নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।

রাফা

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।গালি সহ্য করার মানসিকতা শুণ্যের কোঠায়।রাজাকার,আলবদর ,আল সামস মোট কথা বাংলাদেশের বিরোধী যে কোন শক্তিকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করি। তার চাইতে বেশি ঘৃণা করি নব্য ছাগিয়তাবাদিদের। যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় যুদ্ধাপরাধীদের ।

রাফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের শিক্ষিত যুবক ও রপ্তানি শিল্পের মান্যবরেরা একটু ভাবুন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০০



আমাদের শুধূ ফাঁকা বুলি আর বড়াই করা স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে।গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীরা অনবরত বড়াই করে তারাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।তাই তাদেরকেই সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া অত্যাবশ্যক।মানলাম আপনাদের বড় ভুমিকা আছে দেশের অর্থনীতিতে।এর জন্য সবচাইতে বেশি সুযোগ সুবিধাও নিয়ে থাকেন।প্রথমেই আসে অর্থনৈতিক সুবিধা সবচাইতে বেশি গ্রহণ করে এই সেক্টর ।এবং এর মাধ্যমে লুটপাটও বেশি করে এরাই।এই কথাগুলো কি কখনও বলে গার্মেন্ট সেক্টরের মালিকরা?

করোনার দুর্যোগ'তো হঠাৎ করে শুরু হয়নি। শুরু হয়েছে মূলত আমাদের যারা বায়ার সেসব দেশেই প্রথমে।তো-এটা'তো কমনসেন্সের ব্যাপার যে এর ধাক্কা আমাদের গায়ে এসে লাগবেই লাগবে।কারন মানুষের কাছে'তো কাপড়ের চাইতে খাদ্য ও ঔষধের গুরুত্ব আরো বেশি জিবন ধারনের জন্য।গবেটের মত শুধু সার্ট/প্যান্ট সেলাই করেই যাচ্ছি।পৃথিবির কোথায় কি ঘটছে তার কোন হদিস নেই আমাদের ।এটা কি গ্লোবাল চিন্তাভাবনা হোতে পারে! চায়না যখন এই মরণ ব্যাধির সাথে যুদ্ধ করছে তখন তারা স্টেপ নিয়েছে কারখানা চালু রেখে পিপিই,মাস্ক,গ্লোভস ,সেনিটাইজার ,হ্যান্ডসোপ সহ যাবতিয় প্রয়োজনিয় সামগ্রি উৎপাদনের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।সেটুকু কি লক্ষ করা খুব কঠিন ছিলো।এমনকি সৌজন্যমূলক কিছু পাঠালামও আমরা।তখন কেনো এই চিন্তা আসলোনা এগুলো এখন হট আইটেম ।জিবন বাচানোর জন্য।এগুলো আমাদেরও দরকার হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।আসলে আমরা মুখে মুখে মানবতা আর সচেতনতার কথা বলি অনবরত । কাজের বেলায় লবডংকা। পৃথিবি মধ্যে আমরা ২য় গার্মন্টস সাপ্লাইয়ার অথচ এই শিল্পের প্রচুর অবদান রাখার কথা করোনা পরিস্থিতিতে ।আমরা কি শুণ্য দশমিক এক পার্সেন্ট অবদানও রাখতে পারছি !

আল্টিমেটলি আমরা ঐ চিন্তাভাবনার ধারে কাছেও না গিয়ে সরকারের কাছে এখনি আবেদন করে রাখছি আমাদের প্যাকেজের জন্য।আবার সেই প্যাচাল আমদেরকে বাচান তা'নাহোলে দেশের চৌদ্দদটা বেজে যাবে।এক মাসের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই যে শিল্পের তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়াই উচিত।বছরের পর বছর ব্যাবসা করে কি উদ্ধার করলেন তাহলে ! একটি ধাক্কাও সামাল দেওয়ার সামর্থ্য আপনাদের নেই।সরকারের সাহায্য ছাড়া।আরে ভাই সরকার তাহলে অন্যান্যদের কিভাবে সাহায্য করবে এটা কি ভেবেছেন কখনও ?

