![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় চিকিৎসক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ডিওভাস্কুলার এন্ড থোরাসিক সার্জারীতে এমএস কোর্স সমাপ্ত করে রক্তনালীর (ভাসকুলার) রোগ নিয়ে কাজ করছি।
এক অলস রাজার গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। এই ভদ্রলোকের ইচ্ছে হলো তিনি জগতের যত মনীষী আছেন তাদের জ্ঞানের সারাংশ বা অমৃতবচন পড়বেন। রাজপরিষদের জ্ঞানীগুণীরা রাজার খায়েশ পুরনের জন্য কতগুলো বই এনে দিলেন। মোটা মোটা বই দেখে রাজা হুকুম করলেন একে সংক্ষিপ্ত করতে। যো হুকুম। পণ্ডিতেরা কাজে নেমে পরলেন। সকল বইয়ের সংক্ষিপ্তসার হলো একটি বই। কিন্তু তাতেও রাজা নাখোশ। এরকম কয়েকদফা কাটা ছেড়ার পর পুরো বিষয়টি এসে দাঁড়ালো একটি লাইনে। আর সেটি হলো “নো ফ্রি লাঞ্চ”। অর্থাৎ বিনামুল্যে বা বিনা কষ্টে কোন কিছুই পাওয়ার উপায় নেই।
ব্যর্থতার কারন আসলে কি?
১। আমরা কোন ঝুকি নিতে চাই না। গতানুগতিক জীবন চালিয়ে যেতে চাই।
২। আমাদের লক্ষ্য থেকে তাৎক্ষনিক প্রাপ্তির দিকে। দীর্ঘমেয়াদী কাজে আমাদের ধৈর্য্য কম।
৩। অগ্রাধিকার বুঝতে এবং নির্ধারনে আমরা ভুল করে থাকি।
৪। সাফল্যের জন্য আমরা শর্ট কাট রাস্তা খুজি, যার অস্তিত্ব বাস্তবে নেই।
৫। আর লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে গিয়ে বাই-প্রোডাক্ট অন্য ছোট সাফল্যের মোহে চূড়ান্ত লক্ষ্যকে ভুলে যাওয়া।
মানুষ আসলে তিন প্রকার। প্রথম প্রকারের মানুষ ঘটনা ঘটান বা কাজ করে ফেলেন, দ্বিতীয় প্রকারের মানুষ তাকিয়ে দেখেন কিভাবে প্রথম প্রকারের মানুষ ঘটনাটি ঘটাল, কিন্তু নিজেরা তা ঘটানোর উদ্যোগ নেন না। আর তৃতীয় প্রকারের মানুষ ঘটনা বুঝতেই পারেননা, তারা চিন্তা করে অবাক হোন কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটলো।
ব্যর্থদের লক্ষনঃ
১। ব্যর্থরা তাদের কাজে ব্যর্থতার বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। সফল ব্যক্তিরা কখনো অজুহাত দেখায় না।
২। তারা সুযোগের সদব্যাবহার করতে ব্যর্থ হন।
৩। তারা অতীত ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেন না।
৪। তারা নিয়তির উপর নির্ভর করেন।
৫। তাদের নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকে না।
সাফল্যের জন্য করনীয়ঃ
১। প্রথম কাজটিই হলো লেগে থাকা। যাকে অধ্যবসায় বা Persistence ও বলে।
২। সফল মানুষদের ফর্মুলা ব্যবহার করা। তাদের ক্রাইটেরিয়া তিনটিঃ ১। তারা ক্রিয়েটিভ, অর্থ্যাত প্রয়োজনে নতুন পথ তিরই কোড়ে নিতে পারেন, ২। তার পেইন টলারেট করতে পারেন, ৩। তারা ফ্লেক্সিবল, অর্থ্যাত তারা পরিস্থিতির সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।
৩। পারিপার্শবিকতা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া। বরং তাকে নিয়ন্ত্রন করা।
৪। সকল সময় ইতিবাচকতা বজায় রাখা।
৫। সাফল্যের জন্য চিন্তা ভাবনা পরিকল্পনা মেডিটেশন করা।
উইনস্টন চার্চিলের একটি কথা দিয়ে লেখা শেষ করবো। তিনি বলেছেন “ডু ইট, নেভার কুইট”। ভালো থাকুন সবাই। চূড়ান্ত সাফল্য পদচুম্বন করুক সকলের।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: গুড।