নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
বিয়েতে ‘উকিল বাপ’ নির্ধারণের প্রয়োজন বা বৈধতা কতটুকু?
আমাদের দেশে অনেক বিয়েতে কোনো একজনকে ‘উকিল বাপ’ নির্ধারণ করতে দেখা যায়। ইসলামী শরিয়ায় এর বিশেষ কোনো প্রয়োজনীয়তা কিংবা অনুমোদন আছে কি না কিংবা আদৌ আছে কি না সেটা জানা দরকার। আসল বাবা যদি জীবিত থেকে থাকেন এবং তিনি নিজের সন্তানকে বিয়ে দিতে সক্ষম হন তাহলে আবার ‘উকিল বাপ’ -এর প্রয়োজন কি? প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজে প্রচলন ঘটে যাওয়া এই যে ‘উকিল বাপ’ এর একটা রীতি, এটার ভিত্তি কি? কুরআন হাদিস ইজমা কিয়াস এই বিষয়টিকে কিভাবে দেখে? তাছাড়া শুধু 'উকিল বাপ' কেন? উকিল হলেই তাকে বাপ হতে হবে কেন? উকিল ভাই, উকিল মামা, উকিল বন্ধু হতে সমস্যা কোথায়? প্রকৃতপক্ষে উকিলের দায়িত্ব যিনিই পালন করে থাকুন, তাকে উকিল বাবা হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে এর কোনো ভিত্তি নেই। তিনি উকিল ভাই, উকিল মামা, উকিল বন্ধু ইত্যাদিও হতে পারেন।
হাদিয়া তোহফা প্রাপ্তির অধিক হকদার প্রকৃত পিতা, উকিল বাপ ননঃ
আমাদের সমাজে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে উকিল বাবা নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেগানা কোনো পুরুষকে খামাখা উকিল সাজানো হয়। অতঃপর খুব গুরুত্বের সাথে সারা জীবন সেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলা হয়। উকিল বাবাকে পিতা মনে করে সবসময় হাদিয়া আদান প্রদান করতে হয়। যদিও এগুলো পাওয়ার অধিক হকদার প্রকৃত পিতা-মাতা। ক্ষেত্র বিশেষে এমনও দেখা যায় যে, উকিল বাবা মাহরাম কেউ না হওয়া সত্বেও, শুধু উকিল বাবার দোহাই দিয়ে উক্ত মেয়ে তার সামনে নির্দ্বিধায় আপন পিতার মত যাতায়াত করেন। এটি ইসলামি শরিয়াতের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ বিধান পর্দাপ্রথার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শরীয়তে এসব কর্মকান্ড কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়। এসবের কোনো ভিত্তিও নেই ইসলামি শরিয়ায়। মূলতঃ উকিল বাপ সিস্টেমটিই একটি কুসংস্কার। নিছক রুসম রেওয়াজ থেকে প্রচলিত হয়ে চলে আসা সামাজিক প্রথা মাত্র।
‘উকিল বাপ’ বলতে কি বুঝায়?
‘উকিল বাপ’ বাংলাদেশের বহুল ব্যবহৃত এবং অতি পরিচিত একটি পরিভাষা। বাংলা একাডেমি প্রণিত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে ‘উকিল’ শব্দের অর্থ লিখেছে ১. আইন ব্যবসায়ী। ২. প্রতিনিধি, মুখপাত্র। ৩. মুসলমানদের বিয়েতে যে ব্যক্তি কনের সম্মতি নিয়ে বরকে জানায়। (বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, পৃষ্ঠা-১৪৭)। আর ‘বাপ’ শব্দের অর্থ বাবা, পিতা, জন্মদাতা ও পিতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
ইসলামে পবিত্র বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য দু'জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। এই সাক্ষীমণ্ডলীর একজনকে দেশীয় পরিভাষায় বলা হয় ‘উকিল বাপ’।
সাক্ষী একাধিক, অথচ উকিল বাপ হন একজন, তা কেন?
