নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
ইসলামে যৌতুকের স্থান নেই...
ইসলাম কল্যাণময় জীবন ব্যবস্থার সূব্যবস্থা ও বিধি-বিধান প্রদান করেছে। মানব সমাজকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। সুখ শা্ন্তিতে ভরপুর আনন্দময় জীবনের পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে মানুষের জন্য যা যা কল্যানকর তার সবকিছুই রয়েছে ইসলামে। মানবতার অবমাননা হয় এমন কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই ইসলামে। বিয়ে শাদির ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়ত কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিয়েছে যা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য কল্যানকর। এর মধ্যে নারীর জন্য স্বামীর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত মোহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি বিবাহিত জীবনে আত্মীয়দের মধ্যে পরস্পর উপহার, উপঢৌকন এবং বিনিময়ের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। উপহারের আলোচনার সাথে সাথে চলে আসে যৌতুকের মত অনাকাঙ্খিত বিষয়টিও। অনেকে উপহার এবং যৌতুককে এক এবং একাকার করে ফেলেন। বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় সচেতনতার লক্ষ্যে উপহার এবং যৌতুকের পার্থক্য নিঃসন্দেহে আলোচনাযোগ্য। বলা বাহুল্য, মনুষ্যত্বের জন্য অবমাননাকর ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার স্থান নেই ইসলামে। নারী জাতির প্রতি চরম অবমাননা, নিগ্রহ এবং অন্যায় ও জুলূমের হাতিয়ার যৌতুকের অনুমোদন দেয় না ইসলামী শরিয়ত। জঘন্য এবং ঘৃণ্য এ প্রথা ইসলামী বিধি-বিধান ও আদর্শ এবং নির্দেশনার সাথে সর্বোতই সাংঘর্ষিক। ইসলামের নীতি আদর্শের পরিপন্থী এবং সম্পূর্ণ অগ্রহনযোগ্য।
ইসলাম নারীকে মর্যাদার আসন দিয়েছে। বিয়ের সময় স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক গ্রহণ করা তো নয়ই বরং স্ত্রীকে মোহর প্রদানের জন্য বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে ইসলাম। কুরআনে হাকিমের সূরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
“আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশী মনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” -সূরা নিসা: আয়াত ৪
ইসলাম শুধু যৌতুক প্রথার বিরোধীই নয় বিয়েশাদির ক্ষেত্রে সব ধরনের অপচয়েরও বিপক্ষে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সেই বিয়েই সর্বাধিক বরকতময়, যে বিয়েতে ব্যয় খুব সামান্যই হয়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বিয়ে করেছেন সাধারণভাবে, নিজের প্রিয় কন্যা হজরত ফাতেমা (রা.) কে বিয়ে দিয়েছেন একইভাবে। বিয়েতে অপব্যয় পাত্র-পাত্রীর পরিবারের জন্য কষ্টকর পরিণতি ডেকে আনে। সামাজিক সম্মান রক্ষার অজুহাতে অনেকে বিয়েতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় করে দেউলিয়া হয়ে পড়ে, যা ইসলাম কোনোভাবেই অনুমোদন করে না।
যৌতুককে শোষণ এবং নারী নিগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় আমাদের সমাজে। যৌতুক আদায়ের জন্য স্ত্রীর ওপর দৈহিক নির্যাতন চালানোর ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে, এমনকি এই বর্বরতায় হত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে দেখা যায়। অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের অমানবিক আচরণ স্পষ্টভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ।
মহর নিয়ে কিছু কথাঃ
আরবি মহর শব্দটির বাংলা উচ্চারণ মাহর, মুহর, মোহর। এর আভিধানিক অর্থ হলো দান-অনুদান। বস্তুতঃ মহর বলতে আরও কিছু জিনিষ বুঝানো হয়ে থাকে, যেমন- প্রাচীন যুগের স্বর্ণের তৈরি মুদ্রাবিশেষ বা স্বর্ণমুদ্রাকেও মহর বলা হতো। নামের সিল বা ছাপও মহর নামে পরিচিত। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়- বিয়ের সময় বরের পক্ষ থেকে কনেকে যে অর্থ বা সম্পদ দেওয়া হয়, তাকে মহর বলে। বিবাহ সম্পাদনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘আকদ’। বিয়ের প্রস্তাব প্রদান, প্রস্তাব গ্রহণ, সাক্ষী ও মহর এগুলো ‘আক্দ’ সম্পন্ন হওয়ার মৌল বা আবশ্যিক উপকরণ হিসেবে স্বীকৃত। সর্বশেষ বিয়েকার্য সমাধা করার লিখিত রূপকে বলা হয়ে থাকে ‘কাবিন’, যা বিয়ে শাদিতে গুরুত্ব বহন করে এবং বিয়ের দালিলিক প্রমান বহন করে।
‘মহরে মিছাল’ কি?
