নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
খুন-খারাবি-রাহাজানি-অরাজকতার স্থান নেই ইসলামে:
প্রাক ইসলাম যুগে আইয়ামে জাহেলিয়াতের ঘুনে ধরা আরব সমাজে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, অনাচার ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এককথায় বলতে গেলে অঘোষিত 'জোর যার মুল্লুক তার' নীতিই ছিল সমাজের সর্বস্তরে কার্যকর। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার অবিচারে ছেয়ে ছিল তখনকার গোটা সমাজ। শান্তির ধর্ম ইসলামের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে মানবেতিহাসে সূচিত হয় নতুন মানবিকতার ধারা। সকল প্রকারের খুন-খারাবি, হত্যা, রাহাজানি, রক্তপাত, অরাজকতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ইসলাম ধর্মের বিধানে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা- বিশ্ববাসীর সামনে কুরআন হাদিসের এ মর্মবাণী তুলে ধরলেন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিদায় হজের ভাষণে লক্ষাধিক সাহাবির সম্মুখে গোটা বিশ্ববাসীর জানমালের নিরাপত্তার অমিয় বানী উচ্চারণ করে শোনালেন। দৃপ্ত কন্ঠে তিনি ঘোষনা দিলেন- ‘তোমাদের রক্ত তথা জীবন ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম; যেমন আজকের এই দিনে, এই মাসে ও এই শহরে অন্যের জানমালের ক্ষতিসাধন করা তোমাদের ওপর হারাম।’
নিরপরাধ কাউকে হত্যা করা মহাপাপ:
অন্যায়ভাবে নিরপরাধ কাউকে হত্যা করা মহাপাপ। কোনো ব্যক্তি যদি নিরপরাধ কোনো মানুষকে হত্যা করে, তবে এর জন্য তাকে আল্লাহ তাআ'লার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। হত্যার বদলে হত্যার ন্যায় কঠিন শাস্তি তাকে অবশ্যই পেতে হবে। পরকালে হত্যাকারীর জন্য রয়েছে ভয়ঙ্কর এবং মর্মন্তুদ শাস্তি। তা সত্ত্বেও আজ অতি সামান্য কারণে তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে খুন-খারাবিতে মেতে ওঠে মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে 'ছেলেধরা', 'গলাকাটা' ইত্যাদি গুজবে কান দিয়ে অহেতুক নিরীহ মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও দেখা যায়, সামান্য অর্থসম্পদ লাভের আশায় গোটা পরিবারকে হত্যা করতেও কুণ্ঠিত হয় না কেউ কেউ। ইদানিংকালে প্রতিদিনের সংবাদপত্রে উঠে আসা এসব হত্যাকাণ্ডের বীভৎস চিত্র দেখে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। বিবেকের দংশনে নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হয়। হায়, কেন মানুষ হলাম? এতই নীচ, এতটাই রক্তপিপাসুদের কি 'আশরাফুল মাখলূকাত' নামে ভূষিত করা মানায়? দিনকে দিন কেন আমরা এমন নৃশংস হয়ে যাচ্ছি? অথচ হত্যা এমন একটি জঘন্য অপরাধ, যা আল্লাহ তাআ'লার নিকট কঠিনতম অপরাধ এবং নিকৃষ্টতম মারাত্মক গুনাহ হিসেবে বিবেচিত। তিরমিজি শরিফে উল্লেখিত এক হাদিসের ভাষ্যানুসারে হত্যা জগতকে ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও ঘৃণিত কাজ। হাদিসে বলা হয়েছে- ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’
নিরীহ ও নিরপরাধ একজন মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর:
পবিত্র কুরআনের ভাষায়- একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর। আর কোনো ব্যক্তি যদি কারও প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। সে কারণেই অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নরহত্যার ভয়ানক পরিণাম বর্ণিত হয়েছে আল কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে-
مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا
‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩২)
If any one slew a person - unless it be for murder or for spreading mischief in the land - it would be as if he slew the whole people: and if any one saved a life, it would be as if he saved the life of the whole people.
