নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
ফিতনা ফাসাদের এই জামানায় ঈমান বাঁচানো কঠিনতম কাজ
পবিত্র কুরআনুল হাকিম ঘোষনা করেছে, কেয়ামত নিকটবর্তী। ইরশাদ হচ্ছে-
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। -সূরাহ আল ক্কামার, আয়াত-০১
The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder.
আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনার আলোকে কেয়ামতের আলামতগুলো একে একে প্রকাশও পেয়ে চলেছে। আমরা দেখছি, ফিতনা ফাসাদের বহুরূপী প্রকাশ আমাদের সামনে ক্রমশঃ অবারিত হচ্ছে। ঈমানের জমিনে চলছে প্রচণ্ড খড়া, অকল্পনীয় আকাল। ভয়াবহ এই সময়ের ব্যাপারেই হয়তো প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে, সকাল বেলা ঈমান নিয়ে ঘর থেকে মানুষ বেরিয়ে যাবে আর সন্ধ্যা বেলা ঈমানের বিনিময়ে দুনিয়া ক্রয় করে বেঈমান হয়ে ঘরে ফিরে আসবে।
পদের লোভ, অর্থ বিত্ত আর ক্ষমতার মোহ নীতি নৈতিকতাকে তো ধ্বংস করেই, মানুষের ঈমান পর্যন্ত বিপর্যস্ত করে দেয়। এসবের প্রতি অন্ধ প্রেম আর দুরন্ত টান মানুষকে বিধ্বস্ত বিধ্বংসী অমানুষে রূপান্তরিত করে দেয়। সাধারণ মানুষের কথা আর কি বলা যায়, আলেম উলামা পীর মাশায়েখের সোহবত সাহচর্য অবলম্বন করেও অনেকে এসবের সর্বগ্রাসী খপ্পর থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেন না।
হাদিসে এসেছে, 'শেষ যুগে ঈমান ধরে রাখা হাতে জ্বলন্ত কয়লা হাতের মধ্যে ধরে রাখা হতে কঠিন হবে'। -তিরমিজি-২২৬০
সেই সময়টা কি এখনও অনেক দূরে?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের ঈমানের হেফাজত করুন। প্রত্যেক বাতিলকে বাতিল বলার সৎ সাহসে আমাদের হৃদয়কে পূর্ণ করুন।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জমানায় ভিন্ন ধর্মের লোকের চেয়ে মুসলমানরাই মুসলমানের বড় শত্রু। মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য নাই।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। বহুধা বিভক্ত আমরা নিজেরাই।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১২
এভো বলেছেন: কেয়ামত তো অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এই হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা না জানার কারণে বিভ্রান্তিতে নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। সাধারণতঃ এসব হাদিস তারাই খুঁজে থাকেন যারা বিভ্রান্তিতে থাকেন। তবে, শুধুই জানার উদ্দেশ্যে যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে, সেটাও স্বাভাবিক। যা-ই হোক, চলুন, হাদিসটি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
আলহামদু লিল্লাহ। এই হাদিসটি সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের বিভিন্ন রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে। যেমন,সহিহ বুখারী (৬১৪৬) ও সহিহ মুসলিম (২৯৫২)-এ এসেছে:
عن عائشة رضي الله عنها قالت : كان رجال من الأعراب جفاة يأتون النبي صلى الله عليه وسلم فيسألونه متى الساعة فكان ينظر إلى أصغرهم فيقول : إن يعش هذا لا يدركه الهرم حتى تقوم عليكم ساعتكم قال هشام [أحد رواة الحديث]: يعني موتهم.
অর্থঃ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: কিছু অভদ্র বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাঁকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বললো যে,কিয়ামত কবে হবে? তখন তিনি তাদের মাঝে সবচেয়ে কম বয়সীর দিকে নজর দিয়ে বললেন: এ যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পুর্বেই তোমাদের উপর তোমাদের কিয়ামত সংগঠিত হবে।” হিশাম -হাদিসটির একজন বর্ণনাকারী- বলেন: এর অর্থ হলো তাদের মৃত্যু।
হাদিসটির অর্থ পরিষ্কার। হাদিসের উদ্দেশ্য হল: এই লোকগুলোর কিয়ামত। অর্থাৎ তাদের মৃত্যু খুব নিকটবর্তী। এই বালকটি বৃদ্ধ হওয়ার আগেই তা সংঘটিত হবে। এ হাদিসে الساعة الكبرى (বড় কিয়ামত)-কে উদ্দেশ্য করা হয়নি;যেটা হচ্ছে পুনরুত্থান দিবস।
কাজী ইয়ায (র.) বলেন: এখানে “তোমাদের কিয়ামত” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে— তাদের মৃত্যু। অর্থাৎ তাদের প্রজন্মের মৃত্যু কিংবা সম্বোধিত ব্যক্তিদের মৃত্যু।
[ইমাম নববী(র.) রচিত "শারহে মুসলিম" থেকে উদ্ধৃত]
আল-কারমানী (র.) বলেন: এ উত্তরটি হিকমতপূর্ণ শৈলীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তোমরা বড় কিয়ামতের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করা বাদ দাও। কেননা সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। বরং তোমরা তোমাদের প্রজন্মের সমাপ্তিকাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। কারণ সেটি জানা তোমাদের জন্য বেশী উপযোগী। যেহেতু সেটা জানাটা তোমাদেরকে নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে, নেক আমলের সময় ফুরিয়ে যাবার আগে। কেননা তোমাদের কেউ জানে না যে,কার আগে কে মারা যাবে।
রাগিব ইসফাহানী (র.) বলেছেন: ساعة শব্দের অর্থ— “সময়ের একটি অংশ”। দ্রুত হিসাব গ্রহণের উপমাস্বরূপ এ শব্দ দিয়ে কিয়ামতকে বুঝানো হয়। আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
وَهُوَ أَسرَعُ الحاسِبينَ
অর্থঃ “এবং তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।”
(আল কুরআন, আন’আম ৬ : ৬২)
কিংবা নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ্ যা উল্লেখ করেছেন সে বিবেচনা থেকে কিয়ামত বুঝাতে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
كَأَنَّهُم يَومَ يَرَونَ ما يوعَدونَ لَم يَلبَثوا إِلّا ساعَةً مِن نَهارٍ ۚ
অর্থঃ “তারা যেদিন তাদের প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা দিনের এক মুহূর্তের বেশী (পৃথিবীতে) অবস্থান করেনি।”
(আল কুরআন, আহকাফ ৪৬ : ৩৫)
الساعة (আস-সা’আতু) শব্দটি তিনটি জিনিস বুঝাতে ব্যবহৃত হয়:
■ الساعة الكبرى (বড় কিয়ামত): তা হলো যেদিন মানুষকে হিসাব গ্রহণের জন্য পুনরুত্থিত করা হবে।
■ الساعة الوسطى (মধ্যবর্তী কিয়ামত): তা হলো কোনো প্রজন্মের সকলের মৃত্যু।
■ الساعة الصغرى (ছোট কিয়ামত): তা হলো কোনো ব্যক্তির মৃত্যু।
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তির কিয়ামত হলো তার মৃত্যু।
[ফাতহুল বারী থেকে সংকলিত]
আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার
সম্পাদনাঃ শায়খ মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ তারিফ
মূল আর্টিকেল এর জন্য কৃতজ্ঞতা নিম্নোক্ত সাইটের প্রতি-
ইংরেজিঃ https://islamqa.info/en/20673/
আরবিঃ https://islamqa.info/ar/20673/
বাংলাঃ বালকের বৃদ্ধ হবার পূর্বেই ‘কিয়ামত’ হওয়া শীর্ষক হাদিসঃ নবী(ﷺ) কি কিয়ামতের ভুল ভবিষ্যৎবাণী করেছেন?