বিয়ের ক্ষেত্রে মহর নির্ধারণ করা নেয়া উচিত, কারণ মহর বিয়ের অন্যতম ফরজ। তবে, কোনো কারণে বিয়েতে কখনো যদি মহর অনির্ধারিত বা ঊহ্য থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ‘মহরে মিছাল’ বা ‘সমমান মহর’ বর্তাবে। সমপর্যায়ের, সমবয়সের, সমমর্যাদাপূর্ণ, সমমান, সমরূপ ও সমগুণসম্পন্ন অন্য কোনো মেয়ের প্রচলিত সাধারণ মহরের সমপরিমান মহর নির্ধারণ করাকে ‘মহরে মিছাল’ বা ‘সমমান মহর’ বলা হয়।
মহর পরিশোধ করার নিয়মঃ
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহর বিয়ের অন্যতম পালনীয় শর্ত। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে মহর পরিশোধ করে দেয়া অত্যাবশ্যক। আর মহর বিয়ের সময় বর কর্তৃক কনেকে প্রদত্ত সম্মানী; যার মাধ্যমে সে স্বামীর অধিকার লাভ করে। মহর নগদে প্রদান করা উচিত। উভয় পক্ষের সম্মতিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ বাকিও থাকতে পারে। তবে তা অবশ্যই পরিশোধযোগ্য। পরিশোধ না করা হলে স্বামীকে এর দায়ভার বহন করতে হবে। স্ত্রীর কাছে তাকে দেনাদার হিসেবে থাকতে হবে।
মহরের পরিমাণ নির্ধারণঃ
বরের সামর্থ্য এবং কনের যোগ্যতা বিবেচনায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে মহরের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। এর সর্বনিম্ন কোনো পরিমাণ নির্ধারিত নেই। কোরআন করিমে বলা হয়েছে:
وَآتَيْتُمْ إِحْدَاهُنَّ قِنطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا مِنْهُ شَيْئًا
‘আর যদি তোমরা তাদের কোনো একজনকে অগাধ সম্পদ বা অঢেল অর্থও দিয়ে থাকো, তবু তা হতে কিছুই প্রতিগ্রহণ করো না।’ -সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ২০
তবে মহরের পরিমাণ এত কম হওয়া উচিত নয়, যাতে মেয়ের সম্মান ও অধিকার ক্ষুন্ন হয় এবং এত বেশি হওয়াও বাঞ্ছিত নয়, যা ছেলের ওপর জুলুম হয়। মহর নির্ধারণের সময়ই তা পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে ধার্য্য করতে হবে। অন্যদের প্রদর্শনের জন্য বা যশ খ্যাতি ইত্যাদি লাভের উদ্দেশ্যে কখনোই মহর নির্ধারণ করা উচিত নয়।
মহরের অর্থের মালিকানাঃ
জেনে রাখা প্রয়োজন যে, মহরের অর্থ একান্তই স্ত্রীর। এই অর্থ তিনি যেভাবে খুশি ব্যয় করতে পারবেন। সঞ্চয় হিসেবে জমা করেও রাখতে পারবেন। ইচ্ছে করলে তিনি মহরের অর্থ কোনো কাজে বিনিয়োগও করতে পারবেন। মোটকথা, স্ত্রীই মহরের অর্থের পূর্ণ অধিকারী, তিনি যাকে ইচ্ছে উক্ত অর্থ দান-অনুদান বা উপহার ও হাদিয়া হিসেবে প্রদান করতে পারবেন। এতে স্বামী কিংবা অন্য কারও কিছু বলার থাকবে না। সহজ কথায় মহরের অর্থ যেহেতু স্ত্রীর, সেহেতু তিনিই তা ব্যয় করার বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতাবান।
দেনমোহর এবং আমাদের সমাজ বাস্তবতাঃ
আল্লাহ তাআলা বলেন: وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا “আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশী মনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” -সূরা নিসা: ৪
কুরআনুল কারিমের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকার সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত: স্বীকার না করে উপায় নেই যে, কুরআনের এ নির্দেশ বর্তমানে আমাদের সমাজে সরকারী বিয়ে রেজিস্ট্রির খাতায় কেবল লিখে রাখার বিষয়ের মধ্যে দিনকে দিন সীমিত হয়ে যাচ্ছে। অনেক মানুষ তাদের স্ত্রীদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবধারিত ও অনিবার্য প্রাপ্য মোহর থেকে শুধু বঞ্চিতই করছে না বরং উল্টো স্ত্রীর পরিবার থেকে চাপ প্রয়োগ করে, কৌশল খাটিয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার উপায় অবলম্বন পূর্বক বিপুল পরিমাণ অর্থ-কড়ি এবং আসবাব-পত্র যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছে। এটি নি:সন্দেহে কনের পরিবারের উপর একটি মারাত্মক জুলুম। যে পিতা তার শরীরের রক্ত ঘাম দিয়ে একটি মেয়েকে প্রতিপালন করলেন সেই মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে তার মাথার উপর যখন যৌতুকের মত এই মহা অভিশাপ চেপে বসে তখন তার মানসিক কী অবস্থা কী হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ যৌতুকের কারণে কত অসহায় নারীকে স্বামীর নির্মম নির্যাতনে নিষ্পেষিত হচ্ছে, অপমানিত হতে হচ্ছে, কত নারী তার স্বামী বা স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচারে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে সেসব খবর মিডিয়ায় কয়টাই বা প্রকাশ পায়? সুতরাং, বিধর্মীদের থেকে অনুপ্রবেশকারী এই অপসংস্কৃতি, সামাজিক ব্যাধি ও হারাম প্রথার অবসান হওয়া জরুরি।
যৌতুক কাকে বলে?
