নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দিনাজপুরের ছেলে

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর

লিখতে না জানলেও কোন একদিন বড় লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখি....

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় গেলে বাংলায় বক্তব্য-সাক্ষাতকার দেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৬



১৫ বছর ধরে ঘরে ঘরে হিন্দি চ্যানেল চালানোর সুফল নিজের চোখে দেখে নেন। একদল তরুণ সমাজ যখন দেশের প্রতিনিধি হয়ে বাংলা , ইংরেজি বাদ দিয়ে কিভাবে হিন্দিতে কথা বলে এটা ভাবলে অনেক কষ্ট লাগে। এইসব তরুণ সমাজের দোষ কি দিবো , আমাদের সমাজের মূল শিখর হচ্ছে যত নষ্টের গোড়া। এই তো কিছুদিন আগে দেখলাম একজন মন্ত্রীকে দাদাদের খুশি করার জন্য ভুলবাল হিন্দিতে কথা বলছে।

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সাজানো গোছানো ভবনের একটি অংশে বসে আছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এমন সময় সেখানে এলেন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের হিন্দি ভাষা শাখার একজন সাংবাদিক। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর সে বিষয়ে এখানকার শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানতে এসেছেন তিনি।

অন্য একটি ভাষার দেশে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সাধারণত তৃতীয় কোনো ভাষা বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভাষা ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বাংলা ভাষাভাষী দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে ওই সাংবাদিক শুরু করলেন হিন্দি ভাষায় প্রশ্ন। এবং খুব সাবলীলভাবে হিন্দি ভাষায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলেন বাংলাদেশের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেউ শুদ্ধ হিন্দিতে, কেউ হিন্দি আর ইংরেজি মিলিয়ে ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিলেন।

বিবিসি হিন্দির লাইভ অনুষ্ঠানে ধারণ করা এই ভিডিওচিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। গতকাল শনিবার ভিডিওটি প্রকাশের পর ফেসবুকজুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়। বেসরকারি ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীদের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা।

গতকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফেসবুকে হিন্দিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিন্দা তিরস্কার করে মন্তব্য করছেন। অনেকেই আবার ইউল্যাবের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সেই সঙ্গে কিছুদিন আগে ভারতীয় একটি চ্যানেলকে দেওয়া তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হিন্দি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে বিরূপ মন্তব্যও করছেন।

বিবিসি হিন্দির ফেসবুক পেজে গতকাল সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর থেকেই বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সেটি শেয়ার দিয়ে এবং ওই ভিডিওর নিচে মন্তব্য করে নিন্দা জানাচ্ছেন।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে হিন্দিতে বর্ণনা করছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের জঙ্গি ইস্যু সম্পর্কে। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে চলে যান আলোচনা করতে। তিনি শিক্ষার্থীদের হিন্দিতে প্রশ্ন করেন এবং শিক্ষার্থীরাও হিন্দিতে উত্তর দিতে শুরু করে। কীভাবে এত ভালো হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারছেন জানতে চাইলে ইউল্যাবের ওই শিক্ষার্থীরা জানান, টেলিভিশন দেখে দেখে তাঁরা হিন্দি শিখেছেন। তাঁদের বাসায় সারা দিন স্টার প্লাস, সনিসহ বিভিন্ন হিন্দি চ্যানেল চলে। তাঁদের মায়েরাও ভারতীয় চ্যানেলের ভক্ত বলে বিবিসি হিন্দিকে জানান তাঁরা।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ফাহাদ খান নামে এক তরুণ নির্মাতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তোরা বাংলা ভাষাকে গলা টিপে মাইরা ফেল। গলা টিপে না পারলে, হিন্দি ভাষায় গালি দিয়ে।’

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লায়লা লিপি লিখেছেন, ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ২০১৬ সালে এসেও বোধগম্য না।’

শরীফ আহমেদ সাব্বির নামে একজন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বিবিসি হিন্দির সাংবাদিকরা যদি অন্য দেশে রিপোর্টিং করতে যান, তাহলেও কি তাঁরা হিন্দিতেই প্রশ্ন করেন?’

রুবায়েত সাইমম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বিবিসি হিন্দি, বাংলাদেশের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন করেছে হিন্দিতে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হিন্দিতে। ১০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিবিসি হিন্দি। ১০ জনই হিন্দিতে উত্তর দিয়েছেন। সেই ১০ জনের মাঝে একজনও বলেনি, ‘Can you please repeat the question in English?’ অথবা কেউ একবারও বাংলায় উত্তর দেয় নাই।

‘সমস্যা হিন্দিতে সাক্ষাৎকার দেওয়াতে না, সমস্যা হলো নিজের দেশের মাটিতে বসে নিজেকে ছোট ভাবাতে। আপনি হিন্দি জানতেই পারেন। কিন্তু যখন আপনি অন্য দেশের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তখন, আপনি আপনার দেশের প্রতিনিধি।”

কয়েকদিন আগে জঙ্গি ইস্যুতে একটি ভারতীয় চ্যানেলে হিন্দিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এর সমালোচনা করেন। এখন আবার ইউল্যাবের শিক্ষার্থীদের দেওয়া সাক্ষাৎকার ঘিরে নতুন করে সেই বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেকেই তথ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করছেন।

