![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টা করছি জীবনের সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য............স্বপ্ন অসীম, আকাশছোঁয়া! ধরতে চাই এই আকাশছোঁয়া স্বপ্নটাকে!
সারারাত আতঙ্কে থাকার পরও শেষ রাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঘুমাতে গিয়েছিলাম......অন্তত আর যাই হোক একটা বাচ্চা, নিষ্পাপ প্রাণ, একদম আমার ভাগ্নের বয়সী সে বেঁচে তো আছে আর এটাই বড় কথা। কিন্তু আজ বিকেলটায় সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা, শোকময় হয়ে উঠলো! আল্লাহ্, বাচ্চাটাকে তুমি জান্নাত নসীব করো। একই সাথে অভিভাবকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। তারা যখন বাচ্চার যত্ন নেওয়া শুরু করেন, তখন বাচ্চাটাকে তিলে তিলে অতি যত্ন নিয়ে মেরে ফেলেন। বাচ্চার শিশুকাল বয়স শেষ হবার আগে বই, স্কুল দিয়ে কঠিন দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেন...... এরপর স্কুলেও রেহাই নাই...... ১০-১২ টা বিষয়, আবার সেই বিষয়গুলোর জন্য আলাদা আলাদা করে টিচার......... এভাবেই তিলে তিলে মরতে থাকে বাচাগুলো! এরপর কিছু অভিভাবক আছেন যারা বাচাগুলোকে খেলতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরা ভুলেই যান ওই বাচ্চা আছে কি নাই তাই মনে করতে। এরকম গর্ত অহরহ আছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। প্রায় প্রতি বছরই এরকম কিছু ঘটনা ঘটে। গর্তে পরে যাবে, ডোবা, পুকুর, খালে ডুবে যাবে, ছাদ বা কার্নিশের কোণ থেকে পরে যাবে...... হাত-পা ভাঙবে, কপাল ভালো থাকলে বেঁচে যাবে টা না হলে জিহাদের মত পরিস্থিতি বরণ করবে। তাই নব্য বা পুরাতন বা হবু সব ধরণের অভিভাবকদের এখুনি উচিত এই ব্যাপারগুলো আরো যত্ন নিয়ে খেয়াল করা, যাতে অন্তত আর এরকম হৃদয়বিদারক দৃশ্য বা ঘটনা দেখতে না হয়।
বিঃ দ্রঃ যারা পাশাপাশি এ ধরণের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরণের ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেন তাদেরও উচিত এইসব ব্যাখ্যা থেকে দূরে থেকে আগে সচেতনতা তৈরি করা। হয়তো জিহাদের স্থলে আজকে ভিকটিম হতো আপনার, আমার বাচ্চা, ভাগ্নে, ভাগ্নি, ভাতিজা, ভাতিজি, ভাইবোন!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
জীেকা বলেছেন: “অনেক সময় এমন হয় যে, আপনি জানেন আপনার প্রিয় মানুষটি খুব কঠিন একটি বিমারীতে আক্রান্ত......... কোন সম্ভাবনা নাই সারভাইভ করার............ তবুও আপনি মনেপ্রাণে চান সে এ যাত্রায় ফিরে আসুক...... ভালো থাকুক......!” এটা একটা চাওয়া......... আর এই চাওয়ার নাম বিশ্বাস...... আমার সেই বিশ্বাস আছে আর তাই আমি চাইছি......... এটা আপনি মানতে পারেন বা না পারেন সেটা আপনার বিষয়, আপনার মাথা-ব্যাথা, আমার কিছুনা...... আমি আমার বিশ্বাসেই থাকবো!
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১
বরফের গরম বলেছেন: ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা আমার নাই। ভেবেছিলাম এ বিষয়ে লিখবো। এই ব্লগে ১০০ জনে হাতে গুনা ৪/৫ জন মাত্র লিখেছেন আপনার মত। বাকি ৯৫% চিরাচরিত মুর্খ মানব রূপ। যেমন : বাচ্চাটির পাইপে পড়ে যাওয়া ও জীবিত উদ্ধার না হওয়া, সরকারের দোষ, সরকারের নাটক, ফায়ার সার্ভিসদের দোষ। সেই চিরাচরিত রূপ, ভাঙ্গচুর।
গত কয়েক বছর এবং এর আগেও, অনেক শিশু খেলতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া বলকে বল মনে করে খেলে। কিন্তু আসলে ওটা বল নয়, ককটেল। আর কি, যা হবার তাই হয়েছে ও হয়।
আপনি যেটা বলছেন : শুধুতো এই পাইপ নয়। সারা দেশে হাজার হাজার পাইপ, হাজার হাজার বলরূপী ককটেল, পুকুরের পানি, ডোবার পানি ইত্যাদি। আরো অনেক অনেক দুর্ঘটনা।
এই সকল দুর্ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী অভিভাবক (আপনি যেভাবে বলেছেন)। পাশাপাশি বলতে হয় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে অনেকে মারা যায়। গাড়িওয়ালা কি তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে গাড়ির নিচে ঢুকিয়ে দিয়েছে? গাড়ির রাস্তায় গাড়ি চলবে। কিন্তু তার ঘাড় টের্যা। আমি অমুক মস্তান (মাস্তান)। আর কি। যা হবার তাই হয়। তাহলে যারা ট্রেনের তলায় ঢুকে যায় সেটাও কি ট্রেনের দোষ ?
আপনি তো ইতোমধ্যে লিখেছেন। সমস্বরে বলতেছি : অভিভাবকরা বাচ্চাদের ছেড়ে দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন না। বাচ্চা এমনই এক জিনিস ২৪ ঘন্টা নজরদারীতে রাখতে হয়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
জীেকা বলেছেন: জি ভাই, আমিও আসলে এখানে যতটা তাত্ত্বিক দিকের কথা বলেছি তার চাইতে বেশী অ্যাওয়ারনেসেই বেশী ফোকাস করেছি। ভালো লাগলো আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। আপনার মত করে ভাবতে পারলে আশা করি অ্যাওয়ারনেস গ্রোথ হতে বেশী টাইম লাগবেনা!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২
খেলাঘর বলেছেন:
" আল্লাহ্, বাচ্চাটাকে তুমি জান্নাত নসীব করো। "
এত লোকের দোয়া, বাচ্ছাটাকে বাঁচায়ে রাখলো না; কেমনে মানুষের দোয়া ওকে বেহেশতে নেবে?