নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৪-১৫ সালের অবরোধ - যা কার্যত কখনই ঘোষনা দিয়ে স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি - তা আবার পুনর্জীবিত করা হয়েছে। বিএনপি সেই সময় জামায়াতের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বাঁচানোর জন্যে সন্ত্রাসের পথে নেমেছিলো আর বিএনপি সেই সুযোগে সরকার পতনের একটা চেষ্টা করে মুলত জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের দায় নিয়েছে।
অবরোধ কি? কেন বিএনপি অবরোধের কর্মসূচীতে গেলো।
অবরোধ মুলত একটা ফ্রী লাইসেন্স ফর একটিভিষ্ট - কোন কেন্দ্রীয় দিক নির্দেশনা ছাড়াই যে কোন কর্মী/নেতা তাদের মতো করে জনজীবনের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রন্থ করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে গনতান্ত্রিক এলিমেন্ট হলো - পূর্বের থেকে সাধারনকে আহ্বান জানানো হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থগিত রাখে যদি তারা ঘোষিত দলের দাবীর সাথে একমত হয় - কিন্তু প্রতিটি নাগরিকে অধিকার থাকে সে সেই কর্মসূচীর সাথে এক মত হতে পারে বা সে স্বাভাবিক চলাচলের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে যা তার নাগরিক অধিকার।
গায়ের জোরে কাউকে নাগিরক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আইনে দৃষ্টিতে অপরাধ আর সেই দমনের দায়িত্ব আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর।
সংঘর্ষটা সেইখানেই লাগে। এই আইনবিরোধী কাজের জন্যে অবশ্যই দোষীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। না হলে দেশ একটা ফেইল রাষ্ট্র হয়ে যাবে।
আর রাতের আধাঁরের অনগ্নিসংযোগ তো সন্ত্রাস - জনমনে ভয়ের সঞ্চার করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাঁধাগ্রস্থ করা তো সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসীদের চরম শাস্তি প্রাপ্য।
(২)
প্রশ্ন হলো বিএনপি এই সন্ত্রাসবাদের পথে কেন গেলো। বিগত আট মাসে তারা শান্তিপূর্ন কর্মসূচী দিয়ে যে এনার্জি জমা করেছিলো সেই এনার্জিকে যদি এরা নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতো তবে হয়তো ২০১৪/১৫ সালের আগুনসন্ত্রাসের তকমা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারতো। রাজনীতির ইতিহাস যারা জানে - তারা জানেন যে শেখ মুজিবুর রহমান সকল দলের বিরোধীতা সত্ত্বেও ১৯৭০ সালে পাকিস্তানী সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচনের গিয়েছিলো - ফলাফল একটা স্বাধীন বাংলাদেশ।
দৃশ্যত ২৮ তারিখের আগে বিএনপির সামনে দুইটা পথ খোলা ছিলো - ১) আন্দোলনকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়া ২) সন্ত্রাস করে একটা বিশৃংলা করে সরকারের পতন ঘটানো - যাতে ক্ষমতা যে কারো হাতে্ চলে যেতে পারে - যা আমরা ২০০৬ এ দেখেছি।
বস্তুত বিএনপি নিশ্চিত যে তাদের তথাকথিত এক দফা আন্দোলনের কোন সাফল্য হবে না - এখন সরকারকে বিদায় করার পথ হিসাবে সন্ত্রাকে বেছে নিয়েছে।
এতে দুইটা ফলাফল আসতে পারে - যা অবশ্য নির্ভর করছে সন্ত্রাসের মাত্রা কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে বিএনপি-জামায়াত - যদি ভয়াবহ মাত্রায় সন্ত্রাস হয় তবে তৃতীয় শক্তি আসবে বলাই বাহুল্য আর যদি নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসের মধ্যে নির্বাচন হয় - তবে বেনিয়া শক্তিগুলো সরকারে দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রচুর সুবিধা আদায় করে নেবে গনতন্ত্রের অভিভাবক সেজে।
এখন অপেক্ষা আর ভবিষ্যতে দিকে তাকিয়ে থাকা।
(৩)
তবে একটা কথা নিশ্চিত বলা যায় - বিএনপির বিশাল সমর্থকগোষ্ঠী থাক অবস্থায়ও একটা রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারলো না শুধুমাত্র একটা প্রাজ্ঞ নেতার অভাবে - এই অভাব তাদের আরো ভোগাবে। আগুন সন্ত্রাস তাদের জনগন থেকে আরো বিচ্ছিন্ন করে দেবে। আওয়ামীলীগের প্রতি জনমনে প্রচুর ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও মানুষ বিএনপি বিশ্বাস করে রাস্তায় নামেনি - যার ফলে বিএনপির কর্মীরা হতাশ হয়ে ২৮ তারিখের সন্ত্রাসের দিকে গেছে অথবা ঠেলে দিয়েছে তাদের শীর্ষ পলাতক নেতা - যার মাসুল দেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা - মামলা পিছনে বছরের পর বছর দৌড়াতে থাকবে - অর্থ উপার্জন করা সময় পাবে না - পরনির্ভরশীল হতাশ হয়ে একটা কঠিন জীবন দিকে যাবে। একটা বিপুল আওয়ামী বিরোধী জনগোষ্ঠীকে যে ভাবে বিপথে ঠেলে দিলো এই পলাতক নেতা তা দেখে জাসদের কথাই মনে পড়ে । স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্বীবিত তরুনদের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে বিভ্রান্ত করে তাদের ধংশই শুধু করেনি - একটা বিশাল প্রজন্মের ইতিবাচক অবদান থেকে বাংলাদেশে বঞ্চিত হয়েছে।
বিএনিপর কর্মীরাও কি সেই পথে যাচ্ছে? সময়ই সেইটা বলে দেবে।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: (৩) এ যা বলেছেন এটাই সঠিক অবসারবেশন।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল বলেছেন- অধিকাংশ আলোচনার সাথেই সহমত।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বি এন পি বিশ্বাস্ যোগ্য নয় এরা প্রতারক ও ভন্ড। জামাত হারামি। আওমিলীগ চোর। বাকি আর আছে টা কে?
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: যে দলের কোমর ভেঙ্গে গেছে তাদের নিয়ে পোষ্ট দেওয়া বোকামি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপি বিলুপ্ত হওয়ার সময় এসে গেছে।