নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কিছু কথা .......... হেফাজতে ইসলামের কাছে জিজ্ঞাস্য

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৬





ভোট দিলে দাড়ি পাল্লায় খুশি হবে আল্লাহয় । জামাত শিবির ভোটের আগে এমন শ্লোগান দিয়েছে আমরা বহুবার শুনেছি । হাদীস কোরানের কোথায় এমন আছে আমি জানি না । কারো জানা থাকলে বিশেষ করে জামাত-শিবিরের কেউ এখানে থাকলে আমাকে জানাবেন । তার সাথে আমার মত আর যারা আছে তারাও জানবে । আর কোন উত্তর পাওয়া না গেলে বুঝতে হবে..........................



ইসলামে সাদা-মাটা পোশাক পরার কথা বলা হয়েছে । রঙিন পোশাককে অনুৎসাহিত করা হয়েছে । কিন্তু কিছুক্ষন আগে বুধবার ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা রুমি চকচকে লাল পাজ্ঞাবী পরে সময় টিভির চট্টগ্রাম ষ্টুডিওতে এসেছিলন । বাহ বাহ । যেখানে আল্লাহ বলেছেন কোরানের হেফাজতকারী আল্লাহ নিজেই। আমার জানা কম থাকতেই পারে । কারো যদি জানা থাকে আমাকে জানিয়ে দিন তারা কার কাছ থেকে অনুমতি পেল বা দায়িত্ব পেল ইসলামকে হফাজত করার জন্য?!!



আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রাঃ) কতৃক বর্ণিত , তিনি বলেন - রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে বললেন ঃ হে আব্দুর রহমান ্‌বিনে সামুরা তুমি কখনও নেতৃত্ব চেয়ে নিও না । কেননা তোমার চাওয়ার কারণে তোমাকে যদি তা অর্পণ করা হয় তাহলে তোমাকেই এর দায়িত্ব বহন করতে হবে । আর বিনা চাওয়াতে যদি তোমাকে দেওয়া হয় তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাকে সাহায্য করবেন ।

উপরোক্ত হাদীস থেকে সহজে বোঝা যায় ইসলামে ক্ষমতা লাভের বিষয়টিতে অনুৎসাহিত করেছে । আর অন্য দিকে “ভোট দিলে দাড়ি পাল্লায় খুশি হবে আল্লাহয়” জাতীয় শ্লোগান দিয়ে জামাত-শিবির ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল । আর হেফাজতে ইসলামকে তো মনে হচ্ছে আরো এক কাঠি সরেস । যারা ক্ষমতায় যেতে চায় হেফাজতে ইসলাম তাদের নিয়ন্ত্রক হতে চায় । কারণ ৬ এপ্রিল তারা বলেছিল যে কারো ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের লাগবে, তারা না চাইলে এ দেশে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না । তারা নিজেদের কত ক্ষমতাবান ভাবে যে তারা ক্ষমতাবান তৈরী করবে । তারা দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তির দায়িত্ব নিতে চায় ! আর ইসলামে ক্ষমতায় যেতে চাওয়ার বিষয়টিকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে ।



আনাস (রাঃ) কতৃক বর্ণিত । নবী করীম (সঃ) বলেছেন -- তোমরা মজলুমের (অত্যাচারিত) বদ দোয়াকে ভয় করো যদি সে কাফিরও হয়ে থাকে ।

১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ সাধারণ নিরস্ত্র জনগনকে হত্যাকারী , ২ লক্ষ মা বোনকে হত্যা কারী জামাতের বিরুদ্ধে হেফাজতে িইসলামের কোন ভাবনাই নেই । তাছাড়া গত দু মাসে অসংখ্য মন্দির যেমন ভাঙ্গা হয়েছে তেমনি নিরীহ হিন্দু জনগনের প্রায় ১৭০০ বাড়ী ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে জামাত-শিবির ।

তাছাড়াও মদীনা সনদে আমরা দেখতে পাই

** পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় থাকবে; মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায় বিনা দ্বিধায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে; কেউ কারও ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

** ইহুদিদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে।



এছাড়াও হাদীসে বর্ণিত আছে

“কোনো অমুসলিম নাগরিককে যে অত্যাচার করল বা তার অধিকার ক্ষুন্ন করল বা তাকে সাধ্যাতীত পরিশ্রম করাল বা তার অমতে তার থেকে কিছু নিল, কেয়ামতের দিন আমি হবো তার বিপক্ষে মামলা দায়েরকারী।” (আল-হাদিস)

“যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিককে কষ্ট দিলো আমি তার পক্ষে বাদী হব। আর আমি যার বিরুদ্ধে বাদী হব কিয়ামতের দিনে আমি হব বিজয়ী।” (আল-হাদিস)

জামাত শিবির মন্দির ভেঙ্গে, হিন্দু বাড়ীতে অাগুন দিয়ে করে ইসলাম পরীপন্থী কাজ করেছে । ইসলামের বিরোধীতা করেছে তাদের কর্ম দিয়ে । কয়েকজন ব্লগার ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখেছে এ কারণে হেফাজতে ইসলাম ক্ষেপে গিয়ে তাদের মৃত্যুদন্ড চেয়েছে ।

খুনের হুমকী দান আর খুনের শাস্তি কি এক?

ব্লগারদের শাস্তি দাবী করলেও জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের কোন বক্তব্য নেই কেন? জামাত খুনের হুমকী দেয়নি খুনই করেছে ।



যুগে যুগে পয়গাম্বর গন পৃথিবীতে এসেছেন মানুষকে সৎ পথে ডাকার জন্য । মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আরবে জম্মে ছিলেন আরবের চরম অন্ধকার সময়ে । তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সুপথে আনার জন্য সুদীর্ঘ কন্টকময় পথ অতিক্রম করেছিলেন । তিনি বারবার বলেছেন ইসলামের পথে মানুষকে “দাওয়াত “ দেওয়ার কথা । নবীর পথ মেনে হেফাজতে ইসলামের কি উচিত ছিল না যারা ইসলাম নিয়ে, নবী নিয়ে কটুক্তি করেছে তাদেরকে সৎ পথে আনার চেষ্টা করা ?! তাদের যদি কোন ভ্রান্ত ধারনা থেকে তারা মহানবীর প্রতি কুটক্তি করে থাকে তবে তা শোধরানোর চেষ্টা করা? তা না করে হেফাজতীরা ব্লগারদের মৃত্যুদন্ড চাইছে ? তাহলে ইসলামটা প্রচার করা হবে কার আছে? যে ব্যাক্তি নামায রোজা করে, কম বেশী দান খয়রাত করে, মোদ্দা কথা ধার্মিক তার কাছে ইসলাম প্রচার করা হবে?



ইসলামে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা । অস্ত্র হচ্ছে শেষ অবস্থা । ইসলামের ঐতিহ্য ও নিয়মনুযায়ী হেফাজতে ইসলামের কি উচিত ছিলনা নাস্তিক/নবীর প্রতি কুটক্তিকারীদের সাথে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা তাদের সু-পথে আনার চেষ্টা করা । তারাতো তা করেইনি বরং গণজাগরণ মঞ্চের আলোচনার আমন্ত্রণকে বারবার ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে । মহানবী (সঃ) যদি ইহূদীদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন, যারা তার উপর একসময় শারিরীক নির্যাতনের চরম করেছে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন তাহলে হেফাজতীরা কেন সে কাজ করতে পারলো না ?! ইসলামী নিয়মনুযায়ীতো হেফাজতীদের উচিত ছিল ব্লগারদেরকে আলোচনায় ডাকা!

....................................................................... (চলবে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৫

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: Click This Link

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন:
অনেক যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। উত্তর দেখতে এলাম। কিছুইতো নাই!!!



খুবই ভাল লাগছে আপনার এ সিরিজটি। পোস্টটি এত দেরিতে দেখলাম যে কেন?!

৩| ০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

সৌমেন্দ্র বলেছেন: carry on boss ++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.