নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
পশু-পাখির প্রতি মমত্ববোধ আল্লাহ তাআলার নৈকট্যলাভের অন্যতম মাধ্যম
এই বিশ্ব ভূবনের প্রতিটি প্রাণি আল্লাহ তাআ'লার সৃষ্টি। প্রতিটি প্রাণ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। আমাদের নিকট কোনো কোনো প্রাণিকে আপাতঃ দৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় বা অপাঙতেয় বিবেচিত হলেও মহামহিয়ান স্রষ্টার কাছে কীট পতঙ্গ থেকে শুরু করে পশু পাখি - প্রতিটি প্রাণ দরকারি, মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ। পশু পাখিসহ প্রতিটি প্রাণি মানবজাতির ন্যায় আল্লাহ তাআলার পরিবারের সদস্যভূক্ত ও নিরন্তরভাবে তারা প্রত্যেকেই আল্লাহ তাআ'লার তাসবীহ পাঠে রত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُسَبِّحُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالطَّيْرُ صَافَّاتٍ كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهُ وَتَسْبِيحَهُ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
তুমি কি দেখ না যে, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তার করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তার যোগ্য এবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে। তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। -আন নূর, আয়াত-৪১
কীট পতঙ্গ এবং পশু-পাখি কোনো না কোনোভাবে মানবজাতির উপকার সাধনে ব্যবহৃত হয়। খাদ্য-পুষ্টির যোগানে, পোষাক-পরিচ্ছেদ, পরিবহন, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন উপকারে ব্যবহার হয়ে থাকে এরা। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক। -সূরা ইয়া সীন, আয়াত-৭১
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে। -সূরা ইয়া সীন, আয়াত-৭২
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না? -সূরা ইয়া সীন, আয়াত-৭৩
পশু-পাখি আল্লাহর নির্দেশে মানবজাতির বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ করার পাশাপাশি জীবন পর্যন্ত দিয়ে থাকে। কিন্তু মানবজাতি বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করে। তাদের প্রজনন, লালন-পালন, পরিবহণ, মালামাল বহন, ক্রয়-বিক্রয়, জবাই ও জবাই এর পরবর্তী পর্যায়েও তাদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকে। ইসলামী শরি‘আহ মানবজাতিকে পশু-পাখির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তাদের থেকে উপকার গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
মানবজাতি পশু-পাখি লালন-পালন ও মোটা-তাজা করতে গিয়ে তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ করে থাকে। অনিরাপদ বাসস্থান, অপর্যাপ্ত ও ভারসাম্যহীন খাদ্য প্রদান, সু-চিকিৎসার অভাবসহ নানাভাবে তারা নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা পশু-পাখিকে স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার দিয়েছেন। ইসলামী বিধানে পশু-পাখি লালন-পালন করতে হলে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তাদের অধিকার লংঘন ও অমানবিক আচরণে জন্য শাস্তির হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। আল-কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে,
وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُواْ اللّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَـهٍ غَيْرُهُ قَدْ جَاءتْكُم بَيِّنَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ هَـذِهِ نَاقَةُ اللّهِ لَكُمْ آيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللّهِ وَلاَ تَمَسُّوهَا بِسُوَءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে। এটি আল্লাহর উষ্টী তোমাদের জন্যে প্রমাণ। অতএব একে ছেড়ে দাও, আল্লাহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে। একে অসৎভাবে স্পর্শ করবে না। অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পাকড়াও করবে। -সূরা আল আরাফ, আয়াত-৭৩
মানবজাতির ন্যায় পশু-পাখিও খাদ্য-পানিয়সহ আল্লাহ তাআ'লার অন্যান্য নিয়ামতের অংশীদার। আল-কুরআনে তাদের প্রাপ্য অংশ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِّن نَّبَاتٍ شَتَّى
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। -সূরা ত্ব হা, আয়াত-৫৩
كُلُوا وَارْعَوْا أَنْعَامَكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّأُوْلِي النُّهَى
তোমরা আহার কর এবং তোমাদের চতুস্পদ জন্তু চরাও। নিশ্চয় এতে বিবেক বানদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। -সূরা ত্ব হা, আয়াত-৫৪
