নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবারে স্ত্রীর অধিকার, মর্যাদা ও সম্মান

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮



আজকাল নারী অধিকার আদায়ের নামে অনেকে নানান ধরনের ফর্মুলা বাতিয়ে থাকেন। এসব ফর্মুলা সত্যিকারার্থে নারীর মর্যাদা রক্ষায় কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে, হাল আমলের নারীর প্রতি বৈষম্য, বিশ্বব্যাপী তাদের অধিকারহীনতাই তা প্রমানে যথেষ্ট। নারীর পরিপূর্ন সম্মান, মর্যাদা এবং যথাযথ অধিকার ইসলাম ধর্ম নারীকে দিয়েছে। নারীর পূর্নাঙ্গ অধিকার আদায়ে ইসলাম ধর্মের আদর্শ কোনভাবেই তুলনীয় নয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বলেন,

هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ

‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ (সুরা: ২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।

দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রীর রয়েছে নির্দিষ্ট অধিকার ও কর্তব্য। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। সুতরাং উভয়েরই রয়েছে উভয়ের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব ও করণীয়।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য
আল্লাহ তাআলা বলেন,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ

‘পুরুষগণ নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ হতে ব্যয়ও করে।’ (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রথম দায়িত্ব বা কর্তব্য হলো মোহর পরিশোধ করা। নগদে পরিশোধ করতে হবে স্ত্রীর মোহর। বিশেষ অপারগতায় বাকিতে হলেও তা পরিশোধ করতে হবে। কিস্তিতেও পরিশোধ করা যাবে। মহর পরিশোধ না করে মৃত্যু হলে তা ঋণ রূপে পরিগনিত হবে এবং ঋন হিসেবে গন্য করে স্ত্রীকে দিয়ে দিতে হবে। কোন কারনে মোহর স্ত্রীর জীবদ্দশায় আদায় করা সম্ভব না হলে, স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর বৈধ ওয়ারিশগনের নিকট তা পরিশোধ করতে হবে।

বিয়ের পর স্বামীর প্রতি দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে খোরপোশ (খাদ্য এবং পোষাক) ও বাসস্থান দেওয়া। এই তিন মৌলিক চাহিদার প্রথমটি হলো খাদ্য। স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রীর উপযুক্ত প্রয়োজনমতো খাদ্য যথাসময়ে নিয়মিত স্ত্রীকে দিতে হবে বা ব্যবস্থা করে দিতে হবে। উল্লেখ্য, খাদ্য বলতে তাৎক্ষণিক খাবারের উপযোগী দ্রব্য বা প্রস্তুত করা খাবার। অর্থাৎ খাবার সরবরাহ করা যেহেতু স্বামীর দায়িত্বে; সুতরাং খাবার প্রস্তুত করা স্ত্রীর দায়িত্ব নয়। মৌলিক চাহিদা তিনটির দ্বিতীয়টি হলো পোশাক। স্বামী স্ত্রীকে স্বীয় সামর্থ্য অনুসারে স্ত্রীর প্রয়োজনমতো তাঁর যোগ্য পোশাক দেবেন। প্রয়োজনীয় পোশাক প্রদান করা যেহেতু স্বামীর দায়িত্ব; তাই সে পোশাক প্রস্তুত করার ব্যয়ও স্বামীর ওপরই বর্তাবে।

স্ত্রীর মৌলিক অধিকারের তৃতীয়টি হলো নিরাপদ বাসস্থান বা নিরাপদ আবাসন। অর্থাৎ, স্বামী স্ত্রীকে থাকার জন্য এমন একটি ঘর বা কক্ষ দেবেন, যে ঘর বা কক্ষে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া (স্বামী ব্যতীত) কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি স্বামীর মা-বাবা, ভাইবোনও না। স্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনে এই ঘরে বা কক্ষে তিনি তালাচাবিও ব্যবহার করতে পারেন। স্ত্রীর ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বিষয়ে স্বামী ছাড়া কেউই নাক গলাতে পারবেন না। স্ত্রীর স্যুটকেট, ট্রাঙ্ক ও আলমারি স্বামী ছাড়া কেউ তল্লাশি করতে পারবেন না। কোনো স্ত্রীর চলাফেরা বা আচার-আচরণ শ্বশুর-শাশুড়ির অপছন্দ হলে তাঁকে আলাদা বাড়ি বা ঘর করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীর ব্যবহৃত কাপড়চোপড় ধুয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও স্বামীকেই করতে হবে এবং সামর্থ্য থাকলে স্ত্রীর ফুট ফরমাশ পালন করার জন্য একজন কাজের লোকও রাখবেন স্বামী। (শরহে বেকায়া, কিতাবুন নিকাহ)।