বাংলা দেশে নাকি লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার।সব সময় শুধু চাকুরীর জন্য হাহাকার শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা।এই আপনাদের শিক্ষার নমুনা।শিক্ষা গ্রহণ করে তার প্রয়োগ কোথায় ! সেটা কি শুধু চাকুরীর ক্ষেত্রেই দেখাবেন ? কবে একটি চাকুরি পাবেন তারপর আপনার মহামূল্যবান মেধা দিয়ে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করবেন। কি করেছেন এই দুঃসময়ে দেশ ও মানুষের জন্য।সাহায্য করার জন্য শুধু টাকা পয়সাই লাগেনা।ইচ্ছা থাকলে মেধা ,বুদ্ধি ও শারিরিকভাবেও অবদান রাখা যায়।এই পর্যন্ত ব্যাক্তি উদ্দোগের ব্যাবহার দেখে আমি খুবই হতাশ।গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র ছাড়া কাউকেই এগিয়ে আসতে দেখিনি।আপনরাতো কিছুটা দায়িত্ব নিয়ে অল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে সচেতন করতে পারতেন।কিভাবে করবেন নিজেরাই'তো সচেতন নন।সম্মিলিতভাবে শৃখলা রক্ষায় অনেক অবদান রাখার সুযোগ আছে।এমনকি ডেলিভারির মাধ্যমে মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে পারতেন।এলাকাভিত্তিক দরিদ্র মানুষের দায়িত্ব নিতে পারতেন।যে বিশৃংখলা দেখছি সেটাই কিন্তু করোনার সবচাইতে বড় বিপদ।আপনারা হোতে পারতেন সংযোগের সেতু।সবাইকে সাথে নিয়ে অনেক কিছুই করা যায়।সেটা না করে এখনও পাড়ার টং দোকানে গাদাগাদি করে চলছে শুধুই অনর্থক সরকারের সমালোচনা।যে কোন দুর্যোগে নিজের চারপাশের মানুষ'কে সাহায্য করতে পারলে আর কিছুই দরকার হয়না।এতেই সবাই মনে সাহস নিয়ে ঘুড়ে দাড়ায়।

ধন্যবাদ।




মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের শিক্ষিত বেকার আছে, কারণ মেধাহীন শিক্ষিতরা প্রশাসন ও সরকার চালা্চ্ছে। এসব বেকারেরা ব্যক্তিগতভাবে কোন অবদান রাখতে পারছে না কেন? কারণ, আমাদের সমাজে প্রতিটি পরিবার নিজে বাঁচার জন্য আলাদাভাবে চেষ্টা করছে। ৪৭ বছরের ক্রমাগত প্রশাসনিক ও সমাজিক পতনের পর, আমাদের দেশ পুরো এনার্খির মাঝে ঢুবে গেছে। প্রেসিডেন্ট জানেন না প্রধান মন্ত্রী কি করতে যাচ্ছেন; প্রধানমন্ত্রী জানেন না বাকী মন্ত্রীরা কি করছে। ব্যুরোক্রেটরা কি করছে তা কেহই জানে না।

অর্ধেক ব্যুরোক্রেট যদি অফিসে অনুপস্হিত থাকে, সেটা কেহ জানে না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২২

রাফা বলেছেন: তাহারা একে অপরের পরিপুরক সেটা নাহয় বুঝলাম।সামাজিক দায়বদ্ধতা বলেও'তো একটা ব্যাপার আছে।আমরা যখন একেবারেই নাদান ছিলাম সোর্স ছিলোনা বলাই চলে তখনও-তো আমরা আমাদের অতি ক্ষুদ্র সামর্থ নিয়ে না খেতে পারাদের পাশে দাড়িয়েছি।এখন কেনো সেটুকু দেখছি খুবই অপ্রতুল। কিছু কিছু মানুষ"তো দেখছি দান করার চাইতে প্রচারে মনোযোগ বেশি।(তবুও যদি প্রচারের জন্য হলেও একটু বেশি হইতো)এখন'তো ততটুকুও নেই।

