নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি দারুন কাজ করে। বাস্তবে পরিক্ষা করার আগ পর্যন্ত আমারও বিশ্বাস এতটা পাকা ছিল না। হোমিওপ্যাথি চিকিতসা পদ্ধতির এমনসব অভাবনীয় ফলাফল দেখে আশ্চর্য্য হয়েছি। আমার যতদূর জানা, এলোপ্যাথি চিকিতসা ব্যবস্থায় হেপাটাইটিস বি পজিটিভ এর কোনো ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। এরকম আরও কিছু সমস্যায় এলোপ্যাথি চিকিতসার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এযাবত আসেনি।
সত্যিকারার্থে এই বিষয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু কিছু লোক রয়েছেন, যারা নিজেদের অতি আধুনিক ভাবেন। হোমিও চিকিতসার নাম শুনলেই অযৌক্তিকভাবে অর্থহীন বিদ্বেষমূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকেন। হোমিও চিকিতসার গোষ্ঠী উদ্ধারেও পারতপক্ষে ছাড়েন না। ফলে এতে তাদের নিছক শত্রুতামূলক আচরনেরই বহি:প্রকাশ ঘটে থাকে। তাদের প্রতি কোনো ক্ষোভ নয়, বরং তাদের অনুরোধ করতে চাই, হোমিও পদ্ধতি আপনি গ্রহন করুন কিংবা না করুন সেটা একান্তই আপনার নিজের ব্যাপার, কিন্তু না জেনে হোমিও চিকিতসা বিধানের বিরুদ্ধে বিষোদগারে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে দায়িত্বশীলতার পরিচয় হিসেবে একটিবার অন্তত: হোমিও চিকিতসা পদ্ধতির দোষ গুনগুলো বাস্তবে পরিক্ষা করে দেখুন। যাচাই করে নিতে অসুবিধা কোথায়?
প্রসঙ্গত: বলা সমিচীন মনে করছি, হোমিওপ্যাথি চিকিতসা পদ্ধতি কোনো এলাকা বা অঞ্চলের অজ্ঞ ও মূর্খ লোকদের উদ্ভাবিত আঞ্চলিক কোনো অপচিকিতসা পদ্ধতি নয় যে, এই চিকিতসা ব্যবস্থাটি সম্মন্ধে শিক্ষিত সমাজ জানে না। বরং, মনে রাখা প্রয়োজন, হোমিওপ্যাথি চিকিতসা পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত এবং আধুনিক জনপ্রিয় একটি চিকিতসা পদ্ধতি।
আগেই উল্লেখ করেছি, এমন অনেক রোগ রয়েছে যার একচুয়ালি এলোপ্যাথিতে কোনো চিকিতসা নেই। শুনে নয়, দেখে দেখে, বাস্তবে ফলাফল লাভ করে বুঝেছি, বিশ্বাস না করে পারিনি, হোমিও চিকিতসা পদ্ধতিতে ক্যানসারের মত মারাত্মক রোগেরও আরোগ্যলাভ সম্ভব। আমার চোখের সামনে, দেশের নামকরা এলোপ্যাথি ডাক্তারের চিকিতসা শেষে, তাদের সকল প্রচেষ্টা প্রয়োগের পরে, এমনকি রোগীর আর বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র তিন মাস- এমন কঠিন সময়সীমা বেধে দেয়ার পরে, এই রোগী শুধুমাত্র হোমিও ওষুধ সেবনে সম্পূর্ন সুস্থতালাভ করেছেন। শুধু সুস্থতালাভ করেছেন বললে একটু কম বলা হবে। যে রোগীর ত্রিমাস মাত্র আয়ুষ্কালের ব্যাপারে ২০০২ সালের দিকে এই কঠিন ভবিষ্যত বানী দেয়া হয়েছিল, সেই রোগী এখনও সুস্থাবস্থায় রয়েছেন। এটা আমার নিজের দেখা। শোনা কোনো গল্প নয়। নিজের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