স্বামীর সংসারে স্ত্রী কাজকর্ম করলে এরজন্য স্ত্রী নফল ইবাদতের সওয়াব পাবেন। বিপরীতে, একইরকমভাবে স্বামীর উপার্জিত হালাল অর্থ থেকে স্ত্রী সন্তানদের জন্য ক্রয় করা খাদ্যের প্রতিটি লোকমার জন্যও স্বামীও নফল সদকার সওয়াব প্রাপ্ত হবেন। অসচ্ছল ও অভাবী স্বামীর সংসারে স্ত্রী কাজকর্ম করলে স্বামীর উপার্জনে সহায়তা এবং সন্তানদের প্রতি সহযোগিতা করা হবে। সংসারে উন্নতির জন্য স্বামী-স্ত্রী একে অন্যকে সহযোগিতা করা উচিত।

সংসারে স্ত্রীর কর্তব্য
বিয়ের পর যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর কাঁধে বর্তালেও স্ত্রীরও কিছু কর্তব্য রয়েছে। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাসে রোজা রাখে, স্বীয় সতীত্ব ও সম্ভ্রম রক্ষা করে শালীনতা বজায় রেখে চলে এবং স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করে; তখন সে বেহেশতের যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।’ (আবু দাউদ শরিফ)।

স্ত্রী হিসেবে স্বামীর দেখভাল করা স্ত্রীর দায়িত্ব। স্বামীর সংসারের দেখাশোনা করা এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করাও স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ

‘তবে সৎকর্মশীলা নারী বা সাধ্বী রমণী তাঁরা, যাঁরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর অন্তরালেও তাঁরা তা সংরক্ষণ করেন, যা আল্লাহ হেফাজত করেছেন।’ (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)।

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম হলো তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জন্য সঙ্গী জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।’ (সুরা: ৩০ রুম, আয়াত: ২১)।

সন্তান লালনপালন
সন্তানের দায়িত্ব পিতার। তার ভরণপোষণ, চিকিৎসা ও শিক্ষার যাবতীয় ব্যয়ভারও বাবাই বহন করবেন। মা তাকে দুধ পান করাবেন। যত্ন করে লালন পালন করবেন। কুরআনুল কারিমে এ বিষয়ে বিবৃত হয়েছে,

وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ وَعلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ لاَ تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلاَّ وُسْعَهَا لاَ تُضَآرَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلاَ مَوْلُودٌ لَّهُ بِوَلَدِهِ وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَلِكَ

‘আর জননীগণ যদি চান তাঁদের সন্তানদের দুগ্ধপান পূর্ণ করতে, তবে পূর্ণ দুই বৎসর দুধ পান করাবেন। আর সন্তানের পিতার দায়িত্ব তাদের খাবার ও পোশাক। কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের অতীত কার্যভার দেওয়া হয় না। সন্তান দ্বারা জননীর ক্ষতি সাধন বিধেয় নয়; আর বিধেয় নয় সন্তান দ্বারা তার জনকের ক্ষতি সাধন। এবং উত্তরাধিকারীদের ওপরও অনুরূপ দায়িত্ব।’ (সুরা: ২ বাকারা, আয়াত: ২৩৩)।