Islamqa-তে গৃহিত এই অনুবাদঃ https://islamqa.info/bn/20673/
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
এভো বলেছেন: ভাই মানুষের মৃর্তুটা কি কিয়ামত ? এখানে কিয়ামত বলতে শেষ দিবসই বুঝান হয়েছে । যে মানুষ যে দিন মারা যাবে, সেই দিন তার কিয়ামত,, এটা ঠিক ব্যাখা হোল না।
কেঊ কি এই ধরনের প্রশ্ন করতে পারে আমাদের মৃর্তু কবে? প্রশ্ন হোতে পারে কিয়ামত কবে?
ধন্যবাদ
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার দ্বিমত থাকতে পারে। আপনি 'হোল না' বললেও বলতে পারেন। কিন্তু হাদিসের ব্যাখ্যাকার বড় বড় পন্ডিতদের অভিমত এমনই।
প্রিয় এভো ভাই, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে একটু লক্ষ্য করলেই আপনি দেখবেন, এ যুগে ইন্টারনেটের অবাধ তথ্য প্রবাহ আর উম্মুক্ত যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে (না কি, অকল্যানে!) ইসলাম ধর্মের সাথে শত্রুতা পোষনকারী ছদ্মবেশী মুনাফিক চক্র মুসলিমদের চেয়ে কুরআন হাদিস বেশি বুঝার ভান দেখায়। আশা করি, আপনি তাদের পথে হাটবেন না।
ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: ক্রমাগত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করার অভিযোগে টুইটার ট্রাম্প–সমর্থক আইনপ্রণেতা মারজুরি টেইলার গ্রিনের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের এই আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের সমর্থক। তিনি শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থী সংগঠন কিউঅ্যানোনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেন। চরমপন্থী দলটি মনে করে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শয়তানের অনুসারীরা যুক্তরাষ্ট্র ক্রমে দখল করে নিচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঈশ্বর ত্রাণকর্তা হিসেবে পাঠিয়েছেন
--- প্রথম আলো থেকে পাইলাম।
ঈশ্বর যুগে যুগে ত্রানকর্তা পাঠান, প্রফেট পাঠান কিন্তু ষড়যন্ত্র বা ফিতনা ফ্যাসাদ থেকে ভক্তদের রক্ষা করতে পারেন না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। আশা করছি, নিশ্চয়ই ভালো আছেন।
সামান্য মতদ্বৈততা থাকলেও, মাঝে মাঝে আপনার ঝাঁঝালো কিছু কথা চোখে পড়লেও, আপনি কিন্তু আমার কাছের মানুষদের একজন।
শুভকামনা।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাইরে মান-সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই এখন কঠিন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই। এখন ফিতনা ফাসাদ বাড়ছে ক্রমশঃ।
ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: শেষ জামানা আসতে কতো দেরি??
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
চিন্তার বিষয়।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: একজন মানুষের মধ্যে ইমান আছে কি নাই সেটা বুঝার উপায় কি?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ঈমান আছে কি না, তার প্রমান হচ্ছে তার আমল, অর্থাৎ, কাজকর্ম। ঈমানের দাবি হচ্ছে, ব্যক্তি তার প্রতিটি কাজে কর্মে ঈমানের প্রতিফলন ঘটাবেন। কথায় বলে, বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫২
এভো বলেছেন: মনে করি কিয়ামত অর্থ মৃর্তু, তাহোলে
এমন কোন প্রশ্ন কেঊ করতে পারে, তাদের মৃর্তু কবে হবে? সবাই কি জানে না, বৃদ্ধ বয়সে মানুষের স্বাভাবিক মৃর্তু হয়? তাই মৃর্তু কবে হবে এমন প্রশ্ন কেঊ করতে পারে না, সবাই জানে মানুষের হায়াত যত দিন, ততদিন সে জীবিত থাকবে।
কেঊ যেটা জানে না, সে সেই প্রশ্ন করতে পারে। কেঊ জানে না কিয়ামত কবে, তাই সেটা জানার জন্যই প্রশ্ন করা হয়েছে।
ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথায় যুক্তি আছে। আসলে কিছু লোক কিয়ামত বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি বেশি প্রশ্ন করার ফলে তা বিরক্তিরও কারণ হয়েছে কখনও কখনও। বস্তুতঃ এর কারণেই এমন দ্ব্যর্থবোধক শব্দে উত্তর প্রদান করা হয়েছে বলে হাদিস বিশারদদের কেউ কেউ মনে করে থাকেন। যেটার সামান্য ইঙ্গিত পূর্বোক্ত মন্তব্যের উত্তরে দেয়া হয়েছে।
কাজী ইয়ায (র.) বলেন: এখানে “তোমাদের কিয়ামত” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে— তাদের মৃত্যু। অর্থাৎ তাদের প্রজন্মের মৃত্যু কিংবা সম্বোধিত ব্যক্তিদের মৃত্যু।
[ইমাম নববী(র.) রচিত "শারহে মুসলিম" থেকে উদ্ধৃত]
আল-কারমানী (র.) বলেন: এ উত্তরটি হিকমতপূর্ণ শৈলীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ তোমরা বড় কিয়ামতের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করা বাদ দাও। কেননা সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। বরং তোমরা তোমাদের প্রজন্মের সমাপ্তিকাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। কারণ সেটি জানা তোমাদের জন্য বেশী উপযোগী। যেহেতু সেটা জানাটা তোমাদেরকে নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে, নেক আমলের সময় ফুরিয়ে যাবার আগে। কেননা তোমাদের কেউ জানে না যে,কার আগে কে মারা যাবে।
রাগিব ইসফাহানী (র.) বলেছেন: ساعة শব্দের অর্থ— “সময়ের একটি অংশ”। দ্রুত হিসাব গ্রহণের উপমাস্বরূপ এ শব্দ দিয়ে কিয়ামতকে বুঝানো হয়। আল্লাহ্ তাআলা বলেন:
وَهُوَ أَسرَعُ الحاسِبينَ
অর্থঃ “এবং তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।”
(আল কুরআন, আন’আম ৬ : ৬২)
কিংবা নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ্ যা উল্লেখ করেছেন সে বিবেচনা থেকে কিয়ামত বুঝাতে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
كَأَنَّهُم يَومَ يَرَونَ ما يوعَدونَ لَم يَلبَثوا إِلّا ساعَةً مِن نَهارٍ ۚ
অর্থঃ “তারা যেদিন তাদের প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা দিনের এক মুহূর্তের বেশী (পৃথিবীতে) অবস্থান করেনি।”
(আল কুরআন, আহকাফ ৪৬ : ৩৫)
الساعة (আস-সা’আতু) শব্দটি তিনটি জিনিস বুঝাতে ব্যবহৃত হয়:
■ الساعة الكبرى (বড় কিয়ামত): তা হলো যেদিন মানুষকে হিসাব গ্রহণের জন্য পুনরুত্থিত করা হবে।
■ الساعة الوسطى (মধ্যবর্তী কিয়ামত): তা হলো কোনো প্রজন্মের সকলের মৃত্যু।
■ الساعة الصغرى (ছোট কিয়ামত): তা হলো কোনো ব্যক্তির মৃত্যু।
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তির কিয়ামত হলো তার মৃত্যু।
[ফাতহুল বারী থেকে সংকলিত]
আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
অনুবাদঃ মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার
সম্পাদনাঃ শায়খ মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ তারিফ
মূল আর্টিকেল এর জন্য কৃতজ্ঞতা নিম্নোক্ত সাইটের প্রতি-
ইংরেজিঃ https://islamqa.info/en/20673/
আরবিঃ https://islamqa.info/ar/20673/
বাংলাঃ বালকের বৃদ্ধ হবার পূর্বেই ‘কিয়ামত’ হওয়া শীর্ষক হাদিসঃ নবী(ﷺ) কি কিয়ামতের ভুল ভবিষ্যৎবাণী করেছেন?
