নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআনুল হাকিমের ভাষা নৈপুন্যতা ও বাচনিক অনন্যতা

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

পবিত্র কুরআনের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে নেয়া।

কুরআনুল হাকিমের ভাষা নৈপুন্যতা ও বাচনিক অনন্যতা

পবিত্র মাহে রমজান অতিবাহিত করছি আমরা। হাদিসে এই মাসকে রহমত, বরকত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস বলা হয়েছে। এ মাসে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করে দেয়ার কথাও বলা হয়েছে হাদিসে। রমজানে অন্যান্য খাবারের সাথে সাথে খেজুরও আমাদের ইফতার এবং সাহরিতে একটি অন্যতম আইটেম হিসেবে পরিগণিত। অন্য মাসে খেজুর তেমন একটা খাওয়া না হলেও প্রতি রমজানে অন্ততঃ এমন কোনো রোজাদার পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ, যিনি কি না কমবেশি খেজুর খান না। বছরের অন্য সময়ে এত খেজুরের দেখা মেলে না। বাজারে নানান জাতের চমৎকার সব খেজুর ওঠে রমজান এলেই। নানান দেশের, নানান রঙের, নানান জাতের, নানান স্বাদের এগুলো। কোনোটা সউদি আরবের। দুবাই, ওমান প্রভৃতি দেশ থেকে আসা খেজুরও পাওয়া যায়। আসলে আমরা যেন মাহে রমজানের অপেক্ষায়ই থাকি, বাহারি স্বাদের মজাদার এসব খেজুরের জন্য।

বস্তুতঃ খেজুরের উপরে কোনো বিশেষ প্রতিবেদন লেখার উদ্দেশ্যে আজকের এই লেখা নয়। পবিত্র কুরআনের তিনটি আয়াতে খেজুর বিচির এমন তিনটি জিনিষের উপমা দেয়া হয়েছে যা চিন্তাশীলদের জন্য ভাবনার সামান্য হলেও খোড়াক যোগায়। পক্ষান্তরে, বলে রাখা ভালো যে- ধোঁকাবাজ, ঠাট্টাবাজ এবং মিথ্যাশ্রয়ী কপটাচারীদের হাসি উল্লাসের মাত্রা কুরআনে হাকিমে বর্ণিত এসব অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম উপমা, উদাহরণ আর ভাষা নৈপুন্যতার অভিনবত্ব, অসাধারণত্ব এবং চমৎকারিত্বের অবাক করা নিদর্শন দেখার পরে বাড়লেও বাড়তে পারে।

চলুন, দেখে নিই আয়াত তিনটি। তবে তার পূর্বে আসুন, হাতে নিয়ে নিই একটা আস্ত খেজুর। তবে, রমজানের এই দিনের বেলায় অবশ্যই নয়। ইফতারের পরপরই করা যেতে পারে এই কাজটি। হাতে নেয়া খেজুরটা খেয়ে নিই এবার। খেজুর খেয়েই কিন্তু কাজ শেষ নয়। আঁটি/ বিচিটা ফেলে দিবেন না যেন। হাতে রেখে দিন ওটা। এবার ভালো করে তাকান আঁটি/ বিচিটার দিকে। কি দেখা যায়? কিছু কি দেখা যায়? স্বাভাবিকভাবে কিছু দেখা কঠিন হতে পারে। বলে দিচ্ছি, আপনি দেখতে পাবেন- আঁটি/ বিচির উপরে রয়েছে হালকা একটা আবরণ। খুব সূক্ষ্ম একটা আবরণে ঢাকা/ পরিবেষ্টিত প্রতিটি আঁটি/ বিচি।

এবার চলুন, আরেকটি বিষয়ে লক্ষ্য করি। ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি আঁটি/ বিচিটার পেটের কাটা অংশের দিকে। দেখা যাবে, একটা সুতার মত বস্তু লম্বালম্বিভাবে আলগা হয়ে আছে পুরো পেটের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্তু।

এবার আরেকটি জিনিষ দেখে নিই চলুন। আঁটি/ বিচিটা একটু উল্টে নিই। কিছু দেখা যায়? ভালো করে তাকালে দেখা যাবে, আঁটি/ বিচির পেটের উল্টা দিকের ঠিক মাঝখানে রয়েছে খুবই সূক্ষ্ম একটা বিন্দু।

প্রিয় পাঠক, মজার বিষয় হচ্ছে, খেজুরের আঁটি/ বিচির শরীরে লেপ্টে থাকা এই খুব সূক্ষ্ম আবরণ, তার পেটের দিকে থাকা সুতার মত বস্তু এবং পেটের উল্টো দিকে থাকা অতি সূক্ষ্ম বিন্দু - এই এত সূক্ষ্ম বিষয়গুলোরই প্রয়োগ দেখি পবিত্র কুরআনে উদাহরণ বা উপমা হিসেবে। যেসব আয়াতে এগুলোর উল্লেখ রয়েছে, চলুন দেখে নিই সেই আয়াতগুলো-