শেষের কথা

কবির কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে হয়-

প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

স্ত্রী হলেন সহধর্মিণী, অর্ধাঙ্গিনী, সন্তানের জননী; তাই স্ত্রী সম্মানের পাত্রী। স্ত্রীর রয়েছে বহুমাত্রিক অধিকার; সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে এবং উভয়ের পরিবারের প্রত্যেকে নিজ নিজ অধিকারের সীমানা ও কর্তব্যের পরিধি জেনে তা যদি যথাযথ চর্চা করেন তাহলে সংসারে নেমে আসবে শান্তির পরিছায়া। মাটির পৃথিবীতেই লাভ করা সম্ভব জান্নাতের অমীয় সুখের পরশ।

আল্লাহ পাক আমাদের দুনিয়া আখিরাত উজ্জ্বল করুন। সকলের সংসার আলোকিত করুন। সুখের প্রদীপ জ্বেলে সকলের কষ্ট দু:খ দূর করুন।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। জাযাকাল্লাহ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



মা-শাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।

অনেক ভাল থাকবেন।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে দরিদ্র পরিবারে, নারী পুরোপুরি কষ্টের ভেতরে আছে। তাদেরকে সরকার কোনভাবে সাহায্য করেনি; সরকার আছে রওশন এরশাদ, সাহারা খাতুন, শিরিনদের মতো নারীদের নিয়ে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিকই বলেছেন। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের নারীদের কষ্ট অবর্ননীয়। সরকারের উচিত, তাদের কল্যানে আরও বেশি এবং সঠিক পদক্ষেপ নেয়া।

অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: একসময় তো কন্যা শিশু জন্ম নিলে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হতো। দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশ এবং মানূষের মন মানসিকতা অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

কিছু ধার্মিকেরা বলেন, ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য কোনো কোনো মুসলিম তিন চারটা বিয়ে করে। কারন মেয়ের সংখ্যা বেশি। কারন পুরুষ যদি একজন নারীকেই বিয়ে করে তাহলে অন্যমেয়েদে কি হবে?

ইসলামে বলা হয়েছে পুরুষ ইচ্ছা করলে এবং তার টাকার ক্ষমতা থাকলে একের অধিক বিয়ে করতে পারবে।
স্বামী সহবাসের জন্য ডাকলে ছুটে যেতে হবে। চুলায় ভাত থাকলেও, আগে স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে হবে।

আবার মৃত্যুর পর হুর তো আছেই। অনেক সম্মান দিয়েছে ইসলাম নারীদের।

দেশের বর্তমান অবস্থা হলো- একটা শিক্ষিত মেয়ে যদি কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যায়, একা যেতে সাহস পায় না। সাথে মা, বাবা অথবা চাচা মামাকে সাথে করেও নিয়ে যায়।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলাম ধর্ম, মানে, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজে বলতে গেলে নারীর কোন অবস্থান ছিল না। সেকালে শুধু আরব নয়, ইউরোপ, দক্ষিন এশিয়া তথা ভারতবর্ষসহ গোটা পৃথিবীই নারীকে ভোগের সামগ্রী ছাড়া অন্য কিছু ভাবতো না। আরবে যেমন কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া হত, ভারতে সতীদাহের নামে নারীকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হত। সুতরাং, শুধুমাত্র ততকালীন আরবের অনাচার দেখে নাক ছিটকানোর কিছু নেই। খোলা চোখে সে আমলের বাকি পৃথিবীকেও দেখা উচিত। ইসলাম এসেই প্রথম নারীর মুক্তির পথ উম্মুক্ত করে। নারীকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। নারীকে ভোগের বস্তু থেকে মানুষ হিসেবে গন্য করে। সমাজ সংসারে তার সম্মানের আসন স্থাপন করে। অন্ধরা দেখবেন, ইতিহাস পড়েও না, জানার চেষ্টাও কখনও করে না। ওরা ইসলাম ধর্মের প্রতি খোঁচা দিতে সত্য মিথ্যার ধার ধারে না। অথচ পাশ্চাত্যের ইসলাম বিদ্বেষী ইতিহাসের পাঠক আর ইতিহাসবেত্তাগনও অকপটে ইসলামই যে নারীকে তার অধিকার দিয়েছে সেকথা স্বীকার করে থাকেন।

