নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে আমার অস্তিত্ব,তোমাদের নগরের আগন্তুক।।ডানাঝাপটানো আহত পাখি,ঘাসফুলে লুকনো এক টুকরো সুখ।।

জাহিদ হাসান রানা

একজন নিরীহ মাইক্রোবায়োলজিস্ট...

জাহিদ হাসান রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিশ্বাসের ব্যাবচ্ছেদ-১

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

প্রশ্ন:আচ্ছা,কবরের আযাব যদি আসলেই হত তাহলে আমরা দেখতে পাই না কেন?মাত্র তো সাড়ে তিন হাত মাটির নীচেই লাশ রাখা হয়।তাহলে???
উত্তর:
ধন্যবাদ।আপনি আপনার প্রশ্ন করতে গিয়ে একটা শব্দ উচ্চারন করেছেন।সেটা হল লাশ।লাশের বাংলা করলে দাঁড়ায় কিছুই না।ইংরেজীতে বলে death body.তাহলে দেখুন লাশ আর জীবন্ত মানুষের মধ্য পার্থক্য কোথায়?একটা বাচ্চা জন্ম নিয়েছে।হাত,পা এবং শরীরের অন্য সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই স্বাভাবিক।এখন বাচ্চাটার হার্টবিট যদি চলে তখন তার নাম রাখা হয়।তার স্থান হয় মায়ের কোলে।
কিন্তু হার্টবিট না হলে?এটা মৃত বাচ্চা।কিসের কারনে সে মৃত?
সব ঠিক থাকা সত্বেও বাচ্চাটার শরীরে রুহ বা আত্না নেই।
এখন বলুন তো এই রুহ বা আত্নাটা আপনি কখনও দেখেছেন?দেখননি।তাহলে এই আত্নার উপর আযাব আপনি কেমন করে দেখবেন।
মানুষের এই সাড়ে তিন হাত দেহটা আসলে কিচ্ছু না।দুনিয়াতে চলার জন্য এটাকে আল্লাহ তাআলা শুধুমাত্র একটা বাহন হিসেবে দিয়েছেন।মৃত্যুর পর যেটা মাটির সাথে মিশে যায়।পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা এই রুহের জন্য নতুন করে দেহ বানাবেন।যেমন বিভিন্ন হাদীসের রেওয়াতে এসেছে জান্নাতীদের দেহ হবে ৬০ হাত লম্বা এবং অসম্ভব রকমের সৌন্দর্যমন্ডিত (যা দুনিয়ার কোন চোখ কল্পনা করতে পারে না)।আবার জাহান্নামীদের দেহ হবে আযাবের জন্য উত্তম উপযোগী এবং ভয়ংকর রকমের বিশ্রী (যা কোন দুনিয়ার চোখ কল্পনা করতে পারে না।)
তাহলে বুঝতেই পারছেন আসল জিনিস হল রুহ বা আত্না।আর এটাকে আমাদের মানবচক্ষু দেখতে পারে না।তাই কবরের আযাব রুহের উপর হওয়ার কারনে আমরা কবরের আযাবও দেখতে পারি না।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

জোকস বলেছেন: স্বাগতম

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

জাহিদ হাসান রানা বলেছেন: শোকরান জনাব B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.