নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল।
করোনা বহু মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে....
করোনা বহু মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে। অনেক অসহায় পরিবার রয়েছে যাদের কথা ভাববার মনে হয় কেউ নেই।
আমি একটি পরিবারকে জানি, যারা লকডাউনের শুরুতে ঢাকা থেকে তাদের পরিবারের বয়োবৃদ্ধ একজন সদস্যের মুমূর্ষু অবস্থার অসুস্থতাজনিত কারণে গ্রামে চলে যান।
পরে শুনেছি, করোনাকালের প্রথমদিকেই সেই মুরব্বি ইনতিকাল করেছেন। কিন্তু এই পরিবারটির আর ঢাকা ফিরে আসা হয়নি। গ্রামে গিয়ে আটকা পড়ে যায় তারা। লকডাউন তাদের আটকে দেয়।
হঠাৎ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া এই পরিবারটির আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে লকডাউনের এই কয়েকটি মাস থাকতে হয় তাদের। ছোট ছোট বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে এই সময়টাতে তারা ধার-দেনা করে কোনোরকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছেন।
সবচেয়ে কষ্টের কথা, তারা ঢাকা থেকে বাড়ি গিয়েছেন তাদের পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তির অসুস্থতাজনিত কারণে। হঠাৎ তাদের যেতে হয়েছে। ঢাকার ভাড়া বাসা তারা একেবারে ছেড়ে যেতে পারেননি তখন। ফলে, তারা গ্রামে চলে গেলেও বাসা ভাড়া তাদের গুণতে হয়েছে ঠিকই। লকডাউন শেষে বাড়ি থেকে পুনরায় অনেক কষ্টে এর ওর কাছ থেকে টাকা-পয়সা ধার করে এনে ঢাকার বাসার তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে সংসারের মালামাল গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
এই পরিবার লকডাউনে কারো থেকে সামান্যতম কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি। কারও কাছে হাতও পাতেননি তারা। হাত তারা কোনো দিনই হয়তো পাতবেনও না। কারণ, হাত পাতার মত মানুষ তারা নন। তারা ভালো ছিলেন। গ্রামে খেয়ে পড়ে মোটামুটি চলছিলেন। নদীভাঙ্গার কারণে জায়গা-জমি বাড়ি-ঘর সর্বস্ব হারিয়ে আজকের অবস্থায়।
এরা হয়তো কোনো দিন আর ঢাকা ফিরবেন না। ফিরতে পারবেন না। ঢাকার মায়া কিছু দিন তাদের হয়তো মন পোড়াবে। কিন্তু প্রাণের শহর ঢাকা তাদেরকে যেভাবে গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে, করুণ এই স্মৃতি কি তাদেরকে কোনো দিনও ছেড়ে যাবে?
এই শ্রেণির মানুষদের দেখবে কে? এদের পাশে দাঁড়াবে কে? এদের খোঁজ নেয়ার আছে কে? মিডিয়ার এই যুগে আলোর নিচে এরকম কত আঁধার যে থেকে যায় চোখের আড়ালে! এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইচ্ছে থাকা সত্বেও সামুতে পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থেকেছি। তবে নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। আল্লাহ পাক তাদের সহায় হোন।
আসলে, একমাত্র আকাশের মালিক মহান আল্লাহ তাআলার দয়া ছাড়া এরকম অসহায় মানুষদের আজ আর ভরসার কোনো স্থান দেখি না। আর কোনো আশ্রয়স্থল চিন্তা করা যায় না। তিনিই এদের রক্ষা করুন।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, দাদা আপনাদের আশীর্বাদে আল্লাহ পাক ভালো রেখেছেন। আপনারা কেমন আছেন? আপনার সময় কিভাবে কাটছে?
করোনাকালে পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে সাবধানে থাকবেন। সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে চলবেন।
অনেক কৃতজ্ঞতা প্রথম প্লাস এবং মন্তব্যে। শুভকামনা।
২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অথচ সরকার থেকে বার বার বলা হচ্ছে এই সকল লোকদের খোঁজ খবর নিয়ে সাহায্য করা হবে। কিন্তু কই কিছুই হয়নি।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক জানি না, কারা এদের সাহায্য করার দায়িত্বে। তবে আমার ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার চেষ্টা ঠিকই করা হয়েছে, কিন্তু কিছু কিছু সাহায্য মধ্যস্বত্বভোগীগণের হাতের ফাঁক গলিয়ে তৃণমূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয় নি। আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। সরকার একা কি করবে? কতটা করবে? আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। গরিবের পেটে লাথি মেরে ত্রাণ চুরির মত নিকৃষ্ট অপকর্মও তো আমরাই করি! আমাদের বিবেক জাগবে কবে?
আচ্ছা মামা, ত্রাণ-সাহায্য-সরকারি ধন দৌলত চুরিচামারি এবং গ্রাসের অভিযোগে এ যাবত কতজন জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছে? সাম্প্রতিক করোনাকালের কোনো পরিসংখ্যান আপনার কাছে আছে কি?
অনেক ভালো থাকবেন। পোস্টে লাইক দেয়ায় কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সবসময়।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: জানিনা এই অসহায়ত্বের শেষ কোথায় !
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই শ্রেণির মানুষের জন্য প্রাণ কাঁদে। তাদের জন্য ভাববে কে?