আমাদের দেশে এই ‘উকিল বাপ’ ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কের মতো আচরণ করা হয়। অবলীলায় তাঁদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা হয়। অথচ ‘উকিল বাপ’ সংস্কৃতি ইসলামসম্মত নয়। কেননা, যদি বিয়ের সাক্ষী হলেই তাকে ‘উকিল বাপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, তাহলে দু'জন সাক্ষীরই তো ‘উকিল বাপ’ হওয়ার কথা। অথচ, বিয়ের সাক্ষী একজনকে পিতার আসনে বসানো হয় আর অন্যজনকে এই বিশেষ বিশেষণ থেকে বঞ্চিত করা হয়। এটাতেও রয়েছে বে-ইনসাফি।
ইসলাম যাদেরকে পিতৃস্থানীয় মর্যাদা প্রদান করেছেঃ
তা ছাড়া পৃথিবীতে প্রকৃত বাবা একজনই, যার ঔরসে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। এর বাইরে ইসলাম কয়েক ধরনের ব্যক্তিকে পিতৃস্থানীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এক. ‘দুধ পিতা’ অর্থাৎ কোনো শিশু যদি অন্য কোনো নারীর দুধ পান করে, তাহলে সে নারীর স্বামী উলিখিত শিশুর ‘দুধ পিতা’। এমন পিতার সঙ্গে দুগ্ধপায়ী মেয়েশিশুর বিয়ে বৈধ নয়। তবে তারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে।
দুই. বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে আরেক ধরনের পিতৃত্বের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। দেশীয় পরিভাষায় ওই পিতাকে বলা হয় ‘শ্বশুর’। ‘শ্বশুর’ স্বামীর পিতা বা পিতৃস্থানীয় হওয়ার কারণে তাঁর সঙ্গে স্থায়ীভাবে বিয়ে হারাম। স্বামী যদি কখনো তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে স্বামীর সঙ্গে আর দেখা করা যাবে না; কিন্তু ওই শ্বশুর তখনো হারামই থেকে যাবেন। অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়। তাঁর সঙ্গে পিতার মতো সর্বাবস্থায় দেখা দেওয়া যাবে।
তিন. দত্তক নেওয়া সন্তানের অভিভাবককেও পিতার মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামের বিধান হলো, দত্তক নেওয়া সন্তানের লালনকারীদের সম্মানার্থে মা-বাবা ডাকা বৈধ। একইভাবে তারাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবে। তবে এটা মনে করার সুযোগ নেই যে পালক নেওয়ায় সন্তানের আসল মা-বাবা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন লালনকারীই তার সব কিছু। এমন মনে করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটি জাহেলি যুগের কুসংস্কার। পবিত্র কোরআনে বিষয়টি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/৩৩৭, আবু দাউদ, হাদিস : ১৯৪০)।
পর্দা রক্ষা করতে হবে লালন-পালনকারীর সঙ্গেওঃ
লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তান পর্দার ক্ষেত্রেও পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে চলতে হবে। নিজ হাতে লালন-পালন করেছি বলে পর্দার বিধান লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক নেওয়া মায়ের সঙ্গে পর্দা করতে হবে। অন্যদিকে পালক নেওয়া শিশুটি মেয়ে হলে তাকে পালক নেওয়া বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। কেননা ইসলামী শরিয়ত মতে, দত্তকসংক্রান্ত সম্পর্ক কখনো বংশীয় সম্পর্কে পরিণত হয় না। এমনকি তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও অন্য সাধারণ মানুষের মতো বৈধ। (তুহফাতুল ফুকাহা : ২/১২৩)
উল্লিখিত কয়েক ধরনের পিতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের পিতা হিসেবে ইসলাম স্বীকৃতি দেয়নি।
‘উকিল বাপ’ ইসলামি সংস্কৃতির অংশ নয়ঃ
‘উকিল’ একটি মুসলিম পরিভাষা। বিশেষ পদ্ধতিতে বিয়ে মুসলমানদের সংস্কৃতি। কালক্রমে মুসলিম পরিভাষা ও সংস্কৃতির ভেতর ইসলামবিরোধী ‘উকিল বাপ’ কালচার ঢুকে পড়েছে। এ ‘উকিল বাপে’র সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ নয়। তাঁকে ‘বাবা’ ডাকারও কোনো কারণ নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে নিজের পিতাকে ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলে দাবি করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৩২৬) ।