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একদা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি উটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যার অনাহারে পেট ও পিঠ একত্র হয়ে গিয়েছিল। তা দেখে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এসকল বোবা পশুদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআ'লাকে ভয় করো। এদেরকে দানাপানি দিয়ে সুস্থ্য সবল রাখ ও সুস্থ্য সবল পশুর পিঠে চড় এবং খাওয়ার সময়ও সুস্থ্য সবল প্রাণীর গোশত খাও। -সুনানে আবু দাউদ- ২৫৩৯
ইসলাম পশু-পাখি লালন-পলনে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দিতে নিষেধ করেছে। আল্লাহ তাআলা আল-কুরআনে পশু-পাখির অমানবিক আচরণ করতে নিষেধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হচ্ছে,
وَلأُضِلَّنَّهُمْ وَلأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الأَنْعَامِ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللّهِ وَمَن يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّن دُونِ اللّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا
(শয়তান বলে) তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। -সূরা আন নিসা, আয়াত-১১৯
হযরত আবূ সাইদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সা. এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্চিলেন। লোকটি তখন একটি বকরীর কান ধরে হেচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন: তুমি এর কান ছেড়ে দাও এবং ঘাড় ধর। -ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-৩১৭১
পশু-পাখির শারিরিক নিরাপত্তা বিধানে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত মুজাহিদ বর্ণনা করেন যে, হযরত ইবনে উমর রা. চতুস্পদ জন্তুসমূহকে পরস্পরে লড়াই করিতে উদ্বুদ্ধ করাকে অত্যন্ত অপছন্দ করিতেন। -আল-আদাবুল মুফরাদ-১২৪৯
পশু-পাখি পরিবহনের সময় অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচারণ করা হয়ে থাকে। এ সময় তাদের দাঁড় করানো অবস্থায় গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ যাত্রায়ও তাদেরকে খাদ্য-পানীয় থেকে দূরে রাখা হয়। ইসলাম পশু-পাখি পরিবহনের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য, বিশ্রাম, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছে। হযরত মূসা আ. মাদয়ান থেকে তার পরিবার বর্গ ও পশু পাল নিয়ে মিশরের দিকে যাওয়ার পথে তার লাঠির মাধ্যমে পশুপালের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন। আল-কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে,
قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّأُ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَى غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَآرِبُ أُخْرَى
(আল্লাহ তাআলা মূসা আ.কে জিজ্ঞাসা করলেন) হে মূসা, তোমার ডান হতে হাতে ওটা কী? তিনি বললেন, এটা আমার লাঠি, আমি এর উপর ভর দেই এবং এর দ্বারা আমার ছাগপালের জন্য গাছের পাতা ঝেড়ে ফেলি এবং এতে আমার অন্যান্য কাজও চলে। -সূরা ত্ব হা, আয়াত-১৮
ইসলাম পশু-পাখি পরিবহনের সময় সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে তাদের নিরাপত্তার নির্দেশনা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, “রাসূল সা. বলেছেন: যখন তোমরা উর্বর ভূমি দিয়ে চলাচল কর তখন উটকে ভূমি থেকে তার পাওনা আদায় করতে দিও। আর যখন দুর্ভিক্ষগ্রস্থ ভূমি দিয়ে পথ চল তখন তাড়াতাড়ি পথ অতিক্রম করবে এবং যখন কোথাও রাত যাপনের জন্যে অবতরণ করবে তখন পথে মঞ্জিল করবে না। কেননা, তা হচ্ছে জন্তুদের রাতে চলার পথ এবং ছোট ছোট অনিষ্টকর প্রাণীদের রাতের আশ্রয়স্থল”। -মুসলিম-৪৮২৫
ইসলাম পশু-পাখি পরিবহনের সময় মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে তাদের শারীরিকি সুস্থ্যতার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, “হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. বলেন, আমরা দুপুরের সময় যখন কোন মনযিলে বিশ্রাম নেযার জন্যে ঘোড়া বা উটের পৃষ্ঠ হতে নামতাম,তখন এর পিঠ হতে মালপত্র ও গদি অপসারণ করে ভারবাহী পশুকে আরাম দানের পূর্বে নিজেরা কোন নামায পড়তাম না।” -সুনানে আবু দাউদ-২৫৪৩
পশু-পাখি জবেহ করার সময়ও তাদের প্রতি অমানবিক আচরণের কারণে তাদের মৃত্যু যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এক পশুর সম্মুখে অন্য পশু জবাই করে শারীরিক মৃত্যুর পূর্বেই মনাসিক মৃত্যু ঘটানো হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু-পাখি জবাই, অদক্ষ কসাইয়ের মাধ্যমে জবাই, ধারহীন অস্ত্র দ্বারা জবাই, খুচিয়ে খুচিয়ে জবাই ইত্যাদি কারণে মানুষের জন্য জীবন দেয়া প্রাণীটির মৃত্যু যন্ত্রণা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। ইসলামের নির্দেশ হলো: পশু জবেহ করতে হলে অবশ্যই তাকে যতটা কম সম্ভব কষ্ট দিয়ে পূত-পবিত্রতার সাথে জবেহ করা এবং জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে হবে। আল-কুরআনে ইরশাদ করা হচ্ছে,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ
আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও। -সূরা হাজ্জ, আয়াত-৩৪
এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত শাদ্দাদ ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি: আল্লাহ তা’আলা সকল বস্তুর উপর ইহসান ফরজ করেছেন। অতএব যখন তোমরা পশু হত্যা করবে, তখন উত্তম পন্থায় হত্যা করবে আর যখন যবেহ করবে, তখন উত্তম পন্থায় যবেহ করবে। আর তোমাদের প্রত্যেকেরই ছুরিতে ধার দিয়ে নেওয়া উচিত এবং যবেহকৃত জন্তুকে ঠান্ডা হতে দেওয়া উচিত। -নাসায়ী
পশুপাখিকে কষ্ট দেয়া যাবে না। অনেককে দেখা যায়, গবাদি পশু যেমন গরু কথামত না চললেই নির্মমভাবে প্রহার করে থাকেন। এগুলো কোনোক্রমেই ঠিক নয়। পশুর প্রতি এই ধরণের আচরণ নিঃসন্দেহে গর্হিত অন্যায়।
কুরবানির ঈদসহ সারা বছরই পশু-পাখি দ্বারা আমরা নানা কল্যাণ লাভ করে থাকি। আল্লাহ তাআলার দেয়া এ বিশেষ নিয়ামত পশু-পাখির প্রতি সকল প্রকার নিষ্ঠুরতা পরিহার করে এদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। কারণ, আল্লাহ তাআ'লা পশু পাখিদের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা আমাদের প্রদান করেছেন। তাই এদের প্রতি সদয় হতে হবে। পশু পাখিসহ সকল প্রকার প্রাণির প্রতি সব ধরণের নির্দয় আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের ইসলামী বিধানানুযায়ী পশু পাখির প্রতি যথাযথ সদয় আচরণের নজরানা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্যলাভ ও সার্বিক কল্যাণ হাসিলের তাওফিক দান করুন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
পশু পাখিকে খাওয়াতে পারা আনন্দের। পাখি আপনার কাছে আসে, এটা দারুক ব্যাপার। আপনি নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতে পারেন।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: তবে সহজ সরল সত্য হলো_ মানুষ তো দূরের কথা, পশুপাখির জন্য কেউ মমত্ববোধ দেখায় না।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
দেখায়। এই আপনি যেমন দেখান।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮
নতুন বলেছেন: কুকুর খুবই প্রভুভক্ত এবং বুদ্ধিমত্তা সম্পর্ন। কুকুর অপরিস্কার থাকে। এরা রাস্তার বর্জ খায়। কিন্তু বর্তমানে বাড়িতে কুকুর পাললে সেই কুকুর খুবই পরিস্কার এবং ভালো খাবারই খায়।
নিচে কিছু হাদিস দেখুন কুকুর মেরে ফেলতে রাসুল সা: এর নিদর্শনা।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق) | হাদিস নাম্বারঃ ৩০৮৯
১৯৯৯. তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে । কেননা তার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে, আর অপরটিতে থাকে আরোগ্যে
৩০৮৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।’
গ্রন্থঃ সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা (كتاب الطهارة) | হাদিস নাম্বারঃ ৬৭
৫৩/ কুকুরের মুখ দেয়া পাত্র মাটি দিয়ে পরিষ্কার করা সম্পর্কে
৬৭। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ’লা সান’আনী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশ্য শিকার ও ছাগপালের পাহারাদারীর জন্য কুকুর রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছেন যে, কোন পাত্রে যখন কুকুর মুখ দেয় তখন তা সাতবার ধৌত করবে এবং অষ্টমবারে মাটি দ্বারা মেজে নেবে।
২১. জীব-জন্তুর ছবি অংকন করা নিষিদ্ধ হওয়া এবং চাদর ইত্যাদিতে সুস্পষ্ট ও অবজ্ঞাপূর্ণ নয় এমন ছবি থাকলে তা ব্যবহার করা হারাম হওয়া এবং যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না
৫৩৩৫। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মায়মুনা (রাঃ) আমাকে (হাদীস) অবহিত করেছেন যে, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে বিষণ্ণ অবস্থায় উঠলেন। তখন মায়মুনা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ আপনার চেহারা বিমর্ষ দেখছি! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আজ রাতে আমার সঙ্গে মুলাকাত করার ওয়াদা করেছিলেন, কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে মুলাকাত করেননি। জেনে রাখ, আল্লাহর কসম! তিনি (কখনো) আমার সঙ্গে ওয়াদা খেলাফ করেননি। পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সে দিনটি এভাবেই কাটালেন।
