![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
১৪ আগস্ট পাকিস্তান পালন করে তাদের স্বাধীনতা দিবস । ১৯৭১ সালের ১৪ আগস্টে তাদের ছিল ব্যাপক প্রস্তুতি । পাকিস্তানীরা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিল পাকিস্তানের এ অংশে ব্যাপক ভাবে “স্বাধীনতা দিবস ’’ পালিত হচ্ছে উৎসবের পরিবেশে । পুরো ঢাকাতে উড়বে পাকিস্তানের পতাকা । রাজাকাররা পাকিদের দেখাবে তারা পাকিদের কত বংশবদ গেলমান । তাই তারাও চান-তারা মার্কা প্রচুর পতাকা সংগ্রহ করতে থাকে ।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস । ঢাকার আকাশে শত শত বেলুন । খালেদ মোশরফের শিষ্য ক্রাক প্লাটুনের দুর্ধষ যোদ্ধারা সে দিন বেলুনে বেধে বাংলাদেশের পতাকা ঢাকার আকাশে উড়িয়ে দেয় । পতাকার দুই পাশে দুই বেলুন বাধা । পাখির দেশের পতাকা উড়তে থাকে পাখির মত সাবলীল ।
এ দৃশ্য দেখে পাকিস্তানীদের মাথা খারাপ হয়ে যায় । আর পাকিস্তানীদের মাথা খারাপ হতে দেখে মাথা খারাপ হয়ে তাদের গেলমান, মানবতার শত্রু, ধর্মে র শত্রু রাজাকার/রেজাকারদেরও । পতাকা নামানোর জন্য তারা আকাশের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে । হা হা হা হা হা হো হো হো ।
এ কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত ছিলেন ( আরও অনেকেই আছেন/থাকতে পারেন । তাদের সম্বদ্ধে কোন তথ্য, নাম জানা থাকলে জানানোর বিনীত অনুরোধ থাকলো)----
** শাহাদাত চৌধুরী- ঢাকার সদর ঘাট থেকে অনেক গুলো সবুজ লুঙ্গি আর পুরান লাল কাপড় কিনেন ( একসাথে বেশী লাল-সবুজ কাপড় কিনলে যে কারোই সন্দেহ হতে পারে । তাই লুঙ্গি ও পুরান কাপড়)
** হাবিবুল আলম (পরবর্তীতে বীর প্রতীক)- মানচিত্র বানানোর জন্য নিউ মার্কেট থেকে কিনে আনেন হলুদ কাপড় ।
** রেশমা, আসমা, শাহনাজ - হাবিবুল আলমের তিন বোন । তারা রাত জেগে পতাকা বানানোর কাজ করেন ।
** চিত্র শিল্পী রফিকুন নবী ও তার পরিবার - তারাও রাত জেগে পতাকা বানানো শুরু করেন ।
** চুল্লু ( গেরিলা) - ধোলাইখাল থেকে গ্যাস সিরিন্ডার যোগাড় করেন । বেলুন যোগাড় করেন ।
** দিলু রোড - ঐ এলাকারা অনেক নারী পতাকা বানানোতে অংশ গ্রহন করেন ।
©somewhere in net ltd.