নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’
দুরে, পথ পরিভ্রমনের পর,
যখন সূর্যটা হারায় নীল পাহাড়ের আড়ালে,
পাখীরা নীড়ে ফেরে ,অনেক দেরী হলেও।
সামান্য পানি বারবার আঁচড়ে পড়ে,
কাঠের পঁচে যাওয়া গুঁড়িটার ওপর।
স্বচ্ছ পানির তলায় পাথর:সেগুলো অস্বচ্ছ,
কতগুলোর ওপর সবুজ শেওলারা ভিড় জমিয়েছে,
অস্বচ্ছতাকে পূর্নতা দেবার আশায়।
হয়তো কোথাও কোন দুর বন থেকে
ভেসে আসা বাতাস,বাজাচ্ছে মায়াবী সুর; খুবই চেনা।
হ্রদটা অতি গভীড় ভালোবাসায়-
তার বুকে ধারন করেছে, বিশাল ধূসর আকাশের এক ফালি।
আজ প্রকৃতি নিস্তব্ধ , সবাই নি:শ্বাস বন্ধ করে শুনছে,
বাতাসের করূন হৃদয়ে চির ধরানো গান ।
ক্ষানিক বাদে যখন অহংকারী চাঁদটা আসে,
তখনও হ্রদটা তাকে বুকে আগলে ধরে ।
কালো মেঘ গুলো চাঁদের কলঙ্ককে ঢাকবার চেষ্টা করে।
অহংকারী চাঁদটা আরও অহংকারী হয়ে ওঠে যখন,
তখন মেঘগুলো চাঁদটাকে আবার উলঙ্গ করে দেয়,
এভাবে মেঘগুলো চাঁদটাকে নিয়ে ঠাট্টা করে বহুক্ষন ।
এরমাঝে প্রকৃতি পলটায় তার ঘেমে যাওয়া বেশ,
নতুন করে আবার সাজে,অদ্ভুত ভাবে ।
আলো আর অন্ধকার খেলা আরম্ভ করে,নাচতে থাকে বাতাসের গানে ।
হঠাৎ করে না , প্রকৃতি মায়াবী হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে ।
কোথাও থেকে যেন হায়নাটা হেসে ওঠে চিৎকার করে ।
বাতাস তার সুর পল্টায়, এবারের সুরে কেমন যেন অস্থিরতা।
প্রকৃতি অস্হির হয়ে ওঠে,গাঢ় নীল পাহাড়টা ধৈর্য হরায় ,
বাদ দেয় আকাশ ছোঁয়ার বৃথা চেষ্টা ,
মাতাল ছায়া হয়ে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।
বনে শোনা যায় গাছের পাতার মৃদু কম্পন,
পঁচা কাঠের গুঁড়িটা থেকে ধীর গতিতে বরে হয় কয়েকটা নিশাচর বৃদ্ধ কীট, আলোর সন্ধানে ।
আকাশে উলঙ্গ চাঁদটা কিছুক্ষন একা কাঁদে,
লোভী সাগরটা তার বুক ফুলিয়ে তোলে, চাঁদটাকে দেখে।
স্বার্থপর মেঘ গুলি চাঁদের আকুতি অগ্রহ্য করে ছূট চলে যায় দূরে ।
চাঁদের আলোয় হ্রদটা রুপালী হয়ে ওঠে,
বাতাস তার সুর বদলায়,বাজতে থাকে স্বর্গীয় এক সুর।
বনের সীমান্তের কোন এক ঝোপ নড়ে ওঠে হঠাৎ ,
ধীরে ধীরে বের হয়ে আসে হায়নাটা,
অপরাধীর মত মাথা নীচ করে ধীর পায়ে হেটে চলে ভেজা বালুর ওপর।
তারপর আস্তে করে উঁকি দেয় হ্রদটার বুকে,
দেখতে পায় তার বিভৎস রক্ত রণ্ঞ্জিত মূখ ।
হায়নাটা পানি পান করতে থাকে ধীরে ধীরে,
ধীরে ধীরে রক্তবিন্দু পানিতে মিশে বিবর্ন হতে থাকে,
হায়নাটা পানি পান করতে থাকে খুবই সাবধানে,
শেষ রক্তবিন্দুটি বির্বন হওয়া পর্যন্ত ।
তারপর চারদিকে ভয়েভয়ে তাকায় সে অপরাধীর মত,
আবার ফিরে যায় সে ঝোপটার কাছে,
কিছু একটার গন্ধ শোঁকে, এরপর মাথাটা তুলে ওপরের আকাশে তাকায়
হঠাৎ করে আবার ঢুকে যায় ঝোপের আড়ালে,
তার চোখে অবিশ্বাস,ভয়ের সংমিশ্রন ।
উলঙ্গ চাঁদটা যখন আলো বিলিয়ে বিলিয়ে ম্লান হয়ে পড়ে,
ঠিক তখনই একটা বড় কালো মেঘ এসে চাঁদের সাথে কিছু কথা বলে,
তারপর আড়াল করে নেয় চাঁদটাকে।
মুহূর্তের মধ্যে প্রকৃতি ধারন করে অন্য রুপ,অন্ধকার!
বাতাস তার সুর বদল করে না এবার,বাজাতে থাকে আগের সুরেই।
বৃদ্ধ কীটগুলি দ্রুত কাঠের গুঁড়িটায় ঢুকে যায়,
বেহোঁশ পাহাড়ের ছায়াটা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় অশরিরীর মত।
দুরবনে শোনা যায় চাপা পাশবিক আর্তনাদ,
প্রকৃতি অন্যমনস্ক হওয়ার চেষ্টা করে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪
যাযাবর জোনাকি বলেছেন: কবিতাটি ৭থেকে ৮ বছর আগে লেখা।ভাল লাগলে শেয়ার করুন।