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ:
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলাম অন্যায়ভাবে কোনো মানব সন্তান হত্যাকে কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করা ইসলামের নীতি আদর্শের সাথে কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পরিবারের কোনো একজন সদস্য নিহত হলে বা গুম হলে গোটা পরিবারের ওপরই নেমে আসে তার বিশাল একটি প্রভাব। উপার্জনক্ষম কোনো পিতাকে হারালে সে পরিবারের বাকি সদস্যরা পথে বসে যান। মাকে হারালেও ইয়াতিম অসহায় হয়ে পড়ে সন্তানেরা। মায়ের আদর সোহাগ স্নেহ বঞ্চিত হয়ে তারা। এমনি করে ভাই, বোন, আত্মীয় কিংবা সন্তান হারানোর বেদনাও বয়ে বেড়াতে হয় বাকি সারাটি জীবন। স্বজনহারাদের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। আজীবন তারা বয়ে বেড়ান এ শোক। আর পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক বহুবিধ সমস্যার ঘেরাটোপে নিপতিত হয় পুরো পরিবারটি। সর্বোপরি মাতৃ ও পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় নিহতের সন্তান-সন্ততিরা। স্ত্রী হয়ে যান বিধবা কিংবা স্বামীকে হতে হয় স্ত্রীহারা। মা-বাবা হারান তাঁদের কলিজার টুকরা সন্তান। এর চেয়ে বড় অন্যায়, নিকৃষ্ট জুলূম আর কী হতে পারে? এজন্যই খুনি জালিমদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা। পবিত্র কুরআনের ভাষায়-
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُوْلَئِكَ لَهُم عَذَابٌ أَلِيمٌ
‘কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে, যারা মানুষের ওপর জুলুম করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ (সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ৪২)
The blame is only against those who oppress men and wrong-doing and insolently transgress beyond bounds through the land, defying right and justice: for such there will be a penalty grievous.
কিয়ামতে সর্বাগ্রে মানুষ খুনের বিচার:
হাদিসের ভাষ্যে জানা যায়, কিয়ামতের দিন নরহত্যার বিচার করা হবে সর্বাগ্রে, এরপরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অপরাধের শাস্তির ফয়সালা হবে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে মোকদ্দমার ফায়সালা হবে, তা হলো রক্তপাত বা হত্যা সম্পর্কিত।’
নিরপরাধ মানুষ হত্যা কোনো অবস্থায়ই সমর্থনযোগ্য নয়:
ধর্মীয় বিধানাবলী পর্যালোচনা করে কোথাও নিরপরাধ মানুষ হত্যার সমর্থনে কোনো যুক্তি যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি মানবতা ও নৈতিকতার কোনো স্তরেই নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ও অহেতুক রক্তপাতের সমর্থনে কোনো বক্তব্য চিন্তা করা যায় না। পবিত্র কুরআনে মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্পষ্টভাবে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ ফরমান-
وَلاَ تَقْتُلُواْ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللّهُ إِلاَّ بِالحَقِّ
‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাকে হত্যা করো না।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৩৩)
Nor take life - which Allah has made sacred - except for just cause.
