নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের\'

যাযাবর জোনাকি

‘আমাদের চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানে একটা দেয়াল আছে, এর একদিকে থাকে চাওয়া,আর একদিকে পাওয়া। মুখ্য সমস্যা হল দেয়ালটা স্বচ্ছ কাঁচের’

যাযাবর জোনাকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্ণিমা

১১ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:১১


আজ হতে প্রায় পনের বছর আগে অথবা পনের হাজার বছর আগে কে জানে?
বসিয়াছিলাম ক্লান্ত শরীরে,বসিয়াছিলাম সোমপুর বিহারে, ক্লান্ত গোধূলির পানে
চেয়ে।এক মাঘী পূর্ণিমার বিকেলে,হাজার বছরের পোড়া মাটির র্শীর্ণ জীবাশ্মের
ওপর।গোধূলির কন্যা সুন্দরী আলো নিভিয়া গেলে, এক বিবাগী হলুদ আলো টের
পাই। পেছনে চেয়ে দেখি কাঁসার থালার মতন একখানা ধূসর হলুদ পূর্নিমার চাঁদ,
তারা দেবীর নিটোল স্তনের মতন,শিহরিত।ধূসর হলুদ স্তনের স্পর্শ ,অসুখ অগাধ।
পোড়া মাটির টেরাকোটা থেকে তারা দেবী উঠে আসিয়াছে আকাশে, ধূসর হলুদ স্তন
এক হাতে। অন্য স্তনটির ওপর হাজার বছরের বিবর্ণ নক্ষত্রের চুমকি বসানো শিফন।
তারা দেবী তার হলুদ ধূসর স্তন আগায়ে দিয়ে বলিল, পান কর এ বিবাগী অসুখ!
আমি তৃষ্ণার্ত, ক্লান্ত প্রাণ। ভালোবাসা ভুলে, পরিবার ভুলে,আগাইয়া দিলাম মুখ,
তাঁহার শিহরিত, সজাগ, স্তন্যবৃন্ত। আমি পান করিলাম জোছনা গেরুয়া মদের মতন,
যাহার ভেতরে লুকায়ে আছে আরও গভীর প্রাচীন অসুখ! যন্ত্রণা, ক্লান্তি, পরিভ্রমণ,
পাঁচ হাজার বছরের কাল পরিভ্রমণ। দেখিয়াছি মিশরের পিরামিড,উটের গ্রীবায়
আসিয়াছে থুরথুরে পেঁচার মতন নিস্তব্ধতা। দেখিয়াছি ইহুদি রমনীদিগের গলায়
শেকল। তাদের ঘাম, তাদের রক্ত মিশিয়াছে গিয়ে বালি,খড়,কাদার চতুস্কোনে।
তাহাদের গলায় গান কই? গলায় লৌহ শেকল আজ, কথাও বলে চলেছে গোপনে।
কিংবা পাঁচশো বছর আগে, ধলেশ্বরী নদীতে ভাসিতেছি, বুড়ি চাঁদ আকাশে।
গৃহবলিভুকের হাতে শঙ্খ ,বুড়ি চাঁদ নদীর পানিতে কাঁপিতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তোবা দুইশো বছর আগে পূর্নিমার রুপোলী আলোয় ঝলসানো পদ্মায় ভাসিয়াছি
বজরা হয়ে, আমার বুক ধুয়ে গেছে পদ্মার জলে, বহুকাল। বহুকাল আমি খেলিয়াছি
জন্ম-জন্মান্তর ল’য়ে। তবুও কি তৃষ্ণা মেটে? তবুও কি ভুলিতে পারি নিটোল পূর্নিমায়
তারা দেবীর স্তন, সেই ধুসর হলুদ অসুখ আজ আমার ধমনীতে,স্নায়ুতে, শিরা-উপশিরায়।
আজ আর আকাশে জোছনা বিলাস দেখিতে পারিনা। বিছানায় শুয়ে শুয়ে টের পাই ঠিক,
আজ পূর্নিমার চাঁদ। তারা দেবী কি আজও বক্ষ উন্মুক্ত করিয়াছে, কেউ পান করেছে কি অধিক
গেরুয়া মদ? তাঁহার নিটোল, শিহরিত স্তন। যাহার ভেতর লুকায়ে আছে গভীর প্রাচীন অসুখ।
পূর্নিমার রাতে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে টের পাই ঠিক, মনেপড়ে হায় অনুশ্রী দাসের মুখ।


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল লেখা।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৫

যাযাবর জোনাকী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ++

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: বাহ সুন্দর।
তবে কিছু কিছু শব্দ চলিতই রয়ে গেছে।
যেমন: নিভে, উঠে, মেটে, শুয়ে ইত্যাদি.... একটু চেক করতে পারেন।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব অশালীন ছবি দেন কেন বুঝি না। দেখলেই ঘেন্না লাগে

১১ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

যাযাবর জোনাকি বলেছেন: আপা এটা অশালীন ছবি না গো! উনি তারা দেবী, উনি বুদ্ধ! ফেসবুকে এক কিশোরী নিজেই নিজের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন আর উত্তর দিচ্ছেন, প্রশ্নঃ আইসক্রিম কামড়িয়ে খেতে ভালোবাসেন না চুষে খেতে? উত্তরঃ কামড়িয়ে খেতে।
এখন এর মধ্যে অশালীনতা যারা খুঁজে নিবেন তাদের কী বা বলার আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.