নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিয়ানমার সরকারি বাহিনী যে অপরাধ করেছে এই প্রথমবার তা স্বীকার করে নেয়া হলো, আজ আইসিজে’র অন্তর্বর্তী আদেশ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪২



আইসিজের রায় প্রভাবিত করতে মিয়ানমারের নতুন চাল!
রাখাইনে গণহত্যা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার অপরাধে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার অন্তর্বর্তী রায় হওয়ার কথা আজ ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এ দায়ের করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের দিন আজ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না আইসিজে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে আজকের রায়ে। এর আগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ওই আদালতে মামলা করেছিল আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। সে বিষয়ে রায় দেবেন আদালতটির বিজ্ঞ বিচারকরা। মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির পক্ষে নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া।

তবুও ধন্যবাদ ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) কে:
যাক, তবুও কিছুটা স্বস্তি, রাখাইনে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে -এই সত্যগুলো অন্তত: স্বীকার করে নিলেন মিয়ানমার সরকার। তাদের নিজেদের গঠিত তদন্ত কমিশনেরই এই রিপোর্ট। ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) নামের এই কমিশন গঠন করেছিল দেশটির বর্তমান সরকারই। মিয়ানমার নিরপেক্ষ দাবি করলেও কমিশনটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ও সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবুও ধন্যবাদ ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) কে, তারা নোবেলজয়ী নেত্রীর মত সর্বৈ মিথ্যের আশ্রয় নেননি, সত্যের কিছুটা হলেও প্রকাশ করলেন এবং অপরাধীদের অন্তত: অপরাধী হিসেবে গন্য করলেন।

গণহত্যার কোনো আলামত পায়নি ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই):
প্রায় তিন বছর আগে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানোর কোনো প্রমাণ পায়নি মিয়ানমারের সরকারি কমিশন। সোমবার ওই কমিশন জানিয়েছে, 'রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে তাদের অনুমান। তবে সেখানে গণহত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।'

রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানি গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নেন নোবেলজয়ী দেশটির কার্যত সরকার প্রধান অং সাং সু চি। ২৩ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণার ঠিক আগে আগে নিজেদের গঠিত এবং লালিত-পালিত কমিশন ব্যবহার করে এই প্রতিবেদন প্রকাশকে মিয়ানমারের নতুন চাল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) এর রিপোর্টে কি আছে?
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদানের মাত্র ৩ দিন পূর্বে গত ২০ জানুয়ারি সোমবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে দিয়েছে দেশটির সরকারি কমিশন। প্রতিবেদনে কমিশন জানিয়েছে, '২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং ৫ সেপ্টেম্বর রাখাইনে যে অভিযান চালানো হয়েছিল, তাতে অনেকগুলো পক্ষ জড়িত ছিল। তাদের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ কিংবা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকতে পারে। তারমধ্যে নিরপরাধ গ্রামবাসীকে হত্যা এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে সেখানে গণহত্যার কোনো প্রমাণ পায়নি তারা।'

এ বিষয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে আইসিওই। সেই বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিয়ানমার টাইমস।

সরকারি কমিশন কথা বলে সরকারি নির্দেশনায়:
সরকারি কমিশন কথা বলে সরকারি নির্দেশনায়। মিয়ানমার সরকার গঠিত ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) এর রিপোর্টও সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। রাখাইনে ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরই দায়ী করেছে কমিশন। রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি কমিশন। এটিকে অভ্যন্তরীণ সংঘাত আখ্যা দিয়ে সূ চীর কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে, তার শেখানো বুলি আওড়ে মিয়ানমারের সরকারি কমিশন বলেছে, 'মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উত্তর রাখাইন থেকে উৎখাতে বা তাদের জাতিসত্তাকে মুছে ফেলার মতো কোনো কার্যক্রমের প্রমাণ পায়নি তারা।'

যদিও জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হয়েছে। তাদের জাতিগতভাবে মুছে দিতেই মিয়ানমার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাঠামোবদ্ধ সেনা অভিযান চালায়।

২০১৭ সালে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রাখাইনে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। প্রাণে বাঁচতে সেসময় সাড়ে সাতলাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এই বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুখে মুখে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি মিয়ানমার।

নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী: দানব বধের এখনই সময়:
আজকের অপেক্ষমান অন্তর্বর্তী আদেশে মিয়ানমারকে উপযুক্ত নির্দেশনা দেয়া হোক। দীর্ঘ দিন পরে হলেও অবশেষে মিয়ানমার সরকার নিজেদের অপরাধী হিসেবে স্বীকার করে নিল। নিজেদের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরা আটকে যাচ্ছে ক্রমশ:। গোয়েবলসীয় এই দানবকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলে একে বধের সময় এখনই। মিয়ানমারের পোষ্য কমিশনের স্বীকারোক্তি থেকেই তাদের শক্ত করে ধরা হোক। আইসিজে’র অন্তর্বর্তী আদেশটি হোক নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার ফিরে পাওয়ার অন্যতম সোপান। পুনরায় তাদের বাস্তু-ভিটায় ফিরে যাবার মাধ্যম।



ছবি: সংগৃহীত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আজ ফয়সালা হবে।
দেখি সত্যের জয় হয় নাকি!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২২

রাশিয়া বলেছেন: আমরা মুসলিমরা একসময় যাকাত অস্বীকারকারীদের মত অপরাধের জবাব দিতেও কুন্ঠাবোধ করিনি। রাজা গণেশ একজন মুসলমানের নাবালক সন্তানকে হত্যা করেছিল বলে দিল্লির সুলতান এক হাজার সৈন্যের বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে শায়েস্তা করার জন্য।

আর আজকে আমরা মায়ানমার অপরাধ করেছে - এটা প্রমাণ হবার আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি। বিচার করা বা প্রতিশোধ নেবার চিন্তাও মাথায় আনতে পারছিনা। ব্রিটিশ শাসনের পরে মুসলিমদের সংখ্যাই কেবল বেড়েছে - শক্তি, বুদ্ধি বা সক্ষমতা - কোনটাই বাড়েনি। আফসোস!

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১১

খাঁজা বাবা বলেছেন: রায়ের অপেক্ষায় রইলাম

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেখিনা কি করে ?

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রতি অন্যায়ের তিব্র প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু জাতি হিসেবে এই রোহিঙ্গাদের প্রতি তিব্র ঘৃনা জানাচ্ছি। এরা আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ নিয়ে আসছে, আর এদের কে যারা প্রভাবিত করছে তাদ্র ফাঁশি কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.