যৌতুকের আবার সংজ্ঞা কি? যৌতুক তো যৌতুকই। যৌতুক মানে, অপরের সম্পদের প্রতি অন্যায়ভাবে লালায়িত হওয়া। যৌতুক মানে, অন্যের সম্পদ গ্রাস করা। যৌতুক মানে, অসহায় একটি নারী যিনি স্ত্রী হয়ে স্বামীর বাড়িতে এসেছেন, তাকে জিম্মি করে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে অর্থ সম্পদ লুট করে নেয়া। বস্তুতঃ কনের পক্ষ থেকে বরকে বিয়ের সময় বা তার আগে-পরে শর্ত করে বা দাবি করে অথবা প্রথা হিসেবে কোনো দ্রব্যসামগ্রী বা অর্থ-সম্পদ ও টাকাপয়সা নেওয়া বা দেওয়াকে যৌতুক বলে। শরিয়তের বিধানে যৌতুক সম্পূর্ণ হারাম ও নিষিদ্ধ এবং কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ।
বাংলা অভিধানমতে, যৌতুক হলো ‘বিবাহের পর বর বা কনেকে যে মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রদত্ত উপহার।’ -বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান
বাংলা পিডিয়ায় বলা হয়েছে: “বিবাহের চুক্তি অনুসারে কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে বা বরপক্ষ কন্যাপক্ষকে যে সম্পত্তি বা অর্থ দেয় তাকে যৌতুক বা পণ বলে।” -বাংলাপিডিয়া ৮/৪৫৫
যৌতুক ও মহর একই জিনিষ নয়ঃ
এই অর্থে যৌতুক ও মহরের মধ্যে বিভ্রাট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ইসলামে মহর হলো ফরজ ইবাদাত আর যৌতুক হলো বিলকুল হারাম ও সম্পূর্ণ নাজায়েজ। তাই যৌতুক ও মহর এই উভয়ের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করা জরুরি।
যৌতুক ও মহরের মাঝে পার্থক্যঃ
‘ছেলেপক্ষ যে অর্থ দেয় তা হলো মহর, মেয়েপক্ষ যা দেয় তা হলো যৌতুক।’ মেয়ের বাড়িতে শর্ত করে আপ্যায়ন গ্রহণ করাও হারাম যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। যৌতুক চাওয়া ভিক্ষাবৃত্তি অপেক্ষা নিন্দনীয়, ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধ। আমাদের দেশের আইনেও যৌতুক শাস্তিযোগ্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। যৌতুকের শর্তে বিয়ে সম্পাদিত হলে, বিয়ে কার্যকর হয়ে যাবে ঠিকই; কিন্তু যৌতুকের শর্ত অকার্যকর বলে বিবেচিত হবে। ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে অবৈধ শর্ত পালনীয় নয়, বরং বাধ্যতামূলকভাবেই তা বর্জনীয়।
যৌতুক প্রথা কেন হারাম?
