![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
রঙের বাতি নয়ন জুড়ে
হাতে কি লাল পানির জ্বরে;
দেহ গেলো রসতলে-
কার বাবার কি যায় আসে!
ঘরের বাতি নিভে গেলে
কারে রাখবি অন্তরে।
মাটির দুনিয়ায় বলে কেউ
অন্তর গেলো জ্বলেপুড়ে
মাটির সাথে প্রেম লুটেপুটে
শূন্য একা কেউ...
আকাশের বুকে সংসার দেখি
হারিপাতিলহীন, মৌমাছির চাক দেখি না-
তবু কেনো জানি মধুর গন্ধ পাই-
ঐ ঔষধের সেবনে অসখ সারে, অজস্র সংসার
তাই মানবিক আদরে ছুটে চলছি কত
দেশ দেশান্তর; এমন কি তোমার...
কি হচ্ছে- দু\'চোখ কথা কয়
ফাল্গুনের কিংবা রাতের!
তবু সময় চায় আরও জুড়ে
কি হচ্ছে- শুধু জীবন পারাপার;
তারপর ভোরের শিশির সিক্ত
পৌষের গন্ধ, রোদ উজ্বল মাঠ-
কি হচ্ছে- দেহের সোনালি ঘাট!
উষ্ণতা মিশে মাটির সবুজ ঘাস
আর...
বামনের সাদা ঘরে- চাঁদ কেনো
যে খেলতে না রাজি-তবু ঝিলমিল
জোছনাময় যত কষ্ট, ব্যর্থতায়
মেঠোপথে হেঁটে যায়- মন মরা
ধানশালিক; কোন এক সময় চৈত্রের
ধূলি উড়ে যায়-কালো ধোঁয়া উড়ানো
চাঁদের সাথে ছায়া চলে একাকী!
যত সব...
স্বপ্ন রঙিন রাতে- চাঁদ হাসে না
ঘুমের রাতে বিড়াল মারে না-
দুধ ভাতে লাল গোলাপের গন্ধ
নাকের ছিদ্র জুড়ে স্পর্শ করে না
নবান্ন দেহে ধান মাড়াই সহ না
নদীর জল ভাসনো নাও ভাসে না
ঢেউ...
নদীর জলে- উঠেছে ভেসে
স্নিগ্ধময়ী মুখ! মাছদের
কি আনন্দ উল্লাস, কি সুখ;
না বুঝার কোন উপায় নেই-
মাটির স্পর্শে দোল দেয় ঘাস-
জোনাকির আলো, বুঝে না
অহমিকার মন; খেরের বেড়া
চিনে না, কাঠপুড়া রোদে হাঁটে...
নিরবচ্ছিন্ন জঙ্গলের বানর দেখলে
মানুষের কথা মনে হয়;অগোছালো
নদীর জলে ভাসতে দেখলে বিবেক
বোধের কথা মনে হয়। অথচ বানর
গুলো ঘর সংসার বুঝে না এ গাছ ও
গাছ লাফালাফি করায় তাদের কাম;
বানরের হাতে বই দেখলে...
রঙধনুহীন কিছু মানুষ আছে
অভাবের কথা শুনলে মরে যায়;
প্রাচুর্য দেখলে অজ্ঞান হয়!
বাস্তবতার মুখে গুলিফোটাই-
তবু আমরা শ্রেষ্ঠ মানুষ!
অভাব প্রাচুর্য সুখের নায়ে ভাসাই
কৃত্রিম নদীর জলে জলে-
তারপর শূন্য মাটিতে মিশি
বলো দেহের কোন...
জল ভাসানো মেঘে অভাব দেখি কত
এই ধরনের অভাব সংসার ধর্ম;
থুথুর ভাজে আরও বলা হলে কোন পাপ হবে যত
দিনরাত্রি কাগজের ভাজে ভাজে রেখে যাও ক্ষত-
অভাব দেখি নদ নদীর বুকে কত...
কবিতার নাকি লবণের অভাব
রক্ত শূন্যতা,পুষ্টি হীনতা;সব মিলে
লবণের অভাব বিরাজ করছে খুব-
যেনো ছিন্নমূল মাটির কাছে একাকার
হচ্ছে দিন রাত সবসময় বাজিমাত;
তবু ধাক্কা ধাক্কি- এমন কি গলবাজি,
সবখানেই লবণের অভাব বোধ!
কবিতা কে চিনেছে...
কবিতার পিছে ছুটে- ছুটে
বৃদ্ধ হয়ে পরছি- ঠিক কাদামাটি মতো;
নোনা জল চারপাশে বালুচর!
তবু কবিতা কেমন আছে, জানি না;
সোনালি মাঠ প্রান্ত শুধু দৃশ্যময়-
আর কত কবিতা? জানি জানতে পারবো না
সর্বশেষ বৃদ্ধ বয়স বলে...
কবিতার চরণে
সোনালি ধূলি
ঘুড়ি উড়ায় শুধু
সাদা আকাশের নিচে;
ফাল্গুন মেঘগুলো
দু’হাতের মুঠোই-
কেনো জানি মনে হয়;
অথচ কবিতার নাকি
ভাববার সময় নেই
দু’চোখের পাতায়
এমন কি মিষ্টি কথায়
তবু কবিতা এভাবে
হেঁটে যাচ্ছে দিগন্ত।
০২ মাঘ ১৪২৯, ১৬...
কবির পথে হাঁটছি
কবিতা কষ্ট দেয়;
সুখ কে ভয় পাই
কারণ ঝর্ণা ধারা
খুব কাছে- জাফলং;
দেখি অকারণেই-
তবু শত বাঁধার মাঝে
দুচোখে ছাই ভাবি না
অথচ কবিতা নিঠুর
যত সব চোরা গলিতে-
সাদা বক হাসে না
সাদা মেঘের ছায়ায়।
০১...
©somewhere in net ltd.