এরপর আমাদের পর্দা (ঘেরা খাট) এর নিচে একটি কুকুর ছানার কথা তাঁর মনে পড়ল। তিনি হুকুম দিলে সেটিকে বের করে দেয়া হল। তারপর তিনি তাঁর হাতে সামান্য পানি নিয়ে তা ঐ (কুকুর ছানার বসার) স্থানে ছিঁটিয়ে দিলেন। পরে সন্ধ্যা হলে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁর সঙ্গে মুলাকাত করলেন। তখন তিনি তাঁকে বললেন, আপনি তো গতরাতে আমার সাথে মুলাকাতের ওয়াদা করেছিলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমরা (ফিরিশতারা) এমন কোন ঘরে প্রবেশ করিনা, যে ঘরে কোন কুকুর থাকে কিংবা কোন (প্রানীর) ছবি থাকে।
পরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন ভোরবেলায় কুকুর নিধনের আদেশ দিলেন, এমনকি তিনি ছোট বাগানের পাহারাদার কুকুরও মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছিলেন এবং বড় বড় বাগানের কুকুরগুলোকে রেহাই দিয়েছিলেন।
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৪১/ সাপ ইত্যাদি নিধন (كتاب قتل الحيات و غيرها) | হাদিস নাম্বারঃ ৫৬৩২
পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৩২। হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি কুকুর নিধনের হুকুম জারী করতে শুনেছি, তিনি বলতেন, সাপগুলি আর কুকুরগুলি মেরে ফেল। আর (বিশেষত) পিঠে দু'সাদা রেখাবিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেল। কেননা এ দুটি মানুষের দূষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেয় এবং গর্ভবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। (সনদের মধ্যবর্তী) রাবী যুহরী (রহঃ) বলেন, আমাদের ধারণায় তা এদের বিষের কারণে; তবে আল্লাহ তাআলাই সমধিক অবগত। রাবী সালিম (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন, এরপরে আমার অবস্থা দাঁড়াল এই যে, কোন সাপ দেখতে পেলে তাকে আমি না মেরে ছেড়ে দিতাম না।
একদিনের ঘটনা, আমি বাড়ি-ঘরে অবস্থানকারী ধরনের একটি সাপ তাড়া করছিলাম। সে সময় যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বা আবূ লূবাবা (রাঃ) আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি তাড়া করে যাচ্ছিলাম। তিনি বললেন, থামো! হে আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এদের মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছেন। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধও করেছেন।
হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া, আবদ ইবনু হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তবে (শেষ সনদের) রাবী সালিহ (রহঃ) বলেছেন, অবশেষে আবূ লূবাবা ইবনু আবদুল মুনযির (রাঃ) এবং যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে দেখলেন ...... এবং তাঁরা দুাজন বললেন যে, ঘর-দুয়ারে বসবাসকারী সাপ নিধন করতে নিষেধ করেছেন। আর (প্রথম সনদের) রাবী ইউনূস (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- 'সব সাপ মেরে ফেল'। তিনি (বিশেষ করে) 'পিঠে দু'সাদারেখা বিশিষ্ট ও লেজবিহীন সাপ’ কথাটি বলেন নি।
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس) | হাদিস নাম্বারঃ ৪১১০
৪৫. ছবি সম্পর্কে।
৪১১০. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) .... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী মায়মূনা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আজ রাতে জিবরীল (আঃ) আমার সঙ্গে দেখা করেননি। এরপর তিনি অনুভব করেন যে, তাঁর খাটের নীচে একটি কুকুরের ছানা আছে। তখন তিনি তাকে বের করে ফেলার নির্দেশ দেন এবং নিজের হাতে পানি নিয়ে সেখানে ছিটিয়ে দেন। এরপর জিবরীল (আঃ) তাঁর সঙ্গে দেখা করে বলেনঃ আমি সে ঘরে প্রবেশ করি না, যেখানে কুকুর এবং ছবি থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দেন। এমন কি তিনি ছোট বাগানের সংরক্ষণকারী কুকুরও হত্যার নির্দেশ দেন এবং বড় বাগানের কুকুরকে হত্যা করা হতে অব্যাহতি দেন।
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) | অধ্যায়ঃ ১৬/ শিকার (كتاب الصيد والذبائح عن رسول الله ﷺ) | হাদিস নাম্বারঃ ১৪৮৬
১৬. কুকুর নিধন প্রসঙ্গে
১৪৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুকুর (আল্লাহ্ তা'আলার) সৃষ্ট প্রাণীগুলোর একটি প্রাণী না হলে আমি এর সবগুলোকে মেরে ফেলার হুকুম করতাম। অতএব এগুলোর মধ্যে যে কুকুরগুলো অত্যাধিক কালো সেগুলোকে তোমরা মেরে ফেল।
সহীহ্, মিশকাত তাহকীক ছানী (৪১০২), গাইয়াতুল মারাম (১৪৮), সহীহ আৰূ দাউদ (২৫৩৫)
ইবনু উমার, জাবির, আবূ রাফি ও আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। কোন কোন হাদীসের বর্ণনায় আছেঃ “কালো রং-এর কুকুরগুলো শাইতান”।
সেগুলোই ঘোর কালো কুকুরের পর্যায়ে পরে যেগুলোর মধ্যে সাদা রং-এর কোন চিহ্নমাত্রও পাওয়া যায় না। কালো কুকুরের শিকার খাওয়াকে একদল আলিম মাকরূহ মনে করেন।
গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | অধ্যায়ঃ পর্ব-২০ঃ শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح) | হাদিস নাম্বারঃ ৪১০০
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুকুর সম্পর্কে বর্ণনা
৪১০০-[৩] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (মাদীনার) সমস্ত কুকুর মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিলেন। ফলে মফস্বল হতে যে মহিলাটি কুকুরসহ আগমন করত, আমরা তাকেও হত্যা করতাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল কুকুর বধ করতে নিষেধ করেন এবং বললেন, তোমরা কেবলমাত্র ঐ সমস্ত কুকুর বধ করো, যেগুলো মিশমিশে কালো এবং দু’ চোখের উপরিভাগে দু’টি সাদা ফোঁটার চিহ্ন আছে। কেননা তা শয়তান। (মুসলিম)[1]
[1] সহীহ : মুসলিম (১৫৭২)-৪৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৬৫১, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বল ১৪৬১৫, সহীহুল জামি‘ ৭৫০৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৩৫৭, সহীহ ওয়া য‘ঈফ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭৫০৬।
ব্যাখ্যাঃ এখানে কালো কুকুর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে কুকুরের শরীরে কোন ধরনের সাদা বর্ণ নেই। কোন কোন ‘উলামা এ বৈশিষ্ট্যধারী কুকুর শিকারীর কাজে ব্যবহার করতেও অনিহা প্রকাশ করেছেন, হাদীসে কুকুরকে শয়তানের সাথে তুলনা করার কারণ হলো, কালো বর্ণের কুকুরগুলো সর্বনিকৃষ্ট, এগুলোর অনিষ্টতা বেশি ও উপকার অতি নগণ্য।
শারহুস্ সুন্নাহ্য় রয়েছে কুকুর হত্যার নির্দেশ দ্বারা মাদীনার কুকুর উদ্দেশ্য, কারণ মাদীনাতুল মুনাওয়ারায় মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) ওয়াহী দ্বারা বেষ্টন করে রাখে, আর যে বাড়ীতে কুকুর থাকে সে বাড়ীতে তো মালাক (ফেরেশতা) প্রবেশ করে না। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৮৬)
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
বিশেষ কোনো প্রাণীর বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা শরিয়তে থাকার বিষয়টিকে আপনি মন্তব্যে তুলে ধরেছেন। কুকুর, শুকর, বিষাক্ত সাপ, বাঘ, ভল্লুক, সিংহসহ নাপাক এবং ক্ষতিকর প্রাণীর ব্যাপারে ভিন্ন ধরণের নির্দেশনা থাকাই স্বাভাবিক। এটাকে নেগেটিভলি নেয়ার কারণ নেই।
বিষদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০
নতুন বলেছেন: Click This Link
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আবারো ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪
শোভন শামস বলেছেন: সবার প্রতি মমত্ববোধ থাকা প্রয়জন।সুন্দর কথা মালা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য শুকরিয়া।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
জুন বলেছেন:
নতুন নকিব,
এরা আমার সারা দিনমানের মেহমান
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন। অসম্ভব সুন্দর। বনের পাখি আপনার পরম মমতা পেয়ে আপন হয়ে গেছে, হয়ে গেছে সারা দিনমানের মেহমান- দৃশ্যটা ভাবতেই মনটা পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।
পথের পাশের অভূক্ত কুকুর দেখলেও আমি আমার কষ্ট লুকোতে পারি না। আমি জানি, আমার ক্ষমতা ও পরিধি অতি ক্ষুদ্র, কিন্তু তারপরেও এই সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই সক্ষমতার সবটুকু উজাড় করে হলেও কোনো প্রাণি অভূক্ত থাকবে- এটা আমি বরদাশত করতে পারি না। করি না। বাদ বাকি আপনাদের কাছে দুআ চাই। আল্লাহ তাআ'লার অফুরন্ত দয়ার ভিখারী।
আপনার ঘর মুখরিত হোক অচেনা পাখির কলকাকলিতে।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:বিশেষ কোনো প্রাণীর বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা শরিয়তে থাকার বিষয়টিকে আপনি মন্তব্যে তুলে ধরেছেন। কুকুর, শুকর, বিষাক্ত সাপ, বাঘ, ভল্লুক, সিংহসহ নাপাক এবং ক্ষতিকর প্রাণীর ব্যাপারে ভিন্ন ধরণের নির্দেশনা থাকাই স্বাভাবিক। এটাকে নেগেটিভলি নেয়ার কারণ নেই।
বিষদ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কুকুর ক্ষতিকর প্রানী না।
আর কোন প্রানী মানুষের ক্ষতি করতে আসেনা যতক্ষন না মানুষ ঐ প্রানীকে আক্রমন করে।
কুকুরটি ঘরের ভেতরে থাকায় ফেরেস্তা আসেনা বলে তাকে মেরে ফেলতে হবে? এটা নির্মমতা মাত্র। এটাকে পজেটিভলি নেবার কিছু নাই।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
কুকুর ক্ষতিকর প্রানী না।
আর কোন প্রানী মানুষের ক্ষতি করতে আসেনা যতক্ষন না মানুষ ঐ প্রানীকে আক্রমন করে।
কুকুরটি ঘরের ভেতরে থাকায় ফেরেস্তা আসেনা বলে তাকে মেরে ফেলতে হবে? এটা নির্মমতা মাত্র। এটাকে পজেটিভলি নেবার কিছু নাই।
-কুকুর ক্ষতিকর নয় তো শহর থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বছর বছর কুকুর নিধন অভিযান কেন করা হয়?
