নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.. তবুও আমি আঁধার পথিক, আঁধারের অতিথি হয়েছি আজ বিনা নোটিশে। ঘুম নেই চোখে, ক্লান্তি নেই চরণে... জানি না চলছি কোন্ মেঠো পথ ধরে! *facebook.com/shimulzia *facebook.com/ziaulshimul *ziaulshimul.blogspot.com

জিয়াউল শিমুল

মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন

জিয়াউল শিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্র ।। পর্ব - ১২

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ার পরে এখন পর্যন্ত কারো পেটে দানাপানি পড়ে নি। ফাহিমের স্ত্রি লুবনা রাতে চুলা জালালো। আজ রাতে অন্তত সবাইকে কিছু খাওয়ানো দরকার। আবুলকে নিয়ে কাচারি ঘরে ঢুকলো রুদ্র। জঙ্গল থেকে ফেরার পরে বাড়িতে ঢুকে মার সাথে এক বার দেখা করে এসেছে ও। ওকে দেখে ফারহানা বেগম আবার কাদতে শুরু করে দিয়েছেন। চন্দ্রের মা ফারিয়া খাতুন কয়েক বার জ্ঞান হারিয়েছিলেন। এখন উনি বিছানায় শুয়ে প্রলাপ বকছেন। যারা চন্দ্রকে খোজার জন্য সকালে বেড়িয়েছে তাদের কেউ এখনো ফেরে নি। কাচারি ঘরে হ্যারিকেন জলছে। খাটে আধ শোয়া হয়ে শুয়ে আছে রুদ্র। আবুল একটা চেয়ারে বসে আকাশ পাতাল ভেবে চলছে। রুদ্র ওর বংশ সম্পর্কে যা বলছে তাতে ও প্রচন্ড অবাক হয়েছে। হোষ্টেলে একই রুমে এতোদিন থাকার পরেও এ সব আগে জানতো না ও। আজ রুদ্রের সাহস, বুদ্ধি এবং ভাবার ক্ষমতা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেছে। এই বয়সে কেউ কিভাবে এতোটা সাহসি এবং বুদ্ধিমান হয়! ওর ভিতরে আসলেই কিছু একটা আছে।

যারা চন্দ্রকে খুজতে গিয়েছিলো তারা রাত বাড়ার সাথে সাথে এক এক করে ফিরে এলো এবার। যে যখন ফিরে এলো সাথে সাথেই রুদ্রর সাথে দেখা করলো। চাচা, মামা, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই সবাই অন্তত একবার করে দেখা করে ওকে সান্তনা দিলো। কেউই চন্দ্রের কোন খবর দিতে পারলো না। তবে সবাই ফিরলেও শুধু ফিরলেন না রুদ্রের নানা বোরহান উদ্দিন। তিনি তার বড় ছেলে আহসান উদ্দিনকে বলে গেছেন, আজ ফিরবেন না। তিনি কোথায় গেছেন কেউ জানেন না। বাড়ির মহিলারা সবাইকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্ঠা করলেন। কেউ খেলেন, কেউ খেলেন না। রুদ্র এবং আবুলকে খাওয়ানো হলো। খাওয়া শেষে যারা চন্দ্রকে নিয়ে মেলায় গিয়েছিলো তাদের সাথে কাচারি ঘরে বসলো রুদ্র। ফারহানকে লক্ষ্য করে বলল- চন্দ্রকে নিয়ে মেলায় কেন গিয়েছিলে ফারহান ভাই?

- চন্দ্র মেলায় যাওয়ার জন্য প্রচন্ড জেদ করেছিলো। সকাল থেকে ধরেছিলো মেলায় যাবে। পরে বিকেলে আমরা ওকে মেলায় নিয়ে যাই।

- মনে করে দেখো তো এটা ছাড়া অন্য কোন কারন আছে কি না? এমন কোন কারন, মানে চন্দ্রের জেদ ছাড়া অন্য কোন কিছুতে প্রভাবিত হয়ে ওকে মেলায় নিয়ে গিয়েছো কি না?

ফারহান কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো- না, অন্য কোন কারন নেই। কিন্তু তুই এ রকমটা মনে করছিস কেন?