হত্যা মহাপাপ; এর জন্য রয়েছে পরকালে কঠোর শাস্তি:
অন্যান্য অপরাধের গুনাহ ক্ষমা করলেও হত্যাকারীকে আল্লাহ তাআ'লা ক্ষমা করবেন না। হত্যার শিকার ব্যক্তি ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, যুবক-বৃদ্ধ যে শ্রেনি পেশার মানুষই হোন না কেন, হত্যাকারীকে এর শাস্তি পেতেই হবে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি আসমান-জমিনের সব অধিবাসী একজন মুসলমানকে অবৈধভাবে হত্যা করার জন্য একমত পোষণ করে, তবে আল্লাহ তাদের সবাইকে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
মাকে হারিয়ে কান্নারত ৪ বছরের ছোট্ট সোনামনি তাসনিমা তুবা, পাশে গনপিটুনিতে নিহত মা তাসলিমা বেগম। ছবি: ইনকিলাব অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
তাসনিমা তুবা মাকে ছাড়া খাবে না:
মা তো আর ফিরবেন না! ফিরতে পারবেন না! ফেরার উপায় নেই! তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে! এই চরম সত্যটা বোঝার বয়স এখনও হয়নি ছোট্ট তাসনিমা তুবার। মা নেই প্রায় তিন দিনের বেশি, তবু সেটা বুঝে উঠতেই পারছে না ছোট্ট তুবামনি। প্রথম দিকে মগ্ন ছিল পুতুলখেলায়, এখন তার মাকে চাই। মাকে ছাড়া সে খাবে না। বারবার বলছে, ‘মা কখন আসবে? মা কেনো আসছে না? মা না এলে আমি ভাত খাব না।’
তুবা মাকে হারিয়েছে ২০ জুলাই শনিবার। এদিন সকালে তুবাকে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে গনপিটুনিতে নিহত হন মা তাসলিমা বেগম। মাকে হারানোর দু'দিন পেরিয়ে গেলেও তুবা বুঝতে পারেনি। তাকে ভুলিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দু'দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার (২২ জুলাই) তাকে আর বুঝিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। বারবার বলছিল- 'মা কোথায়? মা কেন আসছে না? আমি মায়ের কাছে যাব।' সারাদিন মায়ের অপেক্ষায় ছিল চার বছরের ছোট্ট সোনামনি তাসনিমা তুবা। মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ছিল কান্নায়। তুবার বড় ভাই ১১ বছরের তাহসিন আল মাহিন অন্তত বুঝতে পেরেছে, তাদের মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ফিরে আসবেন না আর কোনো দিন। মায়ের প্রিয় মুখ দেখার সুযোগ হবে না আর কোনো দিন। কিন্তু চার বছরের ছোট্ট সোনা এই বোনটিকে সান্ত্বনা দিবে কে? কে তাকে বুঝাবে যে, আম্মু আর ফিরে আসবেন না কোনো দিন? মাতৃস্নেহ বঞ্চিত দুই কঁচি সন্তানের বুকভরা হাহাকার আর আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে আকাশ বাতাস! শোকে-দুঃখে নির্বাক নিথর তুবা আর মাহিনের স্বজন-পরিবার! কে দিবে তাদের সান্ত্বনা? কে দিবে এই অবুঝ ইয়াতিমদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে? মায়ের অভাব কিসে পূরণ হবে এই দুই সন্তানের?
গনপিটুনির হোতাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক:
সাম্প্রতিক সময়ে গত কিছু দিনের ব্যবধানে এ পর্যন্ত দেশের যেসব এলাকায় যতগুলো গনপিটুনির ঘটনা ঘটেছে এবং এর ফলে যত জন লোককে মেরে ফেলা হয়েছে, নেত্রকোনার একটি ঘটনা ব্যতিত বাকি প্রায় প্রত্যেকটিই ভিত্তিহীন অভিযোগে ঘটানো হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিশ্লেষনে উঠে এসেছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এসব কর্মকান্ডের হোতা লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যদের চিহ্ণিত করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা হোক। সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার তথ্য প্রমান বিশ্লেষন করে প্রত্যেক অপরাধিকে আইনের মুখোমুখি করা এখন সময়ের দাবি।
সুখবর হচ্ছে, রাজধানী বাডডায় গত শনিবার ২০ জুলাই সরকারি প্রাইমারি স্কুলে নিজের ৪ বছরের মেয়ে তাসনিমা তুবাকে ভর্তির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে যাওয়া নারী তাসলিমা বেগম হত্যার ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের অন্য কয়েকটি গনপিটুনির ঘটনায়ও তাদের ভূমিকা আশাব্যঞ্জক। অপরাধীদের ধরতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আশা করা যায়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনে বাকিদেরও তারা দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন। অার দু'একটি ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনা গেলেই বাকি লাঠিয়ালদেরও কিছুটা হলেও বোধোদয় হবে বলে ধরে নেয়া যায়।