'উকিল বাপ' এর সঙ্গে পর্দা করা ইসলামের দৃষ্টিতে ফরজঃ
উকিল বাবা সাধারণত কনের মাহরাম কোনো আত্মীয়-স্বজন হন না; বরং তিনি গাইরে মাহরামই হয়ে থাকেন। তাই তাঁর সঙ্গে পর্দা করা ইসলামের দৃষ্টিতে ফরজ। শুধু সামাজিক প্রচলনের ওপর ভিত্তি করে একজন গাইরে মাহরাম ব্যক্তিকে ‘উকিল বাপ’ বানিয়ে তাঁর সঙ্গে মাহরাম আত্মীয়-স্বজনদের মতো দেখা-সাক্ষাৎ করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
গাইরে মাহরাম কেউ মেয়ের কাছে অনুমতি আনার জন্য তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবে নাঃ
অনেক সময় দেখা যায়, মেয়ের কাছ থেকে অনুমতি আনার সময় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য উকিল বাবার সঙ্গে বর-কনে উভয়পক্ষের দুজন সাক্ষী যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে গাইরে মাহরাম কেউ মেয়ের কাছে অনুমতি আনার জন্য তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবে না।
বিয়ের আগে পাত্রী দেখাঃ
বিয়ের আগে পাত্রীকে পাত্রপক্ষের মহিলাগণ দেখতে পারবেন। তবে, গাইরে মাহরাম পুরুষদের মধ্যে শুধু পাত্রই শর্ত সাপেক্ষে দেখতে পারবে। সে শর্তগুলো হলোঃ
এক. পাত্রী দেখার সময় পাত্রের পক্ষের কোনো পুরুষ যেমন বাপ-ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ থাকতে পারবে না। তাদের পাত্রী দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ।
দুই. পাত্র-পাত্রী একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। কিন্তু একে অন্যকে স্পর্শ করতে পারবে না।
তিন. পাত্রীর শুধু কবজি পর্যন্ত হাত, টাখনু পর্যন্ত পা ও মুখমণ্ডল দেখা পাত্রের জন্য বৈধ। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ আবরণ ছাড়া দেখতে পারবে না।
চার. নির্জনে পাত্র-পাত্রী একত্রিত হওয়া বৈধ নয়। সুতরাং, যেখানে পাত্রের জন্যই এত শর্ত রয়েছে, সেখানে ‘উকিল বাবা’ পাত্রী দেখার তো প্রশ্নই আসে না। এমনকি পাত্রের প্রকৃত পিতার জন্যও বিয়ের আগে তাঁর হবু পুত্রবধূকে দেখা বৈধ নয়। বিস্তারিত দেখুন, সুরা নিসা, আয়াত : ২৩, তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪
শেষের কথাঃ
ধৈর্য্য নিয়ে লেখা পাঠের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। ইসলাম যারা সত্যিকারার্থে কুরআন হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাকটিস করতে অভ্যস্ত এবং আগ্রহী, লেখাটি মূলতঃ তাদের জন্য। এখানে 'উকিল বাপ' বিষয়টি আলোচনার সাথে সাথে বিয়ের আনুষঙ্গিক কিছু বিধি-বিধান ইসলামি শরিয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে কুরআন হাদিসে বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে তুলে ধরার প্রয়োজন হয়েছে। অতএব, কারও কাছে লেখাটি প্রথা বিরোধী কিংবা অপ্রিয় মনে হলে সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং একই সাথে জানাচ্ছি যে, তারা এই লেখা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পূর্ণ স্বাধীনতার অধিকারী।
সকলের জন্য কল্যানের দোআ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতাসহ মোবারকবাদ।
পূর্ণ সহমত। +
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: আমি এ বিষয়ে আগে অবগত ছিলাম না। এটি সঠিক কিনা তাও জানতাম না। তবে আপনার পোস্ট দেখে যুক্তিযুক্ত মনে হল। তবে একটা সংস্কৃতিকে এত সহজে তুলে দেয়া যাবে না যদি তা হয় ইসলাম বিরোধী। যেমন, শত শত হাদীস, প্রমান দেয়ার পরও ১লা বৈশাখ, ১ জানুয়ারী সহ বিভিন্ন উৎসব পালন করছে মানুষ। এটা তাদের সংস্কৃতি তা দোহাই দিচ্ছে।