- সেটা পরে বলছি। চন্দ্র তো মেলায় যায় না। শুধু চন্দ্র নয়, আমাদের পরিবারের কেউ সাধারনত মেলায় যায় না। কারন আমরা জানি ওটা বিধর্মিদের সংস্কৃতি। তাহলে তোমরা কাল কেন গেলে? শুধুই কি চন্দ্রের জেদে?

- হ্যা।

- আমাদের সব ছেলেদের মতো চন্দ্রকেও বোঝানো হয়েছে ওই মেলায় যাওয়া ঠিক নয়। ওটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। চন্দ্র যখন এটা বুঝেছে তখন থেকে মেলায় যাওয়ার জন্য আর জেদ ধরতো না। তাহলে হঠাত করে কাল জেদ ধরলো কেন?

এবার রুদ্রের চাচাতো ভাই আতিক জবাব দিলো- মেলায় এবার সার্কাস পার্টি এসেছিলো। সবার কাছে জোকারদের কথা, হাতি, বাঘের কথা শুনে চন্দ্র মেলায় যাওয়ার জন্য জেদ ধরে। কাল ছিলো মেলার শেষ দিন। তাই চন্দ্র সকাল থেকেই খুব জেদ ধরে।

রুদ্র এমন একটা বিষয়কেই আশা করছিলো। কারন চন্দ্রকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন কিছুর প্রয়োজন ছিলো যার জন্য ও জেদ ধরবে আর ওকে মেলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য হতে হবে। সার্কাস পার্টি সে উদ্দেশ্য পুরনে সফল হয়েছে। এর আগে মেলাতে কখনো সার্কাস পার্টি আসে নি। কারন সপ্তাহে যে দুই দিন মেলা হয় শুধু সে দুই দিন শো দেখিয়ে তাদের খরচ উঠবে না। এই এলাকায় লোক বসতি অনেক কম। মেলার দিন ছাড়া এখানে শো দেখালে লোক হবে না। আর সার্কাস পার্টি এ ধরনের এলাকায় শো করে না। আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রশ্ন করলো রুদ্র- সার্কাস কি প্রতিদিনই দেখানো হতো নাকি শুধু মেলার দিনগুলোতে।

আতিক জবাব দিলো- শুধু মেলার দিনে, সপ্তাহে দুই দিন।

- সার্কাস পার্টি কি মেলার প্রথম দিনই এসেছে?

- মেলার আগের দিন এসেছে।

- এখনো আছে ওরা?

- না। আজ দুপুরে চলে গেছে।

- কোথায় গেছে।

- ওদের দিনাজপুরে যাওয়ার কথা।

- দিনাজপুরের কোথায়?

- সেটা তো জানি না।

রুদ্র এবার অস্থির হয়ে উঠলো। সার্কাস পার্টিতে যতো মালামাল থাকে তার জন্য ওদের একাধিক ট্রাক লাগে। আর তাদের মালামালের সাথে কাউকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া কোন ব্যাপারই না। রুদ্র আতংকিত হয়ে ফারহানকে বললো- যাওয়ার সময় ওদের মালপত্র, গাড়ি চেক করা হয়েছিলো?

- হ্যা। ওদের তিনটে ট্রাক ছিলো। ট্রাকে যখন ওদের মালপত্র উঠানো হয় তখন আমরা ছিলাম। পুলিশও ছিলো। সব কিছু চেক করার পরই ওদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওদের একটা সুইও চেক করা ছাড়া আমরা গাড়িতে তুলতে দেই নি।

- গাড়িতে কোন চোরা কুঠুরি ছিলো কি না সেটা চেক করেছিলে?

ফারহান এবার চরম ধাক্কা খেয়ে বললো- না, সেটা তো ভাবি নি!

রুদ্র হতাশ হয়ে বললো- সেটা ভাবা উচিত ছিলো।

কিছুক্ষন সবাই চুপ করে থাকলো। এ সময়টা রুদ্র একটু ভেবে নিলো। তারপর বললো- কাল সকালেই এক জনকে সার্কাস পার্টিটার খোজে পাঠিয়ে দাও। সার্কস পার্টিটা কোথায় গেছে, ওদের কত জন সদস্য ছিলো সেটা জানো। তাদের ভিতরে কেউ গা ঢাকা দিয়েছে কিনা সেটা দেখো। তাদের প্রত্যেকের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলবে। প্রত্যেকের কাছেই জানতে চাইবে মেলায় তারা কত জন এসেছিলো এবং তাদের নাম কি, ঠিকানা কি? যদি সবার কথার মধ্যে কোন গড়মিল পাও তবে সেটা নোট করবে। আর সব চেয়ে গুরুত্ব দিবে গাড়ি তিনটিকে। কাল যে তিনটে গাড়িতে তারা চলে গেছে সে গাড়িই কিনা- সেটা খুব ভালো করে খেয়াল করবে। গাড়ি চেঞ্জ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। হয়তো এখন গিয়ে যে গাড়িগুলো দেখবে সেগুলো হুবহু একই রকম, একই নাম্বারের হলেও অন্তত একটা চেঞ্জ হতে পারে।

