নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ জাহিদ হোসেন

জাহিদহোসেন

দয়া করে আমার কোন লিখা অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। আর আমার আর্টিকেল এর সাথে আমার নাম উল্লেখ করবেন যদি কোথাও শেয়ার করতে হয়। আইন বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমার সাহিত্য নিয়ে লিখার দক্ষতা চলে আসে। মুসলিম আইন পড়তে গিয়ে আমি পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদও পড়তে শুরু করি সে সাথে হিন্দু আইনের উৎস জানতে গিয়ে বেধ, রামায়ণের অংশ পড়ি। কিন্তু নিন্দুকেরা বলে, আইনে পড়া মানেই মিথ্যা কথা বলবে। আজ পর্যন্ত আইনের বইগুলোতে তো কোন মানুষের নিজের কথা বা যুক্তি দেখলাম না। শুধু নিয়ম আর নিষেধ দেখলাম। তাহলে নিন্দুকেরা কেন এসব বলে। আমি বলি, “অজ্ঞতাই মূর্খতার শামিল”। তাই আসুন এসব মূর্খদের পরিহার করে চলি ও তাদের সাথে তর্ক না করি। কারণ “তর্কে জিতার সব চেয়ে বড় কৌশল হল তর্ক না করা”-(ডেল কার্নেগী)। কি আর করা, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে দিন কাটানো। আইনের ছাত্র হিসেবে দেশের সাধারণ ও নিম্মবিত্ত মানুষের কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করা আর দেশের আইন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার সপ্ন। ছোট কাল থেকেই যখন অন্যায়, অত্যাচা্‌র, অবিচার দেখে দেখে নিজের চোখের পানিও ধরে রাখতে পারতাম না তখন থেকেই সিধান্ত নিলাম লড়ে যাব...................

জাহিদহোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন ও পর্ণোগ্রাফী করে অর্থ আদায়

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৮



মোঃ জাহিদ হোসেন : সারিকা(ছদ্ম নাম) আট মাস আগে একটি এন.জি. ও.তে চাকরী নিয়েছিল। চাকরীর সুবাদে তাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। একবার বার তাকে কামাল(ছদ্ম নাম) নামের তার এক সিনিয়র অফিসারের সাথে একটা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে সিলেটে যেতে হয়েছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সারিকা আর তার অফিসারের সাথে একটা ভাব জন্মাতে থাকে। এক সময় তাদের এই ভাব ভালবাসাই পরিণত হয়।



সারিকা মনে প্রাণে কামালকে বিশ্বাস করতে থাকে। কিন্তু কামাল সারিকা ছাড়াও এইভাবে আরো বহু মেয়েকে তার ফাঁদে ফেলেছিল যেটা সারিকা কখনও জানতে বা বুঝতে পারেনি। কামাল সারিকাকে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে সপ্ন দেখাতে থাকে এবং বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।



ইতিমধ্যে কামাল সারিকাকে একটা অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে চাপ দিতে থাকে আর বলে “আর কিছু দিন পরেই তো আমাদের বিয়ে হবে, এতো ভয় কিসের”। সারিকা বাদ সাধে। কিন্তু কামালের জড়াজড়িতে আর কামালকে হারাবার ভয়ে সে আর কিছু বলতে পারেনি। এরপর কামাল ও সারিকার মাঝে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে যায়। কিন্তু দিন যায়, মাস যায় কামাল সারিকাকে “করছি, “করব” করে আর বিয়ে করে না।



কামাল ঐ এন.জি. ও.থেকে চাকরী ছেড়ে চলে যায়। এরপর কামাল সারিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সারিকা হাজার চেষ্টা করেও কামালের নাগাল পায়নি। কিছু দিন পর সারিকা কামালের সন্ধান পেয়ে তাকে তাদের বিয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে থাকে। কিন্তু কামাল সারিকাকে বিয়ে তো দূরের কথা বরং বেশি বারাবারি করলে কামালের মোবাইলে ধারণ করা তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে জানায় এবং দশ দিনের মধ্যে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা না দিলে কামাল এটাই করবে বলে হুমকি দেয়।



এ কথা জানার পর সারিকার মাথায় যেন আকাশ ধ্বসে পরলো। তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া সারিকার আর কিছুই করার ছিল না। সমাজের লাজ-লজ্জা ভয়ে আর নিজের বোকামির কথা চিন্তা করে সে এসব কথা আর কাউকে বলতেও পারল না। তার ভেতর কামালের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা হতে লাগল আর দ্বিতীয় বার সে এই জঘন্য মানুষকে বিয়ে করার কথা ভাবতে পারেনি। ভেবেছিল আত্মহত্যা করবে। কিন্তু পরে নিজের অসহায়ত্তের কথা চিন্তা করে সে কামালকে ধার-দেনা করে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। ভাবলো কামাল আর কোন সমস্যা করবে না।