Islamqa-তে গৃহিত এই অনুবাদঃ https://islamqa.info/bn/20673/
ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
এমেরিকা বলেছেন: ১ নম্বরে একজন এসে আবালের মত মন্তব্য করে গেল - তাকে আপনি ধন্যবাদ দিলেন? আপনার ধন্য হওয়া দেখি সস্তা হয়ে গেল।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মাফ করবেন প্রিয় ভাই,
আপনার প্রজ্ঞাপূর্ণ মন্তব্য উপভোগ করি; তবে কিছু কিছু শব্দচয়নে আপনি যদি আরও সতর্ক হতে সচেষ্ট হন, খুবই কৃতজ্ঞ হব।
আর যিনি বা যারা সত্য-মিথ্যে, সঠিক-বেঠিক কিংবা স্থান কাল পাত্র না বুঝে গাছপালা এবং প্রকৃতির ছবিকে প্রাণির ছবির সাথে তুলনা করে উল্টো পাল্টা যুক্তি পেশ করে অহেতুক বিতর্ক করতে আসেন, তাকে/ তাদের সাথে বেহুদা কথা না বাড়ানোই ভালো মনে করি। তাই 'সস্তা ধন্যবাদ' জানিয়ে হলেও যদি তাদের উপদ্রব থেকে বেঁচে থাকা যায়, সে চেষ্টা করা ছাড়া আর উপায় কি?
শুভকামনা জানবেন।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ফিতনার কারণে কাল কেয়ামতে যে কি বিচার হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
নতুন নকিব ভাই, আমি একটি ইসলামিক পোস্ট দিতে চাচ্ছি, পোস্টে আপনার সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। আমি পোস্ট দিয়ে আপনাকে জানাবো।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ফিতনার কারণে কাল কেয়ামতে যে কি বিচার হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
-সহমত। আল্লাহ তাআলা আমাদের ক্ষমা করুন। কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করুন।
নতুন নকিব ভাই, আমি একটি ইসলামিক পোস্ট দিতে চাচ্ছি, পোস্টে আপনার সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। আমি পোস্ট দিয়ে আপনাকে জানাবো।
-খুশির সংবাদ। ইনশাআল্লাহ, আপনার মত সুহৃদ প্রিয় মানুষের পাশে থাকাকে নিজের সৌভাগ্য মনে করি।
আল্লাহ তাআলা সর্বাবস্থায় আপনাকে কল্যানের ভেতরে রাখুন।
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৩
মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আমিন।
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩
এভো বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না, আরেকটা কথা উল্লেখ করতে চাই ঐ হাদিস থেকে, যেটা আপনাদের ব্যাখার বিপরীতে যায়। ওই হাদিসের শেষের লাইন--- এই বালক যদি বেচে থাকে, তবে তার বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই কিয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।
---- এখন প্রশ্ন এই বাক্যে কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং এই বাক্যে মৃর্তুর কথাটা ও আছে যেমন এই বালক যদি বেচে থাকে ( যার অর্থ হোল যদি মৃর্তুবরন না করে).
তাহোলে কিভাবে এমন কথা বলছেন কিয়ামত মানে ওই সকল ব্যাক্তির মৃর্তুর কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সংগঠিত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কিয়ামত শব্দটির পরে, কিয়ামত সংগঠিত হয় এবং মৃর্তু সংগঠিত হয় না বরন করে।
ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
এই হাদিসটি সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের বিভিন্ন রেওয়ায়েতে বেশ ক'জন সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, সহিহ বুখারী (৬১৪৬) ও সহিহ মুসলিম (২৯৫২)-এ এসেছে:
عن عائشة رضي الله عنها قالت : كان رجال من الأعراب جفاة يأتون النبي صلى الله عليه وسلم فيسألونه متى الساعة فكان ينظر إلى أصغرهم فيقول : إن يعش هذا لا يدركه الهرم حتى تقوم عليكم ساعتكم قال هشام [أحد رواة الحديث]: يعني موتهم.
অর্থঃ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: কিছু অভদ্র বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাঁকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বললো যে,কিয়ামত কবে হবে? তখন তিনি তাদের মাঝে সবচেয়ে কম বয়সীর দিকে নজর দিয়ে বললেন: এ যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পুর্বেই তোমাদের উপর তোমাদের কিয়ামত সংগঠিত হবে।” হিশাম -হাদিসটির একজন বর্ণনাকারী- বলেন: এর অর্থ হলো তাদের মৃত্যু।
আবার সহিহ মুসলিম এর আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ الأَعْرَابُ إِذَا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلُوهُ عَنِ السَّاعَةِ مَتَى السَّاعَةُ فَنَظَرَ إِلَى أَحْدَثِ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ فَقَالَ " إِنْ يَعِشْ هَذَا لَمْ يُدْرِكْهُ الْهَرَمُ قَامَتْ عَلَيْكُمْ سَاعَتُكُمْ " .
৭১৪১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বেদুঈনরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসেই তাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত, বলত, কিয়ামত কবে হবে? তখন তিনি তাদের মাঝে কম বয়স লোকটির প্রতি নযর করে বলতেন, এ যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পুর্বেই আমাদের উপর তোমাদের কিয়ামত সংগঠিত হবে।
সহিহ মুসলিম এর অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ وَعِنْدَهُ غُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ مُحَمَّدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَعِشْ هَذَا الْغُلاَمُ فَعَسَى أَنْ لاَ يُدْرِكَهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " .
৭১৪২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামত কবে হবে? তখন তাঁর নিকট মুহাম্মাদ নামক এক আনসারী বালক উপিস্থিত ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ বালক যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই কিয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।
সহিহ মুসলিম এর আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَنَزِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُنَيْهَةً ثُمَّ نَظَرَ إِلَى غُلاَمٍ بَيْنَ يَدَيْهِ مِنْ أَزْدِ شَنُوءَةَ فَقَالَ " إِنْ عُمِّرَ هَذَا لَمْ يُدْرِكْهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " . قَالَ قَالَ أَنَسٌ ذَاكَ الْغُلاَمُ مِنْ أَتْرَابِي يَوْمَئِذٍ .
৭১৪৩। হাজ্জাজ ইবনু শাঈর (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন যে, কিয়ামত কবে হবে? এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ পর্যন্ত চুপ করে থাকেন। অতঃপর তিনি সম্মুখস্থ আয্দ-শানু'আ গোত্রের এক বালকের প্রতি তাকালেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ বালক যদি দীর্ঘ হায়াত পায় তবে তার বার্ধক্যে পদার্পণ করার পূর্বেই কিয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন এ বালক আমার সমবয়স্ক ছিল।
সহিহ মুসলিম এর আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَرَّ غُلاَمٌ لِلْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَكَانَ مِنْ أَقْرَانِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يُؤَخَّرْ هَذَا فَلَنْ يُدْرِكَهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " .
৭১৪৪। হারুন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এর এক গোলাম একদা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, সে ছিল আমার সমবয়স্কা। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি তার হায়াত দীর্ঘায়িত হয় তবে সে বার্ধক্যে পৌছার পূর্বেই কিয়ামত কায়িম সংগঠিত হবে।
সহিহ মুসলিম এর আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَقُومُ السَّاعَةُ وَالرَّجُلُ يَحْلُبُ اللِّقْحَةَ فَمَا يَصِلُ الإِنَاءُ إِلَى فِيهِ حَتَّى تَقُومَ وَالرَّجُلاَنِ يَتَبَايَعَانِ الثَّوْبَ فَمَا يَتَبَايَعَانِهِ حَتَّى تَقُومَ وَالرَّجُلُ يَلِطُ فِي حَوْضِهِ فَمَا يَصْدُرُ حَتَّى تَقُومَ " .
