![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলা থেকেই ভাল কিছু করে দেখাতে চাইতাম। স্পেশালি আমার দেশের জন্য... আমি ধান-শালিক আর মেঠোপথের এই বাংলাদেশকে খুব ভালবাসি। দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় আমার নিরন্তর পথচলা। আমি বিশ্বাস করি চিরসবুজ বন্ধুত্বে। তাইতো আমি সবসময় বন্ধুসলভ, নির্মল বন্ধুত্বে না নেই। অতি কম সময়ের এ পৃথিবীতে আশেপাশে যারা আছেন যাদের সাঙ্গ করেই আমাদের পথচলা সেইসব প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভাতৃত্বের সম্পর্ক নষ্ট করতে খুবই অপছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালমানুষটিকে আমি সম্মান করি। প্রিয় রঙ সবুজ, নীল এবং এর বিভিন্ন শেড।
‘‘বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর পূর্তি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’’
‘‘বলবীর
বল উন্নত মম শির
শির নেহারী আমারি নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রীর ’’
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমর এই কবিতাটির কথা কারও অজানা নয়। অন্যায়, অত্যাচার , নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালী জাতিকে লড়াই করার প্রেরণা দেয় কালজয়ী এ কবিতাটি। ১৯২১ সালে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই অনবদ্য সৃষ্টিটি রচনা করেন। কবিতাটির ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা কলেজ বাংলাভাষা পর্ষদ ও ক্যামব্রিয়ান কলেজ ভাষা শিক্ষা পর্ষদের আয়োজনে ঢাকা কলেজ শহীদ খুররম অডিটরিয়ামে আজ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পযর্ন্ত ৩ ঘন্টা ব্যাপি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণিল মনোমুগদ্ধকর এই আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রাধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক রশিদ হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সাজ্জাত শরীফ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ক্যামব্রিয়াম কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন এম.কে. বাশার । অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলা ভাষা শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি ড. আয়েশা বেগম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্রোহের শিহরণ জাগানীয়া বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান এটিএন বাংলার আমরা করবো জয় খ্যাত শিশু শিল্পী ইসরাত জাহান ইমা। বিদ্রোহী কবিতার উত্তাল ছন্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে অডিটোরিয়াম। আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খানম এর পর একে একে নজরুলকে নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোযাজ্জেম মোল্লা, উপাধাক্ষ্য ড. আকবর হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লায়ন এম.কে বাশার বাউলি সংস্কৃতি বিনির্মানে নজরুলের অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে বেশ কিছু কবিতা শ্রোতাদের পাঠ করে শোনান। বিশিষ্ট কবি সাজ্জাত শরীফ তার বক্তব্যে বলেন ১৯২১ সালে কমরেড মোজাফরের সঙ্গে থাকা অবস্থায় বেলতলায় রাত জেগে বিদ্রোহী কবিতার জন্মের পটভূমির কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন বাংলা সংস্কৃতিকে রবীন্দ্রনাথের বলয় থেকে প্রথম বের করে আনেন কবি নজরুল । তার কলম সাম্যের কথা বলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে শুধু তাই নয় প্রেমের কথাও বলে। সভাপতির বক্তব্যে ড. আয়েশা বেগম নজরুলের স্বপ্নের বাস্তবায়নে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে বলেন। সকল মিথ্যা, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আজকের তরুনদের নজরুলের জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহনের আহ্বান জানান ।
আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এতে পারফর্ম করেন ক্যামব্রিয়ান কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠের সদস্যরা । সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথমে ইমার পরিবেশনায় মানুষ কবিতাটির আবৃত্তি দর্শদের মাঝে পিনপতন স্তব্ধতা সৃষ্টি করে এর পর এক দল ক্ষুদে শিল্পীর নুপুরের ঝংকারে প্রকম্পিত হয ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়াম। নান্দনিক সাজ-সজ্জায় শুকনো পাতায় নুপুর পায়ে গানটির নৃত্য পরিবেশিত হয় । এর পর মঞ্চে আসেন চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ খ্যাত আশা। দর্শকের মুহুমুহু করতালিতে মুর্ছা যায় অডিটোরিয়াম। আশা গেয়ে শুনান তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে গানটি । সব শেষে কারার ঐ লৌহকপাট গানটি তালে তালে দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
©somewhere in net ltd.