চাই অন্যায় অত্যাচারবিহীন সঙ্ঘাতমুক্ত নিরাপদ আদর্শ সমাজ:
বিবাদ বিসংবাদ নয় চাই অন্যায় অত্যাচারবিহীন সঙ্ঘাতমুক্ত নিরাপদ আদর্শ একটি সমাজ। যে সমাজে মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো কলহ-ক্লেশ। থাকবে না কোনো দ্বন্ধ-সংঘাতের কলুষ কালিমা। থাকবে না কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা-অশান্তি তথা ফাসাদ। যেখানে বিরাজ করবে শুধু শান্তির সুন্দর পরিবেশ। আর শান্তিময় কান্তিময় এমন আলোকোজ্জ্বল একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল প্রকার উগ্রতা পরিহার করে, অশান্তি, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, উগ্রতা, বর্বরতা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড থেকে মুক্ত থেকে সুন্দর একটি পৃথিবী উপহার দিতে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের আলোকে আলোকিত হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ছবি: অন্তর্জাল।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলেই তাই মনে হচ্ছে। দিন দিন মানুষের সহজাত মায়া মহব্বত সবকিছুই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কেন এমন হয়ে গেলাম আমরা? ক্রমেই আমরা নিষ্প্রাণ কাঠের মত মমতহীন বস্তুতে রূপান্তরিত হচ্ছি মনে হয়! এ অবস্থার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন।
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত। আশা করছি, ভাল আছেন। শুভকামনা।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজের অস্থিরতায়
ডুকরে কাঁদে বুক,
সহিংসতা কেড়ে নিল
সবার শান্তি সুখ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
এই সমাজের অস্থিরতায়
ডুকরে কাঁদে বুক,
সহিংসতা কেড়ে নিল
সবার শান্তি সুখ।
চার লাইনের কবিতায় বর্তমান অস্থির সময়ের যথাযথ প্রকাশ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নকীবভাই, আগের পোষ্টের মন্তব্যে উত্তর না দিয়ে নতুন পোষ্ট দিচ্ছেন....বিশেষ কোন কারন আছে? আমার একটা বিষয় জানার ছিল। উত্তর পাইনি।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
কিছুটা ব্যস্ততার ভেতরে থাকার কারণে গতকালের পোস্টটির প্রতিমন্তব্যে আসতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ আসবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা সবসময়।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: একজন পকেটমারকে গনপিটুনি দেয়া আর একটা মহিলাকে গনপিটুনি দেয়ার মাঝে হাজার ফারাক। এটা কোন অবস্থাতেই গনপিটুনির ঘটনা নয়। এইটা সংঘবদ্ধ খুন। এই সমাজে এখন বখাটে, মাদকসেবীরা খুনের নেশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভয়ঙ্কর এই সমাজে মহিলা এবং শিশুরা সবচেয়ে অনিরাপদ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
আমারও তাই মনে হচ্ছে, 'এগুলোকে সংঘবদ্ধ খুন' বলাটাই যুক্তিযুক্ত।
শুধু নারী শিশু নয়, সকলেই এখন কেমন যেন একটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সময় পার করছি। এ অবস্থার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
নতুন বলেছেন: ঢাবিয়ান সভ্য সমাজে একজন পকেটমার বা চোরকে গনপিটুনি দেওয়াও অসভ্যতা।
আপনি কোন অবস্থাতেই কোন মানুষের গায়ে হাত তুলতে পারেবন না, আঘাত করতে পারেন না যদি না সেটা আত্নরক্ষার জন্য করতে হয়।
এই পকেটমার,চোর পেটানোর পরের স্টেজই হচ্ছে ছেলে ধরা, গনপিটুনি। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই আপনার মতন মনে করেন চোর/পকেটমার কে পেটানো জায়েজ কাজ।
সমাজে পুলিশ কাজ করছেনা আরো সমস্যা আছে কিন্তু তার কারনে আমরা যদি অসভ্য হয়ে যাই তবে এই রকমের ঘটনা ঘটবে টুবা তার মাকে হারাবে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যিকারার্থে মানবাধিকার বলতে এটাই বুঝায়। অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার অধিকার একমাত্র আদালতের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয় কখনোই। শক্তমান মন্তব্য ভালো লাগলো। শুভকামনা সতত।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পুনরায় মন্তব্যে আসায় অভিবাদন।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন নবী আসার সময় হয়েছে?
