নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা,উপন্যাস,দর্শন,সিনেমা ও অন্যান্য

জহিরুলহকবাপি

আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।

জহিরুলহকবাপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণ জাগরণ, গণজাগরণ মঞ্চ, ভাবনার ল্যাম্পপোষ্ট ও সিজোফ্রেনিয়া রোগ:

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

গণ জাগরণ মঞ্চ নিয়ে অনেক রাজনিতী, অনেক মান অভিমান, ভাঙ্গন গড়ন, চলছে । অনেকে এ বিষয়ে জানেন আবার অনেকে সক্রিয় ভাবে নিজের ভাবনা, বুদ্ধি সহ বিবিধ কারণে অংশগ্রহন করেছেন, করছেন । ফেইস বুকে এখনও নিয়মিত এ নিয়ে যুদ্ধ চলছে ।

অনেকের নামে অনেক ধরণের কথা আসছে, অনেকে আবার অনেক কথা তৈরী করেছে, করছে। কিছু/কয়েকজন ছাড়া আসলে দেখা গেছে সবারই লক্ষ্যের জায়গা এক। তারপরও বিভক্তি । এটা হতে পারে । না হলে ভালো হতো অনেক । এরপরও দেখেছি অনেক কিছুই । কিন্তু কখনও কোন পক্ষে যেতে, কখনও কাদা ছোড়াছুড়ি করতে ভালোও লাগেনি । না রাস্তায় না অনলাইনে । এমনকি কোন সংগঠনেও সাথেও পাকাপাকি ভাবে যাই নি । যখণ, যে ডেকেছে ( কয়েক জন ছাড়া) গিয়েছি, অংশ নিয়েছি ।

কিন্তু এখন আমার কিছু কথা না বললেই না । গণ জাগরণ শুরু হওয়ার পর অনেকের সাথে যেমন পরিচয় হয়েছে । অনেকের সাথে অন লাইনে ( দুই-একজনের সাথে ফোনে) পরিচয় ছিল যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়া অনলাইনের চেষ্টার কারণে ।

আমি এ মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে আমি শাহবাগে কারো ডাকে যাই নি । গিয়েছি নিজের ডাকে । কেউ তখন ডাকা-ডাকি করেছে কিনা সেইটা জানার বা বোঝার মত কোন সময়ই ছিল না । তখন ৬ তারিখ থেকে পরবর্তী ৩/৪ দিন ব্যাস্ত ছিলাম অন্যকে খববর দেওয়ার জন্য । আমাকে যেমন খবর দিয়েছিল একজন । নেটতো সবার বাসায় নেই । সবাই নিয়মিত টিভিও দেখেনা ।



৬ তারিখ সন্ধ্যা থেকে মোটা মুটি আমার, আমাদের বন্ধুবান্ধ, পরবর্তীতে কালেবোধন, কবিতাশ্রম, সহ অচেনা অনেকে মিলে কার্যক্রম শুরু করি ।

আমাদের কোন ব্যানার ছিলনা । ব্যানার দিয়ে নিজেদের আমরা সীমাবদ্ধ করতে চাইনি । করার উপায়ও ছিলনা । কারণ আমি নিজে কোন সংগঠনের না । ৬ তারিখে উপরে উল্লেখিত অনেকে সহ কহিনূর হোটেলের বিপরীতে মোম ১০/১২ টি জ্বালিয়ে নিজেদের প্রতিবাদ জানাই । ঐ খানে উপস্থিত আরও ৩০/৪০ জন আমাদের সাথে মোম ছাড়াই অংশগ্রহন করেন ।



মোম পুড়িয়ে, রাস্তায় হাটু গেড়ে বসে শার্টে মাথা ডেকে প্রতিবাদ জানানো শেষ হলে আমি চলচ্চিত্র পরিচালক মোর্শেদ ভাই এবং ভাবীকে দেখতে পাই । সবাই ছিলাম খুব ক্ষুধার্ত । আমি এবং মিলন মোরশেদ ভাই ভাবীর কাছে যেতেই ভাবী মোরশেদ ভাইর কাছ থেকে নিয়ে ১০০০ টাকা দেন । মোরশেদ ভাই ৫০০ দিয়েছিলেন, ভাবী আরও ৫০০ দিতে বলেন ।

