নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হজ এবং কুরবানি; জ্বিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল, মর্যাদা ও ফজিলত

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৩



জ্বিলহজ মাসের প্রথম দশটি দিন বিশেষ ইবাদতের :
সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে যেমন জুমুআর দিনের ফজিলত মর্যাদা সর্বাধিক, বছরের ১২ মাসের মধ্যে রমযানের মাস আর রমযানের তিন দশকের মধ্যে শেষ দশ দিনের রয়েছে বিশেষ ফজিলত। এমনিভাবে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনেরও রয়েছে উঁচু মর্যাদা ও ফজিলত। এই দশ দিনের মধ্যেই ইসলামের পাঁচ মহান স্তম্ভের অন্যতম হচ্ছে হজ। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহের মধ্যে এটি একটি বিশেষ দিন। তবে হজ পবিত্র মক্কা মোয়াজ্জমায় গিয়েই আদায় করতে হয়। এ কারণে এটি জীবনে একবার মাত্র সামর্থবানদের উপর ফরজ করা হয়েছে। এর বিশেষ বরকত একমাত্র সেসব লোকই লাভ করতে পারে, যারা মক্কা মোয়াজ্জমায় গিয়ে হজ্জ আদায় করে। তবে আল্লাহ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে সকল ইমানদারকেই এর সুযোগ দিয়েছেন যে, যখন হজের মওসুম আসে, তখন তারা নিজ নিজ স্থানে থেকেই মর্যাদার দিক থেকে হজ এবং হাজীদের সঙ্গে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ মর্যাদা অর্জন করতে পারে। শরীক হতে পারে তাদের কিছু কিছু আমলের মধ্যে।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই দশ দিন আল্লাহর কাছে নেক আমল যত বেশি প্রিয়, এরূপ আর অন্য কোনো দিন নয়। (বুখারী)

মহানবী (সা.) আরাফাত দিবসকে অপর সকল দিবসের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। হাজীগণ যেদিন আরাফাত ময়দানে সমবেত হন, সেটাকেই মহানবী আরাফাত দিবস বলেছেন। ৯ই জিলহজ্জকে আরাফাত দিবস বলেননি। এজন্য সারা বিশ্ব মুসলিমের জন্যে সেটাই হচ্ছে আরাফাত দিবস যেদিন হাজীগণ আরাফাত ময়দানে সমবেত হন। এদিনটিতে বিশ্বের সকল মুসলমানের সেই নেক আমলই করা উচিত, মহানবী (সা.)-এর বাণীতে যেসব আমল সম্পাদনের জন্যে অনুপ্রেরণা রয়েছে। হযরত আবু কাতাদা (রা) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে,Ñরসূল (সা) ইরশাদ করেছেন, আমি মহান আল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশা রাখি যে, আরাফাত দিবসে রোজা পালন যেন তার পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী বছরের গুণাহ্সমূহের কাফ্ফারাহ্ স্বরূপ আল্লাহর কাছে বিবেচিত হয়। Ñ(তিরমিযী)

আরাফাত দিবসের রোজার ব্যাপারে এই অনুপ্রেরণা সে সমস্ত হাজীর জন্যে নয়, যারা ফরজ হজ্জের জন্যে ঐদিন আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত থাকে, বরং রোজা তাদের জন্যে যারা বাইরে অবস্থানরত।

