| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তহোন আমি স্কুলে পড়ি । বাসার থেইকা ৫ টাকা করে দিত স্কুলে যাওয়ার জন্য । একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে, রাস্তার পাশে পরাটার সুগন্ধ আমার নিয়ত খারাপ কইরা দিল । স্কুলে না গিয়া, বইসা পরলাম ১টাকার পরোটা আর তার সাথে ফ্রী ডালের আশায় । ৪ টাকায় জব্বর নাস্তা। ঐসময় ৪ টাকার ম্যালা দাম । হোটেলে বাজতাছে সেকালের হিট করা হিন্দি গানগুলো । যেন খাবারের সাথে রসমালাই । গান শুনতে শুনতে স্কুলের সময় পার হইয়া গেল । পকেটে যে ১ টাকা ছিল, তাই দিয়া ২টা লেবেঞ্চুস খাইতে খাইতে বাসায় চইলা আসলাম ।
বাসায় ফিরেতেই আব্বা জিজ্ঞাস করলো । আজ স্কুলে কি শিখছো বাপজান । আমি কইলাম .........তু চিজ বারি হ্যা মাস্ত মাস্ত । কইতেই বাপজান পিঠের উপরে ঢোলক বাজাল । আমার পিঠ যেন গোপাল ভাঁড়ের ভুড়ির মত উচু হইয়া গেল । তারপর থেকে আর ওইরকম কাম আর করি নাই, যে বাপে আমার পিঠে ঢোলক টিউন করার সুযোগ পায় ।
প্রাইমারি পার কইরা হাইস্কুলে উঠলাম । ছাত্র হিসাবে খুব একটা খারাপ ছিলাম না, তাই স্কুল শিক্ষক বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করায় দিল । তবে ফাঁকিবাজিতো আমার শিরায় শিরায় বহমান । ক্যামিস্ট্রি ক্লাসের ওই মদন স্যারকে কেওই পছন্দ করত না । তাই ওই ক্লাসের সময় বন্ধুরা সবাই থাকতো স্কুলের ছাদে । এক বন্ধু ছিল চটি বইয়ের রাজা । প্রতিদিন সে একটা করে নতুন চটি নিয়া আসতো । আর চটির ক্যামিস্ট্রি কেমন সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞ্যান দিত । ক্লাসের ফার্স্টবয় থেকে লাস্টবয় পর্যন্ত সবাই এ জ্ঞ্যানে সমৃদ্ধ ছিল । একদিন প্রিন্সিপাল স্যার কোনভাবে জানতে পারলো ক্যামিস্ট্রি ক্লাসে ছাত্ররা কেন আসে না । জোড়া ব্যাত হাতে স্কুলের ছাদের উপরে উঠে দিল ধাওয়া । সেদিন আমরা সবাই মুটামুটি পালাতে সক্ষম হই । তবে ধরাপইরা গেল আমাদের চটির রাজা পিয়াল। পরদিন প্রিন্সিপালের অফিসে পিয়ালের রিমান্ড মঞ্জুর হয় । দোস্ত আমার তোঁতা পাখির লাহান আমগো সবার নাম কইয়া দিল । প্রিন্সিপাল স্যারেও সুযোগ পাইয়া আমগো সবাইরে এক লাইনে দাড় করাইয়া , নিতম্বের উফরে বাজালো দামাদাম্ মাস্ত ক্যালেন্দার । সেই থেইকা ছাদের উফরে ক্যামেট্রি ক্লাস অনিদৃস্ট কালের জন্য বন্ধ হইয়া গেল ।
©somewhere in net ltd.