ঐ টাকা দিয়েই পরবর্তী দু দিনের কর্মকান্ড চালাই । ৭ তারিখে আমাদের দল আরও ভারী হয় , সংগঠনগুলো যোগ দেয় । আমাদের সবারই লক্ষ ছিল এক, আর চাইতাম যারা কনফিউজড হয়ে আসছে, ঠিক মত সাহস পাচ্ছেনা কিন্তু শাহবাগ আসছে তাদের নিয়ে এমন কিছু একটা করতে যাতে তারা শ্লোগানের বাইরেও কিছুতে অংশ নিতে পারে , স্পর্শ করতে পারে তাহলে তাদের ঘুমন্ত আবেগই তাদের কনফিউশন দূর করে দেবে । সে কারণেই আমরা কখনও চক দিয়ে লিখে, নতুন আসা মানুষজনকে লিখতে উৎৎসাহিত করেতে করতাম, কখনও ঝাড়ু মিছিল (এক জায়গায়), কখনও রাজাকারদের জুতা মারা, কখনও রাজাকারদের ঝাড়ু মারা ইত্যাদি । এখানে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো যে গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে মোম বাতি জ্বালানোর আগেই আমরা ৬৪০০ টি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করি । মূলত প্রতি জেলার মুক্তিযোদ্ধ, শহীদ, বীরাঙ্গনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১০০ * ৬৪ = ৬৪০০ টি মোম প্রজ্জলন । কিন্তু সে দিন মোম জ্বলে প্রায় ১২ হাজারের মতো (আমাদের আনুমানিক হিসাবে) । কারণ মানুষ নিজেরাও অনেকে মোম কিনে নিয়ে এসেছিল ।আমাদের অবস্থান ছিল হোটেল কোহিনূর থেকে ব্যাগের দোকানগুলো পর্যন্ত ।দিন যায় দল ভারী থেকে ভারী । যখন যেমন পারি কর্মসূচী । অনেকের নাম ভুলে গেছি , অনেকের নামই জানি না ।



আমার জানা মতে জিয়াউর রহমান জিবীত থাকা কালে নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি । কিন্তু এখন অবস্থা দেখি কেউ কেউ নিজেকে *বঙ্গবন্ধুও ঘোষনা করছে । ঘোষনা করছে বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ্যতার । ২৩ বছরের পাকিস্তানী শাসন আমলের কত বছর জেল খেটেছিলেন বঙ্গবন্ধু?!!

ইতিহাস বিকৃতির ধুম চলছে । অনেক বছর সেটা ছিল সঙ্গপনে, ট্যাকনিক্যাল । তারই ফল স্বরূপ আজ অনেকে উদ্ভট উদ্ভট সব ইতিহাস নিয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে ।

কিন্তু গণ জাগরণ মঞ্চ বিলুপ্ত হলেও গণ জাগরণ বিলুপ্ত হয়নি । এরই ভিতর নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা ( যা আদৌ ইতিহাস হয়নি চলমান) ।

কারো ঘোষনায় শাহবাগ যায়নি । একজনকে/দুজনকে ফোনে খবর দিয়ে, ফেইসবুকে দুইটা স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেকে নিজে এবং কাছের লোকদের দিয়ে ঘোষক দাবী করানোটা শিশুসুলভ ও হাস্যকর । তাহলে আমিও ঘোষক । আমিও অনেককে ফোনে, অনেককে বলগ দিয়ে নেট চালিয়ে ফেইসবুক মেইলে খবর দিয়েছি । বিষয়টা হয়েছে ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজনের পর রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষনা পড়ে ঘোষক দাবীর মত । সেই চেষ্টাতো হয়েছিল জিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই । আর চলমান আন্দোলনের মাঝখানে ইতিহাস বিকৃতি করে কৌশলে মহান নেতা বানানো । জামাত-শিবিরের কৌশলণুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা ।

জানতে চাই কোথায়, কিভাবে , কয়টায় গণ জাগরণের ডাক দেওয়া হয়েছিল?! আমার ফেবু/ বল্গে যারা আছেন তারা কে কে সেই ডাক শুনেছেন?