ইসলামে কেন যৌতুক প্রথা হারাম ও গর্হিত বিষয় তা নিন্মে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল:
এক. যৌতুক ভিন্ন সংস্কৃতির অংশঃ
যৌতুক প্রথাটি অন্য কোনো কোনো ধর্মাবলম্বীদের রীতি-নীতির অন্তর্ভূক্ত। আর ইসলামের দৃষ্টিতে অমুসলিমদের ধর্মীয় রীতি-নীতি ও কৃষ্টি-কালচার অনুসরণ করা হারাম। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ “যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।” -সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ হা/৪০৩১-হাসান সহিহ
অন্য ধর্মাবলম্বীদের এই অপসংস্কৃতিটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত উপমহাদেশের মুসলিমদের মাঝে ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশ করেছে।
যেভাবে যৌতুক প্রথার উৎপত্তিঃ
এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত বইয়ের নিচের উদ্ধৃতিগুলো অনুধাবনযোগ্য। প্রথমতঃ “হিন্দু সমাজে নারীরা পুরুষদের মতো একইভাবে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না। তাই অনেক আগে থেকেই হিন্দু সমাজে নারীদেরকে বিয়ের সময়ে যৌতুক দেবার প্রচলন ছিল। কালক্রমে তা বিয়ের পণ হিসাবে আবির্ভূত হয় যা একসময় কনে পক্ষের জন্য এক কষ্টকর রীতি হয়ে দাঁড়ায়।” -উৎস: কাজী এবাদুল হক (জানুয়ারি ২০০৩ “যৌতুক”)
দ্বিতীয়তঃ “দীর্ঘদিন যাবত হিন্দু সমাজ ও মুসলিম সমাজ একত্রে বসবাসের কারণে সাম্প্রতিককালে আরো বিভিন্ন কুপ্রথার মতো এই যৌতুক কুপ্রথাটিও মুসলিম সমাজে সংক্রমিত হয়।” -ইসলামের বৈধ ও নৈতিক প্রেক্ষাপট। লেখক: তমিজুল হক (ব্যরিস্টার এট ল.) পৃষ্ঠা নং ৫২৮
দুই. যৌতুক অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভক্ষণের নামান্তরঃ
ইসলামের দৃষ্টিতে এটি ‘অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ’ এর নামান্তর। এটি আল্লাহ তাআলা বলেন: وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ “তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না।” (সূরা বাকারা: ১৮৮)
তিন. প্রচলিত আইনে যৌতুক দণ্ডনীয় অপরাধঃ
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে যৌতুক লেনদেন একটি দণ্ডনীয় অপরাধ আর ইসলামের বিধান হল, মানব কল্যাণে প্রণীত সরকারী আইন মান্য করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অপরিহার্য। কোনভাবেই তা লঙ্ঘন করা বৈধ নয়-যতক্ষণ না তা আল্লাহর নির্দেশ পরিপন্থী হয়। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের যৌতুক নিরোধক আইন অনুসারে যৌতুক গ্রহণের অপরাধ প্রমাণিত হলে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল বা ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
যৌতুকের শাস্তিঃ
১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যদি কোনো পক্ষ অপর পক্ষকে বিয়ের আগে-পরে বা বিয়ে চলাকালে যেকোনো সময় যেকোনো সম্পদ বা মূল্যবান জামানত হস্তান্তর করে বা করতে সম্মত হয়, সেটাই যৌতুক বলে বিবেচ্য হবে। যৌতুক গ্রহণ ও যৌতুক প্রদান অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
যৌতুক নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ, যা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
চার. যৌতুক প্রথা বিবাহের ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান পরিপন্থীঃ
যৌতুক প্রথা বিবাহের ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান পরিপন্থী। কেননা ইসলামের বিধান হল, বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করবে। স্ত্রীর পক্ষ থেকে অগ্রিম চুক্তি করে কোনো কিছু নেয়ার বিধান দেয়া হয় নি। কিন্তু এখানে নামকে ওয়াস্তে দেনমোহর রেজিস্ট্রেশন খাতায় লেখা হলেও বাস্তবে স্ত্রীর নিকট যৌতুক গ্রহণ করা হয়। সুতরাং তা সম্পূর্ণ হারাম, জুলুম ও অনৈতিক কাজ। বর বা তার পরিবারের জন্য এ সম্পদ ভক্ষণ করা সম্পূর্ণ হারাম। পূর্ব যুগের মুসলিমগণ এই যৌতুক প্রথার সাথে পরিচিত ছিল না। কিন্তু বিশেষ করে পাক-ভারত উপমহাদেশে অমুসলিমদের সাহচর্য্যে থাকার ফলে ধীরে ধীরে এই নিকৃষ্ট প্রথা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ ও অসচেতন মুসলিমদের মাঝে সংক্রামিত হয়েছে। (আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমীন)
উপহার বলতে আমরা কি বুঝবো?
নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ দানকে উপহার বলা হয়। এই উপহার যে কেউ যে কাউকে যেকোনো সময়ে যেকোনো অবস্থায় যেকোনো অবস্থানে যেকোনো অবস্থান থেকে দিতে পারেন। সুতরাং, বিয়ের সময় বা তার পরে স্বামী স্ত্রীকে বা স্ত্রী স্বামীকে যেকোনো কিছু উপহার দিতে পারেন।
স্বামীর দেওয়া উপহার সাধারণত মহরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে না। কখনো যদি মূল্যবান গয়না ও অলংকার মহরের মধ্যে শামিল করা হয়, তখন বলা হয়ে থাকে ‘জেওর ও মহর’ এত টাকা এবং জেওর বা অলংকার বাবদ ওয়াসিল বা পরিশোধ এত টাকা। কনের পরিবারের পক্ষ থেকে শর্ত ও দাবি ছাড়া বরকে কোনো উপহার দিতে বাধা নেই। তবে প্রথা বা অঘোষিত শর্তরূপে দিতে বাধ্য হলে তা পরিহারযোগ্য। বিবাহ উপলক্ষে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব বর ও কনেকে উপহার দিতে পারেন। তবে এটি যেন প্রথারূপে না হয়। উল্লেখ্য যে মহর প্রদেয়, উপহার অফেরতযোগ্য।
বিয়ের সময় প্রদত্ত উপহারসামগ্রী বা অর্থের মালিক বর বা কনে। যে উপহার যাঁকে দেওয়া হয়েছে, তিনিই সেই উপহারের মালিক। তৃতীয় কোনো ব্যক্তি, যেমন শ্বশুর-শাশুড়ি বা অন্য কেউ মালিকের পূর্ব অনুমতি ছাড়া এসব উপহার কাউকে দিতে পারবেন না এবং যথেচ্ছ ব্যবহারও করতে পারবেন না। স্ত্রী বা কনে প্রাপ্ত উপহার নিজে ব্যবহার করা ছাড়াও যাকে খুশি কারও অনুমতি ছাড়া দিতে পারবেন। এতে স্বামী বা বরপক্ষের কারও কোনো এখতিয়ার থাকবে না; যদিও সেই উপহারসামগ্রী স্বয়ং স্বামী বা বরপক্ষই দিয়ে থাকে।
উপহার কি যৌতুক?