আমার নিকটাত্মীয়দের দু'জন যারা এইচবিএসএজি পজিটিভ (হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে) আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন বিদেশ যেতে পারছিলেন না। হোমিও ওষুধ সেবনে তার অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। ভাইরাস টেস্টে নেগেটিভ ধরা পড়েছে। এবং অবশেষে তিনি বিদেশে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
আরেকজন আমার কাছাকাছি থাকেন। চোখের সামনেই তার ওষুধ সেবনের দীর্ঘ (প্রায় দু'বছরকাল যাবত তিনি ওষুধ নিয়মিত সেবন করেছেন) সময়কাল প্রত্যক্ষ করলাম। এবং আশ্চর্য্যভাবে লক্ষ্য করলাম, সর্বশেষ গত তিন চার মাস আগে তার যে টেস্ট করানো হয়েছে তাতে ভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। প্রথমে তার টেস্ট করানো হয়েছিল ইবনে সিনায়। এখানের রিপোর্টে নেগেটিভ ধরা পড়ে। রিপোর্টের উপর পুরোপুরি আস্থা আনতে না পারায় মহাখালী সরকারি কলেরা হাসপাতাল থেকে একই টেস্ট আবার করানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কারন, মহাখালি কলেরা হাসপাতালের রিপোর্টকে অন্যান্য ল্যাব থেকে অধিক অথেন্টিক বলে ধরে নেয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, কলেরা হাসপাতালের পরিক্ষায়ও নেগেটিভ রিপোর্টই আসে।
ছোটখাট টিউমার, আঁচিল, কিছু কিছু চর্মরোগ, ইত্যাদিসহ আরও কিছু রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিতসা দারুন ফল দেয়। যারা হোমিওপ্যাথিতে ভয় পান, তাদের একবার পরিক্ষা করে দেখার জন্য অনুরোধ থাকলো।
এক বন্ধুর লজ্জাস্থানের আশপাশে অনেক আঁচিল ছিল। সংরক্ষিত অঞ্চল হওয়ায় বেচারা ডাক্তার দেখাতেও লজ্জা পাচ্ছিলেন। একবার আমাকে ঘটনা খুলে বললেন, ওষুধ দিলাম। মাস খানিক ওষুধ সেবনের পরে জানালেন, সমস্যা বেড়েছে। আবার এক মাসের ওষুধ দিলাম। এভাবে তিন বার ওষুধ নিলেন। মাস তিনেক ওষুধ সেবনের পরেও কোনো ফলোদয় না হওয়ায় সীমাহীন বিরক্ত হলেন ভদ্রলোক। আমার সাথে তার ঘনিষ্টতা বেশি থাকায় কঠিনসব তিরষ্কার বানী শুনিয়ে গেলেন এক দিন। বললেন, 'খাওয়া তো দূরের কথা, আর জীবনে যদি কোনো দিন হোমিওপ্যাথি ওষুধ ছুঁয়ে দেখি!'
রহস্যজনকভাবে এই বন্ধু আবার ফিরে এলেন। বছরখানিক পরে ভদ্রলোক এক দিন পেছনের সেই তিরষ্কারের জন্য দু:খ প্রকাশ করে জানালেন, 'তার শরীরে কোনো আঁচিল নেই। আঁচিল তো নেইই, আঁচিলের চিহ্ণ পর্যন্ত নেই।'
এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা স্মৃতিতে জমে আছে। সময় পেলে শেয়ার করার চেষ্টা থাকবে।
সুতরাং, হোমিও চিকিতসায় বারবার দেখেছি, ধৈর্য্য বড় ব্যাপার। ধৈর্য্যধারন করে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যেতে হয়। যাদের পক্ষে ধৈর্য্যধারন সম্ভব নয়, যাদের দীর্ঘ সময় ধরে (কোনো কোনো রোগের ক্ষেত্রে) ওষুধ সেবনের ইচ্ছে বা সুযোগ নেই তাদের জন্য হোমিওর কাছে না যাওয়াই শ্রেয়।
