![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ।কবিতা লিখতে ও পড়তে প্রচণ্ড ভালবাসি।
কে যাও মোহিনী হিরে-নন্দিনী
নুপুর-পতিত
.......মেঘের কণ্ঠ পায়?,
মুক্ত অলকে সাগর ঝলকে
শিমুল-চাঁদের
.......ফুল কপালের গাঁয়|
কোন সে নগরে যাও মৃন্ময়ী
চরণ যুগল
.......গোধুলি-শিল্প-রাঙা,
তোমার আরশী রোদের শার্শি
খুলে ফেলে এই
.......পৃথিবী করলো চাঙা|
খরা ঘেমে তাই নামলো তরল
পোড়ো বুকে ঘোর
.......অমৃত মেঘোচ্ছবি,
বরফ-আবেশে...
লোহার দাঁতে সবুজ পায়ে
মানুষ লাগায় মুখ,
কাঠ-লোকমায় গোগ্রাসে সে
তাড়ায় পেটের ভূখ|
যম-দু-হাতে মাটি ছোঁয়ায়
শক্ত খাড়া প্রাণ,
পকেট-গর্ভ প্রাপ্তি সুখে
উত্তেজনায় টান|
সভ্যতায় সে কাল ভেজাতে
ঘরকে সাজায় রোজ,
তুলোর নিচে লাশের খণ্ডে
অপূর্ব সাজগোজ!|
তার উপরে নিত্য চলে
খুনির উঠা...
চেয়ে দেখো সীমাহীন কাক-রঙা নিশীথের
........বুক ছায়া তলে,
সহস্র হিরক কণা রাতের প্রহরী হয়ে
........কি দারুণ জ্বলে|
আজতো মেঘের পালে মুখে তার বিদিশার
.......বেড়া পড়েছিলো,
তবুও এতটা রূপ হরিণ রাঙানো ছাদে
........কে টাঙিয়ে দিলো?
এগুলোতো তারা নয়
ধ্যানী...
কাঁচ-গোসলে যখন তোমার
রোদের প্রার্থী চুল,
রূপোয় তখন জলসা চোখে
মস্ত হুলস্থুল্|
যদিওবা কাঁক হয়ে যায়
কাফন-কাশের মেঘ,
ঘাসের মাটি সূর্য ছোঁয়ার
পায় গাঢ় উদ্বেগ|
তবু তোমার চিরুণী হাত
যদি বিছায় পিঠ,
সূর্য লোভে ঠিকরে বেরোয়
ফসকে মেঘের গিট|
তোমার খুশবু মেঘ...
বন্ধ্যা সময় নিরুদ্দেশে
শব্দ সবুজ ভাব,
চোখ-জানালায় দরজা আঁটা
মুক্ত সরস খা\'ব|
একাগ্রতায় হাতড়ে মরি
উদয় অস্ত জুড়ে,
সময় তবু শূন্যকে ছোঁয়
পূর্ণতা যায় মুড়ে|
প্রসব জ্বালা সমুদ্র ফের
বন্ধ জনম দ্বার,
মিলেনাতো প্রাণের দেখা
গোঙ্গানো হয় সার|
যুবক চাঁদের প্রচুর জলেও
পঙক্তি...
কাঁচের তারায় জীবন্ত চোখ ঠেকে,
পড়ে ফেলি দুর সৌর দ্বীপের পাঠ,
কোহে কাহাফেও লুকালে কবির প্রেম,
টেনে তুলি তার স্বর্ণ-দীঘল মাঠ|
সন্ধানি হাত কৌশলি নখে যদি,
খুঁজে পায় কিছু ক্ষত পাথরের বুক,
যেখানে চিহ্ন কবর-আখরে লেপা,
সেখানেও...
অজানা নক্ষত্র থেকে সীমাহীন ছুটে আসা
------আমি একজন,
তোমাকে দেখবো বলে সুধাময় এই মাঠে
সুবজ ঘাসের বুকে
----রেখেছি চরণ।
সহস্র শতাব্দী ধরে তোমার রূপের মদ
----কল্পনার গ্লাসে,
আমাদের ঘরে ঘরে সমস্ত প্রহর জুড়ে
মুখে মুখে শ্রেষ্ঠত্বের
----গন্ধ নিয়ে...
দৃশ্য শরীর আমার \'আমি\'র অর্ধেক হয় অংশীদার,
যতক্ষণ না হুকুম মাফিক সে ফেলে যায় বংশি-ভার|
যেইনা হঠাত্ অসীম ধ্রুব সত্যে ডোবায় গোপন মুখ,
অমনি দেখি নাম হারিয়ে ভিন্ নামে সে হয় বিচার|
_______________________
(রুবাই...
গল্প শোন বৃত্তকায় এক সমুদ্র-চুপ চতুষ্পথের,
প্রথম এবং দ্বিতীয়ে যার শেষ কথা হয় একই খতের|
তৃতীয়টাও সমান সমান তবে সে খুব স্বাধীনচেতা,
চতুর্থটায় এসে আবার ঝলক দেখি প্রথম রূপের|
______________________
(রুবাই -০৯)
হঠাত্ করেই পাল্টে গেলো পরিচ্ছন্ন সময় ছবি,
বিপথগামী শব্দে সেথায় কাম্ড়ে গেলো গোঁয়ার কবি|
পাথর পঙক্তি ভেদ করে চোখ পায়না খুঁজে শিকড়-তারা,
দুঃসময়ে একটু কী তাই অবোধ প্রাণের সঙ্গী হবি?|
______________________
(রুবাই -০৮)
নীল পেয়ালায় চুমুক দিয়ে মাতাল আমি আজ প্রিয়,
পানশালা তাই তোমার সূরার স্বাদ ছাড়া রয় নিস্ক্রীয়|
আদিঅন্ত তোমার মাঝেই মত্ত রবো ঘোর নেশায়,
গেলাস ভরে আমায় সাকী নিত্য শুধু প্রেম দিও|
______________________
(রুবাই -০৭)
আর হবোনা চতুর্দশী যৌবনে তোর মস্ত চূর,
সখীরে তোর স্বর্ণ আলোয় জ্বালবোনা আর অন্তঃপুর|
ছল ভরা ঐ কলস খানি আজ বুঝেছে মাস্তানায়,
হৃদয় চাঁদের দুরত্ব তাই রাখবো আলোকবর্ষ দুর|
______________________
(রুবাই -০৬)
দরজা ভাঙা চোখ সমুখে তীব্র দোযখ পড়ছে রোজ,
লোহার শূড়ে সারছে খাদক আচ্ছা মতন ভূড়ির ভোজ|
পথ-শরীরে সন্ধ্যা পিশা সূর্য রসের গভীর ছাপ,
চতুর্মুখী যম ঠেলে তাই প্রশ্ন-ডেরায় জীবন-খোঁজ|
_______________________
(রুবাই -০৫)
©somewhere in net ltd.