বিয়েতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের উপহার যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। তবে এখানে শর্ত হচ্ছে যে এই উপহার অবশ্যই বিয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয় এমন কেউ প্রদান করতে হবে এবং বিয়ের পণ (যৌতুক) হিসেবে প্রদান করতে পারবেন না, উপহার হিসেবে দিতে হবে।
অর্থাৎ বিয়ের শর্ত হিসেবে ৫০০ টাকার সমমূল্যের কোনো কিছুও দেওয়া যাবে না। দিলে তা আইন অনুসারে যৌতুক হবে এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে বা বিবাহের পণ হিসেবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, যেকোনো সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ হলো যৌতুক।
আমাদের বর্তমান অবস্থা এবং করণীয়ঃ
আমাদের দেশের মুসলমানদের মধ্যে যৌতুক প্রথা বেশ জোরেশোরে প্রচলিত। এ দেশীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত যৌতুক প্রথা মুসলিম সমাজকে এতটাই আক্রান্ত করেছে যে, আমাদের দেশে যৌতুক ছাড়া বিয়ে এখন খুব কমই হয়। অথচ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে কিংবা পরবর্তীতে ইসলামী সমাজে কখনো যৌতুক চালু ছিল, এমন প্রমাণ নেই। যৌতুকের মত গুরুতর অপসংস্কৃতি কুরআন হাদিসের নীতি, আদর্শ এবং নির্দেশনার পরিপন্থী বিধায় তা বর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য্য।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে উদরস্থ করার ব্যাপারে কঠোর ধমকি প্রদান করে এর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বস্তুতঃ বিবাহযোগ্য মেয়ের অভিভাবকগণ তাদের মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যৌতুক দিতে বাধ্য হয়ে থাকেন। যারা যৌতুক গ্রহণ করেন নিঃসন্দেহে তারা অন্যায়ভাবেই এ অর্থ সম্পদ নিয়ে থাকেন। মনে রাখতে হবে, এটি অবৈধ এবং সুনিশ্চিতভাবে গুনাহের কাজ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের যৌতুকের গর্হিত ও নিন্দিত পথ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। যৌতুক এবং শোষনমুক্ত পরিবার এবং সমাজ বিনির্মানে, প্রতিটি ঘরে ঘরে সুখ শান্তি এবং শৃঙ্খলা আনয়নে আমাদের সকলের সার্বিক সচেতনতার কোনোই বিকল্প নেই।
২| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: যখন কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই- আমি আগে খোঁজ নিই যৌতুক এর কোন ব্যাপার আছে কিনা। যৌতুক নিয়ে কাহিনী থাকলে আমি সে বিয়েতে যাই না। এটা আমাদের আত্মীয় স্বজন সবাই জানে।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বিয়েতে আমি নিজেই দেনমোহরের বিষয়টি মেয়ে পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করেছি। আমার পরিবার চাচ্ছিলো দেনমোহর বড় অঙ্কের করতে, আমি নিজেই আমার পরিবারকে জানিয়েছি আমার পক্ষে যেটা দেয়া সম্ভব নয় সেটা আমি বলবো না। মেয়ে পক্ষ থেকে আমাকে কিছু জিনিসপত্র দিতে চেয়েছে আমি কিছুই নেইনি। এদিক থেকে আমি আলহামদুলিল্লাহ শতভাগ পরিষ্কার আছি। ভুল-সঠিকের হিসেবটা উপরওয়ালার হাতে থাকছে।
৪| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
এভো বলেছেন: শরিয়ত মোতাবেক মহরের ব্যাখা নীচে দেওয়া হোল , আপনার ব্যাখা শরিয়ত সম্মত নহে ।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১৩১-(৬) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোনো নারী তার ওয়ালীর (অভিভাবকের) অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে; তার বিয়ে বাত্বিল (না-মঞ্জুর, পরিত্যক্ত), তার বিয়ে বাত্বিল, তার বিয়ে বাত্বিল। যদি এরূপ বিয়েতে স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে, তবে স্ত্রীর মোহর দিতে হবে তার (লজ্জাস্থান) উপভোগ (হালাল) করার জন্যে। আর যদি তাদের (ওয়ালীগণের) মধ্যে আপোসে মতবিরোধ দেখা দেয়, তবে যার ওয়ালী নেই শাসক (প্রশাসন) তার ওয়ালী (বলে বিবেচিত) হবে।
(আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)(1)
(1) সহীহ : আবূ দাঊদ ৩০৮৩, তিরমিযী ১১০২, ইবনু মাজাহ ১৮৭৯, আহমাদ ২৪২০৫, দারিমী ২২৩০, ইরওয়া ১৮৪০, সহীহ আল জামি‘ ২৭০৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (3610)
অধ্যায়ঃ ২০/ লি’আন