অবশ্য বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত হোমিওপ্যাথিতে কিছু গোঁজামিল রয়েছে। এগুলো আমার কাছেও নিদারুন বিরক্তিকর। ধুরন্দর তো সবখানেই কম বেশি থাকেন, এই পেশাতেও কিছু ধুরন্দর টাইপ লোকজন যুক্ত হয়েছেন। অরুচিকর অশ্লীল সব বিজ্ঞাপন ছেপে, ভিজিটিং কার্ডে দুনিয়ার সর্বরোগের চিকিতসায় ১০০% গ্যারান্টিযুক্ত চাপাবাজি করে প্রতারনায় কোমর বেধে নেমে থাকেন এরা। এই গ্যারান্টিওয়ালাদের খপ্পড়ে পড়ে কত মানুষ যে সর্বশান্ত হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। হারবাল চিকিতসার নামে যেভাবে অহরহ ভূয়া চিকিতসা কেন্দ্র গড়ে তুলে সাধারন মানুষদের ঠকানো হচ্ছে, হোমিওপ্যাথির নামেও এই জাতীয় ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে ইদানিং ব্যাপক প্রতারনার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এই ভূইফোঁর দুষ্টদের বিরুদ্ধে জরুরী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করি।
দেশে হোমিওপ্যাথির কিছু কিছু ডাক্তার গলাকাটা ব্যবসা করে থাকেন- একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সকল ডাক্তার নন। অনেকে পানি বেঁচে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করে থাকেন ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদিও ঠিক, তবে, এর জন্য সম্ভবত হোমিও চিকিতসা ব্যবস্থাকে দায়ী করা উচিত নয়। এসব অপকর্মে সকল ডাক্তার যুক্ত নন। যারা করেন, তারা নি:সন্দেহে নিন্দনীয়। তাদের বর্জন করুন। আর তাদের মত মুষ্টিমেয় সংখ্যক স্বার্থপর অতি লোভী ব্যক্তির কারনে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত সুন্দর একটি চিকিতসা ব্যবস্থাকে খারাপ বলা কতটা যুক্তিযুক্ত?
হোমিও ওষুধ এখন দেশেও তৈরি হয়। অনেকগুলো কোম্পানী হয়েছে দেশে, যারা হোমিও ওষুধ তৈরি করে থাকেন। এদের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ওষুধের গুনগত মান কতটুকু রক্ষা হয়, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। কোনো কোনো ওষুধ মাত্র এক আউন্স (অরিজিনাল বিটি জার্মানি) যেখানে ১৫০০ - ১৬০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়, দেশীয় সেই একই ওষুধ ১৫০ - ২০০ টাকায় পাওয়া যায়। দামের এই আকাশ পাতাল ফারাক থাকলে, মান কতটুকু রক্ষা হতে পারে?
আসুন, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে হোমিও চিকিতসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজের ধারনাকে স্বচ্ছ করি। সঠিক মাত্রায়, অরিজিনাল হোমিও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিরোগ থাকি। সকলে ভালো থাকুন। নিরোগ থাকুন। সুন্দর থাকুন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
রাজিব হোসেন পানি বলেছেন: vai apnar kache bather bethar kono somadhan ache ? bamside betha pa o hather girai ....