৭১৪৫। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত উন্নীত সনদে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তার উষ্ট্রী দোহন করতে থাকবে; কিন্তু পাত্র তার মুখের কাছে পৌছার পুর্বেই কিয়ামত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে ব্যক্তি কাপড় বেচা-কেনায় লিপ্ত থাকবে। তারা বেচা-কেনা শেষ না করতেই কিয়ামত কায়িম হয়ে যাবে। এমনিভাবে এক ব্যক্তি তার হাউয মেরামত করতে থাকবে। কিন্তু মেরামত শেষ করার পুর্বেই কিয়ামত এসে যাবে।
সহিহ মুসলিম এর আরেক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে-
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْبَدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ " . قَالَ وَضَمَّ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى .
৭১৪০। আবূ গাসসান মিসমাঈ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি এবং কিয়ামত প্রেরিত হয়েছি এ দুটির মত। রাবী বলেন (এ সময়) তিনি তার শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলিকে একত্রিত করেছেন।
শেষোক্ত হাদিসে শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলিকে একত্রিত করে মূলতঃ কিয়ামতের নিকটবর্তীতাকে নির্দেশ করা হয়েছে।
এই বিষয়ক হাদিস নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে তেমন লাভ নেই। কারণ, এই হাদিসের শব্দ ও বাক্যের প্রতি সামান্য লক্ষ্য করলে আরবি ভাষায় অতি কিঞ্চিত জ্ঞান যাদের রয়েছে, তারাই বুঝতে সক্ষম হবেন যে, 'তোমাদের কিয়ামত' বলে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত প্রশ্নকারী ব্যক্তিবর্গের মৃত্যুর সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যার সবচেয়ে বড় প্রমান হচ্ছে, এই হাদিসটির একজন বর্ণনাকারী হচ্ছেন হিশাম এবং তিনি বলেন যে, تقوم عليكم ساعتكم قال هشام [أحد رواة الحديث]: يعني موتهم বাক্যস্থিত ساعتكم এর অর্থ হলো 'তোমাদের মৃত্যু' এবং এরচেয়েও বড় যে বিষয়টি তা হচ্ছে, ساعتكم এর এই ব্যাখ্যাটিও হাদিসেরই একটি রেওয়াতেরও অংশ।
আশা করি, এবার বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কেয়ামত শব্দটির অর্থ যে মৃত্যু এটার কি কোন গ্রামাটিক্যাল ভিত্তি আছে?
কেয়ামত শব্দটির অর্থ মৃত্যু হিসাবে গ্রহন করলে অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক সৃষ্টি হবে।
তার চেয়ে আরো সহজ উক্ত হাদীসটি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি বলে স্বীকার করে নেয়া কিংবা দাবি করা উক্ত ছেলেটি আধ্যাত্মিকভাবে এখন বেঁচে আছে।
আপনি অনুগ্রহ করে ব্লগার এভোর মন্তব্যগুলোতে কিছুটা খোলা মন নিয়ে বিশ্লেষন করুন। নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করবেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সম্মানিত প্রিয় ভাই,
আপনার অনুরোধ রক্ষা করতে চেষ্টা করেছি। তবে, যা পারিনি তা আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা মাত্র। আশা করি, সেটুকু ক্ষমা করবেন।
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আলোচ্য হাদিসে 'কেয়ামত' শব্দ আসেনি। বরং ساعة 'সাআতুন' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এই শব্দের ব্যাখ্যায় বিস্তারিত আলোচনায় এখানে আর যাচ্ছি না। কারণ, নিচে সাড়ে চুয়াত্তুর ভাই এবং নীল আকাশ ভাইয়ের বড় মন্তব্য দেখলাম। যদিও তাদের দু'জনের দু'টো মন্তব্য পুরোপুরি এখনও পড়া হয়নি।
নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করবেন।
-ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই আপনার সাথে সহমত পোষন করছি এবং আশাবাদি।
শুভকামনাসহ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৪
কালো যাদুকর বলেছেন: সালাম নতুন নকিবভাই, সুন্দর লিখেছেন ৷ আসেলে যতই দিন যাচ্ছে সৎ থাকা, ভাল থাকা,ঈমান টিকিয়ে রাখা কঠিনই হচ্ছে। ভাল ব্যবহার কে দুর্বলতা ভাবা হয়। কেউ বাজে মন্তব্য করলে, সেটা এড়িয়ে যেয়ে মার্জিত পতিক্রিয়া জানালেও লোকজন ধরে নেয় দুধলতা ৷ সব সময়ই সুন্দর আচরন করাই একজন মুসলমানের কর্তব্য |
যাহোক. আমি কিয়ামত নিযে অনেক লেকচার শুনেছি ৷ যেটা বুজেছি সেটা হল ' একজন মানুষের মৃত্যুর পরই বিচার শুরু হয়ে যায় ৷ এটা আসলে অনর্থক একজন মৃত ব্যাক্তির কাছে - কবে কেরামত (বড়) হবে। কাজেই ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে মনে হয় কেরামত কবে হবে সেটা কোন গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার না।
এখানে অনেকেই ধর্মবিশ্বাস করেন না , এরকম পরিবেশে আপনি যে কি করে লিখেন সেটাই মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই ৷ ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ম নিয়ে বিতর্ক করা পছন্দ করি না এবং এড়িয়ে চলি ৷
ধন্যবাদ | ভাল থাকুন৷
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাদের মত বোদ্ধাজন আছেন বলেই তো আমাদের পথচলা এখনও সহজ। এমন সুন্দর মনের প্রদীপ্ত কিছু মানুষজনের টান এই ভার্চুয়াল জগত থেকে অনেককেই দূরে সরে যেতে দেয় না।
আপনাদের পদচারণা এসব প্লাট ফরমগুলোকে আলোকিত করে রাখুক।
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ঈমান টিকিয়ে রাখাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ; প্রতি পদেপদে ঈমান হারানোর ভয়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সঠিক। কৃতজ্ঞতাসহ।
তবে, ঈমান থাকলেই তা কেবল হারানোর ভয়। ঈমানই যার নেই, তিনি আর হারাবেন কি? এমন দশার মানুষজনও এখন কালেভদ্রে চোখে পড়ে বৈকি!
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে ঈমানের মত মহান সম্পদে সম্পদশালী করুন।
১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এভো যে হাদিসটা উল্লেখ করেছেন সেখানে কোথাও কেয়ামত শব্দ নাই। যে শব্দটা আছে সেটা হোল ساعة ( সাআতুন)। এই শব্দটার দ্বারা সময় বুঝায়। কোরআনে কেয়ামত বোঝাতে ইয়াওমাল কিয়ামাহ (Arabic: يوم القيامة "the Day of Resurrection" অথবা ইয়াওমাদ্দিন (Arabic: يوم الدين "the Day of Judgement" ব্যবহৃত হয়। যেমন Al-Qiyāmah নামে কোরআনের ৭৫ নম্বর সুরা আছে। কাজেই হাদিসে যে কেয়ামতের কথা আসেনি সেটা পরিষ্কার। এই হাদিসটার ইংরেজি নিম্নরূপ;
Praise be to Allah.
This hadeeth has been narrated in al-Saheehayn in several versions, such as that narrated by al-Bukhaari (6146) and Muslim (2952) from ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) who said: “Some tough men among the Bedouin came to the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) and asked him when the Hour would be. He would look at the youngest of them and say: ‘If this one lives, old age will not catch up with him until your Hour begins.’”