অনেক কৃতজ্ঞতা মন্তব্যে আসায়। শুভকামনা জানবেন।
৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ভাই আর একজনের অবস্থা ভাবার সময় নেই সত্যি বলছি, নিজেকে নিয়ে আতংকিত থাকি। আল্লাহ না জানি আর কত কি লিখে রেখেছে নিজের কপালে। বড় ভয় হয়। সব দিকে ইয়া নফসি ইয়া নফসি অবস্থা।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভাই, নিজেকে নিয়ে আতঙ্ক কেন! আরে, প্রাণ যতক্ষন আছে অন্যদের কথা না ভেবে কি পারা যায়! আর আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কি আছে! ইনশাআল্লাহ অচিরেই আল্লাহ তাআ'লার দয়ায় পথ বেরিয়ে আসবে।
আর ভবিষ্যতের কথা তো আমাদের জানা নেই। আমার তাকদিরে যদি করোনায় মৃত্যু লেখা থাকে, পৃথিবীর সকল ডাক্তার একত্র হয়েও তা ফেরাতে পারবেন না। তাই আল্লাহ পাকের ফায়সালাকে মেনে নিয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করে চলাই হচ্ছে আমাদের কাজ। যা হওয়ার তা হবে। যা ঘটার তা ঘটবে। সুতরাং, আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা। সর্বোচ্চ সাবধানতা।
পোস্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা সবসময়।
৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারও আপনার মতো চিন্তা করছে, আল্লাহ তাদেরকে চালাবে, সমস্যা শেষ!
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
মানুষ আছে করোনা আতঙ্কে! আপনি আছেন আল্লাহ আতঙ্কে! আল্লাহর কথা শুনলেই আপনার আঁতকে ওঠার রোগ! কিন্তু কোনো আতঙ্কই ভালো না। জীবন হওয়া চাই আতঙ্ক মুক্ত।
দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যায় কি না, ভেবে দেখতে পারেন।
শুভকামনা আপনার জন্য। দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেই দুআ থাকলো।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহর উপরের বিশ্বাস রেখেই মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। সুন্দর দিনের অপেক্ষায় আছে।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহর উপরের বিশ্বাস রেখেই মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। সুন্দর দিনের অপেক্ষায় আছে।
-এতেও তো কারও কারও ঘোর আপত্তি। কি করবেন? কোথায় যাবেন? আল্লাহ ভরসা বললেও দেখছি বিপদ!
পরী মামনি আর পরীর মা কেমন আছে? সকলকে নিয়ে সাবধানে থাকবেন। সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে চলবেন। বাইরে ঘোরাঘুরি ইতোমধ্যেই কমিয়ে দিয়েছেন, আশা করি। আপনার তো আবার আমার মত বাইরে ঘোরাফেরার স্বভাব।
অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা।
৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৯
নৃ মাসুদ রানা বলেছেন: আসলেই সত্য
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
অসহায় মানুষদের অবস্থা সত্যিই দুঃখজনক। আল্লাহ পাক তাদের সহায় হোন।
মন্তব্যে আসায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সবসময়।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অপেক্ষা করেন, কিছু সমাধানের কথা নিয়ে আসছি
তবে তাতে আল্লার অশেষ রহমত লাগবে।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
অবশ্যই নিয়ে আসেন, ইনশাআল্লাহ। অপেক্ষায় থাকছি। ভালো পরামর্শ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে তবুও কিছুটা শান্তনা পাওয়া যাবে।
আল্লাহ তাআলার রহমত ব্যতিত কিছুই তো হওয়ার নয়। তাঁর অপার দয়ায় এই মহামারির বিপদ কেটে যাবে বলে আশায় বুক বেধে আছে বিশ্ববাসী। তিনিই বিপদ থেকে উদ্ধারকারী।
অশেষ কৃতজ্ঞতা, আলী ভাই। শুভকামনা সবসময়।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫১
ইসিয়াক বলেছেন:
তারপরেও মানুষের টিকে থাকার লড়াইটা চলবে। মানুষ সহজে হার মানবে না। আলোর দিন আসবে। আল্লাহ ভরসা।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপনার পজিটিভ ভাবনায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। পোস্টে লাইক দেয়ায় ধন্যবাদ জানবেন। অবশ্যই আলোর দিন আসবে।
ভালো থাকুন সবসময়।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: করোনা মানুষ তো কোন ছাড়, পৃথিবীটাকেই পাল্টে দিবে বলে মনে হচ্ছে।
সব খারাপেরই একটা ফ্লিপ সাইড থাকে। দেশের সাধারন, অসহায় মানুষেরা চরম বিপদে আছে, এটা যেমন করে সত্যি; তেমনি আমাদের দেশের মিডিয়া, টাকার কুমীর, রাজনৈতিক নেতা, সরকার.....সবার আসল চেহারাও বেরিয়ে এসেছে, এটাও তেমনি সত্যি। এখন কথা হলো, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এলে এগুলো মানুষের কতোদিন মনে থাকবে?
জাতি হিসাবে তো আমরা ডিমেনশ্যা'তে আক্রান্ত!!!
আপনি ২ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে বলেছেন, তবে আমার ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করার চেষ্টা ঠিকই করা হয়েছে, কিন্তু কিছু কিছু সাহায্য মধ্যস্বত্বভোগীগণের হাতের ফাঁক গলিয়ে তৃণমূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয় নি। আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। সরকার একা কি করবে? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনার পরবর্তীতে বলা ত্রাণ-সাহায্য-সরকারি ধন দৌলত চুরিচামারি এবং গ্রাসের অভিযোগে এ যাবত কতজন জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছে? এই কথার মধ্যেই নীহিত আছে। প্যারাডক্স সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৩
বিজন রয় বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
পরিস্থিতির চাপে বা প্রয়োজনে মানুষকে এটা করতেই হয়।
ভাল আছেন তো?