![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় চিকিৎসক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ডিওভাস্কুলার এন্ড থোরাসিক সার্জারীতে এমএস কোর্স সমাপ্ত করে রক্তনালীর (ভাসকুলার) রোগ নিয়ে কাজ করছি।
চাকরি ব্যাবসা নির্বিশেষে বর্তমান সময়ে কর্মজীবনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো জবস্ট্রেস। ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা বা আইএলও-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জবস্ট্রেসের কারণে আমেরিকায় প্রতিবছর ২০০ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়। শতকরা ৫৪ ভাগ ক্ষেত্রে কাজে অনুপস্থিতির কারণ হলো ক্রনিক ব্যথা, হাইপারটেনশন এবং মাথাব্যথা। আর এ সবকটি সমস্যাই তৈরি হয় পেশাজনিত মানসিক চাপ ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে।
জব এর সাধারন অর্থ কাজ। এটা চাকুরী, ব্যবসা, ঘরকন্না ইত্যাদির যেকোনটি হতে পারে। এখন আমাদের কাজের ভলিউম বাড়ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাজসংশ্লিষ্ট মানসিক চাপ। তবে এই চাপ বা স্ট্রেস কাজের অংশ নয়।
কেন হয় জবস্ট্রেসঃ
১। কাজটাকে উপভোগ না করা,
২। কাজের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা না থাকা,
৩। কাজকে শুধুমাত্র অর্থোপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা,
৪। শুধুমাত্র কাজ কেন্দ্রিক জীবন যাপন করা,
৫। পারিবারিক, সামাজিক জীবনে অংশগ্রহন কম/না করা,
৬। সৃষ্টির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত না করা।
উত্তরনের উপায়ঃ
১। কাজের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী হবেঃ কাজ আমাদের বোঝা বা চাপ নয়, কাজ আমাদের ভালবাসা। অর্থ্যাত কাজকে ভালবাসতে হবে,
২। কর্তব্যপরায়ন হতে হবে,
৩। কাজের মাঝে বৈচিত্র নিয়ে আসতে হবে,
৪। আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে,
৫। স্রষ্টার কাছে শোকর গুজার হতে হবে,
৬। কাজকে শুধুমাত্র অর্থোপার্জনের বা ক্যারিয়ারের অংশ হিসেবে না দেখে জীবনের মিশন হিসেবে নিতে হবে,
৭। নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে, ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা, কথা ও কাজ করতে হবে
৮। জীবনে যে মানবিক দিকগুলো আছে তার চর্চা করতে হবে,
৯। পারিবারিক/ সামাজিক জীবনে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে,
১০। সৃষ্টির সেবায় সময় দিতে হবে।
১১। পরিকল্পনা মাফিক, জীবন যাপন করতে হবে,
১২। কাজ ১০০% পারফেক্ট বা নিখুত করার জন্য টেনশন করার দরকার নেই,
১৩। প্রয়োজনে কম্প্রোমাইজ করতে পারতে হবে।
১৪। মুল কাজের বাইরে অতিরিক্ত বা ফাও কাজকে সবিনয়ে প্রত্যাখান করতে হবে,
১৫। অফিসের কাজ এবং বাসা সম্পুর্ন আলাদা রাখতে হবে,
১৬। যখন যে কাজ করব পরিপুর্ন মনোযোগের সাথে করতে হবে।।।
১৭। প্রতিষ্ঠানে/ সংঘবদ্ধ জীবনে কাজ করার সময় সহকর্মীদের আবেগ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা রাখতে হবে,
১৮। অন্যদের আবেগকে সম্মান করতে হবে,
১৯। সহকর্মীসের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে, কর্মক্ষেত্রের যেকোন সমস্যা শেয়ার করার মত পারস্পরিক যোগাযোগ/ সম্পর্ক থাকতে হবে (অন্তত এক বা একাধিক সহকর্মির সাথে)।
২০। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন,
২১। পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করুন।
জীবন যতটা জটিল মনে হয়, আসলে ততটা জটিল নয়, যদি দৃষ্টিভঙ্গী সঠিক হয়। আমাদের জীবন একটাই, আমরা একবারের জন্যই পৃথিবীতে আসি, কাজেই এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমাদেরকে আমাদের কাজ বা দায়িত্ব শেষ করতে হবে। অনেকটা পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষার দেওয়ার মত। তিন ঘণ্টার মধ্যে যে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারে, সে যে নম্বর পায়, অন্যরারা সে নম্বর পায় না, জীবনের গ্রেডিং এও তারা পিছিয়ে পড়ে। কাজেই আসুন স্ট্রেসমুক্ত থাকি, সফল সুস্থ জীবনযাপন করি।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
আইজউদদীন বলেছেন: পেলাস.....+++++++++++