নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জেবিদ

"অবশ্যই আমার নামাজ আমার এবাদাত আমার জীবন আমার মৃত্যু সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর জন্যে।"

বইপাগল

"... তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তায়ালা তার সব কিছুই দেখছেন।" (সূরা আল হাদীদঃ আয়াত ৪) ///////// "তিনি চোখের খেয়ানত সম্পর্কে (যেমন) জানেন, (তেমনি জানেন) যা কিছু (মানুষের) মন গোপন করে রাখে (সে সব কিছুও)।" (সূরা আল মোমেনঃ আয়াত ১৯) ///////// "যিনি জন্ম ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে এর দ্বারা তিনি তোমাদের যাচাই করে নিতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে কে (এখানে) তোমাদের মধ্যে বেশি ভালো, ..." (সূরা আল মূলক, আয়াত ২) ///////// "... অবশ্যই আমার নামাজ, আমার এবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু - সব কিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার জন্যে।" (সূরা আল আনয়ামঃ আয়াত ১৬২)

বইপাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফতোয়া ৬ - প্রসঙ্গ : মারইয়াম ও হারুন এর সম্পর্ক

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রশ্ন : নিম্নোক্ত আয়াতে যে হারুনের কথা বলা হয়েছে। তিনি কোন হারুন?

'হে হারুনের বোন (এ তুমি কি করলে)? তোমার পিতা তো কোনো অসৎ ব্যক্তি ছিলো না, তোমার মাতাও তো কোনো (চারিত্রিক দিক থেকে) খারাপ (মহিলা) ছিলো না !' (সূরা মারইয়াম, আয়াত ২৮)



এই আয়াতে হারুন দ্বারা কি সেই হারুনের কথা বলা হয়েছে, যিনি হযরত মূসা (আ.)-এর ভাই এবং নবী ছিলেন? অথচ মারইয়াম এবং হারুনের মধ্যে তো বহু বছরের ব্যবধান। নাকি এই হারুন দ্বারা অন্য কোনো হারুনকে বোঝানো হয়েছে?



উত্তর : এই আয়াতে যে হারুনের কথা বলা হয়েছে, তিনি হযরত মূসা (আ.)-এর ভাই হারুনও হতে পারেন, যিনি আল্লাহর নবী ছিলেন। এমতাবস্থায় হারুনের বোন বলতে হারুনের রক্ত সম্পর্কের বোন নয়; বরং দ্বীনী বোন বুঝতে হবে। কারণ বাস্তবে হারুন এবং মারইয়ামের মধ্যে বহু বছরের ব্যবধান বিদ্যমান। উভয়ে রক্ত সম্পর্কের ভাই বোন হতেই পারেন না। লোকেরা যখন তাকে হারুনের বোন বলে সম্বোধন করেছে, তখন এর অর্থ হতে পারে, সেই নারী, যিনি পুন্যবান নবীর বংশধর। হায়কলে (এবাদাত খানা) সোলায়মানীর দেখাশোনা এবং আল্লাহর এবাদাতের ভিত্তিতে সেই পুন্যশীল নবীর সাথে যার বিশেষ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি কি করে এ রকম পাপাচারী হতে পারেন? এ কথা স্পষ্ট জানা যে, হায়কলে সোলায়মানীর ইতিহাস শোনার গৌরব হারুনের বংশধররা লাভ করেছিলো। মারইয়ামও হায়কলে সোলায়মানীর ব্যাখ্যা শোনার জন্যে নিজের জীবন উত্সর্গ করেছিলেন। এই দৃষ্টিকোন থেকে সম্বোধনকারীরা হয়তো তাকে হারুনের বোন নামে অভিহিত করেছিলো।



অথবা হারুন দ্বারা মারইয়ামের সমকালীন অন্য কোনো আবেদ ও যাহেদ ব্যক্তিও হতে পারে। তার সাধনা এবং এবাদাতের কারণে লোকেরা হয়তো তাকে হারুনের বোন নামে অভিহিত করেছিলো।



মোসনাদে আহমদ, মুসলিম, তিরমিযী প্রভৃতি হাদীস সংকলন গ্রন্থে মুগিরা ইবনে শো'বা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূল (স.) তাকে নাজরানের অধিবাসীদের কাছে পাঠান। তারা সবাই ছিলো খৃষ্টান। সেই খৃষ্টানরা মুগিরা ইবনে শো'বার কাছে 'ইয়া উখতা হারুন' কথাটির ওপর আপত্তি তুলেছিলো। তারা বলেছিলো, মারইয়াম কিভাবে হারুনের বোন হতে পারে, কারণ উভয়ের মধ্যে বহু বছরের ব্যবধান বিদ্যমান। মুগিরা (রা.) মদীনায় রসূল (স.)-এর কাছে এসে তাদের মধ্যে প্রশ্ন সম্পর্কে তাকে অবগত করেন।



রসূল (স.) বলেন, তুমি কি তাদেরকে এ কথা বলোনি যে, সেই সময়ে লোকেরা নিজেদের সন্তানের নাম আম্বিয়া এবং সালেহীনদের নামে রাখতো? এই হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যে, হারুন দ্বারা হযরত মূসা (আ.)-এর ভাইয়ের কথা বোঝানো হয়নি। অথচ নাজরানের অধিবাসীরা সেরকমই মনে করেছিলো। বরং হারুন দ্বারা মারইয়ামের সমকালের কোনো পুন্যশীল আবেদ এবং যাহেদ ব্যক্তির কথা বোঝানো হয়েছিলো।







*** জবাব দিয়েছেন শায়খ ইউসুফ আল কারদাওয়ী ***

*** অনুবাদ করেছেনঃ হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ ***

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৬/-৩

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৫৭

চতুরভূজ বলেছেন: ৫
জানতে পেরে ভালো লাগল।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৫৮

ডাক্তাড়' বলেছেন: চতুরভুজের চেহারা পরিবর্তনের জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:০৩

নাজিম উদদীন বলেছেন: ফতোয়াবাজদের রুখে দাঁড়ান।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩১

বইপাগল বলেছেন: ধন্যবাদ @চতুরভূজ

ডাক্তাড়' সাহেব, আসসালামু আলাইকুম। @ডাক্তাড়'

অবৈধ "ফতোয়াবাজদের রুখে দাঁড়ান।" @নাজিম উদদীন

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:২৭

আওরঙ্গজেব বলেছেন: সালাম,
ভাল বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:২৫

আবূসামীহা বলেছেন: ৫

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৭

বইপাগল বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম
ধন্যবাদ @অাওরঙ্গজেব এবং @আবূসামীহা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.