| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলমগীর সরকার লিটন
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
মাঠের পরে ঘর দেখি
সোনালি মুখের হাসি;
নদীর বুকে ঢেউ দেখি
সকাল দুপুর সাঁতার কাটি;
কত নামের বাহার শুনি-
আমার নামের হিংসা পুড়ি!
প্রেমের কথায় শুধু আগুন
অনেক দূরে গেলো ফাল্গুন
তবুও ঘর দেখি বাড়ি দেখি
আইলপাথারের মুখোমুখি
মেঘলা বাদল...
ছায়া ঘিরা কত ডালিমের বাগান
একটা ডালিম শুধু অন্ত রঙ মহলে ভাবি
আরও খালি কলস দুচোখ ভরে দেখি
মায়া ঘিরা সবই চাই শুধু নিভূতে-
শত শত কলম ঝরে যাচ্ছে নিমেষে
রাতদুপুর দাগ রেখে কালির...
আর কত দেখবো লজ্জা আর লজ্জা মাখা দেহ-
আসলে লজ্জার কোন গন্ধ নাই মাংসপেশি হৃদয়!
কি করে বুঝবে আমি লজ্জিত; দেহহীন মানুষ-
একেই বলে মনুষ্যত্বহীন লজ্জার সাথে বস বাস;
ঘাসের...
আমার কবিতা কোন দিন ফাল্গুন ছোঁয়নি!
আমি হেঁটে হেঁটে যাছিলাম ফাল্গুনের দিকে-
কিন্তু নীল মেঘ দেখলাম আকাশ জুড়ে- তবুও
হাত ছুঁয়ে রঙ মেখে দিলাম বসন্তের দিকে;
অথচ কবিতা বাসন্তি হতে পারলো না- ফাল্গুনের
আগুনে জ্বলছে...
আঙ্খাকা ছিল কত ঢেউ খেলার নদে
মৃদুল পায়ে ধূলিমাখা উড়া উড়ি রঙিলা ঘরের কোণে;
উঠন বাঁকে ফাল্গুন মেঘের ঘূর্ণিপাকে ঘুরছিল
সুবাসিত গন্ধ ফুর ফুর ডানায় কাকাতুয়া উড়ছিল যত
ঘুমটা পরা লজ্জার মুখে লজ্জাবতির...
এক গতিহীন ভালবাসার পথ বয়ে যাচ্ছে-
সূর্যাস্ত স্নানে আর একমুঠো রোদ্দুর স্পর্শে
জেগে উঠে শিশির ভেজা ভোর! তারপর সমস্ত
ফাল্গুনের রঙে রঙিন হয়- দুপুর শেষ না হতেই...
উৎসর্গঃ মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী
তোমার এ চলে যাওয়া মানে
মন মন্দিরে সকাল দুপুর পূজা করা!
এ চলে যাওয়া মানে সমস্ত সৃষ্টির
রঙে রাঙা- তোমার এ চলে যাওয়া বলে না
তুমি নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করা...
একমুঠো ফুলের পাপড়ি হাতে দিয়ে বললাম ভালবাসি!
অথচ উপলব্ধি করতে পারল না কতটুকু ভালবাসি -
অভিনয় করছি কিংবা অনুভব করি তাও বূঝল না
এ কেমন দিবস রজনীতে ছুটে চলা;
এরি নাম ভালবাসা- রক্তে...
হাঁটতে- হাঁটতে উপলব্ধি করলাম
সেই বসন্ত হাওয়া দোলে- দোলে গেলো-
কিছুতেই আলিঙ্গন করতে পারলাম না!
দুঃখটা ওখানেই- সেতো এতটুকু বুঝল না-
ফিরেও তাকাল না, উড়া বসন্তের আকাশ;
এখন চলতে- চলতে বসন্ত একটু হাসে উঠে
মুচকি হাসের...
ইট পাথর শহরে হেঁটে যাচ্ছে নীল চাঁদ! নীল ফুলের ঘ্রাণ
যত বার চাঁদকে ছুঁইতে চাই- তত বার দূরে যায়;
অথচ দাঁড়িয়ে থাকার ছাঁদ নাই- বারান্দাও নাই
ইচ্ছাগুলো দীর্ঘশ্বাস, মানে না...
ফর্সা গাঁয় রোদ্দুর পেরিয়ে ক্লান্ত মাঠ
আইলপাথার জুড়ে সরিষা ফুল ফুটেছিল;
গন্ধ ভারি এতটুকু বুঝা বড় ভারছিল-
তিতো ঠোঁটে ঘৃণার সুর ঠিকই বুঝতে দেরি ছিল!
তাতে কি?...
বিষণ্ণ বিরল নাকে, রোজ রোজ ভেসে আসে
কৃষ্ণ কালো গন্ধ- প্রণয়নিশি খুব কাছাকছি
রঙিন করা সমস্ত অনুভবের দেহ শুধু অম্লান -
শূন্য বাতাসের গায়ে ঘুম নেই রাতের ঘোর অন্ধকার;
অথচ...
হাজার বছর পথ চলা কি? ভাবে শেষ হলো
পাখির কলরব জানলো না- বুঝল না মায়াময়!
অথচ পদধূলি ঘ্রাণটা এখন আকাশ মুক্ত!
ধোঁয়াটা ঘরবন্দী দক্ষিণা জালানাটাও মাটময়;
তবুও সাদা মেঘ শুধু আকাশ জুড়ে...
©somewhere in net ltd.