একটু ভাবলো রুদ্র। তারপর বললো- এক জন নয়, তোমরা তিন জন যাও। এক জন হয় তো কোন অসংগতি নাও ধরতে পারো। তোমরা কাল যারা ওদের চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত ছিলে তাদের মধ্য থেকে ভালো স্মরনশক্তির তিন জন যাবে। ফারহানের দিকে তাকিয়ে বললো- এই তিন জনের এক জন হবে তুমি, বাকি দুজনকে তুমি বেছে নাও ফারহান ভাই। আর অবশ্যই পুলিশের সাহায্য নিবে। জেনে রাখবে তোমাদের উপরে আঘাতও হতে পারে। যদিও আঘাতটা এখনই আসবে না তবুও সতর্ক থাকবে।

ফারহান অবাক হয়ে বললো- আঘাত আসবে কেন!

- কারন চন্দ্রকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। আর এর পিছনে যারা আছে তারা অত্যান্ত দুর্ধর্ষ। চন্দ্রকে কিডন্যাপ করার জন্য সার্কাস পার্টিকে ব্যবহার করা হয়েছে, ইতিমধ্যে একটা খুনও করা হয়েছে।

ফারহানসহ ঘরের বাকিরা চরম ধাক্কা খেলো। বোমা পড়লেও হয়তো এতোটা ধাক্কা কেউ খেতো না। শুধু আবুল সাভাবিক থাকলো, কারন এটা ওর কাছে নতুন খবর নয়। ফারহান অবিশ্বাস্য কন্ঠে বললো- কি বলছিস এ সব!

- ঠিকই বলছি। কেন বুঝতে পারছো না? সার্কাস পার্টিতে কি এক জন দুই জন লোক থাকে? ওদের এতোগুলো লোকের এক মাসের থাকা খাওয়া, বাঘ হাতির এক মাসের খোরাক, গাড়ির তেল খরচ, অবকাঠামো তৈরির খরচ- এসব কি সপ্তাহে দুই দিন করে মাসে মাত্র আট দিন সো করলেই পুরো মাসের খরচ উঠে যায়? ওরা এখানে জেনে বুঝে লস করেছে। আর সে লস অন্য কেউ পুষিয়ে দিয়েছে। কে সে? সেটা জানা জরুরি। এখানে সার্কাসের আয়োজন করা হয়েছে শুধুই চন্দ্রকে মেলায় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মেলার শেষ দিনে সেটাতে তারা সফল হয়। মেলায় খুন করা হয়েছে যাতে সবাই আতংকে দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় আর এই সুযোগে চন্দ্রকে ওরা কিডন্যাপ করতে পারে। তোমাদের কাল সকালে ফার্ষ্ট কাজই হচ্ছে এখানকার থানায় যাওয়া। সার্কাস পার্টির চলে যাওয়ার সময় পুলিশ যেহেতু উপস্থিত ছিলো সেহেতু পুলিশ জানে ওরা কোথায় গেছে। তোমরা এখানকার পুলিশের কাউকে সাথে নিয়ে সার্কাস পার্টির খোজে যাবে। সার্কাস পার্টি যেখানে গেছে সেখানকার পুলিশ স্টেশনে যাবে আগে। ওখানে পৌছে তোমাদের পৌছানোর খবর এখানকার পুলিশ স্টেশনে জানাবে। এখানকার পুলিশ স্টেশনে আমাদের লোক তোমাদের খোজ নিবে। তাই যাই করো না কেন এখানকার পুলিশ স্টেশনে সেটা জানাতে ভুলবে না। সার্কাস পার্টির সবার সাথে দেখা করবে। যেভাবে বললাম সেভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে। শুধু তথ্য সংগ্রহ নয়, কৌশলে কথা বেড় করার চেষ্ঠা করবে। যদি কিছু গড়মিল দেখো তবে শুধু নোট নেবে, নিজ থেকে কিছু করতে যাবে না। কোন কিছুতে তাড়াহুড়ো করবে না। মনে রাখবে- যে বা যারা চন্দ্রকে কিডন্যাপ করেছে তারা বহু আগে থেকে প্লান করে করেছে। তাদেরকে হুট করে ধরা কিংবা চটজলদি চন্দ্রকে খুজে পাওয়া তাই সম্ভব নয়। সার্কাস পার্টি ওকে কিডন্যাপ করে নি, যারা কিডন্যাপ করেছে তারা সার্কাস পার্টিকে ব্যবহার করেছে মাত্র। এমনও হতে পারে এই কিডন্যাপ সম্পর্কে সার্কাস পার্টি হয়তো কিছুই জানে না। তাই হুটহাট করে কিছু করলে নিজের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হবে না। ফারহান ভাই, বুঝতে পেরেছো।