এক. দশই জিলহজ্জের আমল :
বিশেষভাবে নফল আমল


নফল কাজের অর্থ সংযোজন বা অতিরিক্ত। ......ইবাদতের ব্যাপারে আমরা কোনো কোনো সময় বড় ভুল বুঝাবুঝির শিকার হয়ে পড়ি। মনে করে থাকি, নফল না হলেও চলবে। কারণ এটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত। অথচ আমাদের জীবনের সকল সৌন্দর্য এই নফলের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। হযরত উম্মে হাবীবা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত আছে যেÑ রসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি (ফরজ ছাড়া) দিন-রাতে ১২ রাকায়াত নামাজ পড়ে, তার জন্যে জান্নাতে একটি গৃহ নির্মিত হবে। (তার বিস্তারিত বিবরণ এই যে,Ñ জোহরের ফরজের পূর্বে ৪ রাকাত, জোহরের ফরজের পরে ২ রাকায়াত, মাগরিবের ফরজের পর দু’রাকায়াত, এশার ফরজের পর ২ রাকায়াত, ফজরের ফরজের পূর্বে ২ রাকায়াত)’Ñ(তিরমিযী, মাআরিফুল হাদীস), এগুলো হচ্ছে সুন্নতে মুআক্কাদা, কারণ, রসূল (সা.) এগুলোর ব্যাপারে অনেক তাকিদ করেছেন। অন্য সময় কোনোরূপ গাফিলতি থাকলেও উল্লেখিত দশ দিন এ ব্যাপারে সকলের বিশেষ যতœবান হতে হবে। এভাবে ভবিষ্যতেও তা সঠিকভাবে পালনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এসব নফল-সুন্নত ঠিকভাবে পালন করতে করতে ফরজ নামাজের সৌন্দর্য অধিক বৃদ্ধি পাবে। এভাবেই নফল রোজা ও দান খয়রাতে যতœবান হবে।

২. কুরবানীর তাৎপর্য ও গুরুত্ব :
পারিবারিক বৈঠকের ব্যবস্থা

প্রতিদিন অথবা প্রতি ২/৩ দিন পর পর পারিবারিক বৈঠক করবে। এই পারিবারিক বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু নি¤েœাল্লিখিত বিষয়াদি হওয়া উচিত।

(ক) সূরা মায়েদায় উল্লেখিত হযরত আদম (আ.)-র দুই ছেলের কাহিনী। (আয়াত ২৮Ñ৩১) -----হাসাদ তথা পরশ্রীকাতরতার পরিণতি।

(খ) কার কুরবানী কবুল হয়? সূরা হজ্জের ৩২-৩৮ আয়াত।

(গ) হযরত ইবরাহীম (আ)-এর কাহিনী (খুৎবাহ্ ৬ষ্ঠ খ-)

৩. অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির

(ক) তাকবীর :
কারণ, হজ্জ ও কুরবানী সকল কিছুর উদ্দেশ্য লক্ষ্যই হলো যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করতে পারো।” বুখারীর এক বর্ণনায় আছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর এবং হযরত আবু হোরায়রা (রা.)Ñএকসময় বাজারে জোরে আওয়াজ দিয়ে তাকবীর দিতেন। কুরবানীর চামড়ার জন্য আমরা যেই যোগাযোগ করে থাকি, তাতে কুরবানীদাতাকে কুরবানীর মূল লক্ষ্যের প্রতি, তাতে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতির প্রতি অনুরাগী করা উচিত। তাকবীরের মূল তাৎপর্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ববোধের গভীরে যাওয়া। নীরবে হোক কি স্বরবে সর্বাবস্থায় সমাজে সামগ্রিকভাবে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের প্রকৃত অনুভূতি ও পরিবেশকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

(খ) তাকবীরে তাশরীক দুআ:
৯ই জিলহজ্জের ফজর নামাযের পর থেকে ১৩ই জিলহজ্জের আসরের নামাজ পর্যন্ত নামাজের সালামের পর সশব্দে তাকবীর প্রদান করবে।

(গ) অধিক মাত্রায় তওবা-ইস্তেগফার পড়া:
এর মাধ্যমে অধিক মাত্রায় আল্লাহর দিকে রুজু করা।

(ঘ) নিস্প্রয়োজনীয় বাক্যালাপ পরিহার করাঃ
বিশেষ দিন ছাড়াও স্বাভাবিক দিনেও নিষ্প্রয়োজনীয় কথা কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু যে দিনটি শরীয়ত অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে গন্য করেছে, মহানবী (সাঃ)-এর বাণীতে যে বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে, সেদিকে নিজের ও পরিবারের সকলের দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হতে হবে। টিভি, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের ব্যবহার যেমন নিজের কম করা উচিত পরিবারস্থ সদস্যদেরও কম করা উচিত।