মেয়ের সংখ্যা বেশি বলে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য একেকজন তিন চারটা বিয়ে করবেন- এটা কোন কথা নয়। এগুলো গুজব, উড়ো কথা।

আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে পুরুষ বিশেষ প্রয়োজন সাপেক্ষে একাধিক বিয়ে করতে পারে। কিন্তু, আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন, ইসলাম এ বিষয়ে পুরুষকে উতসাহিত করেনি। কুরআনের ভাষ্য অন্তত: তাই বলে।

স্বামী সহবাসের জন্য ডাকলে ছুটে যেতে হবে। চুলায় ভাত থাকলেও, আগে স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে হবে।

আবার মৃত্যুর পর হুর তো আছেই। অনেক সম্মান দিয়েছে ইসলাম নারীদের।


-এতে নারীর মর্যাদা কমলো কোথায়? হুর তো নারীদের সেবায়ও নিয়োজিত থাকবে। জান্নাতি নারীগন তো হবেন হুরদের সম্রাজ্ঞী। সুতরাং, সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা তো মনে হয়, আমাদের অসুস্থ মন এবং ব্যধিগ্রস্ত মানসিকতার।

দেশের বর্তমান অবস্থা হলো- একটা শিক্ষিত মেয়ে যদি কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যায়, একা যেতে সাহস পায় না। সাথে মা, বাবা অথবা চাচা মামাকে সাথে করেও নিয়ে যায়।

-কোন কোন মেয়ে তো দেখা যায়, বাবার কাছে পর্যন্ত নিরাপদ নয়। পরিবারেও নির্যাতিত। বাইরের কথা আর কী বলবেন? ধর্মের সঠিক অনুশীলনই নৈতিক চরিত্র উন্নয়নের গ্যারান্টি দিতে পারে। কেউ কেউ যে বলেন, 'ধর্মহীন মানব পশুর সমান'। কথাটা একেবারে অমূলক নয়।

অনেক কষ্ট করেছেন। দীর্ঘ মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট দিয়েছেন বার বার লেখাটা
আশা প্রয়োজন। প্রতিটি মুসলমান নারী পুরুষ
এই হাদীস মেনে চললে তো পৃথিবীতে স্বর্গ
সুখ নেমে আসবে। আমাদের জীবন সুস্থ
হাদীস দ্বারা পরিপুর্ন হোক এই কামনান্তে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

ভাল থাকুন।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

খুবই সুন্দর লেখা। এ ধরনের লেখা খুব কমই পাওয়া যায়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায়।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: নারীরা পিরিয়ডের রক্তের ছবি প্যাড সহ ফেসবুকে পোস্ট করছে শুনলাম। এটা কোন শ্রেনির স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাধীনতা কোনভাবেই বলা যায় না, বরং এগুলোকে বিকৃত মানসিকতার বহিপ্রকাশ হিসেবে ধরে নিতে হয়।

অনেক ভাল থাকুন শেখ সাহেব।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ নকিব ভাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও মোবারকবাদ, সোহেল ভাই।

অনেক ভাল থাকুন। অবিরাম।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বেশ লিখেছেন। ধন্যবাদ লিখবার জন্য।

একসময় তো কন্যা শিশু জন্ম নিলে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হতো। দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
.... ব্লগার রাজীব নুর ভাই প্রায়ই এমন মন্তব্য প্রকাশ করেন। আমার মনে হয় ইসলাম সম্পর্কে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। জানলে
বাধ্য হয়েই মেনে নিতেন, ইসলাম নারীদের কতটা সম্মান দিয়েছে।
আইয়্যামে জাহিলিয়াত’ বা মূর্খতার যুগে শিশু কন্য হত্যা, খুন, গুম, বেবিচার, অনাচার স্বাভাবিক ব্যাপার ছিলো। তখন এসব নিয়ে কেউ আলোচনা সমালোচনা করতো না। আর করলেও প্রতিবাদ করার বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতো না। তখন প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আগমন। আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগ সম্পর্কে ব্লগার নতুন রাকিব ভাইকে লিখার অনুরোধ রইলো।

"তোমরা দারিদ্র্যের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদের রিযক দেব এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয়ই তাদের হত্যা করা মহা অন্যায়” (বাণী ইসরাইল: ৩১)।

"তোমরা নারী জাতির (অধিকারের) ব্যাপারে সতর্ক হও কেননা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ।”- মহানবী (সঃ)


কোরআন ও হাদিসে এমন অনেক আয়াত ও নবীর বানী আছে। এসব প্রমাণ করে?