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় চাঁদগাজী,
আপনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। একজন বড় মাপের বিজ্ঞ ব্যক্তি হিসেবে আপনার নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা যে, মুসলমানদের ধর্মবিশ্বাস অনুসারে শেষ নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরে আর কোনো নবী রাসূলের আগমনের আদৌ সুযোগ নেই। এটা পবিত্র আল কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্য এবং এটা আবশ্যক বিশ্বাসের বিষয়। কুরআনে স্পষ্ট ফায়সালাকৃত এই বিষয়টিকে নিয়ে যারা হাসি তামাশায় লিপ্ত হবে, তাদের ঈমানহারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুঝতে পারছি না, এই ফালতু কথাটা আপনি কেন বলে বেড়াচ্ছেন! মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসের সাথে যায় না- নতুন নবী আগমনের এই বিষয়টিকে শিরোনাম করে একটি পোস্টও সম্ভবত: দিয়েছেন সম্প্রতি। যাই হোক, আপনার মত একজন প্রবীন এবং বিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট থেকে এই ধরণের উদ্ভট কথা, পোস্ট কিংবা মন্তব্য কোনোটাই কাম্য নয়।
ভালো থাকুন।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। কেবল মাত্র মগের মুল্লুকে এমন হতে পারে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যিই সারা দেশের অবস্থা দর্শনে যারপরনাই ব্যথিত। মগের মুল্লুকের মতই ভয়াবহ অবস্থায় নিপতিত দেশ এবং জাতি। আশু উত্তোরণ কামনা করছি এই দুরবস্থা থেকে।
শুভকামনা অশেষ। ভালো থাকুন।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গণ শব্দটি শুনলে আমাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে, এখানে হাজার হাজার বা লাখ লাখ লোক জড়িত। বিশাল জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার বুঝি।
আসলে সব গণই গণ নয়। সব গণ এর ক্ষেত্রে হাজার হাজার লোক অংশ নেয় না। সামপ্রতিক কিছু ভিডিও এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু খবর দেখে আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে সামপ্রতিক সময়ে বহুল ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে- ১। গণধর্ষণ ২। গণপিটুনী।
দেখে গেছে- এখানে অযথাই গণ অর্থাৎ জনগণের বদনাম করা হচ্ছে। এখানে জড়িত থাকে খুব বেশী হলে ৩ কি ৪ জন কালপ্রিট। তাই এই সব ক্ষেত্রে গণ শব্দটি কে ব্যবহার করে শব্দটির প্রকৃত অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। যে ৩/৪ জন অমানুষ ধর্ষণ অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
সম্প্রতি আরেকটি গুজব চালু হয়েছে। সেই সাথে চালু হয়েছে গণপিটুনী। এই যে গুজব একখানে চালু করে দিল যে, পদ্মা সেতুকে নাকি মানুষের ( শিশুদের) মাথা লাগবে। কেননা, পদ্মার পানির নিচে এক বিরাট দানব বাস করে। সে চায়না পদ্মা সেতু হোক। তাই সে পদ্মা সেতু তৈরী হতে দেবে না। তাকে মানুষের মাথা দিলে সে আরাম করে খেয়ে ঘুমাবে । এই সুযোগে তড়িঘড়ি করে পদ্মা সেতু তৈরী হয়ে যাবে ।