চার. ১-৯ই জিলহজ্জের রোজা : এ কয়টি দিন রোজা রাখবে অথবা কয়েক দিন। তবে আরাফাতের বাইরে যারা হজ্জ অনুষ্ঠান পালনে নেই, সেসব মুসলমান অবশ্যই নফল সওয়াবের জন্যে আরাফাত দিবসে রোযা পালন করবে।

উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, ৪টি কাজ এমন, যা রাসূল (সাঃ) কখনও ত্যাগ করতেন না। (১) আশূরার রোযা (২) ১ম জিলহজ্জ থেকে-৯ম জিলহজ্জ পর্যন্ত রোজা। (৩) প্রত্যেক মাসের ৩টি রোজা (৪) ফজরের পূর্বের ২ রাকায়াত নামায। -(সুনানে নাসায়ী।)

পাঁচ. চাঁদ দেখার পর নখ-চুল কাটা বন্ধ করা:
উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন জিলহজ্জ মাসের ১ম ১০ দিন শুরু হবে, তোমাদের কারও কুরবানী দানের ইচ্ছা থাকলে, তার উচিত এ সময় থেকে কুরবানী পর্যন্ত নিজ নখ চুল না কাটা -(সহীহ মুসলিম)

হাজীগণ ১০ম জিলহজ্জের দিন মিনাতে আল্লাহর দরবারে নিজ কুরবানী প্রদান করবে। বিশ্বের অন্যান্য মুসলমান, যারা হজ্জে শরীক হতে পারেনি, তাদের প্রতি নির্দেশ হলো, নিজ নিজ স্থানে থেকে তারা ঐদিন পশু কুরবানী দেবে। হাজী ইহরাম বাঁধার পর যেমন চুল-নখ কাটে না, তেমনি যেসব মুসলমান কুরবানী দিবার ইচ্ছা পোষণ করেছে, জিল হজ্জের চাঁদ দেখার পর তারাও চুল-নখ কাটা থেকে বিরত থেকে হাজীদের সঙ্গে নিজেদের সামঞ্জস্য বিধান করবে। এটি কতই না সুন্দর পথনির্দেশনা, যার ওপর আমল করে প্রাচ্য প্রতীচ্যে অবস্থানকারী সকল মুসলমান হজ্জের কল্যাণ ও জ্যোতি লাভ করতে পারে।

ঈদুল আযহার কুরবানী:
যদি কোনো মহান ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি রক্ষার্থে বিশেষ পর্ব উদযাপন করা যেতে পারে, তাহলে মুসলিম উম্মাহর জন্যে যারা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর উত্তরাধিকারী ১০ই জিলহজ্জের দিন তারা এর অধিকারী। কারণ, ১০ই জিলহজ্জের দিনটি এমন একটি ত্যাগদীপ্ত ঐতিহাসিক দিন যেদিন সাইয়েদুল ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে স্বীয় কলিজার টুকরো ইসমাইল (আঃ)কে তাঁর অনুমতিক্রমে কুরবানী দেয়ার জন্যে আল্লাহর দরবারে পেশ করে তাঁর গলায় ছুরি ধরে চরম ত্যাগ ও আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন। খোদ আল্লাহপাকও ইবরাহীম (আঃ)-এর ইমানী পরীক্ষায় সফল বলে ঘোষণা দিয়ে, ইসমাইলকে জীবন্ত রাখা ও তাঁরস্থলে যেকোনো একটি পশু কুরবানীকে কবুল করে নিয়েছিলেন এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর ওপর বিশ্ব নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানের ওপর তা ওয়াজিব করে দেন। যেন মুসলমান আল্লাহর প্রতি প্রকৃত ভালবাসা ও আনুগত্যের দাবি অনুধাবন করতে পারে এবং তারা বিশ্ব নেতৃত্বের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে। হযরত আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ঐতিহাসিক ১০ই জিলহজ্জ অর্থাৎ কুরবানীর দিনের চাইতে আদম সন্তানের কোনো আমল আল্লাহর কাছে উত্তমময়। কুরবানীর পশু কেয়ামতের দিন নিজ শিং এবং পশম সহকারে জীবিত হয়ে উঠবে। কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাঁর কবুলিয়তের মর্যাদায় পৌঁছে যায়। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দাগণ! মনের পূর্ণ সন্তুষ্টি সহকারে, আল্লাহর রাস্তায় পশু কুরবানী করো।

সংকলিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই নিয়ম গুলো যদি কেউ না মানে তাহলে তার কি ক্ষতি হতে পারে??

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: "মহানবী (সা.) আরাফাত দিবসকে অপর সকল দিবসের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। হাজীগণ যেদিন আরাফাত ময়দানে সমবেত হন, সেটাকেই মহানবী আরাফাতদিবস বলেছেন। ৯ই জিলহজ্জকে আরাফাত দিবস বলেননি। এজন্য সারা বিশ্ব মুসলিমের জন্যে সেটাই হচ্ছে আরাফাত দিবস যেদিন হাজীগণ আরাফাত ময়দানে সমবেত হন।"


এই কথাটা আমাদের ইমাম সাহেবও খুৎবায় বলেছে। প্রশ্ন হল, বাংলাদেশে আরাফার দিন কবে? মানে আগস্টের কত তারিখে??

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০১

অন্তরা রহমান বলেছেন: সুন্দর ও তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। ভালো লাগলো পড়ে।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অনেক সমৃদ্ধ পোস্ট +++। একটি প্রশ্ন ছিল। কুরবানীর ঈদ এলেই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো কুরবানীর পশুর ছবি দিয়ে ভরে গেছে! আজকাল তো অনেক জনকে কুরবানীর পশুর সাথে সেলফি তুলতেও দেখা যায়! ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এধরনের কার্যকলাপ কি আদৌ গ্রহণযোগ্য?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:




সেলফী বা প্রানীর ছবি তোলা সম্পর্কে ইসলামের হুকুম:
ইসলাম এমনিতেই প্রানীর ছবি তোলাকে হারাম বলে ঘোষণা করেই দিয়েছে। প্রানীর ছবি উত্তোলনকে কঠিন কবীরা গুনাহ হিসাবে হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে। হাদীস শরীফে আছে, ঐ ব্যাক্তির জাহান্নামে সবচাইতে বেশি শাস্তি হবে যে প্রানীর ছবি তোলে।” (বুখারী শরীফ ২/৮৮০, কিতাবুল লিবাছ- বাবুত তাছবীর)

নিতান্ত প্রয়োজনে ছবি তোলার অনুমতি রয়েছে মাত্র। সৌখিনতাবশত কিংবা ইচ্ছে হলেই বিনা প্রয়োজনে প্রাণীর ছবি তোলার কোনো সুযোগ নেই।

এর বাইরে এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে কাউফি বা হাম্বাফী। কুরবানীর গরুর সাথে নিজের ছবি তোলাকে অনেকে কাউফি বা হাম্বাফী বলে থাকেন। নামটা খারাপ নয়। গরুকে জড়িয়ে ধরে, কাঁঠাল পাতার একপ্রান্ত নিজের মু্খে অন্য প্রান্ত গরু বা ছাগলের মুখে ধরে ছবি তোলাসহ বিভিন্ন বিকৃতরুচির কর্মকান্ডকে কাউফি বা হাম্বাফী বললে তা মোটেই অত্যুক্তি হবে না।

তাহলে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যারা কুরবানীর পশুর সাথে এমন ছবি তুলছে, ছবি তোলার প্রতিযোগিতা করছে তারা সুস্থ কোনো মানুষ নন। এরা এক ধরণের মানসিক রোগী।

আল্লাহ পাক এসব ফিতনা থেকে আমাদের হিফাজত করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.