এরপর বেশ কিছু দিন যাওয়ার পর আবার কামাল তাকে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য খবর দেয় এবং না দিলে ইন্টারনেটে ও মোবাইলে তার গোপন ভিডিও ক্লিপগুলো ছেড়ে দিবে বলে জানায়। কিন্তু এবার সারিকা আর সহ্য করতে পারেনি।



সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা চিন্তা করে এবং একটি মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতাও চায়। সেখানে সে মহিলা মানবাধিকার আইনজীবীদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তাকে তারা সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।



এবার দেখি দেশের প্রচলিত আইনে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কি বলা আছে বা এর প্রতিকারই বা কি? পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন – ২০১২ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোন সুবিধা আদায় বা কোন ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোন পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করলে তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন। এছাড়াও কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে এই ধরণের অপরাধের জন্য তিনি সর্ব্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।



আমরা দেশের আইন কানুন সম্পর্কে তেমন সচেতন নই। আবার অনেকে কোর্ট-পুলিশের ঝামেলা হবে মনে করে আইনের আশ্রয় নিতে চায় না। তাই এসব অপরাধ করতে অপরাধীরা আরো বেশি সাহস পেয়ে যায় এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি করে। তাই এখনই আমাদেরকে এসব অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।







লেখকঃ ছাত্র ও মানবাধিকার কর্মী

আইন বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Contact number: ০১৬৭২০১১৫৫১

Email: [email protected]



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অমানবিক এই চরিত্র গুলি সমাজের
বাজায় গুল
ছিঃ নষ্ট বিবেক একি গণ্ডগোল ।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২১

শার্ক বলেছেন: You should provide updates on this matter not the same post everyday :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

জাহিদহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি আমার আপাতত যে লিখা গুলো প্রকাশিত হয়েছে তা দিচ্ছি সচেনতার জন্য। তাই আমি চাই এসব সামাজিক সমস্যা সবাই জানুক।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: মাত্র দুই লক্ষ টাকা? আমি আগে ৫০লক্ষ টাকা কামাই করি তার পর ২০ টা মেয়ের সর্বনাশ করব। তাদের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিব। বাকি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে রাজার মত চলব :#) =p~

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

নিষিদ্ধ মানুষ বলেছেন: জাহিদ ভাইয়া আল কোরআনের কিছু ব্যাকরন গত সৌন্দর্য্য নিয়ে আমি এই NOTE টা পড়েছি। Click This Link আপনি এই NOTE টা পড়ে একটু Share করলে খুশী হতাম। আপনার তো Facebook এ অনেক Friend ও Subscriber.

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭

জাহিদহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি তা শেয়ার করব।

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

চারশবিশ বলেছেন: আসলে আমাদের শুরুতেই গলদ
মেয়েটি জানে ও বোঝে বিয়ের আগে শাররিক সম্পর্ক করা ঠিক হবেনা কিন্তু তাও অনৈতিক কাজটি করতে মেয়েটি সায় দেয়
এসব ব্যাপারে মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে

@মোঃ আব্দুস সালাম
এটা বিকৃত রুচির পরিচয়, বলতে পারেন দুই লক্ষ টাকা অনেক কম

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

জাহিদহোসেন বলেছেন: ভাই আমি নিজে দেখেছি কি ভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েও এতো সচেতন হয়ে এই ধরণের প্রতারণাতে পা দিচ্ছে। অনেক বুঝিয়ে ছিলাম তাকে কিন্তু সে প্রতারনায় পরে উল্টা ছেলেটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে।

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

ফারজানা শিরিন বলেছেন: মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: মাত্র দুই লক্ষ টাকা? আমি আগে ৫০লক্ষ টাকা কামাই করি তার পর ২০ টা মেয়ের সর্বনাশ করব। তাদের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিব। বাকি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে রাজার মত চলব :#) =p~

ভাই কোন মতলবে বলছে জানি না । তবে সত্যি কথাই বলছে !!! একজন মানুষের সম্মান মাত্র ২০০০০০/= টাকা ???

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

রাসেল ভাই বলেছেন: আসলে আইনের লোকের কারনে আইনের প্রতি মানুষের একটা ভিতি কাজ করে । যারা আইন রক্ষা করবে সেখানেই যেনো আইন সবচাইতে অসহায় ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫১

জাহিদহোসেন বলেছেন: বুঝলাম না আপনি ঠিক কি বুঝতে চেয়েছেন?

৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

ত্ানজীর বলেছেন: আইন আছে কিন্তু আইন এর প্রয়োগ যথা যত হলে কেউ আর খারাপ কাজ করার সাহস পাবে না ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

জাহিদহোসেন বলেছেন: কিন্তু এই পৃথিবীতে অপরাধীদের একেবারে নিমুল করা যাবে না।তবে আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.