![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ এটাই আমার বড় পরিচয়। জীবন চালানোর তাগিদে কামলা দিই। জীবনের অনেক গুলো বছর অতিবাহিত হওয়ার পর উপলদ্ধি করলাম, আমি আমার গন্তব্য ভুলে গেছি। তাই আবার নিজেকে নিজের ভিতর নতুন করে খোজা শুরু করেছি। খুজে খুজে যা পাচ্ছি তা লিখতে চেষ্টা করছি।
সত্ত্ব, রজঃ ও তম এই তিনটি হলো মানুষের গুণ। এই তিন গুণের মধ্যে সত্ত্বগুন দেহীকে সুখে আসক্তি দ্বারা এবং জ্ঞানে আসক্তি দ্বারা আচ্ছাদিত করে রাখা রুপ আবদ্ধ করে, অর্থাৎ যখন মনে সত্ত্বগুণের প্রকাশ বা উদয় হয় তখন মনে জ্ঞান প্রকাশ পায়, জ্ঞান অর্থাৎ জানা, সত্ত্বগুণের অবস্থায় আত্মজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান বিকশিত হয়ে থাকে। এই জ্ঞানে আসক্ত হলে মনে --“ আমি আত্মজ্ঞান বিষয়ক বিষয়ের আভাস পেয়েছি” এই ধরণের বোধ হওয়া রুপ আসক্তি জন্মে। যা মূল যে বিষয় জানতে হবে তা দেহীরুপ প্রকৃত বস্তুকে জানতে দেয় না। জানতে না দিয়ে জ্ঞানে আসক্ত করে আবদ্ধ করে রাখে।
এবং এই সত্ত্বগুণ কর্তৃক জ্ঞানের প্রকাশ দ্বারা যে সুখের অনুভব হয়, সেই সুখেই জীবকে আসক্ত করে পরম সুখের বস্তুরুপ আত্মাকে জানতে দেয় না। সে সুখে আসক্ত থাকায় গুণের অতীত না হলে আসল বস্তু-স্বরুপ দেহীকে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। সত্ত্বগুণ জ্ঞানের প্রকাশক হলেও এই সুখে সত্ত্ব গুণ সুখ সঙ্গ বা সুখে আসক্তি ও জ্ঞানসঙ্গ বা জ্ঞানে আসক্তি দ্বারা মনকে আবদ্ধ করে রাখে।
©somewhere in net ltd.