এই হাদিস দুইটি বুখারি ও মুসলিমে এসেছে এবং হাদিসগুলি সহিহ হাদিস বলে প্রমাণিত। এছাড়া রসূল (সাঃ) যে কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানতেন না তার পক্ষেও সহিহ হাদিস আছে।
হাদীসটি দেয়া হোল - আবু হুরাইরাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের নিয়ে বসেছিলেন। এমন সময় একজন লোক এস তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল, ঈমান কি? তিনি বললেন, ঈমান এই যে, তুমি আল্লাহ, তাঁর ফিরিশতাকুল, তাঁর (নাযিলকৃত) কিতাব, (আখিরাতে) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান রাখবে এবং পুররুত্থান দিবসের ওপর ঈমান আনবে। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর রাসূল ইসলাম কি? তিনি বললেন, ইসলাম এই যে, তুমি আল্লাহ্র ইবাদত করতে থাকবে, কিন্তু তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ফরজকৃত নামায কায়েম করবে, নির্ধারিত ফরয যাকাত আদায় করবে এবং রামযানে রোযা রাখবে। সে আবার জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল, ইহ্সান কি? তিনি বললেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে যেত তাঁকে দেখছো; যদি তাঁকে না দেখো তা হলে তিনি তোমাকে দেখছেন (বলে অনুভব করবে)। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্র রাসূল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেন, এ ব্যাপারে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি প্রশ্নকারীর চেয়ে বেশী কিছু জানেন না। তাবে আমি তোমাকে তার (কিয়ামতের) কিছু নিদর্শন বলে দিচ্ছিঃ যখন দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে এটা তার নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি। আর যখন বস্ত্রহীন, জুতাহীন (ব্যক্তি) জনগণের নেতা হবে, এটাও তার একটি নিদর্শন। আর কালো উটের রাখালরা যখন সুউচ্চ দালান-কোঠা নিয়ে পরস্পর গর্ব করবে, এটাও তার একটি নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে যে পাঁচটি জিনিষের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ রাখেন, কিয়ামতের জ্ঞান তারই অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নবর্ণিত আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ আল্লাহর নিকটই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে, আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এবং মাতৃগর্ভে কি আছে তা তিনিই জানেন। কোনো প্রাণীই আগামী কাল কী উপার্জন করবে তা জানেনা এবং কোন যমীনে সে মৃত্যুবরণ করবে তাও জানেনা। বস্তুতঃ আল্লাহ্ই সব জানেন, এবং তিনি সব বিষয়ই ওয়াকিফহাল- (সুরা লোকমানঃ ৩৪) বর্ণনাকরী বলেন, এরপর লোকটি চলে গেল। এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা ঐ লোকটিকে আমার নিকট ফিরিয়ে আনো। লোকেরা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্যে ছুটে গেলো, কিন্তু তাঁরা কিছুই দেখতে পেলনা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইনি ছিলেন জিব্রীল (আ); লোকদেরকে তাদের দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন।
সহীহ মুসলিম
[প্রথম খণ্ড]
হাদিস নং-৫
ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র)
অনুবাদ: মাওলানা আফলাতুন কায়সার; সম্পাদনা: মাওলানা মুহাম্মাদ মূসা
বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা
বুখারিতেও অনুরুপ সহি হাদিস আছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার ব্যাখ্যামূলক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অশেষ।
আশা করি, আপনার এই মন্তব্য হাদিসের শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখনিঃসৃত বাণীর প্রতি অযাচিত অঙ্গুলি নির্দেশের আগে বিষয়গুলো পুনর্বার ভাবতে সাহায্য করবে।
আল্লাহ তাআলা আপনার জ্ঞানে বারাকাহ দান করুন। প্রশস্ততা দিন।
১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমার পূর্বের মন্তব্য # ১৭ ডিলিট করে দেবেন। আমার ভুলে একজন সম্মানিত ফেরেশতা নাম ভুল এসেছে। নীচে ঠিক করে দিয়েছি। লজ্জিত এবং দূঃখিত
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জমানায় ভিন্ন ধর্মের লোকের চেয়ে মুসলমানরাই মুসলমানের বড় শত্রু। মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য নাই। আমি যা বলতে এসেছিলাম তা উনি আগেই বলে দিয়েছেন। এটাও কিয়ামতের পূর্বাভাস। সকালে ঈমান এনে বিকালে নাস্তিক হয়ে যাবে মানুষ।
কা_ভা ভাইয়ের সাথে আমারও মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মৃত্যু আর কেয়ামত এক হতে পারে না। যা মৃত্যু ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে তার জন্য কিয়ামত হচ্ছে ওয়েক আপ কল। এর পরেই তাকে আবার জীবন দান করে বিচার করা হবে। কিন্তু যারা ঐ সময়ে বেচে থাকবেন (ঐ সময়ে কোন পূণ্যবান কেউ বেচে থাকবেন না) তাদের সরাসরি মৃত্যু হবে।
আমি যদি ভুল বলে থাকি তাহলে সংশোধন করে দেবেন।
আমি যা জানি সেটা হলোঃ
** আরবী 'কিয়াম' শব্দ থেকে 'কিয়ামত' শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ হচ্ছে- দাঁড়ানো বা থেমে যাওয়া । প্রচলিত অর্থে ভবিষ্যতের কোন এক সময় অনুষ্ঠিতব্য মহাপ্রলয়কে 'কিয়ামত' বলা হয় ।
মহাপ্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
"সাত আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং তা সেদিন নিস্তেজ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে, আর ফেরেশতাগণ আকাশের কিনারায় কিনারায় থাকবে এবং সেদিন আটজন ফেরেশতা তাদের প্রতিপালকের আরশকে নিজেদের উপর ধারণ করবে; সেদিন তোমাদেকে উপস্থিত করা হবে এবং তোমাদের কোন কিছুই গোপন থাকবে না" (সূরা- হাক্কাহ, আয়াত- ১৬-১৮) ।
"প্রত্যেক মানুষের কৃতকর্ম আমি তার গ্রীবালগ্ন করেছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করবো এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত । আমি বলব, তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট" (সূরা- বনী ইসরাইল, আয়াত- ১৩-১৪)।
@ কাভ_ভাই এবং নকীব ভাইঃ
তবে আপনি যেটা বলতে চেয়েছেন সেটার ব্যাখ্যা এভাবেও করা যায়ঃ
দেহের প্রলয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- অর্থ-"যেদিন কিয়ামত হবে, মানুষ তার মাতা-পিতা, স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে পলায়ন করবে, সেদিন প্রত্যেকে অপরের চিন্তা না করে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে । অনেকের মুখ সেদিন হবে উজ্জ্বল, হাসি-খুশী, আর অনেকের মুখ ধুলো ও কালি মাখা, তারাই সত্য প্রত্যাখ্যানকারী ও দুষ্কৃতকারী ।" (সূরা- আবাসা, আয়াত- ৩৩-৪২) ।