বাংলার মানুষ এই গুজুব লুফে নিল। আতংক ছেয়ে গেল সারা দেশে। প্রাণ হারাতে শুরু করলো অনেক অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ। অহেতুক ছেলেধরা/গলা কাটা ইত্যাদি সন্দেহে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশে।
গণপিটুনীতে কিন্তু হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয় না। এই সব ভিডিও খেয়াল করে দেখলে দেখা যায়- খুব বেশী হলে ৩ , ৪ জন হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। বাকি সবাই দাড়িয়ে মজা দেখে। কেউ ছবি বা সেলফি তুলে, কেউবা ভিডিও করে।
যে ৩/৪ জন অমানুষ গণপিটুনী নামক অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
পাপ ও পাপী উভয়কে সমাজ থেকে বিদায় করতে হবে। পাপ ও পাপী উভয়কে ঘৃণা করতে হবে।
নিষ্পাপ মানুষ আর পাপ বর্জিত দেশ হোক সকলের ব্রত।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
খুব সুন্দর বলেছেন। আপনার কথাগুলোয় সহমত। প্রতিটি ধর্ষন অপকর্মের মূল হোতা দু'একজন বা বড়জোর দু'চারজনে সীমিত। এ ধরণের ঘটনাকে গনধর্ষন বলাটা আসলেই আপত্তিকর। এতে 'গন' শব্দটির অপব্যবহার হয় বলেই মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। গনআন্দোলন, গনযুদ্ধ, গনঅনশন, গনজাগরণ, গনমুক্তি, গনস্রোত, গনবিপ্লব, গনশক্তি, গনঅভ্যুত্থান, গনচাহিদা, গনদাবি, গনআদালত, গনরায় প্রভৃতি শব্দের সাথে দু'চার পাঁচটে বিকৃত রুচির বদমায়েশের ন্যাক্কারজনক যৌনলালসা পূরণে কোনো নারীকে সম্মিলিতভাবে ধর্ষন করাকে 'গনধর্ষন' কথাটা ঠিক কি যায়? 'গন' কথাটির ভেতরে লুকিয়ে আছে বিপুল একটি শক্তি। 'গন' মানে জনগন। জনগন মানে দেশের সাধারন মানুষ। তো যারা অনেকে মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষনকান্ডে প্রবৃত্ত হয়, তাদের কিভাবে সাধারণ মানুষ বলা যেতে পারে? এরা তো নি:সন্দেহে 'অ-সাধারণ'। এই 'অ-সাধারণ' মানে 'অসাধারণ' নয়। এর মানে হচ্ছে, 'অমানুষ'। সুতরাং, অমানুষদের 'গন' সম্বোধন করে মানুষ উপাধিতে সম্বোধিত করা ঠিক নয়। এটা রীতিমত অন্যায়।
অন্যদিকে, প্রতিটি হত্যার ঘটনায় দেখা যায় পেটানোর মূল কাজটি করেন অল্পসংখ্যক লোক। হয়তো দু'চারজন। কিংবা বড়জোর, পাঁচ দশজন। কিন্তু গনপিটুনি নামের এই নৃশংসতার কিছু কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, পিটিয়েছে দু'চার-পাঁচ-দশজন এটা ঠিক, তবে স্রোতের মত অনেক মানুষ নির্যাতিতার উপরে হামলে পড়েছে একইসাথে। অনেক লোকের পেছনে থাকার কারণে, অনেক ভীরের কারণে হয়তো কেউ কেউ প্রহৃত ব্যক্তিকে আঘাত করতে পারেনি বলে দু:খ নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। খুনের নেশা কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাদের ঠিকই ছিল। সুযোগ পেলে সাপের মত উল্টে পাল্টে যে তারাও পেটাতেন সে কথা বলাই বাহুল্য। বিবেকবোধহীন এই নির্মম নৃশংসদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই সব হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। আমাদেরও একই প্রত্যাশা।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ নতুন, আমি কোন জায়গায় বলেছি যে পকেটমারকে গনপিটুনি দেয়া জায়েজ? কারো বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ করবেন তখন উপযুক্ত প্রমান সহকারে করলে ভাল হয়।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