কিন্তু আজ বলুন যে, নিয়মিত নামায না পড়লেও চলবে। এতে কোনো হাদীস কোরআনের রেফারেন্স লাগবে না। অনেকে একবার হলেও ভেবে দেখবে বিষয়টা মানা যায় কিনা। অনেকে আপনাকে বাহবা দিবে। যদিও এটা সম্পূর্ন অবৈধ।
তাই ভালো কিছু করতে হলে বাধা আসবেই। আপনি এগিয়ে যান ভাই।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জানার যেমন বিকল্প নেই, মেনে চলাও আরেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। প্রথমতঃ আমাদের জ্ঞানের শুন্যতা দূর করার জন্য জানার পথকে খুলে দিতে হবে। তারপরে আসবে আমলের প্রশ্ন। অনেকে না জানার কারণে ভুল পথে আছেন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে একটি কাজ তারা করেন ঠিকই, তবে ভুলভাবে করেন। এ জন্য জ্ঞানার্জনের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সঠিক জ্ঞান লাভ করার পরে ভুল করা মানুষের পরিমান কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।
১লা বৈশাখ বলেন আর অন্য যে বিষয়ই বলেন সকল ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য। তবে একটি বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, এ দেশে অন্যান্য ধর্মের অনুসারী অনেক মানুষ বসবাস করেন। তাদের ধর্মীয় এবং কালচারাল বিভিন্ন ফাংশান থাকে। তারা তাদের সেসব অনুষ্ঠান করে থাকেন, এগুলো পালন করার অধিকারও তারা অবশ্যই রাখেন। তাদের অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমাদের কারও প্রশ্ন তোলা আদৌ উচিত হবে না যে, তারা কেন এগুলো করছেন? বরং, তারা তাদের এসব বিষয়ে স্বাধীন। বরং, সংখ্যালঘু হিসেবে কোনো কোনো সম্প্রদায়কে এসব কাজে সহযোগিতা করারও প্রয়োজন হয়ে থাকে। যত দূর জানি, সরকারও এই সহযোগিতার কাজটি করে থাকে।
সুন্দর এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতাসহ অভিনন্দন।
অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: উকিল বাবা ইসলামে বৈধ নয়। এটা ভ্রান্ত ধারণা!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: @আতিকুররহমান আতিকঃ শেখার কোন বয়স নেই। প্রশ্ন হচ্ছে শেখার পর মানুষ সেটা মানে নাকি? যদি মানতে পারে তাহলেই লেখকের কাজ স্বার্থক হবে।
ধন্যবাদ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
পুনরায় মন্তব্যে এসে বিষয়টি বলে যাওয়ায় অনেক অনেক অভিনন্দন।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইটা মানুষের বানানো, আমাদের ওইদিকে নেই এই ধারণা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আমাদের ওইদিকে নেই এই ধারণা।
-ভালো খবর। অনেক এলাকায় এর বহুল প্রচলন।
কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানবেন।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২০
এভো বলেছেন: আপনার পোষ্টটার পড়ার পর কাজী নজরুল ইসলামের সেই বিখ্যাত কবিতাটার কথা মনে হোল --
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়।
প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় যেটা বলেছেন তার বিস্তারিত বলা সময়ের ব্যাপার। আধুনিক পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে না চলে, বিজ্ঞানের সাথে আধুনিকতার পথে না এগিয়ে শুধুই ধর্মকর্ম নিয়ে যারা পড়ে থাকতে চান, সেই তাদের দিকে হয়তো ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। সেটা তো তিনি ঠিকই বলেছেন। আধুনিকতাকে বাদ দিলে তো জীবন চালানোই কঠিন হয়ে উঠবে। আর আধুনিকতাকে সাথে নিয়ে চললে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথে, অগ্রগতি-উন্নতির পথে হাটলে ফতোয়া তালাশ করা যাবে না, অথবা ফতোয়ার প্রয়োজন হবে না, এমন কথারও কি কোনো যুক্তি আছে?
আমরা তো মনে করি, বিবি যত দিন থাকবে, তালাকের ফতোয়ারও ততদিন প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে আপনার কি ধারণা?