পাগলা কুকুর জীবনে কোনো দিন দেখেছেন? এর কামড়ে জলাতঙ্ক হয়, শুনে থাকবেন হয়তো! প্রতি বছর বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমনে কি পরিমান লোক সমস্যার কবলে পড়েন, পরিসংখ্যান জানা আছে আপনার?
আমার এক কাছের লোকের কিশোর ছেলেকে কুকুর কামড়েছিল। এই ডাক্তার সেই ডাক্তার করতে করতে আসল চিকিৎসা না পেয়ে ছেলেটি মারা যায়। পরিবার পরিজনসহ সেই লোকটির কান্না এখনও ফুরোয়নি।
পাগলা কুকুরকে কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। আপনি কিছু বলার আগেই আপনাকে সালাম দিয়ে দিতে পারে। ভুল ধারণা নিয়ে এর সামনে যেন না পড়ে বসেন।
ক্ষধার্ত বাঘ, সিংহ বা ভল্লুককে আক্রমন করতে হয় না। কুমিরকে আক্রমন করতে হয় না। বিশ্বাস না হলে দেশে আসেন একবার। খুলনার খান জাহান আলীন দীঘিতে নেমে নিজেই টেস্ট করতে পারেন। খবরদার, প্রিয় ভাই, আমার কথামত এই টেস্ট কখনো করতে যাবেন না যেন। কিছু দিন আগে একজনকে ওখানকার কুমির আক্রমন করেছে - এমনটা পেপারে দেখেছিলাম সম্ভবতঃ।
সুতরাং, এই ধরণের হিংস্র প্রাণি নিধনকে নির্মমতা বলা যায় না। মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বা জীবন বিপন্ন হতে পারে যেসব প্রাণির দ্বারা- এমনসব প্রাণি হত্যা অপরাধ নয়। আপনি যতই যুক্তি দেখান সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম দেখেন, সেগুলোতেও হয়তো এমনই দেখতে পাবেন।
ইসলাম কিন্তু নীরিহ কোনো প্রাণি হত্যা করতে বলে না। হাজারো প্রাণি রয়েছে, কই সেগুলোর ব্যাপারে আপনার কথিত নির্মমতা ইসলাম দেখালো না কেন? ইসলাম বরাবরই মানবতাবাদকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তার প্রমান পোস্টে উল্লেখিত আয়াত এবং হাদিসগুলো।
ভালো থাকবেন।
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
নতুন বলেছেন: কুকুর ক্ষতিকর প্রানী না।
আর কোন প্রানী মানুষের ক্ষতি করতে আসেনা যতক্ষন না মানুষ ঐ প্রানীকে আক্রমন করে।
কুকুরটি ঘরের ভেতরে থাকায় ফেরেস্তা আসেনা বলে তাকে মেরে ফেলতে হবে? এটা নির্মমতা মাত্র। এটাকে পজেটিভলি নেবার ছু ই।
-কুকুর ক্ষতিকর নয় তো শহর থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বছর বছর কুকুর নিধন অভিযান কেন করা হয়?
পাগলা কুকুর জীবনে কোনো দিন দেখেছেন? এর কামড়ে জলাতঙ্ক হয়, শুনে থাকবেন হয়তো! প্রতি বছর বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমনে কি পরিমান লোক সমস্যার কবলে পড়েন, পরিসংখ্যান জানা আছে আপনার?