কিয়ামতের আরেকটা ব্যাখ্যায় ব্যক্তি জীবনের সাথে এর অপূর্ব মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মানব দেহের ভিতর থেকে রূহ বের হওয়ার সাথে সাথে তার যাবতীয় কর্ম বন্ধ হয়ে যায় । অর্থাৎ মৃত্যুই দেহের জন্য এক প্রকার কিয়ামত বা প্রলয় । মৃত্যুর সময় মানুষ তার আত্মীয়-পরিজন ও যাবতীয় পার্থিব ধন-সম্পদ পরিত্যাগ করে সারা জীবনের কর্ম বিবরণী হাতে নিয়ে পরকালের যাত্রা শুরু করে । তখন অন্য কারো বিষয় চিন্তা করার অবকাশ থাকে না, নিজের পরিণাম কি হবে এ দুশ্চিন্তায় আত্মা অস্থির থাকে। ইহকালে সৎ কর্মশীল ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তার পরকালের শান্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় বলে তার মুখমণ্ডল থাকে হাসি-খুশি, উজ্জ্বল । পক্ষান্তরে, বদকার লোক মৃত্যুকালেই তার পরকালের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে অবগত হয়, যা খণ্ডনের কিংবা এড়ানোর কোন উপায় থাকে না বলে তার চেহারা থাকে ভীতসন্ত্রস্ত ও মলিন । পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফের উপরোক্ত আলোচনা থেকে পরিশেষে বলা যায় যে, হযরত ইস্রাফিল আলাহিস ওয়াসাল্লামের সিংগার ফুঁৎকারের মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টি জগত ধ্বংস প্রাপ্ত হবে । তাই পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফে কিয়ামত সম্পর্কে যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে মানুষের ভয়াবহ শেষ পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে মানুষ সাবধান হয় এবং তার প্রভুর অনুগত হয়ে সৎ কর্মশীল হয় ।
ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পূর্বের মন্তব্যটি ডিলেট করেছি।
বিস্তারিত পরিসরে সময় ব্যয় করে চমৎকার মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহ তাআলা আপনার জ্ঞানে বারাকাহ দান করুন। আপনিসহ আপনার পরিবার পরিজন সকলকে সমৃদ্ধি ও কল্যান দান করুন।
১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার মনে হয়, ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর যা বলেছেন, সেটাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। আমি নিজে পড়ে যা দেখলাম, তাতে তিনি যা বলেছেন, সেটাই উপযুক্ত ও সুন্দর ব্যাখ্যা। অনেক সময় বাংলায় ভুল শব্দ অনুবাদ করা হয়। আর এই থেকেই সৃষ্টি হয় জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক সময় বাংলায় ভুল শব্দ অনুবাদ করা হয়। আর এই থেকেই সৃষ্টি হয় জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি।
-এটা ঠিক। তবে কিছু লোকের কাজই হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের বিবিধ সহজবোধ্য জিনিষকে জটিল থেকে জটিলতর করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। এটা মনে হচ্ছে, কিছু লোকের মিশন হয়ে গেছে। এরা পানি ঘোলা করে তাতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে থাকেন। আমার বিশ্বাস, বাস্তবিকতার মুখোমুখি হওয়ার ফলে আপনি নিশ্চয়ই এই বিষয়ে আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন এবং অনেক অনেক ধৈর্য্য-স্থৈর্য্য নিয়ে এই বিষয়গুলো অসাধারণ দায়িত্বশীলতার সাথে হ্যান্ডলিং করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।
আলহামদুলিল্লাহ, যতটুকু পথ আপনার সাথে চলতে পেরেছি, তাতে মনে হয়েছে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে, বাক স্বাধীনতাকে সমুন্নত করা এবং স্বচ্ছতার সাথে বিষয়টিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ইসলাম ধর্মের পক্ষের কিংবা সন্দেহবাদী বন্ধুগণ, কারও প্রতিই আপনি অবিচার করেন না। যদিও বিভিন্ন সময়ে অনেককেই দেখেছি, আপনাকে পক্ষাবলম্বনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন তারা। কিন্তু সত্যিকারার্থে আমি এসব অভিযোগের গ্রহনযোগ্য তেমন কোনো কারণ খুঁজে পাইনি। বরাবরের মত আপনার চিন্তা ভাবনা পরিষ্কার বলে সত্যটা সহজেই আপনার কাছে এখানেও প্রতিভাত হয়ে উঠেছে। কিন্তু যারা চিন্তায় অন্য কিছু লালন করে থাকেন, তাদেরকে বুঝানো সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। এমনকি আপনি বিভিন্ন সময়ে হয়তো দেখে এসেছেন, এদের কিছু সংখ্যক সাধারণতঃ কোনোভাবেই সত্য প্রকাশিত হবার পরেও তা উপলব্ধিতে নেয়া কিংবা যুক্তি মেনে নেয়া, এর কোনোটার ক্ষেত্রেই নমনীয় হতে রাজি নন। কষ্টটা মাঝে মাঝে হয় সেখানটাতেই।
যাক, অনেক কথা বলে ফেললাম। ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশাবাদি। যে বন্ধুদের কথা বললাম, তাদের জন্য অন্তর খুলে কল্যান প্রার্থনা করছি, আল্লাহ তাআ'লার কাছে। আপনার এবং আপনার পরিবার পরিজন সকলের কল্যান কামনা করছি মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ তাআ'লার নিকট।
২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর, নীল আকাশ এবং নকিব ভাই, আপনাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই,
যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে, জীবের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে। তাছাড়া, জীব নিজেদের মতো নতুন জীবন জন্ম দিয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে। জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, পানি, ও বায়ু ইত্যাদি।
জীবের এই সংঙ্গায় আপনারা সহমত প্রদান করেন কি না? যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে পরের প্রশ্নটি তে যান। আর যদি বিশ্বাস না করেন, তাহলে আলোচনা এখানেই শেষ।
আমার উদ্দেশ্য কোন কিছু ভুল প্রমান করা নয়। আমার উদ্দেশ্য সঠিকটা জানা। তাই যদি আপনারা উপরের তত্বটি বিশ্বাস করেন, সেই হিসাবে মানতে হবে, গাছও জীব, গাছেরও প্রাণ আছে। সমস্যা হচ্ছে, মে ১০, ১৯০১ সালের আগে মানুষ জানত না যে , গাছের প্রাণ আছে। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম আবিষ্কার করেন, যে গাছেরও প্রাণ আছে।
ইসলাম হাদিস অনুসারে, যে কোন জীবের ছবি আকা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এখন আমাকে অনুগ্রহ করে যৌক্তিকভাবে বুঝান, যদি প্রাণির ছবি আকা হারাম হয় তাহলে কেন ছবি আকা হারাম হবে না?
এর কারন কি সেই সময় গাছকে জড় বলে ভাবা হতো?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পুনরায় এসে শিক্ষামূলক প্রশ্ন রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।
ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তুর ভাইকে অনুরোধ করবো, আপনার এই চমৎকার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য। আশা করছি, তিনি চমৎকার এই প্রশ্নগুলোর চমৎকার এবং গ্রহনযোগ্য উত্তর দিতে সক্ষম হবেন এবং আমরা তার উত্তর থেকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিকভাবে বিষয়গুলো জানতে সক্ষম হব।
২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
এভো বলেছেন: সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান তথ্য সমুহ উত্থাপন করার জন্য।
যে হাদিসটি আমি দিয়েছি সেটা ইসলামিক ফাঊন্ডেশন থেকে প্রকাশিত। ফেতনা এবং কিয়ামতের নির্দেশনাবলি চেপ্টারে। পরিচ্ছেদ ২৩ কিয়ামত নিকটবর্তি হওয়া।
তাহোলে কি বলতে হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভুল শব্দ ব্যবহার করেছে ?
এবং ভুল করে কিয়ামতের নির্দেশনার পরিচ্ছেদে এই হাদিস গুল রেখেছে।
তবে তাদের ইংরেজি অনুবাদে last hour শব্দটি ব্যবহ্রত হয়েছে।
যদি তাই হয়,, এমন প্রশ্ন কি কেঊ করবে কবে আমাদের জীবনের শেষ ঘন্টা আসবে ? না এমন প্রশ্ন কেঊ করবে না। সেটা বিবেচনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদে শেষ ঘন্টার না লিখে কিয়ামত লিখেছে এবং হাদিসটিকে কিয়ামতের পরিচ্ছেদে রেখেছে।
যদি ধরে নি শেষ ঘন্টা বলতে জীবনের শেষ সময়কে বুঝিয়েছে, তাহোলে এটা কি প্রশ্ন হতে পারে, আমাদের জীবনের শেষ সময় কবে?
