![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কামনা করি মানুষের ভিতর স্বপ্নরা আসা যাওয়া করবে। মানুষ তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ করবে।
আমরা কোথায় ঠকিনি?! ডাক্তার- বেশী ফি ,পুলিশ- ঘুষ, বিদ্যুৎ - ঘুষ, ট্যাক্স- ঘুষ, মন্ত্রী- ঘুষ, হাসপাতালের সিস্টার- খারাপ ব্যাবহার, সিএনজি/যানবাহন- বেশী ভাড়া, সিটি কর্পোরেশন - মশা, ময়লা । ঠকতে ঠকতে হারতে হারতে আমারা যে কবে আত্নসম্মান বোধটাইযে হারিয়ে ফেলেছি আমরা জানিনি । আমাদের পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি । আমাদের এ অবস্থার জন্য আমরা আনন্দ চিত্তে অন্যকে দোষ দিতে পারি । দোষ দিতে পারি অনেকেরই । কিন্তু আসলেই কি তা?
৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩-থেকে আসলে যত না বিক্ষোভ, ক্ষোভ জানাতে মানুষ এসেছিল তারচেয়ে অনেক বেশী মানুষ এসেছিল তাদের ভিতরকার পরিচয় খোচাখুচি করার জন্য । বর্জুয়া, মুক্তবাজার অর্থনিতী, মোনো সেক্স মাছ, ইউক্যালিপটাস গাছের বাতাসে বাতাসে কিছু মানুষিক শিক্ষা বহু বছর ধরেই আমাদের ভিতর বপন করে দিয়েছিল বিদেশী শক্তির দেশী ডিস্ট্রিবিউটরা । প্রায় ফ্যাশেনের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল “ আই হ্যাট পলিটিক্স” । যে পেটের ক্ষুধা বোঝে, যে যৌনতা বুঝে, যে ফ্যাশন বুঝে সে কি ভাবে ঐ বাক্যটি উচ্চারণ করে ?! আমাদের বুঝতে দেওয়া হয়নি । বাতাসের সাথে মগজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল এ সব তত্ব । সুবিধাভোগী বিদেশ ও দেশীও রাজনিতীবিদের জন্য ।
৫ ফেব্রুয়ারী থেকে মানুষের ঘুম ভাঙ্গা শুরু হয়েছিল ।
“আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” বাক্যটি মূখের আগায় থাকলেও বাংলাদেশীরা এর অর্থই জানতো না । ৫ তারিখ জেনেছিল বাঙ্গালীরা, বাংলাদেশীরা ইউক্যালিপ্টাস বৃক্ষ আসলে বৃক্ষ নয় , দৈত্য ।
কাদের মোল্লার “ভি-সাইন”-এর দুই আঙ্গুলের সাথে রাবার বেন্ধে ঘুমিয়ে পড়া, অলস, বাকপটু বাংলাদেশীররা ভি-কে গুলতি বানিয়ে আবার কাদের মোল্লার দিকে ছুড়ে দিয়েছিল । যুদ্ধ চলেছে ।
গণজাগরণ মানুষকে তার আত্ন সম্মান বোধ ফিরিয়ে দিয়েছিল । মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সুবুদ্ধি শিক্ষার ।
জ্ঞান পরিপক্ক না । আস্তে আস্তে আবার জায়গা নিতে থাকে সেই পুরানো শেয়ালেরা, শকুনেরা ।
কেউ কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রন্ত হয়ে নিজের লোকজন দিয়ে নিজেকে বঙ্গবন্ধু সমকক্ষ্য হিসাবে প্রচার করতে থাকে । জুটে যায় মোসাহেব । এনজিও নেতারা শাহবাগে সরব ।
আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তাকে সু-সংহত করার জন, এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবার পক্ষ থেকে নির্বাচিত, নির্দিষ্ট সভার বক্তব্য প্রকাশের ( অনেকে বলেন কূট কৈৗশলে) একজন প্রেজেন্টার/মূখপাত্র ঠিক করা হয় । নেটে, টিভিতে, জ্যামে পড়া মানুষের মূখে মূখে ছড়াতে ছড়াতে ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ থেকে শাহবাগ লোকেলোকারণ্য । সেই আন্দোলনকে এখন কেউ কেউ দাবী করে থাকে তার ডাকেই সবাই শাহবাগ এসেছে । জিয়াকে স্বাধীণতার ঘোষক আর গণজাগরনের ঘোষক দাবী করার মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখি না ।
একটা প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক সবার প্রিয় আম্মা, আপা ড. সেলিনা মওলা কই ? দেশের ব্যাপারে, স্বাধীনতার পক্ষের উগ্র কন্ঠধারী ড. সেলিনা আজ আর শাহবাগে আসেন না । কেন? তিনিইতো প্রথম শ্লোগান ধরেছিলেন । সরকারী চাকরী হারানোর পাত্তা না দিয়ে এ চিকিৎসক চলে এসেছিলেন শাহবাগে । তিনি কোথায়? কোথায় তারা?