আমার এক কাছের লোকের কিশোর ছেলেকে কুকুর কামড়েছিল। এই ডাক্তার সেই ডাক্তার করতে করতে আসল চিকিৎসা না পেয়ে ছেলেটি মারা যায়। পরিবার পরিজনসহ সেই লোকটির কান্না এখনও ফুরোয়নি।
এই জন্যই তো বলি আপনার জানার পরিধি বাড়াতে হবে আপডেটেড হতে হবে।
সভ্য দুনিয়ার কোথাও শহরে কুকুর মেরে ফেলেনা।
সভ্য দুনিয়ার কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ( রাসুল সা: এর জামানায় ভ্যাকসিন ছিলোনা তাই পাগলা কুকুর ছিল)
কুকুরে কামড়ালে ঔষুধ আছে সেটা না দিয়ে পানি পড়া, সুরা পরে ফু দিলে জলাতংক হলে মানুষ বাচেনা।
আমাদের দেশকে আমি সভ্য দেশ বলিনা। কারন কিছুদিন আগেও কুকুর ইসুতে মানুষ কুকুর মেরে পক্ষে রাস্তায় মানববন্ধন করেছে। এবং অনেকেই এই সব হাদিস ব্যবহার করতে দেখেছি ফেসবুকে কুকুর মারার পক্ষে। সেখান থেকেই আসলে এই হাদিসের খবর পেয়েছি।
সভ্য দেশে মানুষ চিন্তা করে। অন্ধ অনুসরন করেনা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন ভাই,
ইসলাম বিষয়ক আপনার জ্ঞান কিন্তু সত্যি্ই অবাক করার মত। ইসলাম বিষয়ক এত এত জ্ঞান রাখার পরেও আপনি কিভাবে ইসলামের সৌন্দর্য্যগুলো না দেখে সামান্য খুঁত খুঁজে বেড়ান! এটাও আরেক বিস্ময় বটে!
যাক, আপনার অভিরুচি। আপনার অভিমতের প্রতি শ্রদ্ধা!
আর হ্যা, জ্ঞান আমার যে সীমিত সে কথায় আমিও সহমত। তবে আপনার উল্লিখিত হাদিসগুলো নিয়ে আমি যে যাচাই করবো, সেই সুযোগ আমার হয়ে ওঠেনি। এই হাদিসগুলোর নির্ভরযোগ্যতা কতটুকু তা অবশ্য দেখার বিষয়। কারণ, অনেকেই ইসলামকে বিতর্কের বিষয় বানাতে মনগড়া হাদিসের মত করে কিছু কথা বানিয়ে বলে এবং সেগুলোতে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, অমুক সাহাবী বর্ণনা করেছেন, ইত্যাদি শব্দাবলী যুক্ত করে দেয়। জানি না, আপনার উল্লেখিত হাদিসগুলো সত্যিই হাদিস কি না।
ভালো থাকবেন।
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কুত্তা যদি মারতেই হয় তাইলে সংসদ থেকে শুরু করেন, রাস্তার গুলা তো নিরিহ, একটা বিস্কুট দিলেই পোষ মানে। তবুও রাস্তার কুত্তা মারে । দয়াহীন মানব
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রত্যেক প্রাণির প্রতি দয়াশীল হওয়া উচিত। কোনো প্রাণিকে কষ্ট দেয়া উচিত নয়।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
নতুন বলেছেন: নতুন ভাই,
ইসলাম বিষয়ক আপনার জ্ঞান কিন্তু সত্যি্ই অবাক করার মত। ইসলাম বিষয়ক এত এত জ্ঞান রাখার পরেও আপনি কিভাবে ইসলামের সৌন্দর্য্যগুলো না দেখে সামান্য খুঁত খুঁজে বেড়ান! এটাও আরেক বিস্ময় বটে!
যাক, আপনার অভিরুচি। আপনার অভিমতের প্রতি শ্রদ্ধা!