সূরা আল ফাতির এর ১৩ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-

وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ (فاطر: 13)

'আর তোমরা আল্লাহ ব্যতিত যাদেরকে ডাকো, তারা খেজুরের তুচ্ছ আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়।'

এখানে ‘ক্বিতমির’ শব্দটিই হলো সেই আবরণ যার দ্বারা খেজুরের আঁটি ঢাকা/ পরিবেষ্টিত থাকে।

সূরা আল ইসরা/ বনি ইসরাঈলের ৭১ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে-

فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَٰئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلا (الإسراء: 71)

'যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি ‘ফাতিল’ পরিমানও জুলুম করা হবে না।'

আর এখানে ‘ফাতিল’ হলো সেই আলগা সুতা যা আঁটির পেটের কাটা অংশে দেখা যায়।

সূরা আন নিসা এর ১২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا ( النساء: 124)

'কোনো পুরুষ কিংবা নারী ঈমান থাকা অবস্থায় যদি ভালো কাজ করে, তাহলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি ‘নাক্বির’ পরিমান জুলুম করা হবে না।'

আর এখানে ‘নাক্বির’ মানে হলো আঁটির পিঠের ঠিক মাঝখানে থাকা সূক্ষ্ম বিন্দুটি। সুবহানাল্লাহ, কি অনন্য আর নিখুঁত উপমা দিয়েছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা! কতই না অসাধারণ, অচিন্ত্যনীয় এবং অভাবনীয় তাঁর বাচনিক অনন্যতা!

প্রিয় পাঠক, আয়াতগুলোকে সামনে রেখে খেজুর বিচি/ আঁটির সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন আবারও। বারবার মেলালেও সমস্যা নেই। অবিকল, হুবহু মিলে যাবে আয়াতের সাথে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআ'লা যেমন বলেছেন ঠিক তেমনই পাবেন। কোনো কিছুরই সামান্য ব্যতিক্রম পাওয়া যাবে না। পবিত্র কুরআনুল হাকিমের ভাষা বৈচিত্র্যের এই অনাবিল সৌন্দর্য্য হৃদয়ে হিল্লোল আনে। মহান স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার প্রতি বিশ্বাসের হিরন্ময় জ্যোতিকে আরও আলোকদীপ্ত করে। আরও উদ্ভাসিত করে। অস্ফুটে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তাঁর পবিত্রতা আর প্রশংসা বাণী-

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম!

মহান আল্লাহ পূত পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, মহান আল্লাহর পবিত্রতা, যিনি শ্রেষ্ঠতম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



জাজাকুমুল্লাহ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: গায়ে মানে না, আপনে মোড়ল।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মানে?

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

শোভন শামস বলেছেন: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।

-শুকরিয়া।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরানের বর্ণনা ভঙ্গি কোন পার্থিব বইয়ের সাথে মেলে না। মানুষের লেখা বইয়ে লেখক অধ্যায় অনুযায়ী বর্ণনা করেন। কিন্তু কোরআনে দেখা যায় বিভিন্ন বিষয়ের বর্ণনা বিভিন্ন অধ্যায় ছড়ানো আছে। কোনও ধারাবাহিকতা বা ক্রম খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকে বলে কোরআন বাইবেল ও তৌরাতকে অনুকরন করে লেখা। কিন্তু বহু বিষয়ে কোরআন বাইবেল ও তৌরাতকে চ্যালেঞ্জ করে বক্তব্য দিয়েছে। মানুষের লেখা বই হলে বাইবেল ও তৌরাতের সাথে বিতর্কে যেত না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন তথ্যপূর্ণ মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

লকডাউনে কিভাবে সময় পার করছেন? অফিস করতে হচ্ছে? বাসার সকলে সুস্থ তো ইনশাআল্লাহ?

কল্যানের দোআ সবসময়।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: হুরের বর্ননা এবং মিলনের সময়সীমা পড়লে কি মনে হয়?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এসব পড়ে আপনার বুঝি খুব লোভ হচ্ছে, দাদা!

তা হতেই পারে। মানুষ মাত্রেরই তা হওয়া স্বাভাবিক। তো, শরমের কি আছে?

যাক, আকারে ইঙ্গিতে হলেও মনের কোনে জমে থাকা ভাবের কিছুটা প্রকাশ করেছেন দেখে ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৮

Smart বলেছেন: আসুন এগুলার সাথে ইমান কি তা জানি - ইমান এবং ইমানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.