০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ, রেফারেন্সসহ বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য। জ্বি, আপনার অনুরোধ রক্ষা করে জাহিলিয়া যুগে আরব্য সমাজে নারীর দুরবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা আপনার জন্য।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: নকিব ভাই,
আমার বাসায় আমি কিন্তু আমার স্ত্রীকে অধিকার দিয়েছি, মর্যাদা দিয়েছি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, স্ত্রীকে অধিকার, মর্যাদা দেয়ায়। আরে, আপনি মর্যাদা না দিয়ে যাবেন কোথায়? সচেতন ব্যক্তিগনই তো অপরের অধিকার আদায়ে সজাগ থাকেন।

স্ত্রীর অধিকারের কথা যেহেতু বলেছেন, তার অধিকারের ভেতরে সর্বপ্রথম আসে মোহর প্রসঙ্গ। তা, ভাবি সাহেবাকে তার মোহরের নির্ধারিত অর্থ কখন এবং কিভাবে দিয়েছেন, যদিও পারসোনাল এবং পারিবারিক বিষয়, তবুও শেয়ার করলে অন্যরাও আপনার থেকে শেখার চেষ্টা করতে পারতো। দু:খিত, আপনি মনে কিছু নিবেন না, আশা করছি। নিজেরটা না বলে অন্যেরটা শুনতে চাওয়াটা ভাল দেখায় না। তাই বলে দিচ্ছি। আমি কিন্তু আমার স্ত্রীর মোহর তাকে পুরোপুরি অর্থ এবং সম্পদ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। এবং তিনি এতে খুশি।

ভাল থাকুন।

১০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ^^কাফের মোশরেক নারীরা আসলেই কষ্টে আছে।
লজ্জা নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়টুকুও তারা পাচ্ছে না।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই তো দেখা যায়। কী বলবেন এদের?

ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গিরি গোহা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ, পাঠ এবং মন্তব্যে আসায়।

১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১০

ওমেরা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখা । এমন লিখা আরো বেশী বেশী লিখুন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক মোবারকবাদ। নিশ্চয়ই ভাল রয়েছেন। ভাল থাকুন আরও।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। ধন্যবাদ।



প্রশ্ন হলো জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন এর এজেন্ডা কি? বলতে পারবেন কি?

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ভদ্রলোক ভাল হয়ে গেছেন। আল্লাহ পাকের রহমতে তার প্রতি আমার প্রত্যাশা রাখতে ইচ্ছে হয়, তিনি এই ব্লগের কারও অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মত নিকৃষ্ট কাজে নিজেকে হয়তো জড়িয়ে রাখবেন না।

তার কল্যান অবশ্যই আশা করি।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা অশেষ। ভাল থাকুন।

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, খুব ভালো লাগলো। আপনার পোস্টে আসতে ভয় পাই কিছু বিকৃত মানসিকতার লোকের দেয়া কুৎসিত ছবি দেখার সম্ভাবনায়। আশাকরি শিঘ্রী এ অবস্থার উন্নতি হবে। ভালো থাকুন, শুভকামনা।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্ট ভাল লাগায় আনন্দিত। আমিও ভয়ে ভয়ে পোস্টে ঢুকি। কারও সাক্ষাতে পোস্টে সাধারনত: যাই না। আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাই। আমার সাধ্যের বাইরে যা কিছু তিনি যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন।

যাদের কারনে আমাদের এই পরিনতি, তাদের জন্য কোনক্রমে অভিশাপ নয়, নিরন্তর শুভকামনা। আল্লাহ পাক তাদের আগামী দিনগুলোকে আলোকিত সুন্দর করুন। প্রানভরে তাদের জন্য দোআ করছি। চোখের অশ্রু ফেলে তাদের অপরাধের জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আল্লাহ পাক সকলকে ক্ষমা করুন।

