![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টা করছি জীবনের সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকার জন্য............স্বপ্ন অসীম, আকাশছোঁয়া! ধরতে চাই এই আকাশছোঁয়া স্বপ্নটাকে!
সবকিছু ছাপিয়ে চায়ের কাপে এখন যে বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে সেটি হলো বাজে আম্পায়ারিং, আইসিসির পক্ষপাতদুষ্টতা, এবং ইন্ডিয়ার আগ্রাসন ও বাণিজ্য নীতি। ওয়ার্ল্ড কাপের আগে থেকেই ইন্ডিয়া পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়ে আসছিলো যে, এবার তারা যে কোন মূল্যেই কাপ নিবেই সেটা আগ্রাসন বা বাণিজ্য বা দুর্নীতি যেভাবেই হোক। আর সে লক্ষ পূরণের জন্য তারা মনগড়া কিছু পলিসিও অবলম্বন করে আসছে ওয়ার্ল্ড কাপের শুরু থেকে। তিন মোড়ল নীতি সেই লক্ষ পূরণের অন্যতম অস্ত্র। এখন পর্যন্ত তারা যেভাবেই হোক তাদের অস্ত্রগুলো সফলভাবে প্রয়োগ করেছে এবং সেমিফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছে। তবে নিজেদেরকে শুধরানোর কিছু উপায় হলো আগে নিজেদের ভেতর ঘাপলাগুলো খুঁজে বের করা এবং এই ঘাপলাগুলো নিয়ে কাজ করা। কেন এই ঘাপলাগুলো হলো, এই সমস্যাগুলো কিভাবে ওভারকাম করা যায়, এবং সেটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কিছু করা। আমাদেরকে বিশেষকরে টীম বাংলাদেশকে মনে রাখতে হবে এই ওয়ার্ল্ড কাপই কিন্তু খেলার শেষ নয়। সামনে অজস্র ক্রিকেট পড়ে আছে। এই বছরেই আরো অনেকগুলো ম্যাচ আমাদের খেলতে হবে। সুতরাং গতকালকের ম্যাচের বাজে আম্পায়ারিং, আইসিসির পক্ষপাতদুষ্টতা, এবং ইন্ডিয়ার আগ্রাসন ও বাণিজ্য নীতি এসব উপেক্ষা করে যদি আমরা নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে মনোযোগ দিতে পারি তাহলে আরো কিছু ইম্প্রুভমেন্ট করা যাবে। গতকালকের ম্যাচে আমাদের ছেলেরা কিন্তু তাদের শতভাগ দিতে পারেনি। ম্যাচ হারবার জন্য আমরা অনেক কারণই খুঁজে বের করতে পারি কিন্তু পাশাপাশি এটাও আমাদের মনে রাখা উচিত আমাদের প্রিয় ক্রিকেটাররা তাদের শতভাগ গতকালকে দিতে পারেনি। অনেক প্রত্যাশা ছিলো আমাদের সুপারস্টার সাকিবকে নিয়ে কিন্তু ব্যাটিংয়ে গত দুই ম্যাচে সে একেবারেই ফ্লপ ছিল। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ গতকালকে ভালো শুরু করেছিলো এবং তার উচিত ছিলো তার ভালো স্টার্টকে আরো ক্যারি করা। সিঙ্গলস এবং টু’জ নিয়ে খেললে, যেটি তার স্বাভাবিক খেলার ধরণ, আমরা খেলার ফলাফল আরো পজিটিভ কিছু পেতাম। এখানেও আমাদের উচিত সাঙ্গাকারাকে দেখে কিছু শেখা। ক্যারিয়ারের শেষ মাচেও সে চেষ্টা করেছে ভালো খেলতে এবং এটাই প্রফেশনালিজম। আবেগ আমাদের থাকবে কিন্তু সাথে সাথে প্রফেশনালিজমটা ভুলে গেলেও চলবেনা। তামিমের ব্যাটিং গতকালকে অনেক পজিটিভ ছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের হতাশ হতে হয়েছে তার ধারাবাহিক ব্যর্থতায়। স্কোয়াডে মমিনুলের মত পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রেখে ম্যানাজমেন্ট ইমরুল কায়েসকে এনে মোটেও যে সুবিবেচনার পরিচয় দেয়নি তার প্রমাণ ইমরুল কায়েস মাঠেই রেখেছে। সৌম্যকে ওপেনিংএ রেখে মমিনুলকে ওয়ান ডাউনে খেলানো যেত। আমাদের প্রিয় ক্যাপ্টেন ম্যাশ গতকালকে তাঁর স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারেনি। সব ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ই বরাবর পারফর্ম করবে এটাও যদিও আশা করা উচিত না তবে আমরা আমাদের হিরোদের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করতেই পারি। অনেক সমস্যার ভিতরে আমাদের টাইগার হিরোদের পারফরম্যান্সই আমাদের একটু আনন্দের বানে ভাসিয়ে নেয়। আমাদের জন্য আপাতত ওয়ার্ল্ড কাপ শেষ, অনেক আলাপ আগেও হয়েছে, এখনও হবে, কি হলে কি ভালো হতো, কি মন্দ হতো, কেন হতো বা হতোনা......... অনেক কিছুই হবে। আপাতত আমরা এই আলাপগুলো দূরে রেখে সামনের দিকে মনোযোগ দেই। আমাদের খেলোয়াড়েরা তাদের ভুলগুলো ঠিক করে পজিটিভ ক্রিকেট খেলুক এবং সাথে সাথে ম্যানাজমেন্টও কিছু দায়িত্বের পরিচয় দিক...... আপাতত এটুকুই আমরা আশা করি!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: আমাদের কৃকেট র জন্য শুভেচ্ছা। তারা ইন্ডিয়ান কৃকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিরুদ্ধে সব বাধা ডিঙ্গিয়ে যতটুকু খেলেছে, তা পৃথিবীর যে কোন কৃকেট খেলুড়ে দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।