ধন্যবাদ,চাঁদগাজী।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টে সহমত |
চীন এই কোরোনার দুর্যোগে প্রচুর মাস্ক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি উৎপাদন করে সারা বিশ্বে পাঠানো শুরু করেছে | আজকে নিউইয়র্কের জেএফকেতে চীন এক হাজার ভেন্টিলেটর সহ মেডিকেল সরঞ্জাম পাঠিয়েছে | আজকে বিবিসিতে দেখলাম ভারতের উপস্থাপক একটি মাস্ক কারখানা প্রদর্শন করছেন যেখানে প্রচুর মাস্ক উৎপাদন হচ্ছে (এই লক ডাউনের মধ্যেও )| আমার কাছে মনে হলো ওই ভারতীয় উপস্থাপক অনেকটা বিজ্ঞাপনের কাজই করছিলেন, যাতে ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্বে ভারতের মাস্কের বাজার সৃষ্টি হয় | আমাদের চরম ধনী গার্মেন্টস সহ শিল্পউদ্যোক্তারা কি করছেন ?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:২৯

রাফা বলেছেন: আমাদের গার্মন্টস ব্যাবসায়িরা প্রস্তুুতি নিতেছেন আরো কিছু টাকা বিদেশে পাচার করার জন্য। উনাদের গার্মন্টসে পিপিই কিংবা মাস্ক বা অন্য কিছুই করার চেষ্টা এখন পর্যন্ত দেখি নাই।আফসোস এরাই আবার সকল সুযোগ সুবিধা পাবে।

ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেশীর ভাগ গার্মেন্টস মালিকরা তাদের লাভের টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন অথবা জমি কিনে রেখেছেন অথবা অতি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংক ঋণ সহযোগে ব্যবসা বাড়িয়েছেন। আবার অনেকে ব্যবসায় লোকসান দিয়েছেন। ফলে নগদ টাকা তাদের কাছে নাই। যে সম্পদ তারা গড়েছেন তা তারা ব্যবসার ক্ষতি পূরণে ব্যবহার করতে চান না। এসব ঘটেছে কারন তাদের প্রতিষ্ঠানে কোনও সুশাসন নাই। বাংলাদেশ যেমন খাম খেয়ালি ভাবে চলে গার্মেন্টস কারখানা গুলোও অনেকটা সেরকম ভাবে চলে। ২০% গার্মেন্টস আছে যারা সুন্দর ভাবে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে ও তাদের আর্থিক ভিত্তি শক্ত। এদের সমস্যা কম হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৩

রাফা বলেছেন: যারা এখান থেকে ব্যাবসা করে অন্য কোথাও সরিয়ে রেখেছে টাকা.। তা বাজেয়াপ্ত করে ফিরিয়ে আনা হোক। ঐ টাকা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হোক।

ধন্যবাদ,সা.চুয়াত্তর।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকার মোরগ দিয়ে হাল করছে। গ্রামের শিক্ষিত সরকার দলীয় লোক বেকার নাই। তারা মাদক ব্যবসায় জড়িত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৮

রাফা বলেছেন: বাকিরা কোথায় ? যারা মাদক ব্যাবসা করছে তাদের'কে এনে করোনা রোগিদের সেবা করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হোক।এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।ছাগল থেকে মোরগে ট্রান্সমিশনের ফল একই হবে।

ধন্যবাদ,নে.আলি।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্তদিন ধরে সকল মানুষের দুশ্চিন্তা, ক্ষোভ ভয়ের পর কুম্ভকর্নের ঘুম ভাঙ্গল রাতের বেলা! স্বল্প আয়ের মানুষ তো মানুষ না। সত্য বলতে এদেশে আপনি আমি কেউই মানুষ না, আমাদের তেলাপোকার মত পিষে মেরে ফেলে উনারা পাজেরো গাড়ীতে নিশিন্তে চলতে চান। খুবই দুক্ষের বিষয় এই দেশকে ভালবেসে আমরা শেকড় গেরে বসে আছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪১

রাফা বলেছেন: যেহেতু দেশের মাটিতে লেগে আছে আমাদের রক্ত আর ঘাম।তাই দিনশেষে আমরা ফিরে আসি আমাদের শেকড়ের কাছে।

ধন্যবাদ,রা.নুর।

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

রাফা বলেছেন: https://youtu.be/JiHpH2cZITI কি হোচ্ছে এসব⁉️

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.