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। ব্যবস্থা আছে।
তবে সমস্যার বিস্তারিত না জেনে শুধুমাত্র এতটুকু বর্ননা দ্বারা আপনাকে কোনো পরামর্শ দিতে পারছি না। আপনি দয়া করে নিকটস্থ বিশ্বাসযোগ্য ভালো কোনো ডাক্তার দেখাতে পারেন। রোগীর অবস্থা সচক্ষে না দেখে ব্যবস্থা দেয়া কঠিন বৈকি।
ভালো থাকবেন।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
ঝিগাতলা বলেছেন: হার্টের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কেমন কাজ করে?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রশ্ন রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।
হার্টের চিকিৎসায় কিছু হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ভালো কাজ করে। তবে পোস্টে হয়তো পড়ে থাকবেন, ওষুধের কোয়ালিটি অনেক বড় ফ্যাক্টর।
অনেক ভালো থাকবেন।
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
মা.হাসান বলেছেন: হোমিও ঔষধে একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের পরিমান কত থাকে জানালে বাধিত হব।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
দয়া করে কিছু মনে করবেন না। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে আরেকটু সময় চাচ্ছি। আরও কিছুটা স্টাডি প্রয়োজন।
অনেক ভালো থাকুন।
৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: দেশে হোমিওর নামে স্প্রীটের ব্যবসা চলছে--যারা একটু নামিদামি আছেন তাদের অনৈতিক দামের কাছে মানুষ জিম্মি। অনেক আগে ছোটবেলায় নিউমার্কেটের ভিতরে এক হোমিও দোকান থেকে ঔষধ খেতাম তখন ভাল ছিল এখনকার অবসূহা জানি না।
তবে বর্তমানে ডাঃ রা যদি কমসময়ে সঠিক ঔষধ ন্যায্য দামে রোগিদের দিত তাহলে মানুষের আস্হা বাড়তো। আর রোগিকে বছর ব্যাপি চিকিৎসার নামে হয়রানি বন্দ করা উচিত।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। খুবই মূল্যবান কথা বলেছেন। বর্তমানে লুটেরা শ্রেনির কিছু লোকের কারনে মানুষের মাঝে হোমিওপ্যাথি ট্রিটমেন্ট নিতে ভীতি কাজ করে। এরা গলাকাটা ব্যবসা করে। এই শ্রেনির ঠগবাজদের প্রতিহত করতে পারলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
অনেক ভালো থাকুন।
৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমার এলাকায় ঢাকা থেকে আগত এক হোমিও চিকিৎসক যৌন রোগের চিকিৎসা করছে ধুমছে। উঠতি বয়সী পোলাপন থেকে বয়স্কদের গ্যারান্টি সহকারে নাকি চিকিৎসা দেয়।
প্রশ্ন হল হোমিও ঔষধ যৌন রোগের পক্ষে কতটা কার্যকারী??
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
স্বাগত।
যৌন রোগের জন্য ভালো ব্যবস্থা হোমিও পদ্ধতিতে অবশ্যই আছে। তবে, যৌন রোগ বলতে শুধুমাত্র কোনো একটিমাত্র রোগকে নির্দেশ করে না। যৌন সমস্যা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। একেকজনের একেক সমস্যা।
এসব ক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের প্রথম কাজ হচ্ছে, তাকে রোগ নির্নয়ে পূর্ন মনযোগী হতে হবে। হোমিও চিকিতসা পদ্ধতিতে রোগের কারন উদঘাটনে ব্যর্থ হলে আরোগ্যলাভের আশা করা বৃথা। এই কারনে রোগের জন্ম, রোগ জন্মের কারন, রোগটির স্থায়িত্ব, ধরন, ইত্যাদি লক্ষনাদি বিশদ এবং ভালোভাবে জেনে, প্রয়োজনীয় ডায়াগনোসিস করে সঠিক রোগটি সম্মন্ধে সম্যক ধারনালাভ করে তার জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই কেবল কাঙ্খিত ফলাফল আশা করা যেতে পারে। আগেই বলেছি, অরিজিনাল জার্মানির ওষুধ না হলে উপকার কম হবে। যেন তেন ডাক্তারদের বিশ্বাস করা কঠিন। জার্মানির ওষুধ বলে অনেকে জিনজিরার ওষুধ চালিয়ে দেয় কি না তার কি নিশ্চয়তা? এজন্য বিশ্বস্ত এবং ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, গ্যারান্টিওয়ালা, কসমওয়ালা, লেকচারদাতাদের অধিকাংশই ভূয়া হয়ে থাকে। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
জগতারন বলেছেন:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপর
আমার কোন দিন বিশ্বাস ছিল না।
এখনও নাই। কারন আমি এ সমন্ধে জানি ও পড়াশুনা করেছি।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ডাকতারদের বৈধ কোন পড়াশুনা নাই।
হোমিওপ্যাথিক পুরা বিষয়টি ভগি-ছগি ছাড়া আর কিছুইনা।
এই চিকিৎসা মুসলমানদের জন্য সিদ্ধও নয়া।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ঔষধ শুধুই মদ আর মদ।
ব্লগার এক বিন্দু জল এর আগের পোষ্টে পাঠক-পাঠিকাদের
মনকে একটি বার্তা দিয়ে গেছে; যে এই চিকিৎসা করতে একটু সময় বেশী লাগে।