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬১০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু শায়বা ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লি’আনকারীদ্বয়ের (লি’আন বাক্য পাঠের ব্যাপারে) হিসাব আল্লাহর দায়িত্ব। তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী তার (তোমার স্ত্রীর) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মালের (প্রদত্ত মাহর) কি হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার মাল পাবে না। যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্যবাদী হও তাহলে তোমার দেওয়া সস্পদ ঐ বস্তুর বিনিময়ে বলে গণ্য হবে যা দ্বারা তুমি তার লজ্জাস্থান হালাল করেছ। আর যদি তুমি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাক তাহলে তার থেকে মাল ফেরত পাওয়া তো আরো দুরের কথা।
যুহায়র (রহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন যে, সুফিয়ান (রহঃ) সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) এর সুত্রে ইবনু উমর (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বলতে শুনেছেন।
Ibn Umar (Allah be pleased with them) reported Allah’s Messenger (ﷺ) saying to the invokers of curse: Your account is with Allah. One of you must be a liar. You have now no right over this woman. He said: Messenger of Allah, what about my wealth (dower that I paid her at the time of marriage)? He said: You have no claim to wealth. If you tell the truth, it (dower) is the recompense for your having had the right to intercourse with her, and if you tell a lie against her, it is still more remote from you than she is. Zuhair said in his narration: Sufyan reported to us on the authority of ‘Amr that he had heard Sa’id b Jubair saying: I heard Ibn Umar (Allah be pleased with them) saying that Allah’s Messenger (ﷺ) had said it.
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (4929)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০৭২. লি‘আনকারীদ্বয়কে ইমামের একথা বলা যে, নিশ্চয় তোমাদের কোন একজন মিথ্যাবাদী, তাই তোমদের কেউ তাওলা করতে প্রস্তুত আছ কি ?
৪৯২৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি লিআনকারীদ্বয় সম্পর্কে ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিআনকায়ীদ্বয়কে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ তোমাদের হিসাব গ্রহনের দায়িত্ব আল্লাহরই। তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। তার (স্ত্রীর) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বললঃ তবে আমার মাল (মোহর হিসেবে প্রদত্ত)? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে এর বিনিময়ে তুমি তার লজ্জাস্থানকে হালাল করে নিয়েছিলে। আর যদি তার উপর মিথ্যারোপ করে থাক তবে তো মাল চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
সুফিয়ান বলেনঃ আমি এ হাদীস আমর (রাঃ) এর কাছ থেকে মুখস্থ করেছি। আইয়্যুব বলেনঃ আমি সাঈদ ইবনু জুবায়র-এর কাছে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর সাথে লিআন করল (এখন তাদের বিধান কি?) তিনি তার দু’আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ সুফিয়ান তার তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল ফাঁক করলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আজলানের এক দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্ক এভাবে ছিন্ন করে দেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন যে, তোমাদের একজন অবশাই মিথ্যাবাদী। সুতরাং কেউ তাওবা করতে সম্মত আছ কি? এভাবে তিনি তিনবার বললেন। সুফিয়ান বলেনঃ আমি তোমাকে যেভাবে হাদীসটি শোনাচ্ছি এভাবেই আমি আমর ও আইয়্যুব (রাঃ) থেকে মুখস্থ করেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
এবারে আরো একটি পড়িঃ [14]
গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (3284)
অধ্যায়ঃ ২৬/ নিকাহ (বিবাহ)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৪২. বিবাহের শর্ত
৩২৮৪. ঈসা ইবন হাম্মদ (রহঃ) … উকবা ইবন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সৰ্বাধিক প্রয়োজনীয় শর্ত হলো তোমরা যা দ্বারা মহিলার লজ্জাস্থান হালাল করবে, তা আদায় করা অর্থাৎ মোহর আদায় করা।
It was narrated from ‘Utbah bin ‘Amir that the Messenger of Allah said: “The conditions that are most deserving of fulfillment, are those by means of which the private parts become allowed to you.”
তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ১৯৫৪, মুখতাসার মুসলিম ৮০৪, সহীহ জামে’ আস-সগীর ১৫৪৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
এই সম্পর্কিত আরো কিছু হাদিস পড়ে নিইঃ [15]
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
হাদিস নম্বরঃ (4958)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০৯১. নির্জনবাসের পরে মোহরের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে স্ত্রীর মোহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে।
৪৯৫৮। আমর ইবনু যুরারা (রহঃ) … সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলামঃ যদি কেউ তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়? তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজলান গোত্রের এক দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ জানে তোমাদের দু’ জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ কি তাওবা করতে রাযী আছ? তারা উভয়ে অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে কে তাওবা করতে রাযী আছ? তারা কেউ রাযী হল না। এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। আইয়্যুব বলেনঃ আমর ইবনু দীনার আমাকে বললেন, এই হাদীসে আরো কিছু কথা আছে, আমি তা তোমাকে বর্ণনা করতে দেখছি না। রাবী বলেন, লোকটি তখন বললঃ আমার মাল (স্ত্রীকে প্রদত্ত মোহর) ফিরে পাব না? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবুওতো তুমি তার সাথে সংগম করেছ। আর যদি মিথ্যাবাদী হও, তাহলে তো কোন প্রশ্নই আসে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
Narrated Sa`id bin Jubair: I said to Ibn `Umar, “If a man accuses his wife of illegal sexual intercourse (what is the judgment)?” He said, “Allah’s Prophet separated the couple of Bani ‘Ajlan (when the husband accused his wife for an illegal sexual intercourse). The Prophet (ﷺ) said, ‘Allah knows that one of you two IS a liar; so will one of you repent?’ But they refused. He then again said, ‘Allah knows that one of you two is a liar; so will one of you repent?’ But they refused, whereupon he separated them by divorce.” Aiyub (a subnarrator) said: `Amr bin Dinar said to me, “In the narration there is something which I do not see you mentioning, i.e. the husband said, “What about my money (Mahr)?’ The Prophet (ﷺ) said, “You are not entitled to take back money, for if you told the truth you have already entered upon her (and consummated your marriage with her) and if you are a liar then you are less entitled to take it back.
অর্থাৎ, একবার এক লোক তার মোহরের অর্থ ফেরত চাইলো। কিন্তু সে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে ফেলেছে। নবীজী তাকে বললেন, যেহেতু সে সঙ্গম করে ফেলেছে, সেহেতু তার আর মোহর ফেরত পাওয়ার অধিকার নেই [16] [17] [18] [19]
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৫৫/ তালাক
হাদিস নম্বরঃ (4928)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২০৭১. লি’আনকারিণীর মোহর
৪৯২৮। আমর ইবনু যুরারা (রহঃ) … সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু উমরকে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে অপবাদ দিল- (তার বিধান কি?) তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আজলানের স্বামী স্ত্রীর দু-জনকে পৃথক করে দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের কেউ তাওবা করতে রাযী আছ কি? তারা দু-জনেই অস্বীকার করল। পুনরায় তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী সুতরাং কেউ তাওবা করতে প্রস্তুত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল। এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন।
আইয়্যুব বলেনঃ আমাকে আমর ইবনু দীনার (রহঃ) বললেন এ হাদীসে আরও কিছু কথা আছে তোমাকে তা বর্ণনা করতে দেখছি না কেন? তিনি বলেন লোকটি বললঃ আমার (দেওয়া) মালের (মোহর) কি হবে? তাকে বলা হল, তোমার মাথা ফিরে পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও (তবুও পাবে না) (কেননা) তুমি তার সাথে সহবাস করেছ। আর যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে তা পাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ (5311)
অধ্যায়ঃ ৬৮/ ত্বলাক
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৮/৩২. লি‘আনকারিণীর মোহর।
৫৩১১. সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, এক লোক তার স্ত্রীকে অপবাদ দিল- (তার বিধান কী?) তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ ‘আজলানের স্বামী-স্ত্রীর দু’জনকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাচারী। কাজেই তোমাদের কেউ তাওবাহ করতে রাযী আছ কি? তারা দু’জনেই অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন মিথ্যাচারী, সুতরাং কেউ তাওবাহ করতে প্রস্তুত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল। তিনি পুনরায় বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলা অবহিত আছেন তোমাদের একজন মিথ্যাচারী সুতরাং কেউ তাওবাহ করতে প্রস্ত্তত আছ কি? তারা আবারও অস্বীকার করল।