এতো বড় প্রসংসার জন্য ধন্যবাদ। আমি আসলে তথ্য খুজে বের করতে পারি। এনালাইজ করতে পারি। এটা আমার স্কিল। যৌক্তিক ভাবি তাই অনেক সময় ধর্মের গোজামিল গুলি সামনে আসে।
যেমন আপনি পশু পাখির প্রতি মমত্ব বোধের কথা লিখছেন। অবশ্যই সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু হাদিসে কুকুর মেরে ফেলার হুকুম আছে। কালো বলে কুকুরকে হত্যা করা অবশ্যই উপরে লেখা মমত্ববোধ প্রকাশ পায় না।
আর হ্যা, জ্ঞান আমার যে সীমিত সে কথায় আমিও সহমত। তবে আপনার উল্লিখিত হাদিসগুলো নিয়ে আমি যে যাচাই করবো, সেই সুযোগ আমার হয়ে ওঠেনি। এই হাদিসগুলোর নির্ভরযোগ্যতা কতটুকু তা অবশ্য দেখার বিষয়। কারণ, অনেকেই ইসলামকে বিতর্কের বিষয় বানাতে মনগড়া হাদিসের মত করে কিছু কথা বানিয়ে বলে এবং সেগুলোতে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, অমুক সাহাবী বর্ণনা করেছেন, ইত্যাদি শব্দাবলী যুক্ত করে দেয়। জানি না, আপনার উল্লেখিত হাদিসগুলো সত্যিই হাদিস কি না।
ভালো থাকবেন।
আমি জ্ঞান সীমিত সেটা বোজাতে চাইনি। আপনি ব্লগের অন্যতম জ্ঞানী একজন। আপনার মতন ইসলাম যদি দেশের হুজুরেরা বুঝতো তবে ইসলামকে এতো সমালোচনায় পড়তে হতো না।
কিন্তু আপনিও অন্ধবিশ্বাসী। যেমন ঢাকাতে কুকুর মেরে ফেলে কারন কুকুর পাগল হয়ে যায় তাই আপনি হাদিসে কুকুর মেরে ফেলার সাথে মিলিয়ে বিশ্বাস করলেন যে হাদিসে যেহেতু আছে তাই সেটা ভাল।
কিন্তু আপনি হয়তো খোজ পান নাই যে সভ্য দেশে রাস্তার কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। নতুবা রাস্তার কুকুরকে পুন:বাসন করা হয়। মেরে ফেলা হয় না।
হাদিসগুলি আমি Click This Link সাইট থেকে নিয়েছি। বলা আছে যে নিচের হাদিস সংকলন একানে আছে।
সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / Sahih al-Bukhari৭৫৬৩ টিতাওহীদ পাবলিকেশন
২সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) / Sahih al-Bukhari (Bangladesh islamic foundation)৭০৫৩ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
৩সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) / Sahih Muslim৭৪৭৩ টিহাদিস একাডেমি
৪সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) / Sahih Muslim (Bangladesh islamic foundation)৭২৮২ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
৫সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) / Sunan Abu Dawood৫২৭৪ টিআল্লামা আলবানী একাডেমী
৬সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) / Sunan Abu Dawood (Bangladesh islamic foundation)৫১৮৫ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
৭সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) / Sunan at-Tirmidhi৩৯৫৯ টিহুসাইন আল-মাদানী
৮সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) / Sunan at-Tirmidhi (Bangladesh islamic foundation)৩৬০৮ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
৯সহীহ শামায়েলে তিরমিযী / Sahih Shamail Tirmidhi৩২২ টিইমাম পাবলিকেশন্স লিমিটেড
১০সূনান নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) / Sunan an-Nasa'i (Bangladesh islamic foundation)৫৭৫৮ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
১১রিয়াযুস স্বা-লিহীন / Riyad as-Salihin১৯০৫ টিতাওহীদ পাবলিকেশন
১২আল-লুলু ওয়াল মারজান / Al-Lulu Wal Marjan১৯০৬ টিতাওহীদ পাবলিকেশন
১৩সুনানে ইবনে মাজাহ / Sunan ibn Majah৪৩৪১ টিতাওহীদ পাবলিকেশন
১৪সুনান আদ-দারেমী / Sunan al-Darimi৩৫৪২ টিহাদিসবিডি
১৫বুলুগুল মারাম / Bulugh al-Maram১৫৬৮ টিতাওহীদ পাবলিকেশন
১৬আল-আদাবুল মুফরাদ / Al-Adab al-Mufrad১৩৩৬ টিআহসান পাবলিকেশন
১৭মুসনাদে আহমাদ / Musnad Ahmad ibn Hanbal১৩৮০ টিবাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
১৮মুয়াত্তা মালিক / Muwatta Imam Malik১৮৮৯ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
১৯মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) / Mishkat al-Masabih৫১৫৪ টিহাদিস একাডেমি
২০হাদীস সম্ভার / Hadith Shomvar (Collection of different hadith)৩৯০২ টিওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী
২১সুনান আদ-দারাকুতনী / Sunan al-Daraqutni১৫৪৪ টিইসলামিক ফাউন্ডেশন
২২সহীহ হাদিসে কুদসি / Sahih Hadis Qudsi১৬৩ টিইসলাম হাউস
২৩রমযান বিষয়ে জাল ও দুর্বল হাদিসসমূহ / Fake and Dai'f hadith - Ramadan related৩৪ টিইসলাম হাউস
২৪আন্-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস / Al-Nawawi's Forty Hadith৪২ টিইসলাম হাউস
২৫যঈফ ও জাল হাদিস / Dai'f and Jal hadith২০০০ টি
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
যথেষ্ট কষ্ট করেছেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন:
প্রতিদিন এই কবুতর আমার কাছে সকালের নাস্তা খেতে আসে।