![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় চিকিৎসক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ডিওভাস্কুলার এন্ড থোরাসিক সার্জারীতে এমএস কোর্স সমাপ্ত করে রক্তনালীর (ভাসকুলার) রোগ নিয়ে কাজ করছি।
ওয়ারফেরিন আসলে কী? এটি এক ধরনের রক্ত পাতলা করার ঔষধ, যা রক্তের উপর প্রভাব ফেলে, রক্তকে জমাটবদ্ধ হতে বাঁধা দেয়। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। ফার্মেসীতে এটি ওয়ারিন, ফেরিন, ইউনিফেরিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়।
হার্টের ভালভ পরিবর্তনের পর (Heart Valve Replacement Surgery) , ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (Deep Vein Thrombosis), হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, পালমোনারী এমবোলিজম এবং এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন এর মত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় অসংখ্য মানুষ এই ঔষধ ব্যবহার করেন। বিশেষ করে হৃদরোগ এবং রক্তনালীর সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারীর ভূমিকা পালন করে এই ঔষধ।
বেশিরভাগ ঔষধের মত এই ঔষধগুলোর ও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যেমন- শ্বাসকষ্ট, প্রচুর রক্তপাত হওয়া। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর কারণে বিভিন্ন মানুষ তাদের ঔষধের ডোজ বাদ দিয়ে যান অথবা পুরোপুরি গ্রহণ করা বন্ধ করে দেন। অল্প সময়ের জন্য ওয়ারফেরিন (WARFARIN) বাদ দিলে বড় ধরনের জটিলতা সাধারনত হয় না, তবে দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রাখলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এ কারনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন রক্ত পাতলা করার ঔষধ গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।
ক্ষতিকর দিকঃ
মনে রাখতে হবে, যে চিকিৎসক আপনাকে এই ওয়ারফেরিন (WARFARIN) ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আপনার জন্য এই ঔষধটিরপার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধাগুলি অনেক বেশি। এই ঔষধ ব্যবহার করে অনেক মানুষ ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং অনেকেরই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ঔষধের প্রভাবে বমি ভাব, ক্ষুধা হ্রাস, অথবা পেটে ব্যথা হতে পারে। এই প্রভাবগুলির মধ্যে কোনটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে তাড়াতাড়ি আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টকে বলুন।
আপনার চিকিৎসকের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন যদি এই লক্ষন গুলো থাকেঃ
১। শরীরের যে কোন স্থান হতে অতিরিক্ত রক্তপাত, যেমনঃ দাঁতের মাড়ি, নাক থেকে দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত, নারীদের মাসিক ঘন ঘন বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া, রক্ত বা গোলাপী রঙের প্রস্রাব, কফি-কাশির সাথে রক্ত, রক্তাক্ত বা কালো রঙ্গের মল, চোখের নিচে লালচে হয়ে যাওয়ায়, চামড়ার নিচে কালো বা লালচে দাগ।
২। হাটু বা গোড়ালী ফুলে গেলে,
৩। প্রচন্ড মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা,
৪। শরীরে ফ্যাকাশে ভাব,
৫। অস্বাভাবিক বা স্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা,
৬। বুকের ব্যথা, শ্বাসের কষ্ট,
৭। গিলতে অসুবিধা,
৮। শরীরের কোন স্থানে অস্বাভাবিক ব্যথা, ইত্যাদি।
করনীয়ঃ
এই রকম বেশী সমস্যায় ওয়ারফেরিনের (WARFARIN) ডোজ বন্ধ করে দ্রুত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে বা নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। ঔষধটি আপনার রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি প্রভাবিত করলে উপরের সমস্যাগুলি হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে রক্তের পরীক্ষায় PT এবং INR এর মান অস্বাভাবিক বেশী থাকে। এমনকি যদি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পরেও এক সপ্তাহ পর্যন্ত রক্তপাতের ঝুঁকি থাকতে পারে।
ওয়ারফেরিন (WARFARIN) গ্রহণ বাদ পড়ে গেলে কী হতে পারে?
শরীরের উপর এই ঔষধের প্রভাব দীর্ঘদিন যাবৎ থাকে। তাই যখন কোন মানুষ ব্লাড থিনার সেবন করেন তখন যদি তাদের কোন সার্জারির প্রয়োজন হয় তাহলে অনেকবেশি রক্তপাত হতে পারে বলে এই ঔষধ গ্রহণ ৩-৪ দিন বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অর্থ্যাত এই ঔষধের একটি ডোজ বাদ গেলে বড় প্রতিকূল প্রভাব পড়ে না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তারা লম্বা সময়ের জন্য ঔষধটি বাদ দিতে পারেন। তবে আপনার বর্তমান সমস্যায় করনীয় সম্পর্কে চিকিৎসক আপনাকে জানাবেন।।
https://askdoctorbd.com/index.php/Article/index/245
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো, উত্তর আমেরিকায় ইঁদুর মারার জন্য ওয়ারফেরিন ব্যবহার করা হয় !
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাদের নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যেস নেই, কিংবা যারা খুব আরামপ্রিয়, সিডেন্টারী জব করেন এবং হাঁটাবিমুখ, তাদের বয়স ৫০ পার হবার পর পরই দৈনিক (লাঞ্চের পর) ১টা করে ইকোস্পিরিন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত, এ কথাটি কি ঠিক?
আপনার এ পোস্টটি একটি উপকারী পোস্ট, জনস্বার্থে লেখা। অনেক ধন্যবাদ এ তথ্যগুলো ব্লগে শেয়ার করার জন্য।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
সুমন কর বলেছেন: হুম, ওয়ারিন মা নিয়মিত খেত !! মনে পড়ে গেল !!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।