একজন পকেটমারকে দেয়া গনপিটুনির সাথে একজন মহিলাকে গনপিটুনি দেয়ার বিষয়টিকে আপনার তুলনা করা থেকেই তিনি এটা ধরে নিয়েছেন হয়তো।
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: মসজিদের শহর ঢাকা আবার সকল আকাম কুকামের শহরও ঢাকা। দোষটা কার মসজিদের না শহরের? ধরেন আপনাকে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালেী পাবলিক টয়লেটের মধ্যে ঢুকিয়ে হাতে এক প্লেট হাজির বিরিয়ানী দিয়ে বলা হলো খেতে। আপনার অবস্থা কেমন হবে? এসলাম ধর্রের বর্তমান প্রচারকদের অবস্থা তেমনই। যেখানে সেখানে তারা ধর্ম প্রচার করা শুরু করে। আর এজন্যই কোন বয়ান কারো কোন কামে লাগেনা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
দু:খিত! আপনার এই মন্তব্যটি বোধগম্য নয়।
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২৭
নতুন বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: একজন পকেটমারকে গনপিটুনি দেয়া আর একটা মহিলাকে গনপিটুনি দেয়ার মাঝে হাজার ফারাক। এটা কোন অবস্থাতেই গনপিটুনির ঘটনা নয়। এইটা সংঘবদ্ধ খুন।
পকেটমারকে গনপিটুনি আর মহিলাকে গনপিটুনা র মাঝে হাজার ফারাক?
তার মানে কি ? পকেটমারকে কিছুটা পিটুনি দেওয়া যেতে পারে কিন্তু মহিলাকে দেওয়া যাবেনা?
কোন মানুষ যে অপরাধই করুক না কেন তার গায়ে হাত তোলার অধিকার অন্য কারুর নাই।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার শেষের লাইনটিই ভালো লেগেছে-
কোন মানুষ যে অপরাধই করুক না কেন তার গায়ে হাত তোলার অধিকার অন্য কারুর নাই।
১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: নতুন, আপনার বাংলার অবস্থাতো দেখছি ভয়াবহ!!
পকেটমারকে গনপিটুনি আর একজন মহিলাকে গনপিটুনি দেয়ার মাঝে হাজার ফারাক এর ভাব সম্প্রসারন করলেন পকেটমারকে কিছুটা পিটুনি দেওয়া যেতে পারে কিন্তু মহিলাকে দেওয়া যাবেনা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যার ভাষা জ্ঞান এর এই অবস্থা তার সাথে তর্কে জড়ানোর মত আহাম্মকির কোন অর্থ নাই।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
বাংলার অবস্থা ভয়াবহ!!! আসলেই প্রিয় বাংলার অবস্থা আজ প্রকৃত অর্থেই ভয়াবহ। গুজবে কান দিয়ে মানুষ মানুষকে পিটিয়ে মারছে। হায়, এই জাতির কেন এমন অধ:পতন হলো?
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাতির বিবেক যখন জেগে ঘুমায়
তখন কোন নকীবের আহবানেই আর জাগে নাই!
তাদের জন্য চাই রবি ঠাকুরের সেই মহৌষধ!
ওরে সবুজ ওরে আমার কাঁচা
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা!
কিংবা জাতীয কবির সেই জাগরণ
ওরে ও পাগলা ভোলা দেরেদে প্রলয় দোলা
গারদগুলা জোরসে ধরে হেচকা টানে
মার হাক হায়দরী হাক
কাঁধে নে দুন্দুভী ঢাক
ডাক ওরে ডাক মৃত্যুরে ডাক জীবন পানে!
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জাতির বিবেক যখন জেগে ঘুমায়
তখন কোন নকীবের আহবানেই আর জাগে নাই!