ইসলাম ধর্ম এই পৃথিবীতে মানুষ মেনে চলবেন যত দিন, মাসআলা-মাসায়েল এবং ফতোয়া জানার প্রয়োজনও মানুষের রয়ে যাবে ঠিক ততদিন। একমাত্র কেউ যদি ইসলাম মুক্ত বিশ্ব দেখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তার পক্ষেই 'ফতোয়া মুক্ত বিশ্বে'র স্বপ্ন দেখা সম্ভব।
ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাবা থাকতে উকিল বাপের দরকার নাই। বাবার অনুপস্থিতিতে চাচা, ভাই এরা এই দায়িত্ব পালন করবে। তাদেরকে উকিল বাপ বলার কোনও দরকার নাই। 'ঢাকার লোকের' মন্তব্যটা অনুসরণযোগ্য।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক বলেছেন। সহমত।
'ঢাকার লোক' জ্ঞানী ব্যক্তি। আপনিও, চমৎকার। মা-শাআল্লাহ।
কৃতজ্ঞতাসহ।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
হেফাজত, জামাত-শিবির ও অতি-ধর্মীয়দের সমস্যাগুলোই বিচিত্র।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। একদম সত্য বলেছেন। এগুলো বুঝা আসলে গন্ডগোল পাকানো মাথাওয়ালাদের কাজ না। তাই না?
ধন্যবাদ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
হেফাজত, জামাত-শিবির আর অতি-ধর্মীয় বলে ধর্ম থেকে মানুষকে আলাদা করার সুযোগ নেই। ধর্ম মেনে চললেই তাকে জামাত-শিবির বলা অপরাধ। কারণ, যারা ধর্ম মানেন তাদের সবাই জামাত-শিবির করেন না।
ধর্ম মেনে চললেই তাকে হেফাজত বলাও অন্যায়। কারণ, যারা ধর্ম মানেন তাদের সবাই হেফাজত করেন না।
ধর্ম মেনে চললেই তাকে অতি-ধর্মীয় কাজ বলা সঠিক নয়। কারণ, যারা ধর্ম মানেন তারাই অতি-ধর্মীয় কাজে যুক্ত এটা মিথ্যে কথা।
মুক্তির পথ একটাই। সেটা ধর্ম মেনে চলায়। আসুন, সে পথেই চলি। জীবনকে সুন্দর করি, পরিশুদ্ধ করি। ইহকাল পরকাল আলোকিত হয়- এমন জীবন বিধান একমাত্র ধর্মই দিতে পেরেছে।
ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫
এভো বলেছেন: আপনার পোস্টার সঠিক জবাব হোল কাজী নজরুল ইসলামের ঐ কবিতাটি ।
আপনি বলেছেন -- উকিল বাবা তো বাবা তো বাবা নহে । রাজশাহী এলাকাতে চাচা জেঠা কে বড় বাপ , মেঝ বাপ , ছোট বাপ বলা হয় । বাবা বা বাপ শব্দ বায়লজিক্যাল ফাদার ছাড়াও ব্যবহার হয়ে থাকে । জাতীর পিতা মানে ঐ জাতীর সব জনগণ তার ঐরশ্বজাত সন্তান নহে । পীর বা অনেক সাধুকে দয়াল বাবা বলা হয় , এই বাবা কি বায়লজিক্যাল ফাদার ?
উকিল বাবা হয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যাকে কণা পক্ষ এবং বর পক্ষ উভয়ের কাছে গ্রহন যোগ্য , তিনি যদি বেগানা হয়ে থাকেন তখন ঐ বেগানা বাবা যখন অতি গোড়া কোন কণ্যার মতামত নিতে আসবেন তখন ঐ কণ্যাতো বোরকার ভিতরে থাকতে পারে । কণ্যা যদি গোড়া না হয় তাহোলে ঘোমটার ভিতর থেকে ও বলতে পারে কবুল ।
আমাদের দেশে বিয়ের সময় বিয়ের কণেরা বড় করে ঘোমটা দেয় । বিয়ের আসরে কি বেগানা পুরুষ থাকে না এবং তাদের সামনে কি মালা বদল , আয়না দেখাদেখি হয় না ।
আপনার এই লিখা পড়ে নজরুলের কবিতাটাই সবার আগে মনে পড়ে ।ধন্যবাদ
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কি কোনো বই বের হয়েছে?