এরপর তিনি তাদেরকে পৃথক করে দেন। আইয়ুব বলেনঃ আমাকে ‘আমর ইবনু দ্বীনার (রহ.) বললেন, এ হাদীসে আরও কিছু কথা আছে, তোমাকে তা বর্ণনা করতে দেখছি না কেন? তিনি বলেন, লোকটি বললঃ আমার (দেয়া) মালের কী হবে? তাকে বলা হল, তোমার মাল ফিরে পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, (তবুও পাবে না)। (কেননা) তুমি তার সঙ্গে সহবাস করেছ। আর যদি তুমি মিথ্যাচারী হও, তবে তা পাওয়া তো বহু দূরের ব্যাপার। (৫৩১২, ৫৩৪৯, ৫৩৫০) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ (5349)
অধ্যায়ঃ ৬৮/ ত্বলাক
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৮/৫২. নিভৃতেবাস করার পরে মাহ্রের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে ত্বলাক্ব দিলে স্ত্রীর মাহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে।
৫৩৪৯. সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমারকে জিজ্ঞেস করলামঃ যদি কেউ তার স্ত্রীকে অপবাদ দেয়? তিনি বললেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজলান গোত্রের এক দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের কেউ কি তাওবাহ করবে? তারা উভয়ে অস্বীকার করল। তিনি আবার বললেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে তাওবাহ করতে কে প্রস্ত্তত? তারা কেউ রাযী হল না। এরপর তিনি তাদের মধ্য বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলেন। আইয়ূব বলেনঃ আমর ইবনু দ্বীনার আমাকে বললেন, হাদীসে আরো কিছু কথা আছে, আমি তা তোমাকে বর্ণনা করতে দেখছি না। রাবী বলেন, লোকটি তখন বলল, আমার মাল প্রদত্ত মাহর) ফেরত পাব না? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে তো তুমি তার সাথে সহবাস করেছ। আর যদি মিথ্যাচারী হও, তাহলে মাল ফেরত পাওয়া তো বহু দূরের ব্যাপার। (৫৩১১) আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থের নামঃ মুয়াত্তা মালিক
হাদিস নম্বরঃ (1125)
অধ্যায়ঃ ২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায়
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. বিভিন্ন অবৈধ বিবাহ
রেওয়ায়ত ২৭. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তুলায়হা আসদিয়া রুশাইদ ছকফী (রাঃ)-এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাহাকে তালাক দিলেন। তারপর তুলায়হা ইদ্দতের ভিতরে বিবাহ করিলেন। এই কারণে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) তাহাকে এবং তাহার স্বামীকে কয়েকটি চাবুক মারিলেন এবং উভয়কে পৃথক করিয়া দিলেন। তারপর উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিলেন, যে স্ত্রীলোক ইদ্দতের ভিতর বিবাহ করিয়াছে, বিবাহকারী তাহার সেই স্বামী যদি তাহার সহিত সহবাস না করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করিয়া দেওয়া হইবে। তারপর স্ত্রীলোকটি প্রথম স্বামীর পক্ষের অসম্পূর্ণ ইদ্দত পূর্ণ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় স্বামী স্বাভাবিক নিয়মে বিবাহের প্রস্তাবকারীগণের মধ্যে একজন প্রস্তাবকারী হিসাবে গণ্য হইবে। আর যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি তাহার সহিত সহবাস করিয়া থাকে তবে উভয়কে পৃথক করা হইবে। তারপর প্রথম স্বামীর (পক্ষের) অবশিষ্ট ইদ্দত পূর্ণ করিবে। আর তাহারা (দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রী) উভয়ে আর কখনো মিলিত হইতে পারিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিয়াছেনঃ সেই স্ত্রীলোক মহর-এর হকদার হইবে। কারণ তাহার সঙ্গে (বিবাহের মাধ্যমে) সহবাস করা হইয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের সিদ্ধান্ত হইল, স্বামীর মৃত্যু হইয়াছে, এমন স্বাধীন নারী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে। আর তাহার হয়েযের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় গর্ভধারণের আশংকা দেখা দিলে সে নারী সন্দেহমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ করিবে না।
৫| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে মোহরানার বিষয়টা যেভাবে বলা হয়েছে এটা বলে নারীকে অপমান করা হয়েছে।স্পষ্ট বলা হয়েছে লজ্জাস্থান ভোগের বিনিময়ে তাকে এই অর্থ দেয়া হলো।যদি তালাক হবার পর তাদের সম্পদের অর্ধেক নারী পেত তবে অত তালাক হতোনা আর মোহরানার আট দশ টাকাও লাগতো না।প্রায় প্রতিটা আধুনিক রাষ্ট্রই এই আইন।ইসলামের শরিয়া আইন ঠিক না।এই আইন আধুনিক করা প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, আসসালামু আলাইকুম।
আমি যৌতুক নেই না। ঘড়ি, আংটি, গলার চেন কিছুই নেই নাই। খাট। ফ্রিজ। আলমারি তো দুরের কথা। কারন এগুলো সব আমার আছে। ভালো পরিমানেই আছে। তাছাড়া আমাদের বংশে যৌতুক নেয়া মানে তাকে কান ধরে গোষ্ঠী থেকে বের করে দেওয়া। আমার শ্বশুর আমাকে একটা ফ্লাট দিতে চেয়েছেন। আমি শ্রদ্ধার সাথে টা ফিরিয়ে দেই। এরপর আমার প্রতি শ্বশুরের ভালোবাসা বেরে গেছে।