নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম: অমুসলিম পণ্ডিতদের দৃষ্টিতেও যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব

২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

ছবিঃ অন্তর্জাল।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম: অমুসলিম পণ্ডিতদের দৃষ্টিতেও যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যুগে যুগে পথহারা মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য কিছু মহামানবকে বাছাই করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এ সমস্ত মহামানবদেরকেই কোরআনুল কারিম এবং হাদিসে নববীর পরিভাষায় নবি কিংবা রাসুল বলে সম্বোধন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ ছিলেন নির্দিষ্ট জাতির জন্য যেমন, হযরত লুত আলাইহিস সালাম ছিলেন তার জাতির হেদায়েতের জন্য আবার কেউ ছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যেমন, ইসা আলাইহিস সালাম ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পৃথিবীতে আগমনের পূর্ব পর্যন্ত। তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মহামানব এবং রাসূল হলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। গোটা বিশ্ব তাঁর নবুয়তের ক্ষেত্র। গোটা পৃথিবীর সকল মানব ও জিনদের হেদায়েতের জন্য তাঁর শুভাগমন। তাকে প্রেরণ করা হয়েছে গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত তথা, দয়া ও করুনা হিসেবে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে সর্বকালের সকল জাতির মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য মনোনিত করেছেন। তাঁর পরে আর কোন নবী রাসুল এ পৃথিবীতে আসবে না। বর্তমানে ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তির পাশাপাশি মুসলিম নামধারী বিভ্রান্তিতে নিপতিত কিছু সেকুলার বুদ্ধিজীবী বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কখনো কখনো বুঝে শুনে, কেউবা না জেনে কিংবা অজ্ঞতাবশতঃ কদাচিত বাজে মন্তব্য করতেও দ্বিধা করেন না। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহান চরিত্রে কলঙ্কলেপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হতে দেখা যায় এদের। অথচ তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সর্বোত্তম আদর্শ, শ্রেষ্ঠতম চারিত্রিক গুণাবলীর কাছে যুগে যুগে বিগত প্রায় দেড় হাজার বছর যাবত বিশ্ববরেণ্য অমুসলিম মণীষীরা পর্যন্ত মাথানত করতে বাধ্য হয়েছেন, অকপটে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে তিনিই বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মহামানব; তারা অনুধাবন করেছেন এবং সরল স্বীকারোক্তি করেছেন যে, মানবিক গুণাবলীর পূর্ণতা এবং পরিপূর্ণতায় তিনি সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছিলেন আপন চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে। কেনইবা তারা স্বীকার করবেন না? কারন, তিনি হলেন এই বিশ্বজাহানের স্রষ্টা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত বাছাইকৃত সর্বশ্রেষ্ট মানুষ। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহান চারিত্রিক গুণাবলী এবং সর্বোত্তম আদর্শ সম্পর্কে অমুসলিম পণ্ডিতদের কয়েকজনের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। এ সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা হল-

বিখ্যাত মণীষী ’Michael H. Hart:

বিখ্যাত মণীষী ’Michael H. Hart’ তার লিখিত বই The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,’ গ্রন্হে উল্লেখ করেন, “মুহাম্মদকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেকুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবতঃ ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টান ধর্মের ওপর যীশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে বেশী।…. আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেকুলার উভয়ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয়যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভুত করেছে।''

স্যার টমাস কারলাইলঃ

স্কটল্যান্ডের খ্যাতিমান গ্রন্থকার স্যার টমাস কারলাইল (১৭৯৫-১৮৬২ খ্রী:) তাঁর প্রধান গ্রন্থ 'অনু হিরোস হিরো ওয়ারশিপ এন্ড দি হিরোইন ইন হিসটরী'তে লিখেছেন- ''মহানবীর আগমনে মানুষের সার্বিক অবস্থা এবং চিন্তাধারায় এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়। আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ জাতির এক বিরাট অংশ অন্য কারো কথা অপেক্ষা মুহাম্মদের কথায়ই অধিকতর আস্থাশীল। অন্ধকার হতে আলোর পথের দিশারী হযরত মুহাম্মদ (স.)। তিনি নিজে যা নন তাই হওয়ার জন্য তিনি ভান করতেন না।''

পণ্ডিত গিবনঃ

প্রাচ্য পণ্ডিত গিবন তাঁর “মুহাম্মদেনিজম” শীর্ষক ইংরেজী গ্রন্থে বলেছেন, “আজ এটা এক বিশ্বজনীন সত্য যে, মুহাম্মদ নারীদেরকে উচ্চতর মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন।”