- পেরেছি। চন্দ্রকে যদি কেউ কিডন্যাপই করে তবে যারা করেছে তাদের কাউকে আমি ছাড়বো না।

- আমরা কাউকেই ছাড়বো না ফারহান ভাই, কাউকেই না। তবে সেটা ভেবে চিন্তে। আমাদের ভুলে নিরিহ কারো যেন ক্ষতি না হয় সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। যা বললাম সব মনে রেখো। কাল থেকে আমি মাঠে নামবো। এদিকটা আমি দেখছি। তুমি আরো দুজনকে সাথে নিয়ে কাল সকালেই সার্কাস পার্টির খোজে বেড়িয়ে পড়ো। আর একটা কথা- বাড়ির মাবাবা, চাচাচাচি, নানি কাউকেই কিডন্যাপের কথাটা এখনই বলার দরকার নেই। আমার মনে হয় নানু কিডন্যাপের বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। উনি ওনার সমস্ত শক্তিকে জাগিয়ে তোলার জন্যই হয়তো আজ রাতে বাহিরে থাকছেন। তিনি যেহেতু কিডন্যাপের কথাটা কাউকে বলেন নি সেহেতু আমাদেরও বলার দরকার নেই। খামোখা মাবাবা, চাচাচাচি, মামামামিদের টেনশন বাড়িয়ে লাভ কি?

রুদ্র ওদের সাথে আরো দির্ঘক্ষন কথা বললো। চন্দ্র কিভাবে ফারহানের হাত ফষ্কে গেলো সেটা শুনলো। সার্কাস শেষে ওরা যখন বাড়ি চলে আসার জন্য প্রস্তুত হয় ঠিক তখনই খুনটা হয়। যে খুন হয় সে পাশের জেলা রংপুরের বাসিন্দা। খুনের পর পুরো মেলায় আতংক ছড়িয়ে পরে। সেই সাথে চিতকার দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। যারা ফারহানদেরকে ধাক্কা মেরেছিলো তাদের কেউই ওদের পরিচিত নয়। তবে দেখলে কয়েক জনকে ওরা চিনতে পারবে। আতংকে দৌড়ের নামে চন্দ্রকে যে দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কাস পার্টির প্যান্ডেলও সে দিকেই ছিলো। আর যে খুন হয় তার বাড়ি রংপুরে, রংপুরের পরে নীলফামারী তারপরেই দিনাজপুর। অর্থাত যে খুন হয় তার বাড়ি আর সার্কাস পার্টি যে দিকে গেছে সেটা একই রুটে। তাহলে সার্কাস পার্টি আর খুনের মাঝে কি কোন সম্পর্ক আছে? রুদ্র ঠিক করলো- এটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

কি করতে হবে সেটা ফারহানকে আরো একবার বিস্তারিত আগাগোড়া বুঝিয়ে দিয়ে ওদেরকে বিদায় দিলো রুদ্র। এবার অপেক্ষা নানা বোরহান উদ্দিনের জন্য। তার সাথে কথা বলাটা অতি জরুরি। চন্দ্রকে কিডন্যাপের মোটিভটা আগে জানা দরকার। এটা কি নানু জানেন? আজ রাতে উনি ফিরলেন না কেন? কোথায় গিয়েছেন উনি?

চলবে.....

চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.