যুদ্ধপরীধী বিচার নিয়ে চলছে দীর্র্ঘ সূত্রীতা । বঙ্গবন্ধু আমেরিকান, পাকিস্তানী হায়েনাদের পেট থেকে বাংলাদেশ বের করে এনেছিলেন নিজের কবরের উপর কাফন মুড়িয়ে দাড়ীয়ে । যদি বঙ্গবন্ধুর সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটত তাহলে কি হতো?

যারা/যিনি দাবী করেন তাদের/তার ডাকে ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শাহবাগে লোক জমায়েত হতে হতে পৃথিবীর উদাহরণ যোগ্য কয়েকটি আন্দোলেনর একটি হয় শাহবাগের আন্দলন বা গণ জাগরণ ( মঞ্চ নয়) ,তাদের/তার ডাকে এখন কেউ আসে না কেন । বিভিন্ন সংগঠনকে, ব্যাক্তিকে ফোন চিঠি দিয়ে লোক সমাগম করানো যাচ্ছে না কেন?

বিকল্প ধারার অনুষ্ঠান । ছোট অডিটরিয়াম । চার ভাগের এক ভাগ ভরা । সিলেকর পাজামা-পাজ্ঞাবী, কটি পরে অধ্যাপক এক.কিউ.এম. বদরুদৌজা আবেগ ঘন গলায় বক্ততায় বললেন “এ বাকশাল সরকার বিকল্প ধারার আন্দলন দেখে ভ..য় পেয়েছে” । তিনি স্বভাব সুলভ হাসি মূখে সবার দিকে তাকিয়ে আছেন । ধুরহ কেউতো তাল বাজায় না ! এর ভিতর বদরুদৌজা সাহেবের পিছন থেকে একজন গেটিস হাত তালে দিয়ে হোওওও করে উঠল । অডিটরিয়াম ্ তালিয়া উইথ হোওওওও

যাকগে আমি সিজোফ্রেনিয়া বলে একটা রোগ আছে জানি। এর রোগে নাকি মানুষ নিজেকে অভতার, শ্রেষ্ঠ কবি, যুগ শ্রেষ্ঠ গায়ক, *নেতা, ইত্যাদি ভাবতে থাকে । রোগতো রোগই । তাই না ?

মানুষই এ রোগে আক্রান্ত হয় । তাই না ?

যদি কু-কথা গুলো ( যে গুলো শুণি) যদি মিথ্যা হয়, তাহলে এ ব্যারামেও আক্রান্ত হতে পারে । বন্ধুদের অনেক দায়ই নিতে হয় < নিতে হয় মানবিকতার ।

আর কে কে কার ডাকে গণ জাগরণে গেছেন কমেন্টে অংশ নেন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শাহবাগ নয় - ঐটা ছিল শিয়ালের বাঘ । চটি পিয়াল ঐটা শুরু করছিল।

এরপরে উৎসাহী কিছু মিডিয়া এইটার নাম দিয়েছে বেজন্মা চত্বর। উঠতি ছেলেমেয়ারা জন্তু জানোয়ারের মত এখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতো বলে এরকম নামকরন করা হয়েছিল।

এরপর উদ্যোক্তারা এর নাম বদলে রাখে গাঞ্জা গ্রহণ মঞ্চ। অনেকের গাঁজাখুরি জীবন ঐখান থেকে শুরু হয়েছিল বলে এবং সর্বক্ষণ ওখানে গাঁজার গন্ধ লেগে থাকত বলে এরকম নাম দেওয়া হয়েছিল।

বেশ কিছু মানুষ জমে যাওয়াতে একজন পীরবাবার দরকার পড়ে। সরকার এবং গাঁজাখোররা মিলে জনৈক ইমরান এইডস সরকারকে ঐ আস্তানার পীর নির্বাচিত করেছিল। তার প্রধান মুরীদ্দের একজন হল ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসউদ - নাস্তিকদের মল্মুত্র যার কাছে মেশকাম্বরের সমতুল্য মনে হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.