প্রফেসর লামার্টিনঃ

ফরাসী দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠতম পণ্ডিত ও ইতিহাসবিদ 'প্রফেসর লামার্টিন' তার ‘তুরস্কের ইতিহাস” গ্রন্থে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন মহানবীকে তাঁর মূল্যায়ন। তিনি উল্লেখ করেছেন, “উদ্দেশ্যের মহত্ত্ব, উপায় উপকরণের স্বল্পতা এবং বিস্ময়কর সফলতা এ তিনটি বিষয় যদি মানব প্রতীভার মানদণ্ড হয়, তাহলে ইতিহাসের অন্য কোন মহামানবকে এনে মুহাম্মদের সাথে তুলনা করবে এমন কে আছে? দার্শনিক, বাগ্মী, ধর্ম প্রচারক, আইন প্রণেতা, যোদ্ধা, আদর্শ বিজেতা, মানবিক রীতি-নীতির প্রবর্তনকারী এবং একটি ধর্মীয় সাম্রাজ্য ও বিশটি জাগতিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যিনি, তিনি মুহাম্মদ। তিনি বিনম্র তবু নির্ভীক, শিষ্ট তবু সাহসী, ছেলে মেয়েদের মহান প্রেমিক তবু বিজ্ঞজন পরিবৃত। তিনি সবচেয়ে সম্মানিত, সবচেয়ে উন্নত, বরাবর সৎ, সর্বদাই সত্যবাদী, শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসী এক প্রেমময় স্বামী, এক হিতৈষী পিতা, এক বাধ্য ও কৃতজ্ঞ পুত্র, বন্ধুত্বে অপরিবর্তনীয় এবং সহায়তায় ভ্রাতৃসুলভ, দয়ার্দ্র, অতিথিপরায়ন, উদার এবং নিজের জন্য সর্বদাই মিতাচারী। কঠিন তিনি মিথ্যা শপথের বিরুদ্ধে, ব্যভিচারীর বিরুদ্ধে। খুনী, কুত্সাকারী, অর্থলোভী, মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা এ ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে। ধৈর্য্যে, বদান্যতায়, দয়ায়, পরোপকারিতায়, কৃতজ্ঞতায়, পিতা-মাতা গুরুজনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এবং নিয়মিত আল্লাহর প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এক মহান ধর্ম প্রচারক।”

নেপোলিয়ান বোনাপার্টঃ

ইউরোপের বিশ্ববিখ্যাত মহাবীর নেপোলিয়ান বোনাপার্ট তার “অটোবায়োগ্রাফী”তে বলেছেন, “আমি আল্লাহর মহিমা কীর্তন করি এবং পূতঃচরিত্র ও দিব্য প্রেরণাদীপ্ত মুহাম্মদকে আর পবিত্র কুরআনকে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।”

মহাত্মা গান্ধীঃ

Mahatma Gandhi, statement published in ‘Young India,’1924. আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম যিনি আজ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন। যেকোন সময়ের চেয়ে আমি বেশী নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেইসব দিনগুলোতে মানুষের জীবন-ধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, ভয়হীনতা, ঈশ্বর এবং তাঁর(নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। এ সব-ই মুসলমানদেরকে সকল বাঁধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যখন আমি মুহাম্মদের জীবনীর ২য় খন্ড বন্ধ করলাম তখন আমি খুব দু:খিত ছিলাম যে এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমার পড়ার আর কিছু বাকি থাকলো না।

জে ডব্লিউ এইচ স্টাবঃ

J.W.H. Stab নামে আরেক মণীষী বলেন, “তাঁর কাজের সীমা এবং স্থায়িত্ব বিবেচনা করলে শুধু মক্কার নবী হিসেবে নয় পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি আরও দীপ্তিময়ভাবে জ্বলজ্বল করছেন। …..মানুষের বিখ্যাত হওয়ার মাপকাঠি অনুসারে বিচার করলে তাঁর সাথে অন্য কোন মরণশীলের খ্যাতি তুলনীয় হতে পারে কি ?” (Islam and its Founder’)

গিবনঃ

Gibbon নামে আরেক মণীষী বলেন, “মুহাম্মদের মহত্বের ধারণা আড়ম্বড়পূর্ণ রাজকীয়তার ধারণাকে অস্বীকার করেছে। স্রষ্টার বার্তাবাহক পারিবারিক গৃহকর্মে নিবেদিত ছিলেন; তিনি আগুন জ্বালাতেন; ঘর ঝাড়ু দিতেন; ভেড়ার দুধ দোয়াতেন; এবং নিজ হাতে নিজের জুতা ও পোষাক মেরামত করতেন। পাপের প্রায়শ্চিত্তের ধারণা ও বৈরাগ্যবাদকে তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁকে কখনো অযথা দম্ভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি, একজন আরবের সাধারণ খাদ্যই ছিলো তাঁর আহার্য।” (‘The Decline and Fall of the Roman Empire’ )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: একবার জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। ইমাম সাহেব বয়ান দিচ্ছেন। আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবিজিকে পেতে হবে। নবিকে না পেলে আল্লাহকে পাওয়া যাবে না।

আমার এক বন্ধু আছে, সে নবিজিকে স্বপ্নে দেখতে চায়। নবিজির দেখা পেলেই তাঁর জীবন এবং মরন সার্থক হবগ।

২| ২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: নবী শ্রেষ্ঠ মানুষ এটা প্রমানের জন্য অমুসলিম পন্ডিতদের সর্টিফিকেট লাগবে, আল্লাহর সার্টিফিকেট কি যথেষ্ট নয়।

৩| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কামাল১৮ বলেছেন: নবী শ্রেষ্ঠ মানুষ এটা প্রমানের জন্য অমুসলিম পন্ডিতদের সর্টিফিকেট লাগবে, আল্লাহর সার্টিফিকেট কি যথেষ্ট নয়।

Right.

৪| ২২ শে মে, ২০২১ রাত ৯:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি মাক্কি সুরা আর মাদানী সুরা আলাদা করে পড়েছি বংগো অনুবাদ সহো, মাদানী সুরা গুলো অতি আক্রমনাত্মক আর মাক্কি সুরা গুলো বেশ সহনশীল, এমন কেনো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.