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
এখনও বের হয়নি।
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১০
ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার লেখায় আরেকটা বিষয় প্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে, ইসলামে পর্দার নির্দেশনা, যা আমাদের সমাজে নিদারুণ ভাবে অবহেলিত এবং অসংখ্য প্রচলিত কুপ্রথার জনক! প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার প্রসারেই এসব কুপ্রথা বিদায় করা সম্ভব।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, প্রাসঙ্গিকতার কারণে পর্দার বিষয়টা বিয়ে শাদির আনুষ্ঠানিকতা, উকিল বাবা ইত্যাদির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। পর্দা একটি ফরজ ইবাদত। অবশ্য পালনীয় ফরজ বিধান। পর্দা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য। পর্দার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন যেসব স্থানে হতে দেখা যায়, বিয়ে শাদির অনুষ্ঠান তার মধ্যে অন্যতম। সে কারণে বিস্তারিতভাবে সম্ভব না হলেও উকিল বাবার প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে পর্দার বিষয়ে সামান্য আলোকপাতের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই এসে যায়। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২২
ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, উপরের মন্তব্যটা অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইবার এসেছে, একটা মুছে দিবেন, প্লিজ। তাছাড়া অর্থটাও একটু কনফিউজিং মনে হতে পারে। আমি বলতে চেয়েছি, পর্দার নিষেধাজ্ঞা গুলো অবহেলা করা এবং না মানাই অনেক কুপ্রথার জন্ম দিয়েছে। ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, মুছে দিয়েছি।
পর্দার নিষেধাজ্ঞা গুলো অবহেলা করা এবং না মানাই অনেক কুপ্রথার জন্ম দিয়েছে।
-সঠিক বলেছেন।
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বিয়ে কেবল দুটি স্বত্বার মিলন, এখানে উকিল বাবার কোন গুরুত্ব নাই। দুটি স্বত্বার সামাজিক স্বকৃতীর ম্যাকানিজম হলো বিয়ে নামক কর্মযজ্ঞ্য।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৯
আকন বিডি বলেছেন: উপমহাদেশে অনেক বাতিল জিনিস ধর্মের নামে প্রচলিত। উকিল বাপ সেরকম একটি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক বলেছেন। শুকরিয়া। জাজাকুমুল্লাহ।
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১১
বিডি আইডল বলেছেন: এটা স্হানীয় সংস্কৃতি। আমি অনেক এলাকাতেই এই জিনিষ দেখিনি
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আপনি হয়তো ঠিকই দেখেছেন। আমার কাছেও এমনই মনে হয়েছে। তবে, অনেক এলাকায় এই কাজকে আবশ্যক মনে করা হয়। উকিল বাবা ছাড়া যেন বিয়ে হতেই পারে না। উকিল বাবা ব্যতিত বিয়ে হলেও তা যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায় তাদের কাছে। সেটাই সমস্যা।
ধন্যবাদ।
১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্যি এটা ইসলামী বিষয় বা সংস্কৃতির কিছু নয়। তারপরও আমাদের সমাজে তা অত্যাবশকীয় পালনীয় উপাদান।
বন্ধ করা বা সচেতনদা দরকার। +++++++++
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৯
ঢাকার লোক বলেছেন: ভাল একটা বিষয় সুস্পষ্ট তুলে ধরেছেন। একটা সামাজিক অনৈসলামিক প্রথা আমাদের সমাজে জেঁকে বসে আছে, অথচ সবাই নির্বিকার! বাবা, বাবা না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক ভাই, তাও না থাকলে চাচাদের কেউ বিয়েতে কনের পক্ষে কনের সম্মতি জেনে উপস্থিত মৌলভী সাহেব বা বিয়ে পরিচালকে জানাবেন, আলাদা উকিল বাপের কোনই দরকার নেই। কনে পক্ষের তেমন কোন অভিভাবক না থাকলে শরীয়ত স্হানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করলে এ দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দিয়েছে।
এ উকিল বাপ প্রথা বন্ধ হওয়া আবশ্যক!!