আমাদের কথা ছিল রাজাকারের সর্বচ্চ বিচার । এর ভিতর রাজাকারের বিচারের চেয়ে বেশী উচ্চারিত হতে থাকে সরকার বিরোধী কথাবার্তা । জামাত-বিএনপ ‘র মত সিপিবি আর গণ জাগরণ মঞ্চ (একাংশ, ইমরাণ/আরিফ জেববতিক গ্রুপ) শুরু করে সরকারের পিছে লাগা । সরকারকে টেনে হিচড়ে নামানো হবে ।
তা নামিয়ে কারে বসাবে সেই সম্বদ্ধে তারা কোন বক্তব্য দিক নির্দেশনা দেয়নি । নির্বাচন প্রতিহত করা হবে । কেন?! আমরাতো আপনাদের চিনি যুদ্ধপরাধ বিচারের ইস্যুতে । নির্বাচন প্রতিহত করে কাকে বসাতে চেয়েছিলেন? জামাত-বিএনপি করবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার? ইংলিশ ছাগু ডেভিড বার্গম্যানের শ্বশুড়রা করবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার?! নাকি এ যুগের জিয়ার মতন স্বাধীনতা ঘোষকরা করবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার?
উত্তরই নাই ।
“গণজাগরণ” পরে নিজেদের সুবিধার জন্য কয়েকজন গণজাগরণ শব্দটির সাথে “মঞ্চ” লাগিয়ে নিজের একটি ক্লাব করে নেয় । সেই ক্লাবের মূখপাত্র রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়া শুরু করলেন ।
কিছু দিন আগে তিনি মির্জা ফখরুলের মতই বক্তব্য দিয়েছিলেন “মানুষের আশা-আকাঙ্খা দাবী আদায়ের জন্য “গণ-জাগরণ মঞ্চ” শুরু হয়েছিল । তার ক্লাব তিনি কেন শুরু করেছেন তিনি তা জনেন । নিস:ন্দেহে গণ-জাগরণ আর গণজাগরণ মঞ্চ িএক নয় । কিন্তু আমাদের জ্ঞানের অভাবকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সমকক্ষ্য দাবীকারী গ্রুপটি দুইটাকেই এক করার চেষ্টা চালালে অনেকেই সে ফাদে পা দেন এবং দিয়ে আছেন ।
আমি সাধারণ একটা প্রশ্ন করি ৭১-এর বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুণের দুর্ধষ যোদ্ধা যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সাক্ষী বিচ্ছু জালাল, শহীদ বুদ্ধিজিবীর সন্তান যুদ্ধপরাধী বিচারের সাক্ষী সাংবাদিক শাহীণ রেজা নূর কেন ঐ মূখপাত্র গ্রুপে যান না?! তাদের সততা নিয়ে তাদের শত্রুরাও প্রশ্ন তোলেনা । কেন মূখপাত্র গ্রুপে যান না কর্ণেল তাহেরের ভাই মুক্তিযোদ্ধা .ড. আনোয়ার হোসেন ? কেন স্বাধীণ বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী যান না মূখপাত্র গ্রুপে ? ইমরানের এবং আরও অনেকের প্রিয় কানিজ আপা কেন যোগ দেননা মূখপাত্র গ্রুপে?