এর মধ্যেই ভন্ড ও মূর্খ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ডাকতারদের
রুগিদের পকেট ফাকা করে আখের কামাই করা হয়ে যায়।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আগমনে মুগ্ধতা।
সবার সব জিনিষ বিশ্বাস করতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। একসময় আমিও হোমিও বিদ্বেষী ছিলাম। কিছু কাজে কাজে বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে আমার বিশ্বাস পাল্টেছে। তবু আপনি সুন্দর মন্তব্য করেছেন। চাঁদগাজী ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক একটি পোস্টে আপনার মুক্তিযুদ্ধকালীন সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারনটা খুব ভালো লেগেছে।
অনেক ভালো থাকবেন।
৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
স্বাগত।
অনেক ভালো থাকবেন।
৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছু কিছু রোগ-ব্যাধিতে হোমিওপ্যাথী ভাল কাজ করে। কাজ না করলে হোমিও ডাক্তারখানাগুলোতে এত ভিড় লেগে থাকতো না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শ্রদ্ধাসহ অভিনন্দন।
আমারও মূল কথা সেটাই। সকল রোগের কথা আমিও বলতে চাইনি। কোনো কোনো রোগের জন্য হোমিওর কাছে আমাদের না গিয়ে বিকল্প নেই। এই বিষয়টি বাস্তবে দেখেছি। বহুবার দেখেছি।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩
নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: হিরু আলুম নামের নিকৃিষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বগুরা ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে, যেই সংসদ নির্বাচণে অংশ নেবেন শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা, যেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সরকারের তাবত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীগণ। কিন্তু হিরু আলুম কে ? কি তার পরিচয় - দেশে তার গ্রামে মেম্বার নির্বাচন করার যোগ্যতা সে রাখে না। চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চাইলে ভর বাজারে বিচার ডেকে হিরু আলুমকে কানে ধরে উঠ বস করানো হবে। সেই ব্যাক্তি নর্দমার কীট নোংরা অশালীন ভিডিওকারী ও ই্উটিউবে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে - তার বিরুদ্ধে আপনারা কেউ লিখেন না, আবার আপনারা সবাই ব্লগ লিখেন ! কিসের ব্লগ লিখেন বলতে পারেন ? দেশের প্রতি কি দায়িত্ব নিয়ে লিখেন যে একটা নোংরা নর্দমার কীট অশালীন ভিডিওকারীর বিরুদ্ধে লিখছেন না। আপনাদের কাছে দেশ কি আশা করে? আপনারা ব্লগে বড় বড় কলাম লিখেন এই নর্দমার কীট সম্পর্কে কেনো লিখছেন না । কি লাভ এই বড় বড় কলাম লিখে যদি আপনার-আপনাদের লিখা দেশের সমাজের পরিবেশের উপকারে না আসে।
নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে? পবিত্র সংসদ ভবন যেখানে দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা সংশোধন সংযোজন পরিমার্জন করা হয় সেখানে হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুমের কাজ কি?
হিরু আলুম বাংলাদেশ ইন্টারনেট সমাজে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। সে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ? আপনারা কেউ কিছু বলুন ? কেউতো কিছু লিখুন - এই নোংরা কীট সমাজ ছিড়ে খাবলে খাবে । সমাজ পরিবেশ দেশ রক্ষা করুন। আপনারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ - নিজেকে কি বলে সান্তনা দেবেন ?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
একই কমেন্ট সবার পোস্টে দিচ্ছেন কেন?
১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
আবু তালেব শেখ বলেছেন: জনাব নিউজপ্রীন্ট ধানের হাটে ওল নামাইছে। কোথায় আপনি???
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
শেখ ভাই, 'ওল' মানে কি?
১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
সুমন কর বলেছেন: একটু সময় লাগে বেশি এবং পরিচিত ডাক্তার থাকলে ভালো। নতুবা যথার্থ ঔষুধ দেয় না বা দিতে চায় না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
একদম যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ, দাদা।
১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহই অসুখ দেন আবার আল্লাহই অসুখ থেকে মুক্তি দেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহই অসুখ দেন আবার আল্লাহই অসুখ থেকে মুক্তি দেন।
১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট...