ঠিকই বলেছেন হয়তো! তবু আহবান তো কাউকে না কাউকে জানাতে হবে। নজরুল রবীন্দ্রনাথের মত বরেন্যরা তো আর ফিরে আসবেন না কোনো দিন। তারা আজ বেঁচে থাকলে, এই দু:সময় প্রত্যক্ষ করলে নিশ্চয়ই ব্যথিত হতেন। হৃদয়ের রক্ত দিয়ে ক্ষুরধার কলম চালিয়ে দূরন্ত শব্দচয়নে বিমলিন কাব্য লিখতেন। কিন্তু আমরা আজ চোখ বন্ধ করে আর কতক্ষন থাকবো? চোখ মুখ বন্ধ করে বোবা হয়ে থাকলে তো দেশটাকে এই নৃশংসকামী মানুষেরা খুন খারাবিতে ভরে ফেলবে। আর যে দেখতে পারি না। আর যে সইতে পারি না। মাকে মেরে ফেলেছে। অবুঝ অসহায় শিশু মাতৃশোকে বিলাপ করে করে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে। বাবাকে পিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। অসহায় পরিবার পরিজন পথে বসেছে। কোথায় যাবে তারা? কোন ভাষায় তাদের শান্তনা দেয়া যাবে?
অনেক শুভকামনা প্রিয় কবি।
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: বিশ্বজিত, বেনু এদের মুখটি চোখের সামনে ভেসে উঠলে মনে হয় আমরা আদীম কোন যুগে আছি নতুন নকিব ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলেই তাই মনে হয়। বাডডার স্কুলে নিজের ৪ বছর বয়সের বাচ্চা তুবাকে ভর্তি করাতে তথ্য জানতে যাওয়া তাসলিমা বেগম নামের যে নারীকে পিটিয়ে খুন করা হয়, সে ঘটনার ভিডিও প্রথম আলো প্রকাশ করেছে। আমি ইচ্ছে করেই তা দেখা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি। দেখিনি। এমন নৃশংসতা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহ পাক অামাদের ক্ষমা করুন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
আদনান ব্লগ ডট কম বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। এই আর্টিকেলটি আমাদের জন্য অনেক হেল্পফুল আশা করছি সামনে আরো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবেন নতুন কোনো তথ্য নিয়ে। শুভ কামনা রইল!
এই পোস্ট রিলেটেড আরো পোস্ট দেখার জন্য ক্লিক করুন - https://adnanblog.com/
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ব্লগে ঘুরে এলাম। ভালো কিছু শিক্ষনীয় কন্টেন্ট রেখেছেন। অনেকের কাজে লাগার মত। আশা করছি, এরকম আরও ভালো ভালো টিউটরিয়াল দিতে সক্ষম হবেন যাতে অনেকের উপকার হয়।
পোস্টটি সুন্দর লেগেছে জেনে আনন্দিত। আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সামান্য কাজে এলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
অনেক ভালো থাকবেন। আমার অন্যান্য পোস্টেও আপনাকে আগাম স্বাগত। ভালো থাকুন। শুভকামনা।
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: বাচ্চাটির এখন কি হবে কেউ কি ভেবে দেখেছে।
আমার মনে হচ্ছে....।
যাক ,আমার ক্ষমতা নেই,না হলে...................
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। বাচ্চা দু'টি বিশেষ করে ছোট বাচ্চাটির কথা ভেবেই মাঝে মাঝে নির্বাক হয়ে যাই। আল্লাহ তাআ'লা এই বাচ্চাদের তাঁর রহমতের ছায়াতলে আশ্রয়দান করুন। তাঁর নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন মাকে হারানোর কষ্ট যেন তারা বুঝতে না পারে- এমন দয়াবান লোকদের হাতে এই অবুঝ সোনামনিদের লালন পালনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বভার অর্পন করে দেন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা সবসময়।
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার এলাম সমস্ত মন্তব্য গুলো পড়তে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই শহরের মানুষগুলো বড় অদ্ভুত...।