তারা কি শাহবাগে আসেন না?! তারা আসেন,নিয়মিতই আসেন? তারা এসে কখনও কামাল পাশা চৌধূরীর নেতৃত্বাধীন গণ-জাগরণ মঞ্চের আরেকাংশের সাথে, কেউ কেউ যুক্ত হন “শাহবাগ” আন্দোলনের সাথে ।
তাহলে? ঘোষক-১৩ এর সাথে আছে ছাত্রদলের নেতা আরিফ জেবতিক ।
গণজাগরণের প্রথম থেকেই ছাগু,বিনগুরা বিভিন্ন অপ্রচার চালাতে থাকে, ফটো এডিট করে বিভ্রন্ত করার চেষ্টা করতে থাকে । বাহ কালরাতে দেখলাম ইমরান, আরিফ জেবতিকের শিষ্যরাও একই কাজ করছে । তারা বিচ্ছু জালালের ছবি নিয়া মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে । বাশ হাতে মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালালের হাতের বাশটি কেন? তিনি কোন দিকে যাচ্ছেন বাশ হাতে? বিস্তারিত পোষ্ট : (Click This Link) । তিনি যাচ্ছিলেন কামাল পাশা চৌধুরীদের অস্থায়ী মঞ্চের দিকে । সেখানে কিছুক্ষণ আগেই তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং মারামরি শেষ হলে তিনি আবার ঐ মঞ্চেই বক্তব্য প্রদান করেন । তিনি বাশটি কেড়ে নিয়েছিলেন ইমরাণ, আরিফ জেবতিকদের কাছ থেকে । তারা েএ বাশ নিয়ে আক্রমন করতে আসছিল কামাল পাশা চৌধূরীদের অংশকে । এর ভিতর ইমরান, আরিফ জেবতিকদের পক্ষ থেকে বিচ্ছু জালালের দিকে বোতল , কাঠের টুকরা ইত্যাদি ছোড়া হতে থাকে । বাশ কেড়ে নেওয়ার সময় কয়েকজন তেড়ে আসছিল বিচ্ছু জালালকে মারা জন্য্!!!
আমরা যারা কোন দল করি না, কোন রাজনৈতিক দল করিনা তারা তাকিয়ে থাকি প্রজম্ম চত্বরের বিভিন্ন কর্মসূচীর জন্য । আমরা যারা দলাদলি বুঝিনা , বুঝিনি নিজেদের পরিচয়, আড়ালে চাপা আত্ন সম্মান যাদের ভিতরে বাক্স খুলে গিয়েছিল তারা ভেবেছিলাম এই আমি! এইতো আমার বাংলাদেশ ! নগর পুড়িলে কি দেবালয় রক্ষা পায়?! আমাদের ভিতর গণ জাগরণ ( মঞ্চ নয়) । আমরা তাকিয়ে থাকি শাহবাগের দিকে । আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন রাজণৈতিক দলের সাথে কখনও যুক্ত ছিলাম না । কখনও মিছিল করিনি । গণ জাগরণ শুরু হওয়ার পর “মুষ্টিব্ধ দুই হাত” ।
আমাদের দেশ প্রেমের কখনও কমতি ছিলনা । তার প্রমাণ প্রজম্ম চত্বর/গণজাগরণ/শাহবাগ । কাদের মোল্লার রায় আমাদের ভিতরের ছাই চাপা আগুন বের হয়ে গিয়েছিল তাতে নিজেরা আজও পুড়ছি ।
গণ জাগরণের ঘোষক দাবীদার অথবা অন্যতম সংগঠক দাবীদার কেউই আমাদের ভালোবাসার মূল্য দিতে পারেনি । যেমন গত ৪৪ বছরের কেউই দেয়নি ।
আমরা কি অবশেষে সবাই নটী বিনোদীনির মত বলব “ভালোবেসে ভাগ্য ফিরে না” ? গত ১৭/১৮ মাসে ঢাকার প্রজম্ম চত্বরের কমতো মরেনি, আক্রান্তও হয়নি কম। এভাবেই কি শেষ হবে?
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বিষয়টা এমন যে যুদ্ধাপরাধ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা এখন প্রতিযোগিতায় রুপ নিয়েছে ।
প্রতিবাদের চাইতে এখন বিপক্ষ্য প্রতিযোগিকে হারানোর দিকেই বেশি মনোযোগি।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
জামান শেখ বলেছেন: গনজাগরন মঞ্চ এখন দলিয়করন মঞ্চ হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
জনাব মাহাবুব বলেছেন: মজা দেখবার মুন্চায়
এত ক্ষমতাধর মঞ্চের এই পরিণতি। দুঃখ, দুঃখ, দুঃখ