ধন্যবাদ
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক কষ্ট করে এই পোস্টে দীর্ঘ সময় সাথে থেকেছেন বলে বিশেষ কৃতজ্ঞতা। বিতর্কে যেতে ইচ্ছুক নই বলে ক্ষমাপ্রার্থী। আর তাছাড়া, আমার জানার সীমাবদ্ধতার জন্যও আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
আরও বেশি ব্যাখ্যা আপনার জানার প্রয়োজন মনে করলে, আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি https://islamqa.info/bn সাইটে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন।
শুভকামনা সবসময়।
২২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
নীল আকাশ বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা: এটা ফতোয়া বিষয়ক প্রশ্ন । আমি এই বিষয়ে উত্তর দেয়ার উপযুক্ত নয়। এর জন্য আরাবী লাইনে পড়াশুনা করা মুফতি পর্যায়ের কাউকে লাগবে। ধর্ম আন্দাজে কোন কথা বলার বিষয় না।
আমি নিজেও এটা জানতে চাই।
ধন্যবাদ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার বু্দ্ধিদীপ্ত উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আমার হাতেও খুব সময় না থাকায় সাড়ে চুয়াত্তুর ভাইকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন কা_ভা ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তরে আসেন। আশা করছি, তিনি এসে আমাদের বাধিত করবেন।
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাকে কিছু সময় দিতে হবে। আমি চেষ্টা করছি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ইনশাআল্লাহ। আপনার সাথে আছি। প্রয়োজন হলে যে কোনো সহযোগিতায়ও।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ইংরেজি থেকে একটা নিবন্ধ অনুবাদে হাত দিয়েছিলাম গত কিছু দিন পূর্বে। কেন যেন খুব একটা এগুচ্ছে না। এই ব্যাপারে আপনার কোনো হেল্প নিতে পারলে খুবই উপকৃত হতাম। তবে, সেটা এখনই নয়। আপনার সময় সুযোগ এবং সম্মতি থাকা সাপেক্ষে এবং পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ।
জাজাকুমুল্লাহ।
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন নকিব ভাই ইংরেজি থেকে অনুবাদের ব্যাপারে কোন সহযোগিতা লাগলে জানাবেন। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আপনি প্রাথমিকভাবে গুগলের মাধ্যমে অনুবাদের সাহায্যও নিতে পারেন। তবে ঐ অনুবাদে কিছু ভুল থাকে। ওটা ঠিক করে নিতে হবে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু তাআলা আহসানাল জাজা।
২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @এভোঃ ভাই শুধু বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেন পৃথিবীর যে কেউ ভুল করতে পারেন, ভুল লিখতে পারেন। মানবসৃষ্ট যে কোন জিনিসই ভুল হতে পারে। এটা নিয়ে আশ্চর্য হবার কিছু নেই ভাই। কেউ যদি কোরান শরীফের কোন অনুবাদ করতে গিয়ে ভুল করেন, সেটাও হতে পারে। আরবির বাংলা অনুবাদ, ইংরেজী অনুবাদ, এমন কি বহু হাদিস যা সত্য বলে প্রমানিত তা ভুল হতে পারে। কারন তা মানুষ দ্বারা লিখিত। কোরানের ব্যাপারে আল্লাহ স্বয়ং নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই সেটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
রাসূল(সাঃ)-এর কথা, কাজের বিবরণ কিংবা কথা, কাজের সমর্থণ এবং অনুমোদন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত, ইসলামী পরিভাষায় তাই-ই ‘হাদীস’ নামে অভিহিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি এতে অবিশ্বাস করি না। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই যে এই হাদিসগুলো শতভাগ অবিকৃত অবস্থায় আছে কি না। এই ব্যাপারে আল্লাহপাক কোন দায়িত্ব নেন নি। কাজেই যে কেউ সন্দেহ করতেই পারে। এর সাথে কারো ঈমানের প্রশ্ন আনা হলে তা হবে ভুল আরোপ ও অন্যায়। বিভিন্ন হাদীস ও ঈমামদের ফতোয়া অনুসারে যে সকল মাহজাব, সুন্নি, শিয়া মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে এবং ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়েছে তার বৈধ অনুমোদন কেউ দেখাতে পারবে না। ফলে যারা এই সব সৃষ্টি করেছে, এই সব কিছুর দায় তাদেরকেই নিতে হবে। এই ধরনের বিভাজন ইসলামের মুল নীতির সাথে যায় না।
কোরানে বহু রুপক ব্যবহার করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত নই তবে ধারনা করা যায় রাসুল সাঃ ততটুকুই জানতেন, যতটুকু তাঁকে জানানো হয়েছিলো। কারন কেয়ামত কবে সংঘটিত হবে সেই সম্পর্কে তিনি জানতে না। অধিকাংশ সময় তিনি কোরানের ওহির মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতেন ও সেই সম্পর্কে মানুষকে জানাতেন। ফলে এটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, তিনি ফাইনাল আওয়ার শব্দটি কোন রুপক অর্থে ব্যবহার করেছেন কি না। আর যদি তিনি তা করে থাকেন, সেটা বুঝার মত জ্ঞান সকলের হয়ত নাও থাকতে পারে। ফলে যখন তা কেউ লিপিবদ্ধ করতে গেছে সেটা থেকে ভুল হতে পারে। এইভাবেই ভুলের সৃষ্টি হয়। ফলে হাদিসটি সহি হিসাবে লিপিবদ্ধ হলেও মুলত বিষয়গত ভুল থেকে যায়।
যাইহোক, আমি শেষ অনুচ্ছেদে যা বললাম, সেটাকে যুক্তি হিসাবে দাঁড় করাতে চাইছি না। এটাকে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হিসাবেই দেখতে চাইছি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার শেষোক্ত মন্তব্যের মূল্যবান মতামতগুলো যথার্থ। তেমন কোনো বিচ্যুতি চোখে পড়েনি। সর্বোপরি, আপনার কনসেপ্ট ক্লিয়ার। এমনটাই আমাদের সকলের থাকা উচিত। যত দূর জানি, ইসলাম ধর্মের গভীর জ্ঞান, তথা কুরআন হাদিসে পারদর্শিতার ক্ষেত্রে একাডেমিক পড়াশোনা আপনার ছিল না (আমার ভুল হয়ে থাকলে, ক্ষমাপ্রার্থী!)। সেটা না থাকলেও এই বিষয়ে আপনার সহজাত বোধগম্যতা মা-শাআল্লাহ সঠিক এবং আশাব্যাঞ্জক।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মেইল চেক করেন প্লিজ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, করেছি। অশেষ ধন্যবাদ।
২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩০
এমেরিকা বলেছেন: @ নীল আকাশ, কাল্পনিক ভালোবাসা যে প্রশ্ন করেছেন, তার উত্তর জানার জন্য ফতোয়া লাগেনা, যুক্তিই যথেষ্ট।
প্রথমে জানতে হবে, জীব কি আর প্রাণী কি?