সুইডেনে অবস্থানরত বাংলাদেশি পিএচডি গবেষক প্রকৌশলী মাসুদ উর রশীদ লিখেছেন, ‘মাতৃভাষা বাদে একাধিক ভাষা শিক্ষা দোষের কিছু না, বরং তা এই বিশ্বায়নের যুগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ। আর আপনি যে কোনো মাধ্যম ব্যবহার করেই তা শিখতে পারেন। এখন প্রশ্ন হলো, আপনি কোথায় সেই বিদেশি ভাষা ব্যবহার করবেন? আপনি আপনার ব্যবসায়িক কাজে অথবা অন্য যে কোনো নিজের প্রয়োজনে সেই ভাষাভাষি দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের দেশে বসে নিজের দেশের কোনো বিষয় নিয়ে অন্য ভাষাভাষী দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন, তখন অবশ্যই মাতৃভাষাতেই কথা বলতে হবে, সেই দেশের ভাষাতে নয়। আর যখনই আপনি এর ব্যতিক্রম করবেন মনে রাখবেন তখনই আপনি নিজেকে একটা মেরুদণ্ডহীন ক্রমবর্ধমান গাছপাঁঠা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেন, তা সে আপনি তথ্যমন্ত্রী হন আর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীই হন।’

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




কিছু আগাছা সব সময় থাকে বাগানে।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আরেকটো গোড়ায় যাওয়া যাক । প্রথমত বিবিসি জানে কোথায় সে তার সাংবাদিক পাঠাচ্ছে, তার স্টকে বাংলাভাষী সাংবাদিকের অভাব থাকার কথানা । বাংগালীদের সাক্ষাতকার নিবে , নিজেদের সুনাম ও ব্যাসায়িক সফলতা নিবে আর যাদের উপর ভিত্তি করে সংবাদ রচনা করবে তাদের কথা একটুও বিবেচনা করবেনা তা কি হয় । সাংবাদিকের প্রতি তার একটা গা্‌ইড লাইন থাকা উচিত ছিল । হিন্দি চ্যানেল দেখা কিছু বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রের পক্ষে হয়ত ভুলবাল কিছু হাম তুম , ইয়া করেঙ্গা, তেয়া করেঙ্গা , কিউ মিউ , তু , আপ কেয়া মেয়া প্রভৃতি শব্দ বাংলার সাথে মিশিয়ে দিলেই হিন্দি মত হয়ে যায় , এটা কোন বিষয়না , বরং হিন্দি যারা জানে তাদের কাছে হাসির খোরাক হয় । কথা হল বিবিসি অন প্রিনসিপল এরকম করতে পারেনা । তাদের প্রচারিত সাক্ষাতকার বাংলাদেশে যারা শুনবে তাদের সিংহভাগ হিন্দি জানেনা ও হিন্দি চ্যানেল দেখেনা । তাই বাংলা ভাষীদেরকে অবজ্ঞা করার জন্য প্রথম নিন্দাটি বিবিসির প্রাপ্য । আর যারা নীজ ভাষাকে গুরুত্ব দেননি তাদের নিন্দা না দিয়ে উপহাস করাই শ্রেয় , কারণ তারা অবজ্ঞা ও উপহাস পাওয়ার মত কাজটি করেছেন পরম নিষঠার সহিত । নিন্দার কাটা তাদের গায়ে ফুটিবেনা , তবে অবজ্ঞা উপহাস তাদের গায়ে ফুটিবে হুলের মত । তারা থাকিতে চান বিদেশীদের দৃস্টিতে ভাষা জানতা পন্ডিতের মত , তাদেরকে নামিয়ে আনতে হবে নীজকে অবজ্ঞা করার জন্য মুর্খতার গন্ডিতে , এটাই তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা হতে পারে । সেসাথে বিবিসিকে করতে হবে বয়কট কারণ তারা বিভিন্ন অজুহাতে বিশ্বমাঝে আমাদের ইমেজকে করে কলুসিত । এই সামুর পাতায় এখন বিবিসি থেকেও অনেক বেশী তাজা খবরাখবর থাকে । প্রায় এক কোটি বংগ সন্তান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে , সে সাথে ব্লগার ভাই বোনেরাও ছড়িয়ে আছেন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে , প্রতি মহুর্তে তারা বিশ্বের ব্রেকিং নি্‌উজ দিয়ে যাচ্ছেন মহুর্তে মহুর্তে । বিবিসির সত্য মিথ্যার ভেজাল দেয়া সংবাদ শুণার তেমন প্রয়োজন পড়েনা । তাই বিবিসিকে বয়কটের সুর তুলে তাদের গায়ে দেয়া যায় কিছু নিন্দার আচর, যদি তাদের কিছু বোধদয় হয় তাতে ।
অনেক ধন্যবাদ এই গুরুত্বপুর্ণ পোস্টের জন্য ।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২০

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই @ডঃ এম এ আলী

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২০

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই @ডঃ এম এ আলী

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: জামায়াত এদেশ থেকে নির্মুল হয়ে গেলে একসময় বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্বও বিলুপ্ত হয়ে যাবার আশন্কা এই ঘটনায় আরো পরিষ্কার হল। বিবিসি সম্ভবত উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই কাজটি করেছে - এদেশের তরুণেরা দাসত্বে কতটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে, সেটা দেখানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.