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যিই? স্বাগত। কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকার দুআ বিদেশ বিভূইয়ে।
১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
এক বিন্দু জল বলেছেন: ধন্যবাদ হোমিওপ্যাথির উপর এতো সুন্দর গুছিয়ে লিখার জন্য।
শুভ কামনা রইল
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সুন্দর কমেন্ট রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার বাসার পাশেই একটি দোকান আছে। উনি বেশ ভাল কিচিৎসা দনে।
তার কাছে থেকে ছোট খাটো বিভিন্ন রোগে ঔষধ সেবনে উপকার পেয়েছি।
ওনার হাত যশ ও ভালও।
সময় ও ধৈর্য ধরে খেলে উপহার পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ।
বাত ব্যাথায় কতটুকু কার্যকরী নকীব ভাই। শীত আসলেই আমার পায়ে ব্যাথা শুরু হয়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
বাত ব্যাথায় হোমিও বেশ কার্যকর। তবে ভালো ওষুধ খুঁজে নিতে হবে। শীত এলে অনেকের হাতে পায়ে, অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা হতে দেখা যায়। এ বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোকপাতের প্রয়োজন মনে করছি। হয়তো অনেকের উপকারে আসতে পারে।
অস্থিসন্ধির বাত-ব্যথায় সাধারণত হাত-পা প্রথমে আক্রান্ত হয়। এ বাতে হাঁটু, কনুইসহ অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হয়। এ সমস্যা মাঝে মধ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং রোগী অচল হয়ে পড়ে। অস্থিসন্ধি বাতের সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে রোগ সৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী কিছু বিষয় হলো- বংশগত কারণ, ঠান্ডা এবং স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতা। অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম। সন্ধিতে ইউরেট অব সোডা সঞ্চিত হওয়া। দীর্ঘদিন ধরে দাঁত ও মাড়ির রোগ, প্রমেহ, শ্বেতপ্রদর থাকলেও এ রোগ হতে পারে। অতিরিক্ত এ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্যাদি এবং প্রোটিন গ্রহণ করলে সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
সাধারনত: চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষের তুলনায় এ রোগ নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। অস্থিসন্ধি বাতরোগে শারীরিক পরিবর্তন, দৈহিক বিকৃতি ও অন্যান্য উপসর্গগুলো হলো- দুর্বলতা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, হাত-পায়ে মাঝে মধ্যে ব্যথা অনুভব করা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া আঙুলের ছোট ছোট সন্ধি, কব্জি, পায়ের গোড়ালি এবং মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হওয়াসহ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, মাঝে মাঝে জ্বর, আক্রান্ত সন্ধিস্থল লাল, স্ফীত, শক্ত ও নড়াচড়ায় শব্দ, পারিপার্শ্বিক পেশিগুলোর শীর্ণতা, বিকৃত অবস্থা এবং পেশিবন্ধনী স্ফীত দেখা যায়। রক্তস্বল্পতা, রক্তে শ্বেতকণিকার বৃদ্ধি এবং অ্যালবুমিন হ্রাস পায়। রক্ত চলাচলকারী নালিতে প্রদাহের কারণে হাতের আঙুলের ডগায় বেদনাযুক্ত দাগ দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী পক্ষাঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। ফুসফুসের কোষ আবরকে প্রদাহের কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। চোখের গোলায় প্রদাহের কারণে দেখতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
সন্ধিবাতে দীর্ঘদিন ভুগলে শারীরিক বিকৃতি ঘটে থাকতে পারে। আক্রান্ত সন্ধির বন্ধনী, সাইনোভিয়াল ঝিল্লি এবং অস্থিগুলো শীর্ণ অথবা বর্ধিত হতে পারে। চামড়ার নিচে গুটি ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি বিকলাঙ্গ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়া শক্ত বিছানায় ঘুমানো, শরীরচর্চা, রক্তস্বল্পতা দূরীকরণসহ লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনে এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব।
আপনি নিকটস্থ বিশ্বস্ত কোনো অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার দেখাতে পারেন।
১৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকুন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: উপকারী পোস্ট