বিজ্ঞানের ভাষা অনুযায়ী, যার জীবন আছে, তাই জীব। যেমন, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, গাছপালা ইত্যাদি।
এইসব জীবের মধ্যে যাদের প্রাণশক্তি আছে, তারা হচ্ছে প্রাণী। এই প্রাণশক্তির জোরে তারা চিন্তা করা, চলাফেরা করা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে কাজ করতে পারা - ইত্যাদি করতে পারে।
সকল জীবেরই অনুভুতি আছে। যে কারণে গাছ আলোর দিকে বেড়ে ওঠে, পানির সন্ধানে মাটির গভীরে শিকড় ছড়িয়ে দেয়।
কতিপয় প্রত্যঙ্গ যেমন চোখ, মুখ, পাকস্থলি, যকৃত - এগুলো প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
ধর্মের ভাষায়, প্রাণী হল সেই জিনিস, যার মধ্যে রূহ (আত্মা) আছে। এই আত্মা ঐ প্রানীর মধ্যে কিছু আলাদা অনুভূতি তৈরি করে যেমন - অনুরাগ, বিরাগ, প্রেম, কামনা, লালসা ইত্যাদি। যেসব জীবের মধ্যে রূহ নেই, তারা প্রাণী নামে সংজ্ঞায়িত না।
যদিও গাছের প্রাণ আছে, এটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে গত একশ দেড়শ বছরে, কিন্তু গাছের যে জীবন আছে, সেটা মানুষ জানত সৃষ্টির শুরু থেকেই - কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রমাণ ছাড়া। কাজেই রাসূলের (স) সময়েও এই ব্যাপারটা কারো অজানা ছিলনা। একটি হাদিসে রাসূল (স) একটি দুষ্ট ছেলেকে অকারণে গাছের ডাল ভাঙতে নিষেধ করা এবং অন্য হাদীসে একটি কাঁচা গাছের ডাল কবরে পুঁতে দেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে তিনি যে গাছের জীবন আছে - একথা জানতেন।
তাহলে তিনি গাছের ছবি আঁকতে নিষেধ করেননি কেন? তার কারণ হিসেবে আসে উপরের যুক্তি। বিজ্ঞানের ভাষায় বলুন আর ধর্মের ভাষায়ই বলুন - গাছের জীবন থাকলেও তার কিন্তু আত্মা বা রূহ নেই। প্রাণীর শরীরে আত্মা ফুঁকে দেওয়া - এটা আল্লাহ্ তায়ালার একটি একক ক্ষমতা। এই দুনিয়ার কেউ সেই ক্ষমতার অধিকারী নয়। কাজেই কেউ যদি কোন প্রাণীর ছবি আঁকে, ভাস্কর্য বানায় বা অন্য কোনভাবে প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরি করে, তবে তা হবে আল্লাহ্র কাজের অনুকরণ/বিকৃতি বা অসমাপ্ত কাজ - যা মানুষ কোনভাবেই সমাপ্ত করতে পারবেনা। তাই এ ধরণের কাজকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। শুনতে যতই অযৌক্তিক লাগুক না কেন, কিছু কাজ আছে, যা আল্লাহ্ নিজের জন্য সীমাবদ্ধ করেছেন, অন্য কেউ করতে গেলে তা আল্লাহ্র শানে বেয়াদবি হবে। তাই প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
যুক্তির আলোকে আপনার চমৎকার জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় পূর্ণ সহমত। প্রশ্নটির যদিও আরও দালিলিক ব্যাখ্যা খুঁজছি তবুও এতটুকু তথ্য শেয়ার করায় সবিশেষ কৃতজ্ঞতা।
একটি হাদিসে রাসূল (স) একটি দুষ্ট ছেলেকে অকারণে গাছের ডাল ভাঙতে নিষেধ করা এবং অন্য হাদীসে একটি কাঁচা গাছের ডাল কবরে পুঁতে দেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে তিনি যে গাছের জীবন আছে - একথা জানতেন।
-হাদিস দু'টির সূত্র উল্লেখ করা হলে সবার জন্য বুঝতে সুবিধা হতো। সম্ভব হলে দেয়ার অনুরোধ থাকলো।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আপনার ইলম এবং আমালে সালেহায় বারাকাহ দান করুন।
২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৪
এমেরিকা বলেছেন: হাদিসে রাসূল (সা.) থেকে জানা যায়, এক লোক যখন অকারণে একটি গাছের ডাল ভাঙে তখন নবী করিম (সা.) সে লোকটির চুল মৃদুভাবে টান দিয়ে বলেন, তুমি যেমন শরীরে আঘাত পেলে ব্যথা পাও, গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে গাছও তেমন ব্যথা পায়
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২৩৯
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন: নিশ্চয়ই এ দু ব্যক্তিকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদের এ আযাব বড় ধরণের কোন অপরাধের জন্য নয়। এরপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কবরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন: এ ব্যক্তিকে প্রস্রাব হতে ভালোভাবে পবিত্র না হওয়ার কারণে আর (দ্বিতীয় কবরের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন) এ ব্যক্তিকে পরনিন্দা করার কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে। এরপর তিনি একটি কাঁচা খেজুরের ডাল জোগাড় করে তা দুই ভাগে ভাগ করলেন এবং দুটি কবরের উপর রোপন করলেন। তারপর বললেন: যতক্ষণ পর্যন্ত না এ দুটি ডালের অংশ শুকাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এদের আযাব কম হবে। আবু দাউদ হাদীস নং ২০
২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০
নীল আকাশ বলেছেন: এখন আমাকে অনুগ্রহ করে যৌক্তিকভাবে বুঝান, যদি প্রাণির ছবি আকা হারাম হয় তাহলে কেন ছবি আকা হারাম হবে না?
@এমেরিকাঃ আপনাকে বলছি। শ্রদ্ধেয় মডারেটর যে প্রশ্ন করেছেন সেটা আমি আবার উপরে দিলাম।
ধর্মীয় পোস্ট উনি যুক্তি চেয়েছেন/যৌক্তিকভাবে বুঝাতে বলেছেন।
ধর্মীয় যেকোন বিষয় কুরআনের আয়াত / সহী হাদিস / ইজমা / ফতোয়া যে কোন একটা দ্বারা সর্মথিত হতে হবে। জান আছে, জান নেই এটা উনি খুব ভালো করেই জানেন। উনি সেটা জানতে চান নি। উনি চেয়েছেন ধর্মীয় যুক্তি। আমি উনার এই প্রশ্ন যথাযথ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। যারা এই বিষয়ে ফতোয়া দেয়ার উপযুক্ত। ইনশা আল্লাহ সেখান থেকে উত্তর আসলে আমি উনাকে প্রতিউত্তর দেবো। আমি না জেনে কখনই কোন বিষয় লিখি না। এবং একজন মানুষের পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভবও না।
আমি নিজেও এই বিষয়টা ভালোভাবে জানতে চাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ঈমাণ যে রাখা কঠিন সেটা তো দেখতে পাচ্ছি :
গাছ নামক জীবিত সত্তার ছবি দিয়েছেন , জীবিত প্রাণির ছবি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও । কেয়ামতের দিন কি ঐ ছবির গাছে প্রাণের সন্চার করতে পারবেন কি, যখন আল্লাহতালা হুকুম করবে ?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন মানুষ মূর্তিকে যেমন পূজা করে ঠিক তেমনি অনেক ধর্মে গাছকে পূজা করে । হযরত নূঃ (আ: ) সময়ে ৫ জন সন্মানিত ব্যক্তিকে সন্মান দেখানোর জন্য ভাষ্কর্য বানানো হয়েছিল, কিন্তু কয়েক জেনারেশন পরে দেখা গেল মানুষ ঐ ভাষ্কর্য গুলোকে পূজা করা শুরু করেছে , আমার তো মনে কয়েক জেনারেশন নহে আপনার জেনারেশনেই আপনারা গাছ , সূর্য, নদী পূজা শুরু করবেন কারন আপনার সব পোস্টে ঐ ছবি গুলো দেখা যায় ।
ধন্যবাদ