অনেক ভাল থাকবেন।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

তারেক ফাহিম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
এই ধরনের পোষ্ট আরও অাশা করছি।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অভিনন্দন।

ভাল থাকবেন অনিশেষ।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

বারিধারা ২ বলেছেন: রাজীব নূর আগে বলেছিলেন, "মুসলমানদের ইতিহাস কন্যা সন্তান জন্ম হলে কুয়ায় ফেলে দেবার ইতিহাস"। তারপরে যখন সত্যিটা জানলেন, তখন আবার লিখলেন, "একসময় তো কন্যা শিশু জন্ম নিলে কুয়ায় ফেলে দেওয়া হতো। দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো"। তার মানে মুসলিম ইতিহাস সম্পর্কে ওনার জ্ঞানগত পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু এখনো মুসলিম জাতি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা করার মত মানসিকতা হয়নি। যে আপনাকে ভাল বলে মানতেই চায়না, তাকে জ্ঞান দিয়ে লাভ কি?

আর ঐ নয়ন নামের ছুপা হাগুর প্রশ্নের জবাব আপনি কেন দেন? এতে তো সে আরও লাই পায়? ঐটা যে কতবড় একটা ইতরের সন্তান - তা তো এই ব্লগের সবার জানা হয়ে গেছে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



সন্তানের অপকর্মের কারনে পিতামাতাও যে লাঞ্চনার শিকার হন, তার প্রমান এই ব্লগপোস্ট। জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন নিকগ্রহনকারীর পিতামাতার জন্য দু:খ হয়, তারা যদি চরিত্রহীন সন্তানের পিতামাতা না হয়ে একজন রিকশাওয়ালা, ঠেলাওয়ালা, মুটে মজুর কিংবা কুলির বাবা মা হতেন, মানুষের অভিশাপের বৃষ্টি তাদের স্পর্শ করতো না। অভিসম্পাতের অনবরত বর্ষন হতে নিজেদের হয়তো বাঁচাতে পারতেন।

উলঙ্গ ভিডিও লিঙ্ক বিতরনকারীর প্রতি আল্লাহ তাআলা, তার ফিরিশতা জগত, পৃথিবীতে বিচরনশীল সৃষ্টিকুলসহ সকলের নিরন্তর লা'নত, অভিশাপ।

রাজীব নূর আস্তে আস্তে বুঝতে চেষ্টা করছেন। তাকে সুযোগ দিতে হবে। তবে, তার উন্নয়ন লক্ষনীয়। তিনি পরিশ্রমী। মনযোগী পাঠক। আশা করি, তার জ্ঞানকে তিনি আরও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবেন।

আপনার জন্য শুভকামনা। অনেক কৃতজ্ঞতা, পাশে থাকায়। ভাল থাকুন সারাক্ষন।

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

মুফীদ হাসান বলেছেন: মাশাল্লাহ্! দারুণ লিখেছেন .. আল্লাহ্ পাক আপনাকে উত্তম জাযা দান করুক। আমি আশা করছি নাস্তিকদের নাস্তিকতা আপনার মনোবলকে আরো শক্ত করবে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:সময়ে পাশে ছিলেন। খেয়াল করিনি। দেরিতে প্রত্যুত্তরে আসায় দু:খিত।

সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন দোআ। ভাল থাকুন অনেক।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

সিফটিপিন বলেছেন: মডুগন কি ঘুমাইতেছে ? X((



জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন এবং নকিবের জাহান্নামী পিতা নামের নিকের বান চাই দ্রুত X(( X(

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অভিনন্দন। মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকবেন।

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন নিকের দ্রুত বান চাই X((

অাজ অামি উক্ত ব্লগের মন্তব্যের প্রতিত্ত্যর দেখেতে গিয়ে, ছোট ভাই'র সামনে চরমভাবে লজ্যা পেয়েছি, যা অামি সহজভাবে নিতে পারছি না। :(

