকে তো মঞ্চ থেকে নামতেই চান না
একটা নির্মোহ বিশ্লেষণ করলে কেমন হয়?
১. পাঁচ দিনের পুরো অনুষ্ঠানটি ফ্রি।বাঙালি মলমুত্র ছাড়া কিছুই ত্যাগ করেনা..তাই বিনে পয়সায় বিনোদন পেলে তার রক্ত খলবলিয়ে ওঠে...সেটা প্রভার ভিডিওই হোক বা শিব কুমার শর্মার অডিও হোক!
২. এই এক জায়গা, যেখানে দৃশ্যত কোন শ্রেণীবৈষম্য নেই..আকবরের হোটেল আর হোলি আরটিজানের একিই দর!শনির আখড়ার যে ক্ষুদারথ কুদ্দুস বনানির সানজানাকে ভেবে ভেবে লোল(অন্য কিছু!)ফেলে..এইখানে এসে তাকে প্রায় ছুয়ে ফেলার দুরুত্তে দেখতে পায়।উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত না হয় মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল..নিম্নাঙ্গের কিছু সুখ তো হোল!
৩. পুরো ব্যাপারটা মঞ্চস্থ হয় রাতের বেলায়।নিশীথের একটা নিজস্ব আবেদন আছে।তাছাড়া রাত জেগে অনবরত স্ট্যাটাস আর ছবি আপলোড দিয়ে নিজেকে জাতে তোলার একটা অক্ষম চেষ্টাও আছে।
৪. অনুষ্ঠানের যায়গাটার গুরুত্বও দারুণ।ক্যান্টনমেন্ট এলাকা-যেটা এমুহূর্তে জনসমাবেশের জন্য সবচাইতে নিরাপদ স্থান,যেখানে আর যাই হোক বেঘোরে জঙ্গি/শহিদ বা আত্মত্যাগী হিরো হবার কোন আপাত সম্ভাবনা নেই!
তবে শেষ বিচারে এই বাৎসরিক উদ্যোগটি ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়। ঈদের পরদিন চিড়িয়াখানার হাড্ডিসার সিংহ দেখা ছাড়া এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিনোদনের কিছুই নেই।তাই আলগোছে যাই পাওয়া যায়, সেটাই বোনাস।
শুধু ঢাকার বাইরের মানুষরা নিজেদের কিছুটা বঞ্চিত ভাবতেই পারে,কেননা জব্বারের বলি খেলা ছাড়া এদেশের সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক।তবে এ নিয়ে খুব একটা মন খারাপ করারো কিছু নেই, দিন শেষে সবার অবস্থা একিই..কারো দীর্ঘশ্বাস বড়, কারোটা ছোট..এই যা!
©somewhere in net ltd.