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাকের দরবারে হাত তুলে এদের হেদায়েতের জন্য দোআ করুন। আমরাও তাই করেছি। আমরা তার জন্য দোআ করছি- দুই হাতে যিনি অকল্পনীয় ক্ষিপ্রতায় অশ্লীলতার প্রসারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, আমাদের বিরক্ত বিব্রত লজ্জিত করেছেন, সে হাতকে আল্লাহ পাক পূন্যের কাজে ব্যবহার করার তাওফিক দিন। বিশ্বাসের আলোয় তাকে আলোকিত করুন। সৃষ্টিকর্তা মহান মালিককে চেনা, জানা এবং মানার বুঝ দান করুন।

অনেক ভাল থাকুন।

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ভাই নাকিব, আমার মন্তব্যটি কেন মুছে ফেলা হল?

বুঝলাম না!

আপনাকে বিরক্তকারীর ধ্বংস কামনা করি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, মন্তব্য সম্মানিত মডারেটরবৃন্দ কর্তৃক কেন মোছা হচ্ছে, তারা কারন না জানালে বলা মুশকিল।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকুন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



বিরক্তকারীর প্রতি আল্লাহ পাক রহমত নাযিল করুন। আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি অবশ্যই তার মঙ্গল কামনা করছি। তাকে আল্লাহ পাক মাফ করুন। আমাদের সকলকে মাফ করুন।

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



কারও ধ্বংস কামনা করতে চাই না। প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সারা জীবনের এই শিক্ষাটির প্রতিফলন আমাদের বাস্তব জীবনেও থাকা প্রয়োজন। ক্ষমা, ক্ষমাই পারে মানবতাকে বাঁচিয়ে তুলতে।

আমাদের অনুমান, যিনি এই নিকৃষ্ট কাজগুলো করে ব্লগটিকে কলুষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন, তিনি অবশ্যই অবুঝ। তা তিনি নিজেকে যত চালাকই ভাবুন না কেন। সত্যিকারার্থে তিনি যদি জ্ঞানী হতেনই তাহলে কখনও এই ধরনের নির্লজ্জ কাজ করতেন না। তার বিবেক তাকে বাধা দিত।

সুতরাং, তার জন্য ধ্বংসের দোআ নয়, অভিশাপের বৃষ্টিবর্ষন নয়, তার হেদায়েতের জন্য আল্লাহ পাকের মহিমান্বিত দরবারে বিনীত প্রার্থনা জানাচ্ছি। তাকে তিনি ক্ষমা করে দিন। তাঁর রহমতের বারিধারায় সিক্ত করুন এই ব্যক্তির অতৃপ্ত আত্মাকে।

ভাল থাকুন।

২১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমার মন্তব্য মোছা হল কেন? এমনিতেই মন্তব্য করা হয় না, তার পরে যদি মুছে দেন। কি আর করা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি দয়া করে শব্দ ব্যবহারে আরেকটু মার্জিত হলে খুশি হব। মনে রাখা দরকার, ব্লগ হোক আর অন্য যে কোনও মাধ্যমেই আমরা লেখালিখি করি না কেন, সাধারন সৌন্দর্য্য বজায় রেখেই করা উচিত। আপনার দু'একটি মন্তব্য কিছুটা পীড়াদায়ক ছিল।

তবে, দু:খিত! আমি আপনার কোন মন্তব্য ডিলেট করিনি এবং আপনার প্রতি আমার কোনও অভিযোগও নেই। আমার ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

অনেক ভাল থাকবেন।

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: অামার মন্তব্যটি মুছে পেলা হয়েছে কেন মুকিদ ভাই?

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



পাইকারীভাবে জঙ্গল সাফ করতে গেলে যা হয়, আমার মনে সেরকম কিছু ঘটেছে। আপনার মন্তব্য তো মুছে ফেলার কথা নয়। হয়তো ভুলে এই কাজ হয়েছে। তবে, আমি ফ্লাডিংকারী ব্যক্তির মন্তব্য ব্যতিত অন্য কারও মন্তব্য ডিলেট করিনি।

অনেক ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.